![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, কিছু রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি বর্তমান সরকারকে উৎখাতে অনবরত হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েও তারা জনগণের কাছ থেকে ন্যূনতম কোনো সমর্থন বা সাড়া পাচ্ছে না। এতেই প্রমাণ হয়, বর্তমান সরকারের ওপর দেশের মানুষের পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। জনগণের সহায়তায় সরকার বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
গতকাল বুধবার বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বিএনপি আগে একজন যুদ্ধাপরাধীকে ওআইসিতে প্রার্থী করেছিল। কিন্তু বিশ্বনেতারা ওই যুদ্ধাপরাধীকে ভোট দেননি। প্রথম রাউন্ডে বিএনপির প্রার্থী দুই ভোট এবং দ্বিতীয় রাউন্ডে ওই যুদ্ধাপরাধী (সাকা চৌধুরী) শুধু নিজের একটি ভোট পেয়েছে। আমরা ওই দুই বিশ্ব সংস্থায় দুজন বিজ্ঞ-অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে প্রার্থী করেছিলাম বলেই বিজয় সম্ভব হয়েছে।’
সম্প্রতি কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন (সিপিএ) ও ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নে (আইপিইউ) দুই প্রার্থীর বিজয়কে প্রধানমন্ত্রী ‘বিরল অর্জন’ এবং ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সংসদের প্রতি বিশ্ব নেতৃবৃন্দের আস্থার বহিঃপ্রকাশ’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে একটি প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, কার্যকর ও উন্নয়নমুখী রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। দুটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের জয়লাভ একদিকে যেমন বিরল অর্জন, তেমনি বহির্বিশ্বের সঙ্গে আমাদের ক্রমবর্ধমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কেরই প্রমাণ। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি বিশ্ববাসীর শ্রদ্ধা এবং অকুণ্ঠ সমর্থন এ বিজয়ের অন্যতম একটি কারণ বলে আমি মনে করি।’
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার : সরকারি দলের সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লার প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের মধ্য দিয়ে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ভিত সুদৃঢ় হয়েছে। মানবতাবিরোধীরা তাদের পক্ষ অবলম্বনকারী গোষ্ঠীগুলোর ব্যাপক আন্তর্জাতিক প্রপাগান্ডা এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ বিভিন্ন লবিস্ট গ্রুপের পেছনে ব্যয় করা সত্ত্বেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ইতিবাচক মতামত প্রদান করেছে। তিনি আরো বলেন, ‘আমি অঙ্গীকার করেছিলাম, যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার করা হবে। আজ সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে তাদের সাজা কার্যকর শুরু হয়েছে, এ জন্য আমি স্বস্তি বোধ করছি। আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, বাংলাদেশের মানুষের বিচার পাওয়ার দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে এক এক করে সব জঘন্য মানবতাবিরোধী অপরাধীকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় তাদের প্রদত্ত শাস্তি বাস্তবায়ন করার জন্য আমরা অবিচল থেকে কাজ করে যাব।’
শেখ হাসিনা বলেন, মানবতাবিরোধীদের বিচারের জন্য সম্পূর্ণ স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। আর ট্রাইব্যুনালের বিচারকক্ষে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিচার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা সুযোগ দিয়ে বিচার কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানের করা হয়েছে। এ জন্য ২০১৪ সালের ১৬ জানুয়ারি ইউরোপীয় পার্লামেন্টে উত্থাপিত একটি প্রস্তাবে বাংলাদেশের চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারপ্রক্রিয়াকে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, একমাত্র বাংলাদেশেই যুদ্ধাপরাধ আইনে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বাইরে দেশের সর্বোচ্চ আদালত অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আসামি ও বাদীপক্ষের আপিল করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে।
মোবাইল ফোনের কলরেট : সরকারি দলের এ কে এম শাহজাহান কামালের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের মোবাইল ফোনের কলরেট বিশ্বের অন্যতম সর্বনিম্ন হিসেবে বিবেচিত। তাই মোবাইল ফোনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন কলরেট পুনর্নির্ধারণের আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই। তিনি আরো বলেন, মোবাইল ফোন কম্পানিগুলোর মধ্যে ব্যাপকভিত্তিক প্রতিযোগিতার কারণে কলরেট ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। এ ছাড়া ১০ সেকেন্ড পালস বাধ্যতামূলক করায় প্রতি ১০ সেকেন্ড অন্তর বিল চার্জ করা হয়। এতে করে গ্রাহককে শুধু ব্যবহৃত সময়ের প্রতি ১০ সেকেন্ডের গুণিতক হিসাবে বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। গ্রাহককে শেষ মিনিটের বাকি সময়ের জন্য বিল দিতে হয় না।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া : আওয়ামী লীগের মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা জানান, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ জন্য প্রতি উপজেলা/থানার অনধিক তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মোট এক হাজার ৪৯৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি করে ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া, সাউন্ড সিস্টেম ও ইন্টারনেট মডেম সরবরাহ করা হয়েছে। উপজেলাওয়ারি চলতি অর্থবছরে আরো তিন হাজার ৯৩০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষের জন্য উপকরণ বিতরণ অপেক্ষমাণ। এ ছাড়া তিন হাজার ৫০৪টির জন্য সরঞ্জাম সংগ্রহ প্রক্রিয়াধীন। এ ছাড়া ২০১৬ সালের জুনের মধ্যে ৩৯ হাজার ৯০৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি করে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা আছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।
- See more at: Click This Link
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৮
খেলাঘর বলেছেন:
জনতা লাগবে না, নিজের ভারেই নিজেই কাত হবেন হাসিনা বানু!