নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

গোলাম আযম ও বাংলাদেশের রাজনীতি

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৩৬

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী গোলাম আযম শেষ পর্যন্ত মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনালের রায়ে একজন মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছিলেন। বয়স বিবেচনায় নিয়ে তাকে ৯০ বছর অর্থাত্ মৃত্যু পর্যন্ত কারাগারে থাকার শাস্তির জীবন নির্ধারণ করে আদালত। সেই রায় মাথায় নিয়েই গত বৃহস্পতিবার ২৩ অক্টোবর রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে হয়েছে। ফাঁসির রশি তার গলায় না পরলেও যুদ্ধাপরাধের রায় নিয়েই তাকে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে হয়েছে। এর কোনো গত্যন্তর তার জন্য ছিল না। তিনি তার রাজনৈতিক বিশ্বাস এবং কর্মে যা করেছেন এর বাইরে তো কারো কিছু বলা, করা বা আখ্যায়িত করার নেই।
তিনি যদি স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং একটি আধুনিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার রাজনীতি করতেন, তাহলে তার জীবন ও রাজনীতি সেভাবে মূল্যায়িত হতো, তাকে এমন একটি রায় কাঁধে নিয়ে মরতে হতো না, তাতে তার জন্য কারো ঘৃণা নয়, বরং কষ্ট প্রকাশ করার দৃশ্য দেখা যেত। কিন্তু সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি। তার দলের নেতাকর্মী, সমর্থক এবং অনুসারীরা তাকে তাদের আদর্শ হিসেবে হয়তো দীর্ঘদিন ধরে রাখার চেষ্টা করবেন। কিন্তু তারাও কি পেরেছেন তাদের নেতাকে সেভাবে শ্রদ্ধা জানাতে? আদালতের রায় তারা না মানতে পারেন— এটিই তাদের অন্ধবিশ্বাসের জায়গা, তবে জামায়াতের রাজনীতি, নীতি-নৈতিকতা, আদর্শবোধের অবস্থান থেকে দেশ, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী এমনটি আইনের রায়েও প্রতিষ্ঠিত। সেই প্রতিষ্ঠিত রায়কে যারা মানতে চায় না, তাদের আদর্শিক পশ্চাত্পদতা, কূপমণ্ডূকতা, রাষ্ট্র, সমাজবিরোধী অবস্থান, অনৈতিহাসিকতা তারা আবার স্পষ্ট করেছেন। গোলাম আযম যাদের নেতা তারাও কিন্তু অপরাধী আদর্শের ধারক হিসেবে পরিচিত হয়ে আছে।
তবে যে বিষয়টি স্বীকার করতে হবে, ১৯৮১ সালে গোলাম আযমকে যেভাবে জুতা নিক্ষেপ খেয়ে বায়তুল মোকাররম ত্যাগ করতে হয়েছিল, ২০১৪ সালের ২৫ অক্টোবর শেষ কফিনেও জুতা নিক্ষেপ নিয়েই তাকে বিদায় নিতে হয়েছে। যদিও তার সন্তান, দল এবং অনুসারীরা মৃত গোলাম আযমকে নিয়ে সূক্ষ্ম রাজনীতি করতে চেয়েছিল, যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, মতিউর রহমান নিজামীকে দিয়ে তার জানাজা পড়াতে চেয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তার ছেলেই জানাজায় ইমামতি করেছেন। মৃত্যুর আগে গোলাম আযম যেমন কোনোদিন বলেননি তিনি ১৯৭১ সালে ভুল করেছেন, ঠিক মৃত্যুর পর তার সন্তান বা দলের অনুসারীরাও তার কোনো ভুলভ্রান্তির জন্য ক্ষমা চাননি বলে জানা গেল। আসলে বায়তুল মোকাররমে জানাজাকে কেন্দ্র করে জামায়াত একটি আবেগ আবহ তৈরি করতে চেয়েছিল, যা দিয়ে রাজনৈতিক সুবিধা আদায় করা সম্ভব হতে পারে। কিন্তু গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া বিভিন্ন সংগঠন, তরুণ প্রজন্মের একটি অংশ এবং ইসলামী কিছু সংগঠন তীব্র প্রতিবাদ গড়ে তোলায় সেই সুযোগ জামায়াত পায়নি।
তবে গোলাম আযমের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আমাদের মিডিয়ার কোনো কোনোটি অতিপ্রচারের দিকে উত্সাহী যে, তা বেশ পীড়াদায়ক মনে হলো। জার্মান নািসবাদের কোনো নেতার মৃত্যু হলে মৃত্যুর সংবাদ এবং প্রাসঙ্গিক কিছু খবর দেয়া ছাড়া জার্মান গণমাধ্যমে দিত বলে মনে হয় না। আমাদের গণমাধ্যমে কখনও কখনও এ বিষয়গুলো বিবেচনায় থাকে না। গোলাম আযমের মৃত্যুর সংবাদ ব্রেকিং দিয়ে প্রচার করা, তার উকিল, সন্তানসহ কারো কারো সাক্ষাত্কার নিয়ে প্রচার করা হচ্ছিল তাতে মনে হয়েছিল যে, গোলাম আযম একজন অতীব জাতীয় নেতা।
