![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশের বিদ্যুত্ খাতে দুই হাজার চারশ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুত্ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সেলের উদ্যোগে ‘আলোকিত বাংলাদেশ: বিদ্যুত্ ও জ্বালানি খাতে অর্জন’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
উপদেষ্টারা আরও বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে বিদ্যুত্ খাতে যেসব প্রকল্প শেষ হয়েছে তাতে পাঁচ দশমিক দুই বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ হয়েছে। যেসব প্রকল্প নির্মাণাধীন সেগুলোতে আট দশমিক পাঁচ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হচ্ছে। আর প্রক্রিয়াধীন প্রকল্পগুলোতে ২৪ বিলিয়ন ডলারের (এক লাখ ৮৫ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা) বিনিয়োগ হবে।’ তৌফিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের সময় অনেকেই অর্থের জোগান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু আমরা পাঁচ বছরে বিদ্যুতের উত্পাদন দ্বিগুণেরও বেশি করেছি। বিদ্যুত্ খাতে আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্য তুলে ধরে তিনি বলেন, মানুষের কর্ম দিয়ে তার পরিচয়। আগামী পাঁচ বছরের পরিকল্পনাও আমরা বাস্তবায়ন করব এবং বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশের দিকে নিয়ে যাব।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুত্ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, আগামী পাঁচ বছরে বিদ্যুত্ খাতে বিপুল অঙ্কের এই বিনিয়োগের মধ্যে অর্ধেকের মতো বিদেশি বিনিয়োগ হবে। তিনি আরও বলেন, আগে দেশে ১২ ঘণ্টা বিদ্যুত্ থাকত না। কিন্তু এখন দিনরাত ২৪ ঘণ্টাই বিদ্যুত্ থাকে। মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে বিদ্যুতের হাব হবে। সেখানে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদন হবে। ইকোনমিক জোন হবে, বন্দর হবে। ২০২১ সালের মধ্যে মহেশখালী ঘিরে সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লায়েন্ড ফিজিক্স অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সুব্রত কুমার আদিত্য। তিনি বলেন, ২০০৯ সালের আগে দেশের ২৭টি বিদ্যুত্ কেন্দ্রের উত্পাদন ক্ষমতা ছিল ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট। ২০১৪ সালের জুনে বিদ্যুত্ কেন্দ্রের সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৪টিতে এবং উত্পাদন ক্ষমতা বেড়ে হয় ১০ হাজার ৬৪৮ মেগাওয়াট।
আগামী পাঁচ বছরে আরও প্রায় ১১ হাজার মেগাওয়াট উত্পাদন ক্ষমতা বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। অধ্যাপক সুব্রত বলেন, গত পাঁচ বছরে দেশে বিদ্যুত্ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬৪ শতাংশ হয়েছে, যা ২০১৯ সালের মধ্যে ৯০ শতাংশ হওয়ার আশা করা হচ্ছে। গত পাঁচ বছরে মাথাপিছু বিদ্যুত্ ব্যবহার ২২০ ইউনিট থেকে ৩৪৮ ইউনিটে পৌঁছেছে। আবার একই সময়ে সিস্টেম লস ১৬ শতাংশ থেকে কমে ১২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গত পাঁচ বছরে জ্বালানি খাতে ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্পাদন বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি। সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুত্ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় উপকমিটির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম এমপি, বুয়েটের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৪
ইমরান আশফাক বলেছেন: উৎপাদন ক্ষমতা নয় প্রকৃত উৎপাদন দেখতে চাই, বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি যাতে পূর্নমাত্রায় উৎপাদনে যেতে পারে সেই পদক্ষেপ চাই। বাতিল ও মেয়াদ উত্তীর্ন মেশিনারীজ আমদানী নিষিদ্ধ করতে হবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির জন্য।
যাই হোক ভালো খবর, ভালোকে ভালো বলতেই হয়।