![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেশ কিছুদিন হলো এ উপমহাদেশে ঘাঁটি গাড়া হচ্ছে মর্মে লাদেনের উত্তরসূরি আল জাওয়াহিরির এক উদ্বেগজনক ভিডিও বার্তা প্রকাশিত হয়েছিল। স্বভাবতই এতে এ অঞ্চলের সচেতন জনগোষ্ঠী শঙ্কা প্রকাশ করেছিল; কিন্তু আমাদের সরকারি প্রতিক্রিয়া তেমন হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল বাংলাদেশে লাদেনপন্থী আস্তানা নেই, দু-চারজন থাকলেও যারা বিচ্ছিন্নভাবে রয়েছে তাদের দমনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথেষ্ট তৎপর রয়েছে বলে উদ্বিগ্ন জনগণকে আশ্বস্ত করারই চেষ্টা করা হয়েছিল।
বেশিদিন লাগল না। বিগত ২ অক্টোবর প্রকাশ্য দিবালোকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে সংঘটিত ভয়াবহ বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে আল জাওয়াহিরির ঘোষণার সত্যতা সবার চোখে ধরা পড়ল। ভারত সরকার এই ঘটনার তদন্তের প্রতি যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়ায় তাদের গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ ব্যাপকভাবে বিষয়টির তদন্তে নেমে পড়ে। তদন্ত কাজ এখনো শেষ হয়নি তবে এযাবৎ তাদের তদন্তে যথেষ্ট উদ্বেগজনক তথ্য বেরিয়ে এসেছে যা বাংলাদেশ সরকারের কিছুকাল পূর্বের আত্মতৃপ্তিমূলক মনোভাবকে অসত্য বলে প্রমাণ করেছে।
জানা গেছে, এই ঘটনার সঙ্গে ভারত ও বাংলাদেশের জঙ্গিরা যৌথভাবে লিপ্ত। বাংলাদেশের জঙ্গিদের লিপ্ত থাকার তথ্যটি ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত কাজ হাতে নেয়ার কয়েকদিন পরই জানাতে পারে। এখন উভয় দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলো তখন থেকে আজ পর্যন্ত যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করে আসছে।
কিন্তু সবাইকে বিস্মিত করে বাংলাদেশ সরকার হঠাৎ জানাল, বর্ধমানের ঘটনায় বাংলাদেশের সংশ্লিষ্টতা নেই। এ খবর তারা তেমন একটা খোঁজ-খবর না করেই দেশবাসীকে জানাল। যেন ভাবখানা এমন মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই ভারত সরকার এমন সবই প্রচার করেছে যাতে 'বাংলাদেশের ভাবমূর্তি' ক্ষুণ্ন হয়ে থাকবে। প্রতিষ্ঠিত হয় যে বাংলাদেশের নানা অঞ্চল থেকে জঙ্গিরা পশ্চিম বাংলায় গিয়ে ওইসব আস্তানা গেড়েছে ওই দেশের জঙ্গিদের সঙ্গে যোগসাজশে।
এমনকি এমন ভয়াবহ তথ্যও উদ্ঘাটিত হলো যে জঙ্গিরা যাদের টার্গেট হিসেবে স্থির করেছ তাদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াও রয়েছেন। অতঃপর এক পর্যায়ে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশের সঙ্গে মিলিত হয়ে যৌথভাবে তদন্ত কাজ পরিচালনার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে বাংলাদেশের কাছে তেমন ইচ্ছা প্রকাশ করলে বাংলাদেশ সরকার তাতে স্বীকৃতি জানিয়ে অনুমতি প্রদান করল।
গত ১৭ ডিসেম্বর সোমবার ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএর উচ্চপর্যায়ের এক প্রতিনিধি দল ঢাকায় পেঁৗছেই সামান্যতম কালক্ষেপণ না করেই বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রধানদের এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি সমন্বয়ে আলোচনায় বসেন। ভারতীয় প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ ও আলোচনা করেন। এই আলোচনার পর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের গোয়েন্দা বাহিনীসমূহের প্রধানরা নির্দ্বিধায় ঘোষণা করল, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ প্রদত্ত তথ্যসমূহ উপেক্ষণীয় নয়। অতঃপর উভয় দেশের প্রতিনিধি দুই দেশের লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের তালিকা বিনিময় করবে এবং যৌথভাবে দুই দেশ জঙ্গি তৎপরতা প্রতিরোধ সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে সম্মত হন। অর্থাৎ সাকল্যে যে ভয়াবহ এবং উদ্বেগজনকভাবে এই উপমহাদেশে জঙ্গিবাদী উত্থান ঘটছে এবং দিন দিন তাদের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে তা বাংলাদেশ সরকারও সন্তুষ্ট চিত্তে মেনে নিল।
