![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের দলীয় রাজনীতিতে যুক্ত করে কিংবা প্রশাসনকে দলীয়করণের মাধ্যমে অনেক আগেই যে সর্বনাশা পথের সূচনা করা হয়েছিল, তারই সর্বশেষ সংস্করণ ছিল ২০০৬ সালের উত্তরা ষড়যন্ত্র। ২০১৪ সালে এসে আবার প্রকাশ পেল গুলশান ষড়যন্ত্রের কথা। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের কোনোভাবেই দলীয় রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার কথা নয়। চাকরিবিধি অনুযায়ীও তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তা সত্ত্বেও গত বুধ ও বৃহস্পতিবার কিছুসংখ্যক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কিভাবে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন, তা আমাদের বোধগম্য নয়। যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার বৈঠকের কথা অস্বীকার করা হচ্ছে এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরকে ভিত্তিহীন বলা হচ্ছে, কিন্তু প্রকাশিত খবরে নামধাম উল্লেখ করে কে কখন গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঢুকেছেন, তার উল্লেখসহ যেভাবে খবর প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বিএনপি নেতাদের এই দাবি ধোপে টেকে না। এর আগে ২০০৬ সালেও উত্তরায় রাতের গোপন বৈঠকের পর অপেক্ষমাণ ক্যামেরার সামনে মুখ ঢেকে কর্মকর্তাদের পালাতে দেখা গিয়েছিল। তার পরও বিএনপির পক্ষ থেকে সেই বৈঠকের কথা অস্বীকার করা হয়েছিল। একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে এ ব্যাপারে গতকাল কালের কণ্ঠে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা থেকে জানা যায়, সেসব বৈঠকে সরকারের কাজকর্মে অসহযোগিতার মাধ্যমে বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচিকে কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়, তারই পরিকল্পনা হচ্ছিল। এটিকে অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ হিসেবেই গণ্য করা উচিত।
গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সরকারের পরিবর্তন হবে, একেকবার একেক দল ক্ষমতায় আসবে। বাংলাদেশের নিকট অতীতও সে কথাই বলে। কিন্তু প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা একই থাকবে এবং দলনিরপেক্ষভাবে বিদ্যমান সরকারের সব কর্মসূচি এগিয়ে নেবে, আর তা করতে হবে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, দীর্ঘদিন থেকেই আমরা তার ব্যত্যয় লক্ষ করে আসছি। দলীয়ভাবে যেমন নিয়োগ-পদোন্নতি হয়, তেমনি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরাও দলীয় স্বার্থে কাজ করে থাকেন। তারই প্রমাণ গুলশানের অফিসে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বৈঠক। বিএনপির কয়েকজন নেতা তা অস্বীকার করলেও প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, বিএনপিরই অনেক নেতা এ ধরনের বৈঠকের খবরে বিস্ময় প্রকাশ করে এ জন্য গুলশান অফিসের কিছু কর্মকর্তাকে দায়ী করেছেন। কেউ কেউ একে অপরিণামদর্শী কাজ হিসেবেও উল্লেখ করেছেন। তদুপরি আমরাও অবাক হই, যে স্তরের এবং যে মানের কর্মচারীদের নিয়ে এই বৈঠক হয়েছে, একাধিকবার ক্ষমতায় থাকা বিএনপির মতো একটি দলের কাছ থেকে তা কোনোক্রমেই আশা করা যায় না।
প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের শৃঙ্খলাবিধি এতে গুরুতরভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে। প্রজাতন্ত্রের স্বার্থেই যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আমরা আশা করব, রাজনীতিবিদরাও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের দলীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করা থেকে ভবিষ্যতে বিরত থাকবেন।
২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩১
দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: ২০০৬ উত্তরা ষড়যন্ত্র আর ২০১৪ সালে এসে হয়ে যায় গুলশান ষড়যন্ত্র কিন্তু ১৯৯৬ তে উনারা অফিস ফেলে রাস্তায় সরকারের বিরোধিতা করলে হয়েযায় দেশপ্রেমিক।
ঐদিন গুনশান অফিসে কয়েকজন সাবেক আমলা এবং বর্তমান বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করা কি ষড়যন্ত্র হয় যায়?
আপনার পারবেন, দেশটাকে অনেক উপরে নিয়ে যেতে।
চালুনি সূচ কে বলে তোমার লজ্জা করেনা পাছায় একটা ছিদ্র নিয়ে চলা ফেরা কর, সূচ হাসিয়া বলে আরে "নিজের পাছায় একবার তাকিয়ে দেখেছ"?
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভূতের মূখে রাম নাম!!!!!!!!!!!!!!!!!
মখা আলমগীর কি ছিল????
তারে মন্ত্রীত্ব দিয়ে পুরস্কৃত করেছে কে???
তারা আবার ন্যাকা সুরে কাঁদে এখন...