নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ

১৪ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৪৩

শুধু মাথাপিছু জাতীয় আয় বিবেচনায় বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় ঠাঁই দিলেও আনুষ্ঠানিকভাবে এ স্বীকৃতি দেবে জাতিসংঘ। তার আগে জাতিসংঘের বোর্ড সভায় এটি অনুমোদিত হতে হবে। এই বিরাট স্বীকৃতি পাওয়া থেকে এখন সামান্য দূরে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের বেঁধে দেওয়া তিনটি সূচকের মধ্যে একটির নির্দিষ্ট মান অতিক্রম করেছে বাংলাদেশ, বাকি দুটিও নিঃশ্বাস-দূরত্বে। মাথাপিছু আয় আরো বাড়িয়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানো ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সূচকে সামান্য অগ্রগতি অর্জন সম্ভব হলেই জাতিসংঘের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘মধ্যম আয়ের দেশ’ হিসেবে স্বীকৃতি পাবে বাংলাদেশ। সে জন্য আরো তিন-চার বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় এক হাজার ৩১৪ ডলার। পর পর তিন বছর মাথাপিছু আয়ের গড় এক হাজার ৪৫ ডলার হলেই বিশ্বব্যাংকের মানদণ্ডে তা নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য। এ বিবেচনায় বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু জাতিসংঘের হিসাবে বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ৯২৬ ডলার। মূলত আন্তর্জাতিক বাজারমূল্যে ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় আয়ের এ হিসাব করেছে জাতিসংঘ। ব্যক্তির গড় বার্ষিক আয় (জিএনআই) থেকে কর পরিশোধ ও অবনমন (ডেপ্রিসিয়েশন) বাদ দিয়ে বাকি অর্থ ব্যক্তি কেনাকাটা ও বিনিয়োগে ব্যয় করতে পারে বলে জাতিসংঘ এভাবে হিসাব করে। এ হিসাবে মধ্যম আয়ের দেশ হতে হলে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিএনআই ৯২৬ ডলার থেকে এক হাজার ১৯০ ডলারে উন্নীত হতে হবে। তবে সর্বনিম্ন মাথাপিছু আয়ের এ অঙ্ক প্রতিবছরই বাড়িয়ে নির্ধারণ করে জাতিসংঘ।

এবার জাতিসংঘের স্বীকৃতির অপেক্ষা

জাতিসংঘের বাকি দুই সূচকের একটি হলো মানবসম্পদ সূচক (এইচএআই)। এ সূচকে ন্যূনতম ৬৬ বা তার বেশি অর্জন করতে হবে বাংলাদেশকে। মূলত জনগোষ্ঠীর পুষ্টি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও বয়স্ক শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নকে মূল্যায়ন করে জাতিসংঘ। এসব ক্ষেত্রে যত অগ্রগতি অর্জন সম্ভব হবে বাংলাদেশের অবস্থানও তত বাড়বে। জাতিসংঘের সর্বশেষ হিসাবে বর্তমানে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ৬৩.৮-এ। অর্থাৎ মধ্যম আয়ের দেশ হতে হলে মানবসম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশকে আর মাত্র ২.২ পয়েন্ট এগোতে হবে।

স্বল্পোন্নত দেশের অভিধা থেকে মুক্তি পেতে তৃতীয় শর্ত অর্থনৈতিক সংকট সূচক (ইভিআই)। এটা নির্ভর করে কৃষি উৎপাদন, পণ্য ও সেবা রপ্তানি, প্রচলিত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ছাড়াও জিডিপিতে সম্পূর্ণ পণ্য উৎপাদন ও আধুনিক সেবার অংশীদারত্ব ও ছোট অর্থনীতির প্রতিবন্ধকতা দূর করার ওপর। তবে শর্তটি বেশ ভালোভাবেই উত্তরণ করেছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের শর্ত অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে ৩২ বা তার চেয়েও কম অবস্থানে থাকতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান ২৫ দশমিক ১-এ।

১৯৭১ সাল থেকে জাতিসংঘ বাংলাদেশসহ বিশ্বের স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে আলাদা তালিকায় রেখেছে, যারা এলডিসি হিসেবে পরিচিত। এসব দেশ নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠান আংকটাডের নেতৃত্বে সম্মেলন হয়েছে। সর্বশেষ ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে এলডিসির অভিধা থেকে বের হওয়ার জন্য কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ২০২০ সাল পর্যন্ত সময় পায় দেশগুলো। ২০২০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ স্বল্পোন্নত দেশের সংখ্যা ৪৮ থেকে অর্ধেকে নামিয়ে আনার চিন্তা করছে। বাংলাদেশও ওই সময়ের মধ্যে এলডিসির খোলস ছেড়ে বের হওয়ার পরিকল্পনা করছে।