গোলাম আযমকে চলে যেতে হলো। তার চলে যাওয়ার পর জামায়াত এবং দেশের রাজনীতি নিয়ে কোনো পরিবর্তনের মতো কিছু ঘটবে কি না— তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। গোলাম আযম জামায়াতের আদর্শিক গুরু। সে কারণে জামায়াত চলেছে তাকে ঘিরে। তিনি দলের আমির পদ থেকে সরে গেলেও তাকে বাদ দিয়ে দল চলেনি। যারা তার স্থলাভিষিক্ত হলেন, দলের পদে ছিলেন— তারা সকলেই তার অন্ধ অনুসারী। এখানে গোলাম আযম ছিলেন দলের প্রধান প্রবক্তা, অন্যরা তাকে অনুসরণ করেছেন— যেমনিভাবে তারা ১৯৭১ সালে তার কমান্ড মতোই ভূমিকা রেখেছিল। গোলাম আযম যেভাবে পূর্ব-পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামী পরিচালনার দায়িত্ব পাকিস্তান কেন্দ্রীয় জামায়াতের কাছ থেকে পেয়েছিলেন, যেভাবে তিনি যুদ্ধকালে জামায়াত-ছাত্রসংঘসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীসহ অবস্থান নিয়েছিলেন, তারা সেভাবেই দাসানুদাসের মতো ভূমিকা পালন করেছেন। সে কারণেই ১৯৭১ সালে পাকিস্তানকে সমর্থন করতে গিয়ে গোলাম আযমের আদেশ-নির্দেশ ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তাদের মধ্যে কোনো দ্বিধা ছিল না। জামায়াত দ্বিধাবিভক্তও হয়নি, অপরাধের বিরুদ্ধে তাদের কোনো পৃথক অবস্থানও ছিল না। সবকিছু বিনাপ্রশ্নে মেনে নেয়ার মানসিকতা ও বিশ্বাসের বিষয়টি বেশ বিস্ময়কর বলতে হবে। এর পিছনে উগ্র সাম্প্রদায়িক, ফ্যাসিবাদী বিশ্বাস ছাড়াও আর্থিকসহ নানা ধরনের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় জড়িত থাকা খুবই স্বাভাবিক। আসলে কোনো দলের আদর্শ যদি এমন দাসানুদাস চরিত্রের হয়— বিবেক, বিচার-বিশ্লেষণ ও উন্নত চিন্তা না থাকে— তা হলে এমন হওয়ার বিষয়টি এখানেই প্রমাণিত হয়।
১৯৭১ সালে গোলাম আযম বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পরাজিত হয়েছিলেন। পালিয়ে পাকিস্তান, ইংল্যান্ড এবং মধ্যপ্রাচ্য হয়ে তিনি দেশে আসতে পারলেন। এখানেই তার অনুসারীরা তার সাফল্য এবং বিজয় হিসেবে দেখলেন। এটি ছিল দেশি নানা শক্তি এবং আন্তর্জাতিক শক্তির একটি নীলনক্সার ফসল। গোলাম আযমের সামগ্রিক এই রাজনীতির পিছনে একটি আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করেছিল। নতুবা গোলাম আযমের পক্ষে ১৯৭১ সালে দেশ ছাড়া হওয়ার পর আর দেশে ফিরে আসা বা রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু তিনি পেলেন। পাওয়ার পিছনে দেশি এবং আন্তর্জাতিক নানা গোষ্ঠীর সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা কতটা জোরাল ছিল তা পরবর্তীকালে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড এবং অভিজ্ঞতা থেকে প্রমাণিত। গোলাম আযম শুধু বাংলাদেশে ফিরে আসেনি, তিনি তার দলকে সাংগঠনিকভাবেই শুধু নয়, আর্থিক, সামাজিক, শিক্ষা-সাংস্কৃতিকভাবে প্রতিষ্ঠার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন। বলা চলে আশির দশক থেকেই গোলাম আযম এবং জামায়াত নতুনভাবে বাংলাদেশকে টার্গেটে নিয়ে এগিয়ে চলা শুরু করেন। দেশের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলসহ সংস্থা ও ব্যক্তি মানুষ জামায়াতের নতুনভাবে চলার কৌশল খুব বেশি ধরতে পারেনি। লক্ষ্য করা গেছে, গত তিন দশকে জামায়াত বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক, শিক্ষা-সাংস্কৃতিকসহ সকল অঙ্গনে মৌলবাদী ধারার একটি স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করে নিতে সক্ষম হয়েছে। দেশের ব্যবসাবাণিজ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, নানা ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় জামায়াত যেভাবে অগ্রসর হয়েছে, তাতে জামায়াত বাংলাদেশের আদর্শিক ভিত্তিতে আঘাত করার যথেষ্ট ক্ষমতা রাখে। আমাদের তরুণদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এরই মধ্যে