কিন্তু এই তৎপরতা বিশ্বব্যাপী জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে সম্পৃক্ত। আইএস নামক যে ভয়াবহ জঙ্গিগোষ্ঠী মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ভয়াবহ তৎপরতা চালাচ্ছে তার সঙ্গে এই উপমহাদেশীয় জঙ্গি তৎপরতার সম্পৃক্তির আলামতও কিছু কিছু করে উদ্ঘাটিত হচ্ছে। এ বিষয়গুলোর প্রতি আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে সত্য উদ্ঘাটন করবেন এবং জনগণকে তা অবহিত করবেন বলে আশা পোষণ করছি। কোনো অবস্থাতেই যেন আমরা আত্মতৃপ্তিতে না ভুগি। তবে উভয় দেশের গোয়েন্দা বাহিনী প্রধানদের বৈঠককে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে এটা স্বীকৃত হলো জঙ্গিরা উভয় দেশেই পরস্পর যোগসাজশে ভয়াবহ সন্ত্রাসী তৎপরতায় লিপ্ত। বর্তমানের ঘটনায় বাংলাদেশি জঙ্গিদের সম্পৃক্তিও প্রমাণিত।
এখন তাদের (জঙ্গিদের) হত্যার তালিকায় বাংলাদেশের দুই প্রধান নেত্রীর নাম উঠে আসায় এ কথা পরিষ্কার যে তাদের এইসব দুঃসাহসী কর্মসূচি ও তৎপরতা বন্ধ করতে হলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এ বিষয়ও প্রমাণ হয়ে গেল উভয় নেত্রীকেই জঙ্গিরা তাদের শত্রু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সম্ভবত নারী নেতৃত্ব তারা ইসলামবিরোধী বলে মনে করার ফলেই এ জাতীয় টার্গেট করেছে। এ ছাড়া উভয় নেত্রীরই ঘোষিত নীতি কম-বেশি জঙ্গি উত্থান প্রতিরোধ করার প্রত্যয় সমৃদ্ধ।
তাই রাজনৈতিক অঙ্গনের করণীয় এ ক্ষেত্রে অসীম। উভয় নেত্রীকেই উদ্যোগী হয়ে অন্তত এই একটি কর্মসূচিতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। প্রশাসনের জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা দিতে হবে এবং সরকারি বা প্রশাসনিক কার্যক্রম আরো কার্যকর করার জন্য উপযুক্ত পরমর্শ প্রদান ও বিরোধী দলের পক্ষ থেকে করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নগুলোকে কোনোক্রমেই দলীয় সংকীর্ণ স্বার্থ হিসেবে বিবেচনা করলে সমগ্র জাতিই তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ইতোমধ্যে আরো খবর পাওয়া গেল উদ্বেগজনক খবর, সন্দেহ নেই খবরটি হলো: 'সন্ত্রাস ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ' আন্তর্জাতিক গবেষণা ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস আ্যন্ড পিস নামক সংস্থার বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৩টি দেশ সন্ত্রাসী তৎপরতা বৃদ্ধির ঝুঁকিতে রয়েছে। সংস্থাটির বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক ২০১৪ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের ১২৪টির মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ২৩ নাম্বারে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশের স্কোর ৬.২৫ এবং ২০১২ সালের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত বছর প্রকাশিক বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক ২০১৩-তে সন্ত্রাস ও সহিংস ঘটনার বিচারে ১৬২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৫৭।