নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

গোলাম আযমের লাশ পাকিস্তানে পাঠানো হোক...

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:৫১

ঘৃণিত এই রাজাকার মারা গেছেন। টিএসসিতে উল্রাস করছেন কিছু মানুষ। কেন? ঘৃণিত এই রাজাকারের লাশ যেন বাংলার পবিত্র মাটিতে দাফন করা না হয়। তাদের দাবী শতভাগ সঠিক। দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ। এই রাজাকারের দেশপ্রেম ছিল না। ছিল পাকিস্তানপ্রীতি। তাই তার লাশ পাকিস্তানে রাখা হোক। এই দেশের মাটিতে তাকে রাখলে দেশের মাটি কলঙ্কিত হবে। দেশের স্বাধীনতার বিরোধীতার মূল নায়ক গোলাম আযম।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ২০১০ সালের ২৫শে মার্চ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর থেকে জামায়াতের প্রাক্তন এই আমির গোলাম আযমের বিচারের বিষয়টি জোরালোভাবে আলোচিত হতে থাকে।

২০১১ সালের ১ নভেম্বর তদন্ত সংস্থা মানবতাবিরোধী অপরাধে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। ১২ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল-১ এ প্রথমবারের মতো গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই দিন তাকে গ্রেফতারের আবেদনও জানানো হয়। কিন্তু অভিযোগ ‘অগোছালো ও অবিন্যস্ত’ হওয়ায় ২৬ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল তা রাষ্ট্রপক্ষকে ফেরত দেন।

২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ দ্বিতীয় দফায় অভিযোগ দাখিল করলে ৯ জানুয়ারি তা আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। ১১ জানুয়ারি গোলাম আযম ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠান। পরে গোলাম আযমের আইনজীবীর আবেদনক্রমে তাকে শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলে পাঠানো হয়। ১৩ মে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। এক বছরের বেশি সময় ধরে এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক চলে। গোলাম আযমের বিপক্ষে রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন ১৭ জন এবং গোলাম আযমের পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন একমাত্র তার ছেলে।

রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে ২০১৩ সালের ১৭ এপ্রিল মামলার রায় অপেক্ষামাণ (সিএভি) রাখেন ট্রাইব্যুনাল। ২০১৩ সালের ১৫ই জুলাই বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-১ গোলাম আযমকে ৯০ বছরের কারাদণ্ড দেন। তার বিরুদ্ধে পাঁচ ধরনের অভিযোগের সব কটি প্রমাণিত হওয়ায় ৯১ বছর বয়সী গোলাম আযমকে এ সাজা দেওয়া হয়।

রায়ে ট্রাইব্যুনাল উল্লেখ করেন,গোলাম আযমের অপরাধ মৃত্যুদণ্ডযোগ্য হলেও বয়স ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তাকে মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে ৯০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলো।

রায়ে প্রতিটি অভিযোগের জন্য আলাদা আলাদা করে সাজা দেওয়া হয়।

আদেশে ট্রাইব্যুনাল বলেন, প্রথম অভিযোগ (ষড়যন্ত্র) এর জন্য ১০ বছর কারাদণ্ড, দ্বিতীয় (পরিকল্পনা) অভিযোগে ১০ বছর কারাদণ্ড, তৃতীয় (উসকানি) অভিযোগে ২০ বছর কারাদণ্ড, চতুর্থ (সহযোগিতা) অভিযোগে ২০ বছর কারাদণ্ড এবং পঞ্চম (সিরু মিয়া হত্যাকাণ্ড) অভিযোগে ৩০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হলো।

রায়ে আরো উল্লেখ করা হয়, কারাদণ্ডের প্রতিটি শাস্তি ধারাবাহিকভাবে একটির পর একটি বা মৃত্যু পর্যন্ত চলবে।

গোলাম আযমের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ : জামায়াতের প্রাক্তন আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা, উসকানি, সংশ্লিষ্টতা এবং হত্যা ও নির্যাতনের পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়।

