![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত ৮ ডিসেম্বর দৈনিক ভোরের কাগজে প্রকাশিত ‘দেশটা কয়েকটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের হাতে জিম্মি হতে চলেছে!’ শীর্ষক কলামে সেনাবাহিনী ও সেনানিবাস নিয়ে বেশ কিছু আপত্তিকর প্রসঙ্গের অবতারণা করা হয়েছে। শুরু থেকেই লেখক অযাচিতভাবে বিষোদগার করেছেন সংবেদনশীল সংস্থাসমূহের বিরুদ্ধে। রাষ্ট্র কর্তৃক জমি অধিগ্রহণের ইতিহাস বহু পুরনো। ব্রিটিশ আমলের আগে মুঘল সম্রাটদের সম্রাজ্যে ভূমি থেকে কৃষকদের উচ্ছেদও ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। বরং ব্রিটিশ আমলে ভারতবর্ষে ভূমির মালিকানা নিয়ে সুনির্দিষ্ট আইন ও নিয়মনীতি প্রণীত হয়। আর তাদের শাসনকালের অবসান হলে ১৯৫০ সালে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হয়; রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব ও ব্যক্তিগত স্বার্থ উভয়ই প্রতিষ্ঠা পায়। অর্থাৎ রাষ্ট্রের বিভিন্ন ‘উন্নয়ন কাজে’ জমি অধিগ্রহণ করা হলে তা দেশের স্বার্থেই করা হয়ে থাকে। এ জন্য ফসলি জমি নিয়ে মঞ্জুরুল হকের দীর্ঘশ্বাস আমার কাছে হাস্যকর মনে হয়েছে। কারণ বাংলাদেশের সংবিধানের ১৪৪নং অনুচ্ছেদে ‘প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী কর্তৃত্বে সম্পত্তি গ্রহণের’ অধিকার সরকারকে দেয়া হয়েছে। অথচ কলাম লেখক কয়েকটি এনজিও কর্তৃক উপস্থাপিত ভাষ্যকে চূড়ান্ত বিবেচনা করেছেন। উপরন্তু সেনাবাহিনীকে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
গত নভেম্বর (২০১৪) মাসে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ৮টি এনজিও যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সেনা স্থাপনা নির্মাণকে ‘অন্যায়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। সেনাবাহিনী বর্তমানে কোনো রাজনৈতিক দায়িত্বে নিয়োজিত নেই। কোথাও কোনো নিবর্তনমূলক ক্ষমতাও প্রয়োগ করছে না। অথচ অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আটটি এনজিও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেছে। তাদের মতে, ‘আজ আমরা গ্রামের কথা বলছি, শহরেরও তো অর্ধেক জায়গা দখল হয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনীর জন্য। এ জন্য আমাদের তীব্র প্রতিবাদ করতে হবে। যেখানে জনগণের প্রতিকার চাওয়ার কিছু থাকে না সেখানে আমরা কোন মুখে বলি গণতন্ত্রের মধ্যে বাস করি। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলি অথচ ন্যূনতম অধিকার নিয়ে বাস করতে পারছি না।’ সেনানিবাস প্রতিষ্ঠাসহ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য জমি অধিগ্রহণ একটি স্বাভাবিক ঘটনা। তার সঙ্গে নিশ্চয় মানবাধিকার, সুশাসনকে সম্পর্কিত করে মায়াকান্নার সুযোগ কম। বরং অধিকৃত ভূমি জনগণের পক্ষে আছে কিনা তা দেখা দরকার। সংগঠনগুলোর পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, কক্সবাজারের রামুতে ১ হাজার ৮০০ একর, বান্দরবানের রুমায় ৯৯৭ একর, পাবনার চাটমোহরে ১ হাজার ৪০৮ একর এবং নোয়াখালীর হাতিয়া ও চট্টগ্রামের স›দ্বীপ উপজেলার চরাঞ্চলে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার একর কৃষিজমি সেনাবাহিনীকে বরাদ্দ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এর ফলে কৃষিজমি ও বাস্তুভিটা থেকে প্রায় ৭ হাজার মানুষ উচ্ছেদ হবে। শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর নামে কত জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে তার হিসাব দেখে রীতিমতো আঁতকে উঠতে হয়েছে বলে মন্তব্য লিখেছেন ওই কলাম লেখক। আমার পর্যবেক্ষণ ভিন্ন। কারণ কোথায় সেনানিবাস প্রতিষ্ঠিত হবে সেটা একেবারেই রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষার