নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ্যরাতের কাজকারবার

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৫

জহির সাহেব আমার নিকট প্রতিবেশী, দেখা হয় কম। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। তবে সপ্তাহের এক দিন শুক্রবার জুমার নামাজের পর মসজিদের গেটে দেখা হয়। বেশ অনেকক্ষণ ধরে কথা হয়, যার বেশির ভাগই রাজনীতি। জহির সাহেব বঙ্গবন্ধুর একজন বড় ভক্ত। তবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে নিয়ে সব সময় টেনশনে থাকেন। তাঁর ধারণা, শেখ হাসিনার জীবন ও ক্ষমতা কোনোটাই নিরাপদ নয়। প্রথমটা বুঝি, পরেরটা নিয়ে তাঁর সঙ্গে বেশ দীর্ঘ সময় ধরে যুক্তিতর্ক হয়। গত শুক্রবার যথারীতি জহির সাহেব নামাজ শেষে হাঁটতে হাঁটতে বললেন, 'বলছিলাম না, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। এখন তো আন্ধার রাইতের কাজকারবার শুরু হয়ে গেছে।' জহির সাহেবের বাড়ি কুমিল্লায়। মাঝেমধ্যে তাঁর কথায় আঞ্চলিক টান আর শব্দ চলে আসে। না বোঝার ভান করে বলি, 'আন্ধার রাইতের কাজকারবার মানে?' বলেন, 'কেন, দেখেননি গত রাতে একদল সাবেক ও বর্তমানে কর্মরত আমলা বিএনপিপ্রধান খালেদা জিয়ার সঙ্গে গোপনে দেখা করতে গিয়েছিলেন?' বলি, এতক্ষণে বুঝলাম। তাঁকে বলি, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র তো তাঁর ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার দিন থেকে চলে আসছে। এটি নতুন কিছু নয়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় তাঁকে তো শেষই করে দিতে চেয়েছিল। শেখ হাসিনা এত দিন এসব ষড়যন্ত্র সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন। সামনে কী হয় তা আল্লাহ জানেন। জহির সাহেব চিন্তামুক্ত হলেন বলে মনে হলো না।
এবারের ষড়যন্ত্রটা বাংলাদেশে নয়, সুদূর বিলাতেই শুরু হয়েছে বলে ধারণা করি। এমনিতে বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি তারেক রহমান লন্ডনে একটি বিকল্প কাশিমবাজার কুঠি খুলেছেন। সেখান থেকে নিয়মিত বিরতি দিয়ে তিনি জাতির উদ্দেশে নানা ফতোয়া জারি করেন। মাঝেমধ্যে বাংলাদেশ থেকে লন্ডনে উড়ে গিয়ে তাঁর দলের সিনিয়র নেতারা তাঁর কাছ থেকে নির্দেশ নিয়ে আসেন। গত মঙ্গলবার ২ ডিসেম্বর লন্ডনে তাঁর সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক করেছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা। এর আগে খোকা নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে তারেক রহমানের সঙ্গে শেষ বৈঠক করেন। খোকা নিজে বেশ কিছু দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত। নিয়মিত লন্ডন-নিউ ইয়র্ক করে বেড়াচ্ছেন। এরই মধ্যে দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করেছেন। (বাংলাদেশ প্রতিদিন, ৫ ডিসেম্বর)।
অনেক সুশীলও তারেক রহমানের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করেন। সুশীলদের সম্পর্কে জনপ্রিয় টিভি ব্যক্তিত্ব অঞ্জন রায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, 'দুই শতক আগে যখন সুতানটি ঘাটে সাহেবদের নৌকা ভিড়ত, তখন কিছু মানুষ মোসাহেবি করার জন্য নৌকার সামনে করজোড়ে গিয়ে দাঁড়াত। আর এখন যখন উড়োজাহাজে বিদেশি কম বেতনের চাকরবাকর আসেন, তখনো কিছু মানুষ দুহাত ডেটল সাবান দিয়ে ধুয়ে