![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর একবছর বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করছিল। কিন্তু হঠাৎ করে এর ছন্দপতন কেন? কী কারণে আবার অস্থিরতার পায়তারা শুরু হলো? জামাত বিএনপি এখন আর ক্ষমতায় নেই। নেই বিরোধী দলেও।হঠাৎ করে তারা ঘোষণা দিল, গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করবে। কিন্তু এটি তো গত একবছর ধরে কোনো এক দিন পালন করতে পারতো। নির্বাচনের পরপরই এটা হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তারাতো তখন আন্দোলন করেনি। দেশে বিদেশে যখন সরকারের সাফল্য চরমে, কূটনৈতিকভাবে সরকার সফল, ঠিক তখনই বিএনপি জামাত অস্থিরতা তৈরির ফাঁদ পাতল। সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে সরকারের চাপ দেওয়ার মতো একটি ভুল কৌশলে পা দিল।
গত এক বছর ধরেই বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হচ্ছিল, বিএনপি ভুল পথে এগোচ্ছে। সেই সংবাদগুলো বিশ্লেষণ করলেই চোখে পড়ে, বিএনপির উপদেষ্টামণ্ডলীদের মধ্যে একটা চরম বিরোধ বিদ্যমান। কয়েকদিন আগে রিয়াজ রহমানের উপর হামলা সেই চরম দণ্ডকে চোখের সামনে আনে।বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে একটা চাপা অসন্তোষ চলছিল অনেকদিন যাবত। সেই চাপা ক্ষোভ অনেকটা খালেদা জিয়ার ভুল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সংক্রান্ত নির্দেশনার কারণে। নেতাকর্মীরা দিশেহারা। কে কী করবে সেই সিদ্ধান্তহীনতায় সবাই।আজকের দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় শিরোনাম হয়েছে সেই সংবাদ। খালেদা জিয়া সরাসরি তার নেতাকর্মীদের ফোন করে হুমকি দেন। নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড না করলে পদ বাতিল! একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হয়ে তিনি কী করে এরকম নির্দেশনা দিতে পারেন!ভাবলে গাঁ শিউরে ওঠে। সাধারণ মানুষকে পুরিয়ে মারার দায় তিনি কোনোভাবে এড়াতে পারেন না।
যারা মারা পড়ছে,দেশের বার্ন ইউনিতে যন্ত্রণায়-জ্বালায় কাতরাচ্ছেন, তাদের পাশে কি তিনি একবারো গিয়েছেন? শান্তনা দিয়েছেন? বিএনপির কি কোনো নেতাকর্মী গিয়েছেন সেখানে? তাহলে কে ঘটাচ্ছে এসব কর্মকাণ্ড তা কি গোপণ? আন্দোলনে বিএনপির কোন নেতাকর্মী মাঠে? কখনো কোথাও কি তারা জড়ো হচ্ছেন?
শুধু লাশ দিয়ে কি রাজনীতি হয়? লাশ নিয়ে রাজনীতি করার কৌশল একটা পুরোনো হাতিয়ার।যার লাশ সেই বোঝে লাশের ভার কতো। বেগম জিয়া নিশ্চয় সেই ব্যাথা হারে হারে টের পাচ্ছেন।
সাধারণ মানুষকে পুরিয়ে সেই সাধারণ মানুষের ভোট নিয়ে তিনি ক্ষমতায় যেতে চাচ্ছেন, সেটা কি আদৌ সম্ভব?
খালেদা জিয়ার মূল পরিকল্পনা সম্ভবত, তিনি চাচ্ছেন একটা অস্থিরতা তৈরি করে দেশে একটা জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা। এটা অসুস্থ মস্তিষ্কের উর্বর চিন্তা। বারবার তিনি সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। কিন্তু নিজে কোনো রকম আলোচনায় যেতে চান না। সেনা সরকার বসিয়ে তিনি কী করে আশা করেন তারা তাকে ক্ষমতায় নিয়ে আসবেন? এই চিন্তা কী করে তার মাথায় কাজ করে? কেন এত আস্থা তার সেনাবাহিনীর উপর। এর আগে যখন তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশ চালায় প্রায় বছর দুয়েক,তখন তো তারাই তাকে আবার ক্ষমতায় আনতে পারতো। কিন্তু আদৌ সে কৌশল কি তার ব্যর্থ হয়েছে? এখন আবার প্ল্যান বি ধরে এগোচ্ছেন তিনি?