বিষয়। জনগণ কিংবা এনজিওর ভাবনার বিষয় নয়। উপরন্তু সেনাবাহিনী একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান এবং তার গুরুত্ব অপরিসীম। সে কারণে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় তার নীতিনির্ধারণে জড়িত। তা ছাড়া সেনানিবাসের জন্য প্রস্তাবিত ভূমি বরাদ্দের পরিমাণ একেবারেই স্বল্প। ফসলি জমি কমে যাওয়াতে খাদ্য ঘাটতির প্রসঙ্গ অবান্তর। কারণ বিশ্বের অনেক দেশে ফসলি জমি নেই কিন্তু তারা কি উন্নয়নের শিখরে আরোহণ করেনি? স্বাধীনতা অর্জনের ৪৪ বছরে পদার্পণ অর্থাৎ বয়সের মাপে আমাদের দেশ ধনী কিংবা গরিব হওয়ার বিষয়ে অথবা কতদূর এগিয়ে গেল সে সম্পর্কে মূল্যায়নে খুব বেশি কঠোর হওয়ার দরকার নেই। কারণ ভারত অথবা মিসরের ২ হাজার বছরের রাষ্ট্রীয় ইতিহাস এবং স্বাধীনতার অনেকদিন অতিবাহিত হলেও তারাও খুব বেশি এগিয়েছে বলে মনে করার কোনো কারণ নেই। অন্যদিকে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড মাত্র দেড়শ বছরে উন্নয়নের যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তা তাদের ধনী রাষ্ট্রের তকমা এনে দিয়েছে। আবার অনেক সময় রাষ্ট্রের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই সে দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের অঢেল প্রাপ্তিকে নির্দেশ করে থাকেন; অথচ যা একেবারে ভ্রান্ত ধারণা হিসেবে পরিগণিত। কারণ ক্ষুদ্র সীমানা আর আশি শতাংশ পার্বত্য ও ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা নিয়ে জাপান বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক শক্তি কিভাবে হয়েছে? সেখানে আবাদি জমি নেই বললেই চলে, পশুপালনের জন্য চারণভূমি কম, তবু শিল্প-কারখানায় কাঁচামাল আমদানি করে বিশ্বব্যাপী তাদের পণ্যসামগ্রী ছড়িয়ে দিয়েছে জাপানিরা। কেবল নিজেদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা কি যথেষ্ট ছিল না? সুইজারল্যান্ডে নারকেল গাছের প্রাচুর্য নেই অথচ তারাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ চকোলেট উৎপাদনকারী রাষ্ট্র। ক্ষুদ্র দেশটিতে বছরের মাত্র চার মাস শস্য উৎপাদনের জন্য উপযোগী আবহাওয়া থাকে। অথচ তারাই দুগ্ধ উৎপাদনে বিশ্বের নন্দিত ও আদর্শ হিসেবে স্বীকৃত রাষ্ট্র। দেশটি শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য বসবাসের সর্বোত্তম জায়গা হিসেবে শীর্ষ স্থান দখল করে আছে এখনো। ওই কলাম লেখকের এসব ইতিহাস জানা থাকলে বাংলাদেশের কিছু ভূমি সেনানিবাসের নামে বরাদ্দ হলে আর্তনাদ করার কথা নয়। অর্থাৎ ইতিহাস চেতনার অভাব ও অন্যের অপতৎপরতার কথা না ভেবে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত তথ্যকে যথার্থ ধরে নেয়ার কুফল পাচ্ছি আমরা।
প্রসঙ্গত মনে রাখা দরকার, সরকারের প্রতি অনুগত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের অহংকার। এ জন্য সেনাবাহিনীকে জনগণের বা সরকারের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করার ব্যাপারে একটি পক্ষ সবসময়ই সচেষ্ট থাকে। জমি অধিগ্রহণ নিয়ে কী এমন অনিয়ম হয়েছে যে, আটটি এনজিও একযোগে সংবাদ সম্মেলন করে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছে? এনজিওগুলো কি রাজনৈতিক দল বা পেশাজীবী, দর কষাকষির এজেন্ট? যদি তা না হয়, তাহলে কিভাবে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে সরকারের কাছে দাবি জানাতে পারে? তবে কি এনজিওগুলো সরকারের কোনো দুর্বলতার সুযোগ নিতে যাচ্ছে? সঙ্গত কারণেই সরকারের জোর নজরদারি ও অতিসত্বর সক্রিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। অবশ্য এ কথা সত্য ‘অত্যাবশ্যক প্রয়োজনে’ সেনাবাহিনীকে সারা দেশে ভূমি অধিগ্রহণ করতে হয়েছে। তা ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রামে