![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আত্মগোপনে থেকেও ঢাকা ও চট্টগাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে গোপনে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে ২০-দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল জামায়াতে ইসলামী। মেয়র পদে তাদের কোনো প্রার্থী না থাকলেও কাউন্সিলর পদে গুরুত্ব দিয়েছে তারা। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডের ৩৬টিতেই কাউন্সিলর পদে প্রার্থিতা দিচ্ছে জামায়াত। আর খণ্ডিত ঢাকা সিটি করপোরেশনের দুই অংশে তাদের টার্গেট ৪০-৫০টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদ। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে দলের এমন মনোভাবের কথা জোট প্রধান বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে জানানোও হয়েছে। এ ব্যাপারে বিএনপির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও কৌশল কী হবে, তা জানার অপেক্ষা করছে জামায়াত। বিএনপির সঙ্গে বনিবনা হলে কাউন্সিলর পদে জামায়াত তাদের পছন্দের কিছু ওয়ার্ডে একক প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তাব করবে। এ জন্য একটি তালিকা করা হয়েছে। প্রস্তাবে বিএনপি রাজি না হলে জামায়াত নিজেদের মতো করে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করবে।
জানা গেছে, হামলা-মামলায় বিপর্যস্ত জামায়াত শুরুর দিকে দোটানায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত দলের নীতিনির্ধারকরা তিন সিটির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। ঢাকা মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির হামিদুর রহমান আযাদকে প্রধান করে সাত সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটিও করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে বিভক্ত ঢাকা সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলে জামায়াত ৪০টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল। রাজধানীতে অধিকাংশ সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী তারাই। রাজধানীর দক্ষিণের জামায়াতের এক কাউন্সিলর প্রার্থী জানান, সর্বশেষ প্রায় ১০ বছর আগে অনুষ্ঠিত ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে একটিমাত্র ওয়ার্ডে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিল। ১৫টি ওয়ার্ডে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা দ্বিতীয় এবং ৩৫টি ওয়ার্ডে তৃতীয় হয়েছিল। ওইসব ওয়ার্ডকে এখন বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে জামায়াতের ভোটব্যাংক রয়েছে। ১৯৯৪ সালের নির্বাচনে জামায়াতের মেয়র প্রার্থী ২৯ হাজার ভোট পেয়ে অল্প ব্যবধানে তৃতীয় হয়েছিলেন। তিনি আরও জানান, আপাতত দলের ব্যানারে না হলেও স্থানীয় সংগঠনগুলোর ব্যানারে জামায়াত প্রার্থী দিচ্ছে। ৪১ ওয়ার্ডের ৩৬টিতেই কাউন্সিলর পদে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতবারের জয়ী তিন কাউন্সিলরও আছেন এ তালিকায়। তিনি দাবি করেন, বর্তমানে রাজধানী এবং চট্টগ্রামে জামায়াত-শিবির অনেক শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, প্রায় তিন মাস আগে থেকে নীরবে প্রস্তুতি নিয়েছেন জামায়াত সমর্থিত সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কারণে প্রকাশ্য সভা-সমাবেশ করতে না পারলেও তারা ভোটার তালিকা অনুসরণ করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোকজনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়, দুস্থদের মাঝে সাহায্য বিতরণসহ নানা কৌশলে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। তারা কৌশল হিসেবে নিজেদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন। সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচনের ব্যাপারেও জামায়াত সক্রিয় রয়েছে। জামায়াতের এক কর্মপরিষদ সদস্য বলেন, সারা দেশে গুম-খুন, সন্ত্রাস, নির্যাতন-নিপীড়নে সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এ অবস্থায় ২০ দল-সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের বেশির ভাগই জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আর সরকার নির্বাচনে কারচুপি করলে নতুন করে আন্দোলন জমিয়ে তোলার সুযোগ পাওয়া যাবে। - See more at: Click This Link
©somewhere in net ltd.