নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চক্রান্ত!!!

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৫

একটি চক্র সেনাবাহিনীকে সবসময় বিতর্কিত করা চেষ্টায় লিপ্ত। এর আগে সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীন সুশৃঙ্খলাকে নষ্ট করার জন্য নানারকম প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে। সেনাবাহিনীর সুনাম দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে দিনকে দিন। কিন্তু একটি স্বার্থান্বেসী মহল বরাবরই এই সুরক্ষিত ও সুশৃঙ্খল বাহিনীর সুনাম নষ্ট করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের রয়েছে নিজস্ব সেনাবাহিনী । যার কাজ হল আভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত শত্রু থেকে নিজ সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। একই স্লোগান নিয়ে “শান্তিতে সংগ্রামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী”। বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট হলো- বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনী বর্তমানে শান্তি-সংগ্রামের পাশাপাশি অর্থনীতিতে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী অনন্য অবদান রাখছে।
শান্তিরক্ষা মিশন থেকে অর্জিত আয় বাংলাদেশের তৃতীয় আয়ের খাত। বাংলাদেশের গর্ব এই বাহিনী মহাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বের বুকে শান্তির কাজে স্থান করে নিয়েছে। শান্তির কাজে বিশ্বের সর্বচ্চ সংখ্যাক সেনা দিয়ে বিশেষ কৃতিত্ব দেখাচ্ছে।
শন্তি রক্ষায় একের পর এক সাফল্য নিয়ে আসছে দেশের কল্যাণে। ১৯৫২ সালে বুকের তাজা রক্তে আমরা মায়ের মুখের ভাষার স্বীকৃতি পায়, আর সিয়েরা লিয়নে শান্তির দূতের স্বীকৃতি হিসাবে বাংলা দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে সিয়েরা লিয়ন।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ১০টি শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের প্রায় ১০ হাজার ৫০০ সেনা ও পুলিশ সদস্য কাজ করছেন। জাতিসংঘ শান্তি মিশনে সাফল্যের মধ্য দিয়ে।
এ পর্যন্ত ৬৩টি শান্তি মিশনে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। ৮২ হাজার ৯৬৫ শান্তি কর্মী বাংলাদেশ থেকে যোগ দিয়েছে বিভিন্ন মিশনে। নিরাপত্তার কারণে বিভিন্ন মিশনে কাজ অসমাপ্ত রেখে জাতিসংঘ বাহিনী ফিরে এসেছে। কিন্তু একমাত্র বাংলাদেশিরাই হচ্ছে এর ব্যতিক্রম।
সিয়েরা লিয়নে আজ বাংলাকে দ্বিতীয় রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। রাস্তাঘাটের নামকরণ করা হয়েছে বাংলাদেশের নামে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাস, সংঘাত ও দাঙ্গা দমন করে শান্তি স্থাপন, তথা সে সব দেশ পুনর্গঠনে এ দেশের শান্তিসেনারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এসব কারণে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সেনা ও পুলিশ বাহিনী সাফল্যের শীর্ষে অবস্থান করছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে আকর্ষণীয় শান্তিরক্ষার দায়িত্ব ব্যাপক জনপ্রিয়। কারন এতে অংশগ্রহণকারীদের মিশনের পর বাড়ি কেনার ও অবসরের জন্য সঞ্চয়ের সুযোগ করে দেয়।
সম্প্রতি এক খবরে জানা যায়, বাংলাদেশের শান্তি রক্ষীরা গত তিন বছরে দেশে তাদের পরিবারবর্গের কাছে ৭৫ বিলিয়ন টাকা (৯১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) প্রেরণ করেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা (ইউএনপিএসও)-এর সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত।
বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের ইতিবাচক পদক্ষেপের ফলে বিশ্বে শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ পরিচিত হয়েছে। ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘের অধীনে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা সর্বোচ্চমানের পেশাদারি মনোভাব, সাহসিকতা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রশংসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
পরবর্তীতে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী উপসাগরীয় এলাকা, বেনিন, নামিবিয়া, কম্বোডিয়া, সোমালিয়া, উগান্ডা/রুয়ান্ডা, মোজাম্বিক, প্রাক্তন যুগোস্লাভিয়া, লাইবেরিয়া, হাইতি, তাজিকিস্তান, পশ্চিম সাহারা, সিয়েরা লিওন, কসোভো, জর্জিয়া, পূর্ব তিমুর, কঙ্গো, আইভরি কোস্ট ও ইথিওপিয়ায় শান্তি রক্ষা কাজে অংশগ্রহণ করে।
শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ একের পর এক সাফল্য আর্জন করছে। তারা দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ হিসাবে কাজ করছে। আমাদের মহান স্বাধীনতা, স্বাধীনতা পরবর্তী পূর্নগঠনে তারা দেশকে নতুন করে সাজিয়েছেন। দেশের সংকট মুহুর্তে হাল ধরেছেন। নিশ্চিত বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন।
আমরা দেখেছি ১৯৮৮ ঘুর্ণিঝড়, ২০০০ সালের বন্যা, সিডর, আইলা, চট্টগ্রামের পাহাড় ধ্বসসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুযোর্গে তারা বিপন্ন মানুষের মাঝে আশার সঞ্চার করেছেন। তাদের মুখে দ্রুত সময়ে খাদ্য নিয়েছেন। উদ্ধার অভিযানে বস্তুহারা মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। তাদের পাশে থেকে তাদের সাহয্যে জীবন জীবিকার কাজ করেছেন।
নির্মাণ করে দিয়েছেন তাদের বসত ভিটা। সর্বোপরি মানুষের কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করে দিয়েছেন এই বাহিনীর লক্ষ লক্ষ সদস্য। সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক হিসাবে কাজ করছে তারা। সেখানে আজ অসঙ্গতি মানুষ সেখানে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করে। এর চেয়ে বড় পাওয়া এই বাহিনীর আর কিছু হতে পারে না।
সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে শুরু করে চিকিৎসা ব্যবস্থায় অবদান রাখার তাগিদে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ চালু করেছে। যেখানে সাধারণ মানুষজনের ছেলেমেয়েরাও পড়াশোনা করতে পারে। এরকম একটি বাহিনীর শান্তিরক্ষায় সময়ের দাবী এসেছে শান্তিতে নোবেল পাওয়ার। বর্তমানে এই বাহিনী নিয়ে নামামূখি ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে আমরা বিভিন্ন সময় জানতে পারি। ধর্মীয় মৌলবাদি গোষ্ঠি তাদের স্বার্থ হাসিল করার সর্বশেষ কৌশল হিসাবে এই বাহিনীকে ব্যবহার করতে চাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় একটি দুটি পত্রিকা ক্রমাগত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছে। গত দুদিন দেশের প্রধান দুটি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার তারই অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার জন্য দুটি সংবাদ পরিবেশন করেছে।

এ ছাড়া এই বাহিনীকে ব্যবহার করে অনেকে রাজনৈতিক ফয়দা লুটতে চাচ্ছে। তাদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে সুশৃঙ্খল বাহিনীকে ব্যবহার করতে চায়। এদের প্রতিহত করতে হবে। সকল দল-মতের উর্দ্ধে অতীতের মত তাদের থাকতে হবে। সকল ষড়যন্ত্রের নাগজাল ছিন্ন করে দেশের কল্যানে সেনবাহিনী কাজ করবে এমনটাই প্রত্যাশা বাংলার ১৬ কোটি মানুষের।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.