ডিওএইচএস ওয়ান, টু, থ্রি নামে একাধিক আবাসিক এলাকা রয়েছে। এ ছাড়া সেনাবাহিনী যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে সেসবের জন্যও ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনার মতো বড় বড় শহরের জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সবকিছুই করা হয়েছে নিয়মরীতি মেনেই। রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের প্রতীক সশস্ত্রবাহিনী। এ বাহিনীকে আঘাত করার অর্থ হলো দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত করা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এ সেনাবাহিনীকে আক্রমণ করে এবং অবমূল্যায়ন করে তাদের কোণঠাসা করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছে চিহ্নিত ৮টি এনজিও এবং তাদের পৃষ্ঠপোষক চিহ্নিত কয়েকটি পত্রিকা।
১৩ নভেম্বর (২০১৪) ডেইলি স্টারে ‘পদ্মা সেতুর পাশে নতুন সেনানিবাস’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রথম পাতায় উপস্থাপিত হয়েছে। পরের দিন দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় কৃষিজমি ও বনভূমিতে সেনানিবাস বা অন্য কোনো স্থাপনা না করার জন্য ৮টি এনজিও সংগঠনের দাবির সংবাদও প্রথম পাতায় প্রকাশিত হয়। এ দুটি সংবাদপত্র একে অপরের ব্যবসায়িক পার্টনার। সংবাদ সম্মেলনের উক্তি উদ্ধৃতি দিয়ে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় বলা হয়েছে, ‘দেশের দুজন সাবেক রাষ্ট্রপতিকে সেনাসদস্যরা হত্যা করেছে। তারা বারবার গণতন্ত্র হত্যা করেছে। আর তারা আমাদের সুরক্ষার নামে জনগণের জমি, বনভূমি ও ভূমি দখল করছে।’ সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন ওঠে এভাবে ঢালাওভাবে সেনাবাহিনীকে দোষারোপ করা কি ঠিক? গুটিকয়েক লোক অন্যায় করলে তার জন্য সমগ্র সেনাবাহিনীকে দোষারোপ করা উচিত নয়। কিছু ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সেনাবাহিনীর নাম সংযুক্ত দেখে কেউ কেউ সেনাবাহিনীর ব্যবসা-বাণিজ্যে অংশ নেয়ার ঘোরতর বিরোধিতা করে থাকেন যা একেবারে অযৌক্তিক। অথচ সেনা পরিচালিত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা বেশি। এ দেশের অন্যতম পুরনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানটি হচ্ছে সেনাকল্যাণ সংস্থা; যার উদ্দেশ্য স্পষ্টত জানানো হয়েছে তাদের নিজস্ব প্রকাশনায় : ‘অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের কল্যাণে নানারকম সেবামূলক সহায়তা দেয়ার উদ্দেশে প্রতিষ্ঠিত এ সংস্থাটি বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক ইউনিট বা প্রকল্পের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান। পাকিস্তান আমলে এ ধরনের একটি প্রতিষ্ঠান ছিল যার নাম ছিল ফৌজি ফাউন্ডেশন এবং স্বাধীনতার পর উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সহায়-সম্পদ নিয়ে ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু করে।’ ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু করে সেনাকল্যাণ সংস্থা জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে এবং দীর্ঘ সময় তাদের ব্যবসায়ী কর্মকাণ্ড নিয়ে বিতর্কের ঊর্দ্ধে থেকেছে। ৪০ বছর পর তারই সূত্রে অন্যান্য ব্যবসায়ী তৎপরতা পরিচালিত হলে সুশীল সমাজের মাথাব্যথার কারণ কী? ধারাবাহিক ব্যবসা প্রসারে সেনাকল্যাণের অবদান স্বীকার করতেই হবে। সেনাকল্যাণ সংস্থার বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের মতোই বাণিজ্য করছে সেনাবাহিনীর আরেকটি কল্যাণমূলক সংস্থা- আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট। ১৯৯৮ সালে এ ট্রাস্ট কোম্পানি আইনে রেজিস্ট্রি করা