তবে বিশ্বব্যাংকের বিবেচনায়, নিম্ন আয়ের দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে বাংলাদেশ এখন নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে, যে তালিকায় রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনামসহ ৫১টি দেশ। ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বিবেচিত হবে। বিশ্বব্যাংক গত বুধবার রাতে সারা বিশ্বে একযোগে আনুষ্ঠানিকভাবে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। স্বাধীনতার পর গত ৪৪ বছর বাংলাদেশ ছিল নিম্ন আয়ের দেশের তালিকায়। যেখানে রয়েছে উগান্ডা, সিয়েরালিওন, মালিসহ ৩০টি দেশ। নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার কথা এত দিন সরকারের নীতিনির্ধারকরা মুখে মুখে বললেও এই প্রথম একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছ থেকে এ স্বীকৃত মিলল। এর মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞা অনুযায়ী মাথাপিছু মোট জাতীয় আয়ের ভিত্তিতে বিশ্বের দেশগুলোকে চার ভাগে ভাগ করা হয়। সেগুলো হলো- নিম্ন আয়ের দেশ, নিম্ন মধ্যম আয়ের, উচ্চ মধ্যম আয়ের এবং উচ্চ আয়ের দেশ। যেসব দেশের মাথাপিছু জাতীয় আয় এক হাজার ৪৫ ডলার বা তার নিচে, তাদের বলা হয় নিম্ন আয়ের দেশ। জাতীয় আয় এক হাজার ৪৬ ডলার থেকে চার হাজার ১২৫ ডলারের মধ্যে হলে সেসব দেশকে বলা হয় নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ। এত দিন বাংলাদেশের মাথাপিছু জাতীয় আয় ছিল এক হাজার ৪৫ ডলার বা তার নিচে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাময়িক হিসাবে দেশের এখন মাথাপিছু জাতীয় আয় এক হাজার ৩১৪ ডলার। এ ছাড়া যেসব দেশের মাথাপিছু জাতীয় আয় চার হাজার ১২৬ ডলার থেকে ১২ হাজার ৭৩৫ ডলারের মধ্যে সেসব দেশকে বলা হয় উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ। আর যেসব দেশের মাথাপিছু জাতীয় আয় ১২ হাজার ৭৩৬ ডলারের বেশি, সেসব দেশকে বলা হয় উচ্চ আয়ের দেশ, যে তালিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানিসহ ৮০টি দেশ।

বিশ্বব্যাংক এটলাস মেথড নামের পদ্ধতিতে মাথাপিছু জাতীয় আয় পরিমাপ করে থাকে। একটি দেশের স্থানীয় মুদ্রায় জিএনআই মার্কিন ডলারে রূপান্তর করা হয়। এ ক্ষেত্রে তিন বছরের গড় বিনিময় হারকে সমন্বয় করা হয়, যাতে করে আন্তর্জাতিক মূল্যস্ফীতি ও বিনিময় হারের ওঠা-নামা সমন্বয় করা সম্ভব হয়। পর পর তিন বছর যদি একটি দেশের জাতীয় আয় এক হাজার ৪৫ ডলারের বেশি হয়, তাহলে ওই দেশকে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা হয়। বাংলাদেশসহ কেনিয়া, মিয়ানমার ও তাজিকিস্তান গত ১ জুলাই থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। এসব দেশের মাথাপিছু জাতীয় আয় এক হাজার ৪৫ ডলারের বেশি। ১ জুলাইয়ের আগ পর্যন্ত একজন মানুষের মাসিক আয় ছিল সাত হাজার টাকার কম। এখন তা সাত হাজার টাকার সীমা অতিক্রম করেছে।

এবার জাতিসংঘের স্বীকৃতির অপেক্ষা

বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে বাংলাদেশের অগ্রগতির সনদ মিললেও জাতিসংঘ স্বীকৃত মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর হতে আরো তিন-চার বছর সময় লাগবে বলে মনে করছেন সরকারের শীর্ষ নীতিনির্ধারকরা। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে বলেছেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছে। জাতিসংঘের কাছ থেকে এই স্বীকৃতি পেতে ২০২১ পর্যন্ত সময় লাগবে না। আগামী তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশ সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিশ্বব্যাংকের মানদণ্ড অনুযায়ী বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার খবরে বেশ খুশি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গতকাল তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় রয়েছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসাটা এক ধরনের প্রমোশন ও সন্তুষ্টির বিষয়। এ ধরনের স্বীকৃতিতে আত্মগরিমা বাড়ে। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংককে আমরা কিছু বলিনি। তারা নিজে থেকেই স্বীকৃতি দিয়েছে। সে জন্য খুশি লাগছে।’

