নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফিরে দেখা কোকো...

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:১৫

বিশ্ব ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর কয়েক মিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগকে জাতীয় সম্পদ চুরির একটা দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। জাতিসংঘের মাদক ওঅপরাধ বিষয়ক দপ্তরের সহায়তায় বিশ্বব্যাংকের চোরাই সম্পদ উদ্ধার (স্টার)পদক্ষেপের অধীনে ‘অ্যাসেট রিকভারি হ্যান্ডবুক’ শীর্ষক পুস্তিকায় এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের চোরাই অর্থ উদ্ধারে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য নির্দেশনামূলক এই হ্যান্ডবুক কয়েক দিন আগে ভিয়েনায় প্রকাশ করা হয়েছে। ঐ হ্যান্ডবুকের উদ্ধৃতি দিয়ে বাসস এই তথ্যপ্রকাশ করেছে। বাসসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে : ‘২শ সত্তর পৃষ্ঠার এই হ্যান্ডবুকের ৫৩ ও ১শ ৯৬ পৃষ্ঠায় আরাফাত রহমান কোকোর দুর্নীতির বিষয় উল্লেখ রয়েছে এবং অভিযোগ সম্পর্কিত বিষয়াদি পর্যালোচনা করা হয়েছে। উভয় পৃষ্ঠায় সিমেন্স কোম্পানির কাছ থেকে কোকোর অবৈধ ভাবে কয়েক মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘুষ গ্রহণের বিষয় উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এতে জাতীয় স্বার্থ ক্ষুন্ন হয়েছে।

হ্যান্ড বুকের ৫৩ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে,আর্জেন্টিনা, বাংলাদেশ ও ভেনিজুয়েলায় সিমেন্স ও এর শাখা কোম্পানি সরকারি কন্ট্রাক্ট পেতে জনপ্রশাসন কর্মকর্তাদের ঘুষপ্রদান করে। এতে বলা হয়, বিভিন্ন সময়ে কনসালটেন্টদের অর্থ প্রদানের কথা বলে ঘুষ চাওয়া হয়। এসব কনসালটেন্ট কোম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়মিত যোগাযোগ সৃষ্টির ক্ষেত্রে চ্যানেল হিসেবে কাজ করতো কোকো।’ হ্যান্ডবুকে আরো বলা হয়েছে, সিমেন্স এ অনিয়মের ঘটনায় দোষ স্বীকার করেছে এবং ইতিমধ্যে ৪৫ কোটি মার্কিন ডলার জরিমানা দিয়েছে। বইয়ের ১৯৬ পৃষ্ঠায় মার্কিন বিচার বিভাগের পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘২০০৯ সালে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলেকে একটি বিদেশি কোম্পানি কর্তৃক ঘুষ প্রদানের (সিঙ্গাপুরে মার্কিন মুদ্রায়)বিরুদ্ধে মার্কিন বিচার বিভাগ বাজেয়াপ্তকরণ কার্যক্রম গ্রহণ করে।

এর আগে গণমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়, ২০০৯ সালের ৮ জানুয়ারি মার্কিন কর্তৃপক্ষ ৩০ লাখ মার্কিন ডলারের অর্থ পুনরুদ্ধারে ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার একটি আদালতে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণে উদ্যোগী হয়। কোকো এই অর্থ সিমেন্স থেকে গ্রহণ করে এবং সিঙ্গাপুরভিত্তিক একটি ব্যাংকে জমা রাখে বলে অভিযোগ রয়েছে। ঢাকার একটি বিশেষ জজ কোর্টে ৩০ নভেম্বর কোকো ও সাবেক নৌ-পরিবহনমন্ত্রী প্রয়াত আকবর হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেন সাইমনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলায় চার্জ গঠন করার দুই সপ্তাহ পর বিশ্বব্যাংকের এই পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (এসিসি) গত বছরের ১৭ মার্চ ঢাকার কাফরুল থানায় যুক্তরাষ্ট্রে ৯ লাখ ৩২ হাজার ৬৭২ মার্কিন ডলার ও সিঙ্গাপুরে ২৮ লাখ ৮৪ হাজার ৬০৪ ডলার পাচারের অভিযোগ এনে কোকো ও সাইমনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করে। ২০০৭-২০০৮ সালের সেনা সমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে বাংলাদেশ থেকে অর্থ সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি ফাঁস হয়। ওই সময় কর্মকর্তারা জানান, তাদের অনুমান প্রভাবশালী কিন্তু দুর্নীতিগ্রস্ত লোকেরা বিদেশে কোটি কোটি ডলার পাচার করেছে। ওই সময় দুর্নীতি গ্রস্তরা ১২ কোটি ৯০ লাখ ডলার দেশে ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হয়। একই সময় বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল সি. প্যাটেল বলেছিলেন বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ সম্পদ দেশের বাইরে পাচার হয়েছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.