বাড়ির আয়নায় করজোড় করা প্র্যাকটিস করে সেই বিদেশিদের সামনে যান। আগে যাদের বলা হতো মোসাহেব, এখন তাদের বলা হয় সুশীল সমাজ।' এ রকম সুশীল সমাজের বেশ কিছু বাংলাদেশি সদস্য সম্প্রতি লন্ডনে গিয়েছিলেন হাউস অব লর্ডসের কিছু ক্ষমতাহীন সদস্যের কাছে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান তুলে ধরতে। এই দলে সরকারি দলের এবং বিএনপির কিছু নেতা ও তাঁদের ভাবাদর্শে দীক্ষিত কিছু সুশীলও ছিলেন। বাঙালির সমস্যা হচ্ছে, সাবেক প্রভুরা ডাক দিলে আর ঘরে থাকতে পারে না। সেই সুশীলদের মধ্যে দুজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তির একজন ছিলেন ব্যারিস্টার, যাঁকে টিভিতে প্রায়ই দেখা যায়। দ্বিতীয়জন একজন স্বঘোষিত নাস্তিক। হাউস অব লর্ডসের বাছাই করা কয়েকজন সদস্যের সামনে নিজেদের দলের রাজনৈতিক অবস্থান তুলে ধরার পর তাঁরা বেশ কয়েকটি জাতীয়তাবাদী সেমিনারে বক্তব্য দেন। ব্যারিস্টার মহোদয় শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়ে বলেন, 'বাম পচলে লীগ হয় আর লীগ পচলে নাস্তিক।' তাঁর মতে, 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর ধর্মনিরপেক্ষতার নামে বাংলাদেশে ক্রুসেড চলছে; ধর্মযুদ্ধ চলছে। আওয়ামী লীগ সরাসরি ধর্মের বিরুদ্ধে লেগেছে, ছদ্মবেশে তারা ধর্মযুদ্ধ চালাচ্ছে। বাংলাদেশের চারদিকে ভারত আর কাফেররা; আর মাঝখানে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। নাস্তিক ও ইসলামের বিরোধীদের বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।...জাতীয়তাবাদী শক্তির বাংলাদেশের একমাত্র মানুষটিকে (বেগম জিয়া) হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে, ঘরছাড়া করেছে। সংবিধান বাতিল করে জাতির পিতা ও এসব চেতনা (মুক্তিযুদ্ধের) বাতিল করা হবে বলে তিনি ঘোষণা দেন।' ব্যারিস্টার মহোদয় আরো বলেন, 'বারুদ না থাকলে আন্দোলন কোনো কাজে আসবে না। (বেগম জিয়ার প্রতি ইঙ্গিত?) একজন কীর্তিমান নেতা আসবেন, যিনি জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী শক্তির কথা বলবেন। যেকোনো দিন জাতীয়তাবাদী ও ইসলামের শক্তির বিজয় ঘটবে তাঁর নেতৃত্বে।' (তারেক রহমান)।
স্বঘোষিত নাস্তিক সুশীল একই অনুষ্ঠানে বলেন, 'ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লড়তে না পারলে ১৭৫৭ সালের (পলাশীর যুদ্ধ) মতো ২০০ বছরের গোলামির মধ্যে পড়তে হবে বাংলাদেশের জনগণকে।' তিনি ইসলামের রাজনৈতিক, সামাজিক ও দার্শনিক দিক তুলে ধরেন। বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে চলে গেলে বর্তমান সংবিধান বাতিল করতে হবে। তাঁর মতে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বন্ধ করতে বিএনপি ব্যর্থ হয়েছিল এ কারণেই যে দলের ভেতরে কিছু মীরজাফর ঢুকেছে। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতির আহ্বানও জানান। এ বিষয়ে তাঁর এককালের একজন সুহৃদের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি অকপটে বলেন, এই লোক তো বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধেও বিশ্বাস করেন না। দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের কথা বলাটা তাঁর স্বভাবজাত ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছুই নয়।
