![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বছরের শুরুর তিন মাস আমাদের কেমন কেটেছে- তা বোধহয় কাউকে মনে করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন নেই। অবশ্য ২০১৫ সালের শেষের কয়েক মাস অনুরূপভাবে অবরোধ, হরতালের নামে যানবাহন পুড়িয়ে, মানুষ হত্যা করে, ঘরবন্দি রেখে যে বিভীষিকা, আতঙ্ক এবং হতাশায় গোটা জাতিকে ডুবিয়ে রাখা হয়েছিল, তা আমাদের রাজনীতির ইতিহাসে নজিরবিহীন পর্ব হিসেবেই যে কোনো সময়ে উল্লেখ করা হবে- এতে কোনো সন্দেহ নেই। যখন ২০১৩ বা ২০১৫-তে বিভীষিকার প্রায় অভিন্ন পর্বটি শুরু হয়েছিল- তখন কেউই ভাবতে পারেনি এটি কেমন হবে, কবে এর অবসান হবে। এক অজানা আতঙ্ক মানুষকে তাড়িয়ে বেড়িয়েছে, রুটি-রুজির জন্য বের হয়ে কেউ কেউ আর ঘরে ফিরতে পারেননি, কেউবা ফিরেছেন দগ্ধ আহত বা ক্ষতি-বিক্ষত দেহ ও মন নিয়ে। কোনো স্বাধীন রাষ্ট্রে এমন দুর্বিষহ সময় প্রলম্বিত হয় তা ভাবাই কষ্টের বিষয়। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে দুইবার আমাদের প্রায় একই ধরনের বিভীষিকাময় সময় অতিক্রম করতে হয়েছে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনকে ঘিরেই ২০১৩ সালের হঠকারী, ধ্বংসাত্মক মানুষ পোড়াও এবং হত্যার তাণ্ডব সংঘটন করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নির্বাচন ঠেকানো যায়নি। অবরোধকারী এবং নির্বাচন প্রতিহতকারীরা তখন পরাজিত শক্তি হিসেবেই ‘আন্দোলনের মাঠ’ ছেড়ে আত্মগোপনে, কিংবা রণেভঙ্গ দিয়ে বসে পড়েছিল। নির্বাচনে অংশ না নেয়া, প্রতিহত করা, বানচাল করা, দেশে একটি বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টি করাই ছিল সেই ‘আন্দোলনের’ মূল লক্ষণ তেমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার পরিবেশ থাকে না। নির্বাচনটি যেনতেনভাবে হলেও শেষ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করাই জরুরি হয়ে পড়ে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি-উত্তর পরিস্থিতি তেমনটিই বলে। সে কারণেই মানুষ ফিরেও তাকাতে চায়নি নির্বাচনটি কেমন হয়েছিল। কেননা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ দেশটাকে যে জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল তাতে মানুষের জন্য স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসাই ছিল জরুরি। শেষ পর্যন্ত সেটিই ঘটেছিল, তারপর গোটা ২০১৪ সাল মানুষ যার যার কাজ, জীবন, জীবিকা নিয়ে ব্যস্ত থেকেছে। কিন্তু ২০১৩ সালের শক্তি ২০১৫-এর জানুয়ারিতে আর একটা ধাক্কা দিতেই প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছিল। তেমনটি শুরু থেকেই দেখা গেল। ২০১৩-এর পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে লাগাতার অবরোধ ও হরতালের যে রেকর্ড সৃষ্টি করা হয়েছিল তা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায় কোনোভাবেই রাজনৈতিক আন্দোলনের কর্মসূচিরূপে আখ্যায়িত করা যায় কিনা সন্দেহ আছে। ২০ দলের যেহেতু যথেষ্ট কর্মী-সমর্থক রয়েছে- তাই গাড়ি পোড়ানোর মতো বেশ কিছু তাণ্ডব করা গেছে, মানুষ পোড়ানোর মতো ঘটনাও ঘটানো গেছে। কিন্তু