নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগ ঠিক না...

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:১৫

গত দুদিন প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ঠিক না। বললেন কয়েকজন সেনাকর্মকতা। পত্রিটা দুটির ভিন্ন উদ্দেশ্য থাকতে পারে। এটা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। .. বিস্তারিত আজকের দৈনিক বর্তমানে...
দেশের বিভিন্ন স্থানে সেনানিবাস স্থাপনসহ বিভিন্ন প্রতিরক্ষামূলক কাজে এবং সেনাবাহিনী সংশ্লিষ্ট আবাসন প্রকল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে জমি অধিগ্রহণ ও জবরদখলের অভিযোগ তুলে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার বিষয়টি উস্কানি ও অপপ্রচারমূলক এবং দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করছেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও বিশ্লেষকরা। তাদের বক্তব্য— ‘সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে এবং সমৃদ্ধ দেশ গড়তে দেশপ্রেমিক শক্তিশালী সেনাবাহিনীর প্রয়োজন রয়েছে। ঢালাওভাবে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জমি অধিগ্রহণের অভিযোগ তুলে দেশের ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করা হচ্ছে।’
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) ফজলুর রহমান গতকাল শুক্রবার বর্তমানকে বলেন, সেনাবাহিনী একটি রাষ্ট্রীয় ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ঢালাও অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়। সেনাবাহিনীর প্রয়োজনে প্রচলিত আইন ও বিধি-বিধানের মাধ্যমে জমি অধিগ্রহণ করা যেতে পারে, যেহেতু বিষয়টির সঙ্গে দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন জড়িত। এ বিষয়ে অভিযোগ করার আগে এনজিওগুলোর উচিত ছিল বিষয়টি নিয়ে সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে কথা বলা। তিনি বলেন, বিভ্রান্তিকর অভিযোগ উত্থাপনের মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে উস্কানি দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এসব অভিযোগ তুলে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করা হচ্ছে এবং জনগণকে সেনাবাহিনীর মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে। ‘নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ৪০টি গ্রামে সেনাবাহিনীর আবাসন প্রকল্পের নামে জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে’ বলে বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে তোলা অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে সম্ভবত সঠিক তথ্য না জেনেই এনজিওগুলো এ অভিযোগ করেছে। এছাড়া বিষয়টির সঙ্গে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি), আইন ও সালিশ কেন্দ্র, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), আদিবাসী ফোরাম, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), নিজেরা করি ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)— এ আটটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) যৌথভাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যবসা স্থাপনা, কারখানা প্রতিষ্ঠা, নগরায়ন, আবাসন প্রকল্প ও সেনানিবাস প্রতিষ্ঠার নামে একের পর এক বসতভিটা, কৃষিজমি, বনভূমি, জলাধার বেআইনিভাবে দখল করা হচ্ছে। সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে সেনা স্থাপনার জন্য প্রায় ৫০ হাজার একর ভূমি বরাদ্দ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এর ফলে অনেক বসতি উচ্ছেদ হবে এবং প্রকৃতি, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হবে বলেও সংগঠনগুলি মনে করে।
এ ব্যাপারে আরেক সাবেক সেনা কর্মকর্তা কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম বলেন, জাতীয় স্বার্থেই সেনানিবাস স্থাপনসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে সেনাবহিনীর জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এক্ষেত্রে যথাযথ আইন ও নিয়ম অনুসরণ করা হয়। যাচাই-বাছাই ছাড়া কেনো এনজিও বা প্রতিষ্ঠান বা কোনো ব্যক্তির এ বিষয়ে ঢালাওভাবে অভিযোগ তোলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে হয়।
বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে করা অনুসন্ধানের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, কক্সবাজারের রামুতে এক হাজার ৮০০ একর, বান্দরবানের রুমায় ৯৯৭ একর, পাবনার চাটমোহরে এক হাজার ৪০৮ একর এবং নোয়াখালীর হাতিয়া ও চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের চরাঞ্চলে প্রায় সাড়ে চার হাজার একর কৃষি জমি সেনাবাহিনীকে বরাদ্দ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এর ফলে বাস্তুভিটা ও তাদের কৃষিভূমি থেকে প্রায় সাত হাজার মানুষ উচ্ছেদ হবে। ওই সংবাদ সম্মেলনে সুলতানা কামাল বলেন, রাজধানী ঢাকার একটা বড় অংশ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাদের এ পরিধি ক্রমেই বাড়ছে। আর রাষ্ট্র তাদের এই মনোভাবকে সমর্থন জুগিয়ে চলেছে। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, যদি এসব অন্যায়ের কোনো প্রতিকার করতে না পারেন, তাহলে দেশের ভার নেয়ার নৈতিক অধিকার আপনাদের নেই। টিআইবির রির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে সরকার বাজেট বরাদ্দ দিতে চায় না। অথচ প্রতিরক্ষা বাজেটে যা চাওয়া হয়, তাই দেয়া হয়। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে অবশ্যই সেনানিবাস প্রতিষ্ঠা ও সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নের অপরিহার্যতা রয়েছে; কিন্তু তারা কি নিজেদের নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে, না জনগণের নিরাপত্তা বিধান করছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলেও মন্তব্য করেন ইফতেখারুজ্জামান। - See more at: Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.