হয়। আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ১৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ট্রাস্টই বর্তমানে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ট্যাক্সিক্যাব পরিচালনা করছে। যাদের সেবা ইতোমধ্যে প্রশংসিত হয়েছে। সেনাবাহিনীকে তিনটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জমি দেয়ার কথা জানা গেছে। তারা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করে পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে মান সংরক্ষণের প্রতিযোগিতায় আনতে পারবে বলে আমাদের ধারণা।
উল্লেখ্য, স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের সেনাবাহিনী দেশ ও জাতির সম্পদ। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাঙালিদের ওপর যে গণহত্যা ও নির্যাতন শুরু করেছিল তা থেকে মুক্ত স্বাধীন স্বদেশভূমি ছিনিয়ে আনার লক্ষ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় গড়ে ওঠা সেনাবাহিনী এ দেশের গর্ব। মুক্তিযুদ্ধে রক্তঝরা সে দিনগুলোতে দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে সর্বস্তরের জনসাধারণের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে সেনাবাহিনী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। জাতির যে কোনো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সেনাবাহিনী সদাপ্রস্তুত থাকে। শুধু দেশে নয়, আমাদের সেনাবাহিনী বহির্বিশ্ব থেকেও দেশের জন্য সম্মান ও মর্যাদা বয়ে আনছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশংসিত ভূমিকা পালন করার কারণে কিছুদিন আগে জাতিসংঘের মহাসচিবের বিশেষ দূত ধন্যবাদ জানিয়ে গেছেন বাংলাদেশে এসে। আমেরিকার দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল এ দেশে এসে আমাদের শান্তিরক্ষীদের অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে গেছেন। মনে রাখতে হবে, বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড চলছে। পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার উপমহাদেশে আলকায়েদার শাখা খোলার ঘোষণা প্রকাশিত হয়েছে। ডিসেম্বর (২০১৪) ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছে। পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান বিস্ফোরণই জানান দিয়েছে দেশের বাইরে বসেও এ দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার ছক আঁকা সম্ভব। এ পরিস্থিতিতে আমাদের সশস্ত্রবাহিনী এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করছে। তা ছাড়া সেনাবাহিনীর ব্যয় সম্পর্কে কথা বলার অধিকার কোনো এনজিওর নেই। কারণ সশস্ত্রবাহিনী দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তাদের ব্যয় মেটানো হয় জাতীয় বাজেট থেকে। নিয়মিত তা নিরীক্ষণ করেন সরকারের অডিটর জেনারেল। ভারতসহ বিভিন্ন দেশে যেভাবে প্রতিরক্ষা বাজেট হয়, বাংলাদেশেও একইভাবে হয়। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই সব দেশের প্রতিরক্ষা বাজেট গোপন রাখা হয়। মূলত জমি অধিগ্রহণের সঙ্গে প্রতিরক্ষা নীতির বিষয়ে এনজিওগুলো যে প্রশ্ন তুলেছে, তা তারা তুলতে পারে না। কারণ সশস্ত্রবাহিনীর অস্তিত্ব ও নীতির বিষয়ে সংবিধানে উল্লেখ আছে। এ জন্য এনজিও এবং তাদের সমর্থকগোষ্ঠী কর্তৃক সেনাবাহিনী ও সেনানিবাস সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমাদের সচেতন নাগরিক সমাজের তীব্র নিন্দা জানানো দরকার।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৮
রিবেল মনোয়ার বলেছেন: সহমত। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব, অহংকার ও জাতীয় নিরাপত্তার প্রতীক। এনজিও আর সুশীল ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ খুলে দিতে হবে। আরও লেখা আশা করছি।