কোন বিদেশী কূটকৌশল তাকে এসব পরামর্শ দিচ্ছেন? কে তার সাথে যোগাযোগ রাখছেন, লাশের রাজনীতি কার পরামর্শ?
দেশে এমন পরিস্থিতি সামাল দেবার জন্য মনে হয় বর্তমান সরকারই যথেষ্ঠ। সাধারণ মানুষ আবার জরুরি অবস্থা দিয়ে দেশে সামরিক শাসককে চায় না। ম্যাডাম জিয়া সাধারণ মানুষের চাওয়া পাওয়াকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজের ক্ষমতায় যাওয়াকে কেবল গুরুত্ব দিলে এমন অলীক স্বপ্ন তিনি দেখতেই পারেন। কিন্তু ব্যাপারটা খুব সুবিধার হবে না।
মনে রাখতে হবে দেশে জঙ্গি পৃষ্ঠপোষকতায় তার ভূমিকা দেশবাসীর জানা আছে। ফলে, এসব কর্মকাণ্ড কারা ঘটাচ্ছে, কে এর নির্দেশদাতা, বাংলাদেশে জঙ্গিদের সম্মানরক্ষা কার আমলে বেশি হয়েছে সেটা বোধহয় এবার দেশের মানুষ হারে হারে টের পাচ্ছে।
২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮
শফিক আলম বলেছেন: @আমার পথ চলা ১, তার মানে এই সব পেট্রল বোমা, আগুনে পুড়িয়ে মারা জায়েজ মনে হচ্ছে আপনার কাছে! আপনার মনে হচ্ছে সাধারন মানুষ এই সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপেছে? এই সব নৃশংসতাকে মানুষ হয়ে কি ভাবে পারেন justify করতে?
সভা-সমাবেশ করতে দেবেনা বলেই কি নৃশংসতার আশ্রয় নিতে হবে, তাও আবার এই দেশেরই সাধারন মানুষ এবং যারা ভোটার!
তাদেরকে আর সভা করতে দেয় না কারন তাদেরকে সরকার আর বিশ্বাস করে না। এমন কি একটি ধর্মীয় দলও সমাবেশের নামে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। তারপরও মুরোদ থাকলে নেতা-কর্মীরা মাঠে নামুক, আন্দোলন করুক। তারা কোথায়? রাজনীতি তাকেই বলে যারা মাঠে থাকে, নিজেরা মার খায় জনগনের মঙ্গলের জন্য। বাকি সব সন্ত্রাস, ফৌজদারী অপরাধ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭
আমার পথ চলা ১ বলেছেন: মূদ্রার ওপিঠটা একটু দেখুন:
বিগত বিএনপি সরকারের শেষ ভাগে আওয়ামী লীগ লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করে জরুরী অবস্থার দিকে দেশকে ধাবিত করে ক্ষমতায় যাওয়ার পথ পাকা করে।
পাঁচ বছর পরপর নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে দেশে একটি মিমাংসিত বিষয় ছিল নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। কিন্তু ৮ জন এমিকাস কিউরির মধ্যে ৭ জন এমিকাস কিউরির নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার রাখার পক্ষে মতামত দেয়ার পরও তা বাতিল করে দেশে একটা রাজনৈতিক সংকট তৈরী করে। তাছাড়া আদালতও বলেছিল অন্তত আগামী দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে হোক।
গত ৫ জানুয়ারীর আগে আওয়ামী লীগ বলেছিল - তারা নিয়মরক্ষার জন্য নির্বাচন করে, পরবর্তীতে নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে একটা সামাধান করবে। কিন্তু এখনও নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে কোন কিছু মিমাংসিত হয়নি।
বিরোধী দলীগুলোকে সভা সমাবেশ, মিছিল, মিটিং সহ সকল নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করতে দেয়া হচ্ছে না। তাছাড়া পুলিশ, ্ররর্যাব, বিজিবি দিয়েও কোন কিছু শান্ত হচ্ছে না।
সবকিছুর মূল কথা হল বিতর্ক করলে অনেক বিতর্কই আসবে। কিন্তু সাধারন মানুষ চায় সব বিতর্ক বাদ দিয়ে - দুদল মিলে বসে সংলাপ করুক। সংলাপেই সামাধান, আর উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকেই।