নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আর কতো লাশ চাই খালেদার?

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:২৯

অবরোধে সহিংসতার শিকার হওয়ার পর প্রাণ হারালেন আরও দুজন নিরীহ ব্যক্তি। তাঁদের একজন ট্রাকচালকের সহকারী আবদুর রশিদ (৩৮) মারা যান রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল মঙ্গলবার ভোরে। অপরজন সিলেটের ট্রাকচালক বকুল দেবনাথ (৩৮) একই দিন সকালে মারা যান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। দুর্বৃত্তদের পেট্রলবোমা হামলায় চার দিন আগে রশিদ এবং সপ্তাহ খানেক আগে বকুল দগ্ধ হয়েছিলেন।
গতকাল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ট্রাকে পেট্রলবোমা হামলায় দগ্ধ হয়েছেন আরও দুজন। বগুড়ায় আগুনে পুড়েছে সিমেন্টবোঝাই দুট ট্রাক। সিরাজগঞ্জে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। চাঁদপুরে জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সামনে অটোরিকশায় আগুন দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের ডাকা অবরোধের ২২তম দিন ছিল গতকাল। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সহিংসতা হয় ছয়টি জেলার অন্তত ছয় স্থানে। পাঁচটি যানবাহনে দেওয়া হয় আগুন। নাশকতার আশঙ্কা, সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগ, মামলা ও অন্যান্য ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় ৩৫০ জনকে।
গত বছরের ৫ জানুয়ারির ‘একতরফা’ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ৬ জানুয়ারি থেকে টানা এ অবরোধ চলছে। তবে সহিংসতার শুরু এর দুই দিন আগে থেকেই। গত ২৪ দিনে সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ৩৮ জন। আগুন দেওয়া হয় ৩৩৮টি যানবাহনে এবং ভাঙচুর করা হয় ৪৩১টি।
ঢাকার বাইরের চিত্র: অবরোধের আগুনে দগ্ধ ট্রাকচালকের সহকারী আবদুর রশিদ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল ভোর পাঁচটার দিকে মারা যান। তাঁর বাড়ি দিনাজপুর সদরে। ট্রাক নিয়ে রংপুর থেকে দিনাজপুর যাওয়ার পথে ২৩ জানুয়ারি রাত দেড়টার দিকে দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের ভুষিরবন্দর সেতু এলাকায় দুর্বৃত্তদের পেট্রলবোমা হামলার শিকার হয়েছিলেন তিনি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ট্রাকে পেট্রলবোমা হামলায় দগ্ধ হয়েছেন ট্রাকচালক আজিজুর রহমান (৩৫)। এ ঘটনায় দগ্ধ হন তাঁর সহকারী মো. শামীম (২৩)। গতকাল সকাল সাতটার দিকে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের শুকলালহাট সেতু এলাকায় এ হামলা হয়।
আজিজ বলেন, ‘সুনামগঞ্জ থেকে ট্রাক নিয়ে ফিরছিলাম। সীতাকুণ্ড পার হয়ে আসার পর পাশ থেকে দুই যুবক রাস্তায় উঠে এসে বোমা ছুড়ে মারে। আগুন ধরে যায় আমার শরীরে। এ অবস্থায় ট্রাক ব্রেক করতে করতে রাস্তার পাশে লাফ দিয়ে খাদের পানিতে গিয়ে পড়ি। ট্রাকও পড়ে যায়।’
দগ্ধ দুজনেরই বাড়ি যশোরের কেশবপুর উপজেলায়। তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। আজিজের কোমর, দুই হাত, পাসহ শরীরের ২০ ভাগের মতো পুড়ে গেছে। শামীমের পুড়েছে বাঁ হাত ও পা। কেটে গেছে কপাল। এ নিয়ে এই ইউনিটে অবরোধের মধ্যে দগ্ধ চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচজনে। বাকি তিনজনের একজন রাজমিস্ত্রি, একজন ট্রাকচালক ও অপরজন রিকশাচালক।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সামনের সড়কে গত সোমবার রাতে একটি অটোরিকশায় পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মনির হোসেন জানান, কাউকে আটকও করা যায়নি।
চালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, তিনি মুখার্জিঘাট এলাকায় যাত্রী নামাতে যান। এরপর সেখান থেকে অটোরিকশাটি নিয়ে জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সামনে এলে দুটি ছেলে অটোরিকশা থামায়। এদের একজন ভেতরে ঢুকেই পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। অন্যজন পেছনে পেট্রলবোমা মেরে পালায়।
বগুড়ার শেরপুরে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের মদনপুর এলাকায় সোমবার রাত ১১টার দিকে সিমেন্টবাহী দুটি ট্রাকে আগুন দেওয়া হয়েছে। এ সময় তিনটি ককটেলেরও বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভান। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থেকে ট্রাক দুটি দিনাজপুরে যাচ্ছিল। ট্রাকচালকদের একজন ফজলুল হক বলেন, পেট্রল দিয়ে পোড়ানোর আগে দুর্বৃত্তরা ট্রাকের দিকে লাঠিসোঁটা নিয়ে ধেয়ে আসে। এ সময় তাঁরা ট্রাক থেকে নেমে দৌড়ে নিজেদের রক্ষা করেন।
রাজশাহী নগরে গতকাল পুলিশকে লক্ষ্য করে হাতবোমা ছুড়েছেন ছাত্রশিবিরের কর্মীরা। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার ইফতে খায়ের আলম বলেন, সকাল ১০টার দিকে ছাত্রশিবির কর্মীরা সাগরপাড়া পদ্মা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে রাস্তায় আগুন জ্বেলে বিক্ষোভ করেন। পরে সেখানে পুলিশ গেলে তাঁরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে দুটি হাতবোমা ছুড়ে পালিয়ে যান। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হননি।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন দিয়েছে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। গতকাল সকাল সাড়ে আটটার দিকে সিরাজগঞ্জ-নলকা সড়কের চণ্ডীদাসগাতী বেইলি ব্রিজের পাশে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে হাটিকুমরুলগামী প্রান্তিক পরিবহনের একটি বাস চণ্ডীদাসগাতী বেইিল ব্রিজের কাছে পৌঁছালে সেটি থামিয়ে ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। আতঙ্কে যাত্রীরা নেমে গেলে বাসটিতে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় তারা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৪৭

কালের সময় বলেছেন: জানি না শেষ পযন্ত দেশেের কি হয় :| :|

২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫১

হুতুম বলেছেন: আপনি কেন শুধু একজনের কথা বলছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা দুজনই সমান ভাবে দায়ী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হাসিনা সংবিধান নিজের মত পরিবর্তন করে নিছে, আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা আন্দোলন করছে, মাঝখানে আমাদের মত সাধারণ মানুষের যত সমস্যা হচ্ছে । একপেষে কথা বলেন কান। সাধারন মানুষ কিন্তু সবই বুজতে পারে----------------

৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭

ইসপাত কঠিন বলেছেন: মনে হয় আর যতটা হলে তিনি এবং আপনারা ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবেন।

৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭

নিসঙ্গ স্বপ্নদেব বলেছেন: এসব কিছুর জন্য দায়ী অবৈধ প্রধান গনতন্ত্র হত্যাকারাী হিরেন্দ্র মোদী দাসি শেখখ হাসি না । খালেদা জিয়া ছিলেন বলে রক্ষা । আল্লাহ তার উপর রহমত নাজিল করুক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.