দেশে-বিদেশে এর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ এবং ধিক্কার শুরু হলে এসব কর্মী-সমর্থকরাও যাত্রীবাহী, পণ্যবাহী যানবাহন পুড়িয়ে তথাকথিত ‘আন্দোলন’ এগিয়ে নেয়ার মনোবল আর খুঁজে পাচ্ছিল না। তবে পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসার উপায় ২০ দলও খুঁজে পাচ্ছিল না। কর্মসূচি আপনা আপনিই নিস্তেজ হয়ে পড়লেও মানুষের মধ্যে আতঙ্কগ্রস্ততা বিরাজ করছিল। সেই পরিস্থিতিতে ৩ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আয়োজন ছিল একটি উত্তরণের সুযোগ। সেই সুযোগ বিএনপি আপাততদৃষ্টিতে মনে হয়েছিল গ্রহণও করেছিল। তবে প্রার্থী মনোনয়ন, নির্বাচনের দিন হঠাৎ করে প্রার্থীদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে নির্বাচন বর্জন করানোর ঘটনা থেকে প্রমাণিত হয় যে, বিএনপি আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করাটিকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়েছে, নির্বাচনে বিএনপি জিতে আওয়ামী লীগের অধীন সুষ্ঠু নির্বাচন করার কৃতিত্ব দেয়ার কোনো অবস্থা তৈরিতে অবদান রাখতে চায়নি। কিন্তু তাতে বিএনপির লাভ কতটা হয়েছে- তা কেবল সময়ই বলে দেবে। তবে সাংগঠনিকভাবে বিএনপির অভ্যন্তরে সংকট আরো ঘনীভূত হয়েছে- এতে সন্দেহ নেই। বিএনপির রাজনীতিতে হঠকারিতা, চালাকির প্রবণতা কমবেশি ফুটে উঠেছে। এতে দেশে ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ২০১৫-এর তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ভাবমূর্তির সংকট বৃদ্ধি পেয়েছে, রাজনীতিতে হতাশার পরিস্থিতি আরো বেড়েছে, দুর্বৃত্ত শক্তির কদর আন্দোলনকারী এবং আন্দোলন প্রতিহতকারীদের মাধ্যমে নির্বাচনকে বিতর্কিত করার ক্ষেত্রে বেড়ে গেছে- যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের একটি কঠিন, জটিল এবং অবিমৃষ্যকারী পরিস্থিতি জাতীয় রাজনীতিতে তৈরি হয়েছে- এর থেকেই উত্তরণের উপায় কি তা লক্ষ কোটি ডলার মূল্যের প্রশ্ন। এর গভীরতা আশা করি সব দায়িত্বশীল রাজনৈতিক শক্তিকে গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে।
নির্বাচন-উত্তর বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশ এবং রাজনীতিতে গত জানুয়ারি-মার্চ মাসের কালো মেঘের উপস্থিতি নেই। তবে রাজনীতির সংকট সহজে কাটার বিষয় নয়। বিএনপি এখন অনেকটাই কিংকর্তব্যবিমূঢ়। বিএনপির সব কৌশলই একে একে ব্যর্থ হয়েছে। এর বস্তুনিষ্ঠ কারণ বিএনপিকেই উদঘাটন করতে হবে। তবে দূর থেকে সাদামাটাভাবে আমরা যা দেখতে পাচ্ছি তা হচ্ছে বিএনপি ২০০৯ সালের পর থেকে ক্রমেই দক্ষিণপন্থায় তথা জামায়াত-হেফাজত নির্ভর হয়ে উঠেছে। ২০১৩ সালে বিএনপি-জামায়াত-হেফাজতের সরকার উচ্ছেদের উগ্র হঠকারী ধারায় আস্থাশীল হয়ে ২০১৪-এর ৫ জানুয়ারি নির্বাচন প্রতিহত করা, ২০১৫-এর ৩ জানুয়ারি থেকে সরকার উৎখাতের লক্ষ্যে ঢাকা অবরোধসহ চরমপন্থার কর্মসূচি নিয়ে আস্থাশীল হয়। মনে রাখতে হবে, কোনো চরমপন্থ আন্দোলন ব্যর্থ হলে সংঘটিত অপরাধের দায়ে নেতাকর্মীরা বিচার ও মামলার করুণ পরিণতি বহন করতে বাধ্য হয়। বিএনপি কোনো বিপ্লবী দল নয়, জামায়াত-হেফাজতের