জামায়াতের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। বাংলাদেশে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরাট একটি অংশে তাদের মতাদর্শের অনুসারী গোষ্ঠী তৈরিতে তারা কাজ করে যাচ্ছে। ফলে ১৯৮০ উত্তরকাল থেকে যে তরুণরা ছাত্রশিবির ও জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, তারা সকলেই গোলাম আযমের অন্ধ অনুসারী হিসেবেই বেড়ে উঠেছে। তারা ১৯৭১ সালকে গোলাম আযমের লেখালেখি এবং চিন্তাধারাতেই দেখে। ফলে ১৯৭১ সালের ছাত্রসংঘ এবং বর্তমান ছাত্রশিবিরের ভাবাদর্শ ভিত্তিতে খুব একটা তফাত্ নেই। তারা একই আদর্শের অনুসারী। সে কারণে এদেরকে নব্য রাজাকার বললে আদর্শ বিশ্বাসী অবস্থান থেকে ভুল কিছু বলা হয় না। জামায়াত শিক্ষা, অর্থনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যে শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, হতে যাচ্ছে— তা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্য কোনো নিরাপদ ভবিষ্যত্ নিশ্চিত করে না। আমরা লক্ষ্য করেছি ২০১৩ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকে কেন্দ্র করে ছাত্রশিবিরের এই তরুণ প্রজন্ম দেশব্যাপী কিভাবে তাণ্ডব চালিয়েছিল, বিচারকে ভণ্ডুল করাসহ সবকিছুকে তছনছ করে দেয়ার জন্য জীবনবাজি রেখে মাঠে নেমেছিল। দেশকে গৃহযুদ্ধে নিক্ষেপ করার হুমকিও দিয়ে চলেছিল। সেটি বাস্তবায়ন করার কাজ এখনও তাদের থেমে যায়নি। কেননা, তারা গোলাম আযমের অনুসারী— ইসলামের বা আধুনিক কোনো জীবনদর্শনের নয়। এমন অন্ধ অনুসারীরা খুব সহজে শেষ হয়ে যাবে, থেমে যাবে— তা ভাবার কোনো কারণ নেই। তাদের মস্তিষ্কে যে বিশ্বাসের বীজ গোলাম আযম এবং তার অনুসারীরা বপন করেছেন— তা আরও অনেক দিন জীবিত থাকার মতো ভিত্তি গোলাম আযম দিয়ে গেছেন।
বাংলাদেশে বেসরকারি সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের একটি উল্লেখযোগ্য অংশই নেপথ্যে জামায়াতের অর্থে প্রতিষ্ঠিত কিংবা তাদের অনুসারীদের দ্বারা পরিচালিত। ফলে তাদের টিকে থাকার ভিত্তি অত সহজে দুর্বল হওয়ার লক্ষণ দেখি না, অধিকন্তু বিএনপির মতো একটি বড় দল, বিএনপিকে সমর্থন করে, আওয়ামী লীগকে বিরোধিতা করে, নানা কারণে সরকারকে অপছন্দ করে— এমন নানা শক্তি মিলিতভাবে কিন্তু মোটেও কম নয়। তারা সকলেই বিএনপির কারণে জামায়াতকে আশ্রয় দিচ্ছে, জামায়াতের বেড়ে ওঠার সূক্ষ্ম এই ধারার গুরুত্ব উপলব্ধি করছে না, করার প্রয়োজনীয়তা বোঝে বলেও মনে হয় না। ফলে জামায়াতের উত্থান, বিকাশ এবং ভবিষ্যত্ নিয়ে যে ধরনের সতর্কতা এ দেশের সমাজ, রাজনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, গণমাধ্যম, সাধারণ মানুষের মধ্যে থাকা বাঞ্ছনীয় ছিল— তাতে বিরাট ঘাটতি রয়েছে। আওয়ামী লীগ এককভাবে জামায়াতের রাজনীতি মোকাবিলা করার ক্ষমতা দলীয়ভাবে কতটা রাখে তা বিবেচ্য বিষয়। রাষ্ট্রীয়ভাবে এখন সরকারে থাকার কারণে যেটুকু করছে— তা কতদিন অব্যাহত থাকবে বলা মুশকিল। কিন্তু বিএনপিসহ সমাজের অর্ধেক অংশের নীরবতা, সমর্থন, অবস্থান না নেয়ার বিষয়গুলো খুবই স্পষ্ট। এর ফলে শঙ্কার বিষয়টি বেশ জোরালই বলতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক শক্তির দুর্বলতা এ মুহূর্তেও যথেষ্ট তীব্র। সেই অনৈক্যের ফাঁকফোকর দিয়ে জামায়াত এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেই। এখন গণতান্ত্রিক শক্তি বলে দাবিদাররা গোলাম আযম-উত্তর বাস্তবতায় কিভাবে রাজনীতি, রাষ্ট্র, অর্থনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, গণমাধ্যমসহ সবকিছুকে ঢেলে সাজাবে, জামায়াতকে সুযোগ দেবে কি দেবে না— তার ওপর নিকট বা দূরবর্তী বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত্, গোলাম আযমের রেখে যাওয়া দল, আদর্শ ও অনুসারীদের রাজনীতি নির্ভর করবে। বিষয়টি কি সেভাবে তারা উপলব্ধি করার জায়গায় আদৌ আছেন, সেটি মিলিয়ন মিলিয়ন প্রশ্ন। - See more at: Click This Link

