![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ছিল না বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট। মাঠে ছিল না বিএনপির নেতা-কর্মী। ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিএনপি কর্মীদের সকাল থেকেই সক্রিয় দেখা যায়নি। ঢাকা এবং চট্টগ্রামের কেন্দ্রে ভোটার আনার ক্ষেত্রেও তৎপরতা দেখা যায়নি বিএনপির নেতা-কর্মীদের। এমনকি বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থীরাও অধিকাংশ এলাকায় বলতে গেলে অনুপস্থিতই ছিলেন। অথচ ভোটকেন্দ্র থেকে তাদের নির্বাচনী এজেন্টদের বের করে দেওয়াসহ নানা অভিযোগ তুলে দুপুরের আগেই তিন সিটি করপোরেশনের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। আর তাদের বর্জনের কারণে উৎসব মুখর পরিবেশে সকালে শুরু হওয়া সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুপুরের পর কিছুটা হলেও ঢিলেঢালা অবস্থা চলে আসে।
অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থীদের পক্ষে ভোটকেন্দ্রে দলীয় নেতা-কর্মীদের তৎপরতা চোখে না পড়লেও উল্টো চিত্র ছিল আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে। তিন সিটি করপোরেশনের তিন শতাধিক কেন্দ্র ঘুরে যে চিত্র দেখা গেছে, তাতে দলীয় মেয়র প্রার্থীদের পক্ষে সর্বত্র সরব উপস্থিতি ছিল আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের। তারা ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসা থেকে শুরু করে ভোটার নম্বর তালিকা খুঁজে দেওয়াসহ ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে দিতে সহায়তা করেছেন। গতকাল ঢাকা মহানগরীর দুই সিটি করপোরেশন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র সরেজমিন ঘুরে এবং বিভিন্ন সূত্র থেকে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে দেখা যায়, নির্বাচনে অংশ নিলেও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা নির্বাচনের দিন তাদের কর্মী-সমর্থকদের মাঠে নামাননি কিংবা নামাতে পারেননি। এমনকি তারা বেশির ভাগ ভোটকেন্দ্রে এজেন্টই নিয়োগ দেননি। রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশনের উত্তরা এক নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরা হাইস্কুল কেন্দ্র, উত্তরা গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র, বিএইচবিএফসি আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র, আইএসএস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র, মালেকাবানু আদর্শ বিদ্যালয় কেন্দ্র, তাজ স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র, মাইলস্টোন প্রিপারেটরি কেজি কেন্দ্র, আর্মড ব্যাটালিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র, উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের একাধিক কেন্দ্র, গুলশানের একাধিক কেন্দ্র, বনানী বিদ্যা নিকেতন উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র, তেজগাঁও সরকারি বিজ্ঞান কলেজ, তেজগাঁও কলেজসহ উত্তর সিটি করপোরেশনের অধিকাংশ কেন্দ্রেই বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে কোনো পোলিং এজেন্টই উপস্থিত হননি। আবার ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে, মোহাম্মদপুর, মিরপুর-১০, ২, ১, ১১, গাবতলী, শ্যামলী, কাফরুল, শেওড়াপাড়া, এলাকার বিভিন্ন কেন্দ্র্রে। এসব কেন্দ্র সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রত্যেক কেন্দ্রেই তাবিথ আউয়ালের বাস প্রতীকের পক্ষে পোলিং এজেন্ট ছিলেন। মোহাম্মদপুর এলাকার নূরজাহান রোডের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রতিটি বুথেই তাবিথের পোলিং এজেন্ট উপস্থিত ছিলেন। এই কেন্দ্রের এক নম্বর বুথে দায়িত্বরত তাবিথের পোলিং শেখ সাখাওয়াত ইসলাম দুপুরে জানান, তাদের কেন্দ্রে ভোট গ্রহণে কোনো রকম সমস্যা হচ্ছে না। ভালোভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। আরেক কেন্দ্রে বাস প্রতীকের আরেক এজেন্ট মুন্নী তাবাসসুম জানান, সকাল থেকে সুষ্ঠুভাবেই ভোট গ্রহণ চলছে। মোহাম্মদপুর উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি বুথে বাস প্রতীকের এজেন্ট সায়মা জানান, ভোট গ্রহণ স্বাভাবিকভাবে চলছে। এই কেন্দ্রেরই বাস প্রতীকের আরেক পোলিং রাজিয়া সুলতানা বলেন, সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি খুবই ভালো। রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশনের মতো একই অবস্থা দেখা গেছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনেও। সেখানে পুরান ঢাকার অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের পক্ষে পোলিং এজেন্ট ছিলেন না।