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০১৩ সালের প্রায় পুরোটা সময় ব্যাপক রাজনৈতিক সহিংসতা ও হানাহানি চলে। জামায়াতকর্মীরা একদিকে দেশজুড়ে নাশকতা চালায় এবং অন্যদিকে নির্বাচন ঠেকাতে জামায়াত বিএনপি জোটের হরতাল অবরোধে সহিংসতায় অসংখ্য মানুষ হতাহত হয়। ইন্সটিটিউট অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস মনে করছে বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা নিপীড়নের পাশাপাশি নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন দলগত সমঝোতা ও স্থিতিশীলতার অভাব রয়েছে এবং এ কারণেই ১৩ দেশের ঝুঁকির তালিকায় বাংলাদেশ স্থান পেয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, যুদ্ধ ও সংঘাতে জড়িয়ে নেই এমন ১৩টি দেশও রাজনৈতিক সহিংসতা ও দলগত বিদ্বেষের কারণে সন্ত্রাসী কর্মকা- বৃদ্ধির ঝুঁকিতে আছে। দেশগুলো হলো; এঙ্গোলা, বাংলাদেশ, বুরুন্ডি, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, আইভরিকোস্ট, ইথিওপিয়া, ইরান, ইসরাইল, মালি, মেক্সিকো, মিয়ানমার, শ্রীলংকা ও উগান্ডা।
এসব দেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ে যেসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে তার পেছনে ছিল ইসলামী স্টেট (আইএস), আল-কায়েদা, তালেবান ও বোকো হারামের মতো জঙ্গি সংগঠন। এরা মূলত, সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কর্মকা- চালিয়েছে ইরাক, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া ও সিরিয়ায়।
বাংলাদেশ শান্তির দেশ, বাঙালি জাতি অত্যন্ত শান্তিপ্রিয়। তবে সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে দেশটি সোচ্চার। এ কথা ঐতিহাসিকভাবেই সত্য। কিন্তু তারপরও আমরা সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কর্মকা-ে বিশ্বের তালিকায় ক্রমান্বয়ে ওপরের দিকে উঠছি কেন? জনগণ আজো এ গুলোর বিরুদ্ধে । তারা ধর্মপ্রাণ কিন্তু ধর্মান্ধ নন। তা সত্ত্বেও এত সন্ত্রাসী কার্যকলাপ কেন? এসব ভাবার এখন সময় এসেছে। আর এটা ভাবতে হবে রাষ্ট্র তথা সরকারকেই।
ওই আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থাটি ঠিকই ধরেছে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও স্থিতিহীনতা এর জন্য প্রধাণত দায়ী। এর পরিবর্তন ঘটাতে হবে এর অবসান ঘটাতে হবে এবং তা যতটা দ্রুত সম্পন্ন করা যায় ততই মঙ্গল।
কিন্তু আমি বারবার যে প্রধান প্রশ্নটি এ প্রসঙ্গে উত্থাপন করছি তা হলো সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বড়-ছোট নির্বিশেষে সব রাজনৈতিক দল, ছাত্র-যুব সংগঠন, নারী সংগঠন, পেশাজীবী সংগঠন ও বুদ্ধিজীবী সমাজকে দ্রুতই, সম্ভব হলে একটি গ্র্যান্ড ন্যাশনাল কনভেশনে মিলিত হয়ে সবাই সবার সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, ধর্মীয় উগ্রতা ও সামপ্রদায়িতার বিরুদ্ধে এবং একই সঙ্গে দেশে গণতন্ত্রের বিকাশে উচ্চকণ্ঠ সস্নোগান তুলতে হবে। সব ধরনের আইনসিদ্ধ গণআন্দোলনও গড়ে তুলতে হবে সারাদেশের সব জেলা-উপজেলায়। এভাবে গণসচেতনা গড়ে তুলতে পারলে মানুষকে সংগঠিত করা সহজতর হবে এবং সেই সঙ্গে ধর্মীয় উগ্রবাদী, জঙ্গি ও সন্ত্রাসী শক্তিগুলো সমাজে ঠাঁই না পেয়ে এক সময় দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়ে পড়বে।
তদুপরি যে যুবসমাজকে জামায়াতে ইসলামীসহ অপরাপর জঙ্গি সংগঠন অর্থের বিনিময়ে এবং ধর্মের অপব্যাখ্যার মাধ্যমে তাদের দলে টেনে নিয়ে এই সন্ত্রাস করাচ্ছে তা প্রতিরোধের জন্য যুবসমাজের জন্য একদিকে আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটানো অপরদিকে তাদের বেকারত্ব দূর করার জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে জামায়াতসহ অপরাপর তাবৎ জঙ্গি ও সন্ত্রাসী সংগঠনের আয়ের উৎস খুঁজে বের করে সেগুলো বন্ধ করে দিতে হবে।
এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদা সক্রিয়তা তৎপরতা তো প্রাথমিক বিষয় বলে আমরা সবাই জানি। তারা একদিকে যেমন গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে ওই অপশক্তিগুলোর সব তথ্যাদি উদ্ঘাটন করাবেন তেমনি সব দায়ী ব্যক্তি ও সংগঠনের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেবেন সব দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে থেকে আইনের শাসন যথার্থ অর্থেই প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সন্ত্রাস কি ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে ও জঙ্গিবাদ কি ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে দুনিয়াব্যাপী তা তো পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরাক, নাইজেরিয়া, সিরিয়া ইসরাইল প্রভৃতি দেশের দিকে তাকালেই আমরা স্পষ্ট বুঝতে পারি। ওই দেশগুলোতে মানুষের জীবনের নূ্যনতম নিশ্চয়তাও নেই নারীনিগ্রহের মাত্রাও কল্পনাতীত।
মাত্র কয়েকদিন আগে রাজশাজী বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বজন শ্রদ্ধেয় লালনপ্রেমিক উদার চিন্তায় বিশ্বাসী সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম শফিউল ইসলাম হত্যার মর্মান্তিক ভয়াবহ ঘটনাটি সম্ভবত নতুন করে আমাদের চোখ খুলে দেবে। ওই জামায়াত-শিবিরসহ নানা জঙ্গি ও সন্ত্রাসী গ্রুপই যে এই নির্মম হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত গোয়েন্দা বাহিনীর প্রাথমিক তদন্ততেই তা ধরা পড়েছে। আবার ভারতের বর্ধমান বিস্ফোরণের ভয়াবহ ঘটনায় ভারত ও বাংলাদেশের জঙ্গিদের যৌথ ব্যাপক কর্মপরিকল্পনার তথ্যও হাতে এসেছে।
এভাবে সবকিছু মিলিয়ে ভাবলেই পরিস্থিতির ভয়াবহতা আমরা উপলব্ধি করতে পারব। একই সঙ্গে পুনর্বার উল্লেখ করতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তারা তাদের হত্যা তালিকায় স্থান দিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠার খবর।
তাই জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তায় সংশ্লিষ্ট সবাই যত দ্রুত উপলব্ধি করে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে ব্যাপকভাবে তৎপর হবেন ততই দেশের মঙ্গল।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:১৪
আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বড়-ছোট নির্বিশেষে সব রাজনৈতিক দল, ছাত্র-যুব সংগঠন, নারী সংগঠন, পেশাজীবী সংগঠন ও বুদ্ধিজীবী সমাজকে দ্রুতই, সম্ভব হলে একটি গ্র্যান্ড ন্যাশনাল কনভেশনে মিলিত হয়ে সবাই সবার সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, ধর্মীয় উগ্রতা ও সামপ্রদায়িতার বিরুদ্ধে এবং একই সঙ্গে দেশে গণতন্ত্রের বিকাশে উচ্চকণ্ঠ সস্নোগান তুলতে হবে। সব ধরনের আইনসিদ্ধ গণআন্দোলনও গড়ে সব ধরনের আইনসিদ্ধ গণআন্দোলনও গড়ে তুলতে হবে সারাদেশের সব জেলা-উপজেলায়। এভাবে গণসচেতনা গড়ে তুলতে পারলে মানুষকে সংগঠিত করা সহজতর হবে--

আপনার সাজেশান বা মতামত যাই বলুন, চমৎকার। এমন একটা ঐক্যের কথা ভেবে নিতে বড় ভাল লাগে। তবে কিনা আমাদের ভাবনা, আর রুই-কাতলাদের ভাবনা কখনো মিলে না, এটাই বিরাট সমস্যা! কে জানে তাঁরা হযত আমাদের মত করেই ভাবেনা..
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটির জন্য। সমসাময়িক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ “মাথাব্যাথা” টি আপনি তুলে ধরেছেন।
শুভেচ্ছা