![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের দাবি ও বিদ্যমান বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য পুলিশের প্রতি যে নির্দেশ জারি করেছেন এর জন্য আমরা সাধুবাদ জানাই। তিনি বলেছেন, ‘সন্ত্রাসী কোন দলের তা দেখার কথা নয়। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নেবেন। কারো মুখের দিকে তাকাবেন না।’ ২৪ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর কঠোর ও নির্মোহ এই নির্দেশ বাস্তবায়নের দায় পালনে পুলিশকে সক্ষমতার পরিচয় দিতে হবে। সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় পরপর দুটি মর্মন্তুদ ঘটনা ঘটার পর প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশে সচেতন মানুষ মাত্রই আশ্বস্তবোধ করছেন।
দেশের উচ্চ বিদ্যাপীঠগুলোতেই শুধু নয়, দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের কতিপয় দুষ্কর্মকারী যেসব অনাকাক্সিক্ষত-অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে তা সরকার ও দলের জন্য চরম খারাপ ফল তো বয়ে আনছেই একই সঙ্গে সমাজ এবং রাষ্ট্রেও সৃষ্টি করে চলেছে বহুবিধ ক্ষত। প্রকৃতপক্ষেই সন্ত্রাসীর কোনো দলীয় কিংবা সামাজিক পরিচিতি থাকার কথা না থাকলেও দুঃখজনকভাবে উভয়ক্ষেত্রে কখনো কখনো এই পরিচয়টাই মিলছে। এও সত্য যে, এই বিপথগামীদের কারণে সমাজের চিহ্নিত দুষ্কর্মকারীরাও কোনো কোনো ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে পরিচয় দিয়ে দুষ্কর্ম চালাচ্ছে এবং এমন সংবাদ মিডিয়াতে প্রকাশিত-প্রচারিত হয়েছে। একথা অসত্য নয় যে, শিক্ষাঙ্গনে গণ্ডগোলের পেছনে বহিরাগত একশ্রেণীর দুষ্কর্মকারীর সম্পৃক্ততা প্রায়ই লক্ষ্য করা যায়। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়টিরও উল্লেখ করেছেন। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা যে কোনো অপ্রীতিকর, অনাকাক্সিক্ষত, মর্মন্তুদ ঘটনা ঘটার পর তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে সক্ষমতার পরিচয় দিতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রী একই দিন সিলেট, মৌলভীবাজার, পাবনা ও রাজশাহীর বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদের প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়রের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেন। আমরা অতীতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে লক্ষ্য করেছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ যথাযথভাবে বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা সক্ষমতার পরিচয় দিতে পারেননি। এবার আশা করি এমনটি আর পরিলক্ষিত হবে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ যদি বাস্তবায়ন করতে এবারো সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা অক্ষমতার পরিচয় দেন তাহলে অবশ্যই তাদের জবাবদিহিতার আওতায় এনে ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলেও মনে করি। সরকারের ভাবমূর্তি তাদের নেতিবাচক ভূমিকাও কম দায়ী নয়।
শিক্ষাঙ্গন বিশেষ করে উচ্চ শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস এ দেশের পুরনো একটি ভয়াবহ ব্যাধি। এর বিরূপ প্রভাব সমাজের নানা ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে পড়েছে এবং এখনো পড়ছে। শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের ফলে শুধু যে শিক্ষাজীবনই অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে, রক্তাক্ত হচ্ছে শিক্ষাঙ্গন, সমাজদেহে বহুবিধ মর্মন্তুদ ক্ষত সৃষ্টি হচ্ছে তাই নয়, সার্বিকভাবে প্রায় সব কিছুই হয়ে পড়ছে প্রশ্নবিদ্ধও। এর অবসান ঘটাতে হবে কালবিলম্ব না করে। প্রধানমন্ত্রী কঠোর ও নির্মোহ অবস্থান থেকে নির্দেশ দিয়েছেন এর বাস্তবায়ন বহুল প্রত্যাশিত বিষয়। কিন্তু যারা মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেন এবং যাদের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে সরকার ও জনগণের কাছে জবাবদিহিতা-দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা তাদের অনেকের ভূমিকাই নৈরাশ্যজনক। এরও নিরসনকল্পে সরকারের সদা সতর্ক দৃষ্টি ও যথাযথ পর্যবেক্ষণ জরুরি। সমাজবিরোধী, দুষ্কর্মকারীদের শিকড় উৎপাটন করতে না পারলে ইতোমধ্যে অর্জিত সরকারের অনেক অর্জনেরই বিসর্জন ঘটবে যা শুভবুদ্ধিসম্পন্ন কারোরই কাম্য হতে পারে না। কাজেই আমরা আশা করব, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়ন করে সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় দায়িত্বশীলরা যথাযথ দায়িত্ব-কর্তব্য পালনে নিষ্ঠ হবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪০
বিডি আইডল বলেছেন: তিনি সময়পোযোগী আহবান জানিয়েছেন। সবাইকে তার পাছার দিকে তাকিয়ে ব্যবস্হা নিতে বলেছেন।