তবে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে চূড়ান্ত স্বীকৃতি দেওয়ার এখতিয়ার জাতিসংঘের- তা জানিয়ে সাংবাদিকদের আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে ঘোষণা করলেও এ বিষয়ে চূড়ান্ত স্বীকৃতি দেবে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের বোর্ড সভায় এটি অনুমোদিত হতে হবে। আর এ জন্য আরো তিন-চার বছর সময় লাগবে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বাংলাদেশ এখনো মধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি না পাওয়ার বড় কারণ বিপুল জনসংখ্যা। আয়তন বিবেচনায় জনসংখ্যা পাঁচ কোটি হলে মাথাপিছু আয়ের পরিমাণও দুই হাজার ডলার ছাড়িয়ে যেত। একই সঙ্গে মানবসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রেও অনেক অগ্রগতি অর্জন সম্ভব হতো। ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি পাবে বলে আশা করেন তিনি।

এলডিসি থেকে উত্তরণে কাজ করার জন্য গত ২২ ডিসেম্বর ‘সমন্বয় ও পরিবীক্ষণ’ কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ওই বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (কমিটি ও অর্থনৈতিক) মো. নূরুল করিম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কমিটির সভাপতি মন্ত্রিপরিষদসচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা। এ ছাড়া সরকারের আরো ২৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব ও সচিবদের ওই কমিটির সদস্য রাখা হয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যেই জাতিসংঘের ঘোষণায় মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেতে প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও চূড়ান্তকরণে কাজ করছে এই কমিটি।

জাতিসংঘের মাপকাঠি অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশসহ এলডিসিভুক্ত দেশের সংখ্যা ৪৮টি। কার্যত স্থবির উন্নয়ন প্রক্রিয়া, দারিদ্র্য হার কমানোর ক্ষেত্রে ব্যর্থতা, ঝুঁকির তীব্রতা বিবেচনায় দেশগুলোকে এ তালিকায় রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিদেশি ঋণ ও অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সংস্থা ও উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে এ ধরনের দেশকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার নীতি ও সিদ্ধান্ত রয়েছে জাতিসংঘ, ডাব্লিউটিওসহ নানা আন্তর্জাতিক সংস্থায়। কোনো রকম শুল্ক ছাড়াই বাংলাদেশ নিজেদের পণ্য রপ্তানি করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, জাপানসহ বিভিন্ন উন্নত দেশে। এ তালিকা থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর হলে এসব সুবিধা পাওয়ার অধিকার হারানোর শঙ্কা রয়েছে বাংলাদেশের সামনে। তবে কিছু উন্নয়নশীল দেশও নানা বিবেচনায় কোনো কোনো দেশে জিএসপি সুবিধা ভোগ করে। উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পরও ভয়াবহ বন্যার পর পাকিস্তানকে, সুনামির পর শ্রীলঙ্কাকে জিএসপি সুবিধা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হলে স্বল্পোন্নত দেশের প্রাপ্য বিভিন্ন সুবিধা থাকবে কি না- এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গতকাল বলেন, যত দিন পর্যন্ত জাতিসংঘের কাছ থেকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি না পাওয়া যাবে, তত দিন এসব সুবিধা থাকবে।

মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরের পরও ইউরোপীয় ইউনিয়ন যেন বাংলাদেশকে এখনকার মতোই জিএসপি সুবিধা দেয়, সে জন্য ডাব্লিউটিওর বিভিন্ন ফোরামের পাশাপাশি দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় জোর অনুরোধ করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বিভিন্ন দেশ আশ্বাসও দিচ্ছে বলে জানান তিনি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি একটা শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে গেছে। বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ স্বীকৃতি পাওয়ার পর বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। তবে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি এখনো ৬ শতাংশের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। বিনিয়োগ জিডিপির ২৮ শতাংশেই স্থবির হয়ে আছে গত কয়েক বছর। দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে উঠছে না। মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে হলে সরকারকে এসব দিকে নজর দিতে হবে। প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের ঘরে নিতে হবে। বিনিয়োগ বাড়িয়ে ৩২ শতাংশে পৌঁছাতে হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.