হঠকারী রণকৌশলে পা দিয়ে বিএনপির তরুণ নেতাকর্মীদের অনেকেই জ্বালাও-পোড়াওয়ের কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে এখন আন্দোলন বির্যয় পরিস্থিতিতে নানা মামলায় আসামি। এটি বিএনপির ক্ষেত্রেই ঘটেছে- অন্য কারো ক্ষেত্রে ঘটতো না- এমনটি নয়। বরং বলা যায় যে, উগ্রবাদী আন্দোলনে ঘটনা ঘটেছে তার করুণ পরিণতির ছিটেফোঁটা মাত্র ঘটেছে। ২০১৩-এ ২০১৫ সালে আন্দোলন ছিল একেবারেই হঠকারী, উগ্রবাদ এবং জঙ্গিবাদীদের পৃষ্ঠপোষকতাপুষ্ট। ফলে বিদেশি বিএনপির বন্ধু রাষ্ট্রগুলোও বিএনপির প্রতি সহানুভূতিশীল থাকতে পারেনি দূরে সরে আছে। এখন অনেকেই বলছেন যে, সরকার বিএনপির ওপর দমন-নিপীড়ন চালিয়ে রাজনীতি থেকে বিএনপিকে বিতাড়িত করছে, তাতে বিএনপি ধ্বংস হতে পারে, সে ক্ষেত্রে মৌলবাদী ও জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী লাভবান হবে। সে ধরনের ভয় দেখিয়ে দেশে এখন অনেকেই অনেক কথা বলছেন। কথা হচ্ছে, বিএনপি কি ২০১৩- এবং ২০১৫ সালের আন্দোলনের গঠন, প্রকৃতি ও চরিত্রকে যথাযথ গুরুত্বে মূল্যায়ন করতে রাজি আছে? যারা বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপির স্থান সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে বলে শোরগোল করছে তারা বিএনপির অবস্থান যে বিএনপিই বিগত দিনগুলোতে গণতন্ত্রের স্বাভাবিক ধারা থেকে সরিয়ে নিয়েছে, কর্মী-সমর্থকদের জামায়াতি-জঙ্গিবাদীদের সঙ্গে সরকারবিরোধী আন্দোলনে ঠেলে দিয়েছে সে কথা বলছেন না। এর ফলে গোটা দলটিই নানা বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। সেখান থেকে সরে আসার দায়িত্ব বিএনপির মূল নেতৃত্বকেই নিতে হবে। তাহলেই কেবল গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিএনপির জায়গা ধীরে ধীরে পুনঃস্থাপিত হতে পারে। এটি বিএনপির সাংগঠনিক কাজ যার সঙ্গে এর নেতাকর্মী, সমর্থক এবং ভোটারদের রাজনীতি গভীরভাবে জড়িত।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে বিগত দিনগুলোতে বিএনপির রাজনীতিকে অকার্যকর বা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে যতটা ভূমিকা রেখেছে তার চাইতে শেখ হাসিনা এককভাবে সরকার, প্রশাসন এবং রাষ্ট্রের সব প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠানকে প্রজ্ঞার সঙ্গে ব্যবহার করে সরকার উচ্ছেদে ২০ দলীয় জোটের হঠকারী ও চরমপন্থার কার্যক্রমকে মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছেন। এটি স্বীকার করতে হবে। এও স্বীকার করতে হবে যে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের, আদর্শ ও ভিত্তিকে উপড়ে ফেলার নীলনকশা কার্যকর করার হাত থেকে বাংলাদেশকে আপাতত রক্ষা করা গেছে। সরকারের সাফল্য বিএনপির ব্যর্থতাকে প্রকটতর করেছে। এ মুহ‚র্তে বিএনপি অভ্যন্তরীণ সংকট, সালাহউদ্দিন আহমেদের সন্ধান ইত্যাদি সংকটে রয়েছে। কিন্তু সৃষ্ট বাস্তবতায় জনগণের আস্থা অর্জন ও বৃদ্ধিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের যেভাবে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করা অপরিহার্য ছিল সে ক্ষেত্রে বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে। তারা