এসবের রেশ না ফুরাতেই গত বৃহস্পতিবার রাতে গোপনে খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে দেখা করতে গেলেন প্রায় ৩০ জন আমলা, যাঁদের মধ্যে ছিলেন ৯ জনের মতো কর্মরত কর্মকর্তা। কমবেশিও হতে পারে। তাঁরা খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে ঢোকেন রাত ৭টা ৩৫ মিনিটে। আর একদল ধানমণ্ডির একটি বাড়িতে অপেক্ষা করছিলেন পরে যাবেন বলে। তবে নিজেদের মধ্যে নেতৃত্বের কোন্দলের কারণে তাঁদের সেই রাতে আর নেত্রীদর্শন হয়নি। খালেদা জিয়া তাঁর কার্যালয়ে আসেন রাত ৯টার পর। এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এই আমলাদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার কথা হয়। সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বৈঠকে বর্তমান রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের সূত্র মতে, খালেদা জিয়া বলেন, তিনি যখন সরকার পতনের আন্দোলনের ডাক দেবেন, তাঁরা যেন সেই ডাকে সাড়া দিয়ে রাজপথে নেমে আসেন। এর আগে বুধবারও নাকি এমন একটা বৈঠক হয়েছে (কালের কণ্ঠ, ৩ ডিসেম্বর)। খালেদা জিয়া সম্ভবত মনে করছেন, তাঁর সময় ফুরিয়ে আসছে, কারণ আদালতে চলমান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও দুর্নীতির মামলায় তিনি ও তাঁর পুত্র তারেক রহমান দণ্ডিত হয়ে যেতে পারেন এবং তা যদি হয় তাহলে দল হিসেবে বিএনপির অস্তিত্বও জামায়াতের মতো হুমকির সম্মুখীন হবে। সুতরাং তার আগে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হোক আর অন্য কোনো উপায়ে হোক, শেখ হাসিনা সরকারকে বিদায় করতে হবে। ঠিক এমন একটি গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৬ সালে উত্তরায় খালেদা জিয়ার সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমানের ব্যবসায়িক দপ্তরে, যা উত্তরা ষড়যন্ত্র হিসেবে পরিচিত। গণমাধ্যমের কল্যাণে সেই ষড়যন্ত্রও ভেস্তে গিয়েছিল। এবার খালেদা জিয়ার টার্গেট জানুয়ারি থেকে দেশে অরাজক অবস্থা সৃষ্টি করে মার্চ মাসে সরকারকে সাধারণ নির্বাচন দিতে বাধ্য করা। দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল অবশ্য এ ধরনের কোনো বৈঠক হয়েছে তা দুর্বল কণ্ঠে অস্বীকার করে আসছেন, যদিও দলের অন্য নেতারা স্বীকার করছেন, এ রকম একটা বৈঠক হয়েছে।
বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে দেখেছি, বৃহস্পতিবারের বৈঠকের প্রসঙ্গ এলেই জাতীয়তাবাদী সুশীলরা ১৯৯৬ সালের 'জনতার মঞ্চের' কথা তুলে আনছেন। ১৯৯৬ সালের পরিস্থিতি আর ২০১৪ সালের পরিস্থিতি এক নয়। ১৯৯৬ সালে দেশের মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির বিরুদ্ধে একটি গণবিস্ফোরণের মুখে দাঁড়িয়েছিল। বর্তমানে দেশে তেমন কোনো পরিস্থিতি নেই। মানুষ ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে জামায়াত-বিএনপির আন্দোলনের নামে দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে নৃশংস যুদ্ধের রূপ দেখেছে। সাধারণ মানুষ আন্দোলনের নামে সেই ভয়াবহ অবস্থায় আর ফিরে যেতে চায় না। প্রজাতন্ত্রের বেতনভুক কর্মকর্তারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে গোপন বৈঠক করে সার্ভিস রুল ভঙ্গ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী বলেছেন, তদন্তে যাঁদের এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত পাওয়া যাবে, তাঁদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খালেদা জিয়া তো ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে 'জনতার মঞ্চের' সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করাসহ অনেককে জেলে পুরেছিলেন।