১. ষড়যন্ত্র : গোলাম আযমের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগে ৬টি ঘটনা উল্লেখ করা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, একাত্তরের ৪ ও ৬ এপ্রিল অবরুদ্ধ বাংলাদেশের সামরিক আইন প্রশাসক জেনারেল টিক্কা খানের সঙ্গে বৈঠক, ১৯ জুন ও ১ ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডিতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে বৈঠক।

২.পরিকল্পনা: দ্বিতীয় অভিযোগ একাত্তরের তিনটি ঘটনা উল্লেখ করা হয়। এগুলো হলো- ৪ এপ্রিল টিক্কা খানের সঙ্গে বৈঠক, যার ধারাবাহিকতায় ৯ এপ্রিল ঢাকায় ১৪০ সদস্যের নাগরিক শান্তি কমিটি গঠন এবং ৪ মে শান্তি কমিটির সভা।

৩. উসকানি : গোলাম আযমের বিরুদ্ধে তৃতীয় অভিযোগ উসকানির ২৮টি ঘটনা উল্লেখ করা হয়। এসব ঘটনার মধ্যে রয়েছে ৭ এপ্রিল স্বাধীনতাকামী মানুষকে ‘ভারতীয় অনুপ্রবেশকারী’ উল্লেখ করে গোলাম আযমের যুক্ত বিবৃতি, ১৭ মে ঢাকায় এক সভায় স্বাধীনতা আন্দোলনকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ’ ও মুক্তিযোদ্ধাদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ উল্লেখ করে বক্তব্য, ১৬ জুলাই রাজশাহী, ১৮ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ৪ আগস্ট খুলনা, ৭ আগস্ট কুষ্টিয়াসহ অনেক এলাকায় বিভিন্ন সভায় মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রভৃতি।

৪. সহযোগিতা বা সম্পৃক্ততা : মানবতাবিরোধী অপরাধে ২৩টি ঘটনা দিয়ে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে চতুর্থ অভিযোগ গঠন করা হয়। এসব ঘটনার মধ্যে রয়েছে ১৮ জুন লাহোর বিমানবন্দরে বক্তব্য, ১৯ জুন রাওয়ালপিন্ডিতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে বৈঠক এবং ২০ জুন লাহোরে সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য।

৫. সিরু মিয়া হত্যা : গোলাম আযমের বিরুদ্ধে এ অভিযোগে বলা হয়, একাত্তরের ২১ নভেম্বর তার লেখা চিঠির নির্দেশ অনুসারে ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিরু মিয়া, তার ছেলে আনোয়ার কামালসহ ৩৮ জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুলি করে হত্যা করে রাজাকার ও আলবদররা।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:৫৩

খেলাঘর বলেছেন:


তার বিষাক্ত দেহ যেন বাংলার মাটিতে ফেলা না হয়।

২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:৫১

তুষার কাব্য বলেছেন: এ লাশের ভার যেন আমার দেশ বহন না করে...

৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:২৪

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: একমত ++++++++++

রাজাকারদের নিয়ে একটা 'দুঃসহ স্মৃতি' স্তম্ভ / ঘৃণ্য স্তম্ভ নির্মাণ করা হোক , যেখানে সাধারণ জনগণ ঐ সব রাজাকার স্তম্ভ/মুর্তির গয়ে পাথর ছুঁড়ে মারা জাতীয় কিছু করতে পারবে এবং নতুন প্রজন্ম এইসব রাজাকারদের ব্যাপারে একটা পরিষ্কার ধারনা পাওয়ার আরও একটি উৎস পাবে ।

৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২১

ভূতের কেচ্ছা বলেছেন: হের লাশটা মনে সাগরে ভাসিয়ে দেয়া উচিত.....

৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:১৬

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন: রেস্ট ইন হেল গু আজম। X((

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.