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৯

কিবর বলেছেন: ***এটিই তাদের অন্ধবিশ্বাসের জায়গা, তবে জামায়াতের রাজনীতি, নীতি-নৈতিকতা, আদর্শবোধের অবস্থান থেকে দেশ, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী এমনটি আইনের রায়েও প্রতিষ্ঠিত। সেই প্রতিষ্ঠিত রায়কে যারা মানতে চায় না, তাদের আদর্শিক পশ্চাত্পদতা, কূপমণ্ডূকতা, রাষ্ট্র, সমাজবিরোধী অবস্থান, অনৈতিহাসিকতা তারা আবার স্পষ্ট করেছেন। গোলাম আযম যাদের নেতা তারাও কিন্তু অপরাধী আদর্শের ধারক হিসেবে পরিচিত হয়ে আছে।


* আপনি কি বলতে চাচ্ছেন রায়রে বিরুদ্ধে গিয়ে আদালতে প্রাঙ্গনে তারা লাঠি মিছিল করবে আর ভাংচুর চালাবে?


***তারা সকলেই তার অন্ধ অনুসারী। এখানে গোলাম আযম ছিলেন দলের প্রধান প্রবক্তা, অন্যরা তাকে অনুসরণ করেছেন—

*এটা একটি ভাল দিক যে, জামায়াত কোন পারিবারিক দলে রুপ নেয় নি।

***১৯৭১ সালে গোলাম আযম বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পরাজিত হয়েছিলেন। পালিয়ে পাকিস্তান, ইংল্যান্ড এবং মধ্যপ্রাচ্য হয়ে তিনি দেশে আসতে পারলেন। এখানেই তার অনুসারীরা তার সাফল্য এবং বিজয় হিসেবে দেখলেন। এটি ছিল দেশি নানা শক্তি এবং আন্তর্জাতিক শক্তির একটি নীলনক্সার ফসল। গোলাম আযমের সামগ্রিক এই রাজনীতির পিছনে একটি আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করেছিল। নতুবা গোলাম আযমের পক্ষে ১৯৭১ সালে দেশ ছাড়া হওয়ার পর আর দেশে ফিরে আসা বা রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার কথা ছিল না।

*শুধু গোলাম আযম কেন? জননেত্রী শেখ হাসিনা, তোফায়েল আহম্মেদ সহ যারাই যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দেশে এসেছেন কারো না কারো করুনা বা আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক চাপেই এসেছেন।

২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৮

কে এম সুমন বলেছেন: অধ্যাপক গোলাম আজম বাংলাদেশের নাগরিক এটাও আদালতের প্রতিষ্ঠিত রায়। আপনাদের মতো দেশপ্রেমিকরা কেন যে বারবার ভুলে যান আমার বুঝে আসে না??

আদালতের প্রতিষ্ঠিত রায়কে যারা মানতে চায় না, তাদের আদর্শিক পশ্চাত্পদতা, কূপমণ্ডূকতা, রাষ্ট্র, সমাজবিরোধী অবস্থান, অনৈতিহাসিকতা তারা আবার স্পষ্ট করেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.