বৃহস্পতিবারের ঘটনার পূর্বে কাঠমাণ্ডুতে সার্ক সম্মেলন শেষে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল সংক্ষিপ্ত সফরে বাংলাদেশে এসেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি দেখা করার চেষ্টা করেছিলেন; কিন্তু অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাননি। রওশন এরশাদ ও খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন। যাওয়ার দিন কিছু পরিচিত জাতীয়তাবাদী ঘরানার সুশীলের সঙ্গে খানাপিনা করেছেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ নিশাকে দুই আনার মন্ত্রী আখ্যায়িত করায় অনেকেই বেশ কষ্ট পেয়েছেন। এটা ঠিক, সৈয়দ আশরাফ মিস দেশাইকে আরো একটু সম্মানের সঙ্গে সম্বোধন করতে পারতেন। কিন্তু বাস্তবে নিশা ২৩ জন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একজন। পদটি আমাদের ডেপুটি সেক্রেটারি পর্যায়ের একটু ওপরে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে সরকারকে হেদায়েত করার জন্য তিনি একাধিকবার বাংলাদেশে এসেছিলেন। তাঁর এবারের আসা-যাওয়া ১৯৭৪ সালের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের আট ঘণ্টার বাংলাদেশে যাত্রাবিরতির কথা মনে করিয়ে দেয়। সে সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করেন। অথচ এর আগে বঙ্গবন্ধু যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে দেখা করতে গেলে তিনি সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে অস্বীকৃতি জানান। কিসিঞ্জার আট ঘণ্টা সফর শেষে তিন মিনিটের একটি সংবাদ ব্রিফিং করেন। সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি বিমানবন্দরের দিকে রওনা হন। তাঁর ফিরে যাওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের একটি অংশ গোপনে সেনাবাহিনীর কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক শুরু করেন বলে প্রখ্যাত মার্কিন সাংবাদিক ক্রিস্টোফার হিচেন্স তাঁর সাড়াজাগানো গ্রন্থ 'দ্য ট্রায়াল অব হেনরি কিসিঞ্জার'-এ উল্লেখ করেছেন। নিশা সংক্ষিপ্ত সফর (নাকি যাত্রাবিরতি) শেষে ফিরে যাওয়ার পরপরই সরকারি কর্মকর্তাদের খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ, মন্ত্রিসভা থেকে জাতীয় পার্টির সদস্যদের পদত্যাগের বিষয়ে এরশাদের হম্বিতম্বি, এর আগে সরকারের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির লাগামহীন বক্তব্য চিন্তার বিষয় হতেই পারে। হিচেন্স আরো বলেছেন, ১৯৭১ সালে নিক্সন-কিসিঞ্জার জুটি 'সিক্রেট জেনোসাইড ডিপ্লোম্যাসি' হাতে নিয়েছিলেন। '৭১-পরবর্তী সময়ে এটি রূপান্তরিত হয়েছিল 'সিক্রেট ডিস্ট্যাবিলাইজ ডিপ্লোম্যাসি'তে। ১৯৭৫ সালে তা সফলও হয়। নিশা দেশাই বা যুক্তরাষ্ট্র কি কিসিঞ্জারের সেই 'সিক্রেট ডিস্ট্যাবিলাইজ ডিপ্লোম্যাসি' প্র্যাকটিস করছেন? তা যদি হয় তাহলে 'আন্ধার রাইতের কাজকারবার' নিয়ে সরকারের বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন আছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.