মীরহাজিরবাগ তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসা, যাত্রাবাড়ী সবুজ বিদ্যাপীঠ, শহীদ জিয়া গার্লস স্কুল, যাত্রাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টিকাটুলি একরামুন্নেছা হাইস্কুল, গেন্ডারিয়া খোকন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্যামপুর ঢাকা নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসা, বংশালের হাজী জুম্মন কমিউনিটি সেন্টার, ওয়াইজঘাট বুলবুল ললিতকলা একাডেমি, স্বামীবাগ মিতালী স্কুল কেন্দ্রে শুরু থেকেই মির্জা আব্বাসের কোনো পোলিং এজেন্ট ছিল না।অবশ্য সকাল ১১টায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ধোলাইপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, ধোলাইপাড় বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র, স্কলার প্রি ক্যাডেট স্কুল কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, এসব কেন্দ্রে মির্জা আব্বাসের পোলিং এজেন্ট আছেন। কিন্তু দুপুরে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়ার পর পরই তারা কেন্দ্র থেকে চলে যান।বিভিন্ন সূত্র বলছে, বিএনপি নির্বাচন করলেও এ নির্বাচনে তাদের ছিল গা ছাড়া ভাব। তাদের নেতা-কর্মীরা কোনো রকম ঝুঁকি নিতে চাননি। গত তিন মাসের হরতাল-অবরোধের নামে সহিংস রাজনীতির কারণে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ছিল মামলার পাহাড়। যার ফলে বিএনপি নেতা-কর্মীরা নিজেদের গুটিয়ে রেখেছিলেন। ভোটকেন্দ্র পাহারা দেওয়া, কিংবা ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের কোনো উৎসাহ ছিল না। সকাল থেকেই তারা ছিলেন হালছাড়া। যদিও প্রার্থীরা ঘুরেছেন কেন্দ্রে কেন্দ্রে।একই অবস্থা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মনজুর আলমের ক্ষেত্রে। সেখানেও তার কর্মী-সমর্থকদের তো ভোটের মাঠে দেখাই যায়নি। এমনকি অধিকাংশ কেন্দ্রেই তার পোলিং এজেন্টও ছিল না। জানা গেছে, মনজুর আলম পোলিং এজেন্ট নিয়োগ দেওয়ার জন্য বিএনপি নেতাদের হাতে মোটা অঙ্কের অর্থ তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই অর্থের সৎ ব্যবহার করেননি চট্টগ্রামের বিএনপি নেতারা। যার ফলে সকালে নিজের ভোট দিয়ে যখন বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখেন মনজুর আলম তখনই তার চোখে পড়ে নিজের কমলা লেবু প্রতীকের পক্ষে অধিকাংশ কেন্দ্রেই পোলিং এজেন্ট নেই। প্রতিটি কেন্দ্রেই আওয়ামী লীগ সমর্থক প্রার্থী আ জ ম নাছিরের কর্মী-সমর্থকদের ছড়াছড়ি। বিএনপি মনজুরের প্রতি তাদের সমর্থন দিলেও মাঠে সংগঠনটির কোনো কর্মী-সমর্থক নেই। এই অবস্থায় সকালে তিন ঘণ্টা ভোট চলার পর পরই বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের বিএনপি নেতাদের উপস্থিতিতে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। আর তার এই ঘোষণার এক ঘণ্টা পর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুই মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাসকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি আগে থেকেই নির্বাচন বর্জনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। এ কারণেই তারা অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট দেয়নি। বিএনপির একাধিক নেতার টেলিফোন কথোপকথন থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই করে নির্বাচন বর্জনের পূর্বপরিকল্পনার সত্যতাও পাওয়া গেছে। অথচ নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দেওয়ার সময় বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, রাজধানীর উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে মেয়র নির্বাচন বয়কট করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস ফোনালাপের মাধ্যমে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের কাছে ভোট বর্জনের নির্দেশনাটি পৌছে দেন।
নির্বাচন বয়কট প্রসঙ্গে খালেদা জিয়ার নির্দেশনা সংক্রান্ত ওই অডিও রেকর্ডটি বাংলাদেশ প্রতিদিনের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো। অডিওটি শুনতে চাইলে ক্লিক করুন।
https://soundcloud.com/anmy367/gqz7xaazwjsp
- See more at: Click This Link
ঢাকা উত্তরের বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ফোনালাপের মাধ্যমে ভোট চুরির ষড়যন্ত্র করেছেন।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের পাঠকদের জন্য ফোনালাপটি প্রকাশ করা হলো। লিংক:
https://soundcloud.com/anmy367/eiq4luyput18
- See more at: Click This Link
- See more at: Click This Link
২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৫১
রাতুলবিডি৪ বলেছেন: জয় বাংলা
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৫২
কালের সময় বলেছেন: বি এন পি তৎপরতা করে কি করবে ক্ষমতা আওয়াঃ এর হাতে ওরাইতো সব দেশের মা আর বাপ ।
নির্বাচন নামের নাটকের আর কি দরকার ছিল । আর এত ভালো ভাবে নির্বাচন করবে তাহলে সেনাবাহিনী রাখতো মাঠে ..................