শেখ হাসিনার ভিশন মিশন বাস্তবায়নে যেভাবে কাজ করা দরকার ছিল- সেভাবে গোটা দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা কাজ করছেন- এমনটি লক্ষ করা যাচ্ছে না। বরং তাদের কারো কারো কর্মকাণ্ডে শেখ হাসিনা এবং দল বিব্রত হচ্ছে। অথচ শেখ হাসিনা গত ছয় বছরে বাংলাদেশকে উন্নয়নের যে স্তরে উন্নীত করেছেন- তা বিস্ময়কর। শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা, দৃঢ়তা এবং দূরদর্শিতা এই সময়ে সবচাইতে আলোচিত বিষয়। তার নেতৃত্বের অপরিহার্যতা অনেকটাই প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং সুশাসনের বিষয়টি একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বিগত দিনে রাজনৈতিক সব সংকট মোকাবেলা করার মাধ্যমে শেখ হাসিনা যেভাবে সাফল্য নিয়ে এসেছেন তাকে অর্থবহ করা, ধরে রাখা বা চূড়ান্ত শিখরে নিয়ে যাওয়ার জন্য সুশাসন প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। এটি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্য এ মুহ‚র্তে গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যা বাস্তবায়নে হাত দেয়া জরুরি। সেটি শেখ হাসিনার জন্য দ্বিতীয় বিপ্লব। সেই বিপ্লবে সহযাত্রী হতে হবে গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী সব শক্তিকে। সুশাসন প্রতিষ্ঠার ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা। সেটি বাস্তবায়নেও শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের প্রয়োজন রয়েছে। এখন মানবপাচার সন্ত্রাস, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদসহ যে সব ভয়াবহ সমস্যা আমাদের সমাজ, রাষ্ট্র, রাজনীতিকে চারদিক থেকে ছোবল মারছে, বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে গ্রাস করার জন্য সব অপশক্তি বার বার আক্রমণ করছে। এই অবস্থায় সব অপশক্তিকে প্রতিহত করে এগিয়ে যাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের সব সহায়ক শক্তিকে সংহত করে, সব অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাস্তবোচিত পদক্ষেপ নেবেন, কোনো হঠকারী পদক্ষেপ কেউ নেবেন- তাও নয়। প্রশাসনসহ সব সচেতন মহলকে ২০১৫-এর বর্তমান বাস্তবতায় কাজ করতে হবে। আমাদের গণমাধ্যমকে যথাযথভাবে ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে। সমাজের বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষের অবস্থানও হতে হবে বাস্তবোচিত। বাংলাদেশ এ পর্যন্ত অনেক কঠিন ও জটিল, রাজনৈতিক সংকটকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অতিক্রম করেছে, আমার বিশ্বাস সুশাসন প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনা যথাযথ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করলে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এখন তেমনই একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রকৃত সময়। একে হাত ছাড়া করার কোনো সুযোগ নেই। লেখক: মমতাজ উদ্দীন পাটোয়ারী
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে মে, ২০১৫ সকাল ৯:৫২
সাইফুল ফরিদপুর বলেছেন: পাটোআরি ভাই কোথায়?