![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একাত্তরের কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী চট্টগ্রামের ত্রাস সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় পিতার আদর্শ ধরেই। পিতার রাজনৈতিক আদর্শ অনুসরণ করেই সাকা চৌধুরী রাজনীতি শুরু করেন মুসলিম লীগের মাধ্যমে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই মুসলিম লীগ সরাসরি পাকিস্তানের পক্ষে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নেয়। ওই সময় চট্টগ্রামের রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী, বোয়াল-খালী ও চট্টগ্রাম শহরে ধর্ষণ, লুটপাট, হিন্দুদের বাড়ি দখল এবং তাদের দেশান্তরে বাধ্য করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন সাকা চৌধুরী। সেই সময় চট্টগ্রামজুড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন মুসলিম লীগ নেতা ফজলুল কাদের (ফকা) চৌধুরীর ছেলে সাকা চৌধুরী। ট্রাইব্যুনালে বিচার চলাকালে বিভিন্ন সময়ে তার নানা দম্ভোক্তি শোনা গেছে। সাকার বিচার চলাকালে তাকে সামাল দিতে প্রসিকিউশনকে হিমশিম খেতে হয়েছে।
ফজলুল কাদের চৌধুরী ছিলেন পাকিস্তান মুসলিম লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফজলুল কাদের চৌধুরী ফকা চৌধুরী নামে পরিচিত ছিলেন। ষাটের দশকে তিনি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পীকারও হয়েছিলেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালে ফাঁসির দ-াদেশপ্রাপ্ত সাকা চৌধুরী একাত্তরের নিপীড়কের মুখোশ ঢাকতে রাজনীতিকে হাতিয়ার করেছেন। দলবদলের রাজনীতি, এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে রাখার মতো কাজগুলোর মধ্য দিয়ে সামাজিকায়নের ঘটনাও ঘটিয়েছেন তিনি। প্রসিকিউশনের দাবি, মামলা দুর্বল করতে নানাসময়ে মামলার শুরুর দিকে যোগাযোগের চেষ্টাও করা হয়েছিল। নানা প্রলোভন দেখিয়ে তিনি রক্ষা পেতে চেয়েছিলেন। সাকার রাজনৈতিক পদ ও পট-পরিবর্তনের ইতিহাসও বলে নানাসময় ধূর্ত সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে নিজেকে নিরাপদ রাখতে চেয়েছে ফাঁসির দ-প্রাপ্ত এই অপরাধী।
এমনকি তার বাবা কুখ্যাত রাজাকার ফজলুল কাদের চৌধুরীর জন্য নিজে গর্ববোধ করেন জানিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশ্য বিবৃতি দিতেও পিছ পা হননি তিনি। বলেছেন, ‘আমার পিতা অখ- পাকিস্তানের পক্ষে রাজনীতি করেছেন, তার পুত্র হিসেবে আমি গর্ববোধ করি।’ আর এই রাজাকার বাবার কারান্তরে মৃত্যুর বিচারও চেয়েছিলেন তিনি। যদিও স্বাধীনতাবিরোধী, দেশদ্রোহী যুদ্ধাপরাধী হিসেবে ফকা চৌধুরী কারান্তরীণ ছিলেন।
ফকা-সাকা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে নতুন সিংহসহ স্থানীয় অর্ধশতাধিক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত। ১৯৭১ সালে বিজয়ের দুই দিন পর সাকার বাবা ফজলুল কাদের চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের সময় লুটে নেয়া প্রায় দেড় মণ ওজনের স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের একটি নৌযানে করে পালানোর চেষ্টা করলে আনোয়ারা উপজেলার গহীরা উপকূলে ধরা পড়েন। পরে আটক অবস্থায় তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। কারান্তরীণ অবস্থাতেই তার মৃত্যু হয়। এদিকে বিচার না হওয়ার আগেই মারা যাওয়ায় সাকা নিজ বাবার এই মৃত্যুকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের চেষ্টা করেন। নিজে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আদালতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে বলেন, বাবার নামে যে অভিযোগ তার শাস্তি তাকে পেতে হচ্ছে।
সংসদ সচিবালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সাকা চৌধুরীর জন্ম ১৯৪৯ সালের ১৩ মার্চ চট্টগ্রামের রাউজান থানার গহিরা গ্রামে। রাজনীতি মুসলিম লীগ থেকে শুরু করলেও পরে জাতীয় পার্টি ও এনডিপি হয়ে বিএনপিতে যোগ দেন প্রচ- ভারতবিদ্বেষী এই রাজনীতিক। ট্রাইব্যুনালে মামলা চলাকালে বিচারককে তিনি বলেছিলেন, ‘কলকাতার জেলে পাঠাবেন না।’ প্রকাশ্যে তার মুখ থেকে কখনও ‘ভারত’ বা ‘ইন্ডিয়া’ শোনা যায়নি। তিনি সব সময়ই বলতেন ‘হিন্দুস্তান’।
সাকা চৌধুরী পাকিস্তানের পাঞ্জাবের সাদিক পাবলিক স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ঢাকার নটর ডেম কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। এরপর আবার উচ্চশিক্ষা গ্রহণে পাকিস্তানে যান তিনি। পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএ (অনার্স) ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি লন্ডন ইউনিভার্সিটিতে আইনে পড়া শুরু করলেও তা শেষ না করেই দেশে ফিরে আসেন ১৯৭৩ সালে তার বাবার মৃত্যুর পর।
নবম সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় সাকা চৌধুরী শিক্ষাগত যোগ্যতা ‘নেই’ উল্লেখ করলে ‘অসত্য তথ্য’ দেয়ার কারণে পরে তার সদস্যপদ খারিজের উদ্যোগ নেয় নির্বাচন কমিশন। তবে ‘আইনী সীমাবদ্ধতার’ কারণে বিষয়টি আর এগোয়নি। সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী, দুই ছেলে ফজলুল কাদের চৌধুরী ও হুম্মাম কাদের চৌধুরী এবং মেয়ে ফারজিন কাদের চৌধুরী।
একাত্তরের অপরাধের জন্য বিতর্কিত এই রাজনীতিক স্বাধীন বাংলাদেশেও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমেই এই যুদ্ধাপরাধী ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৭৯ সালে মুসলিম লীগ থেকে রাউজানের সাংসদ নির্বাচিত হন। সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সময়ে তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে মূলধারার রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হন। ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টি থেকে নিজের এলাকা রাউজান থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন সাকা। কিন্তু পরে এরশাদ তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেন। এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালে তিনি নির্বাচন করেন নিজের গঠন করা দল এনডিপি থেকে। পুনরায় রাউজানের এমপি হন।
কিছুদিন পর এনডিপি বিএনপির সঙ্গে একীভূত হয়ে যায় এবং ১৯৯৬ সালে বিএনপির সাংসদ নির্বাচিত হন সালাউদ্দিন। পরের নির্বাচনে ২০০১ সালে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থেকে। অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন সাকা চৌধুরী। এরশাদের শাসনামলে বিভিন্ন সময়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন এই কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী। সর্বশেষ ২০০৮ সালের র্নিবাচনে রাঙ্গুনিয়া ও ফটিকছড়ি থেকে অংশ নেন সাকা। রাঙ্গুনিয়াতে হেরে গেলেও ফটিকছড়ি অর্থাৎ চট্টগ্রাম-২ আসন থেকে বিএনপির সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি।
ফকা চৌধুরীর চার ছেলের মধ্যে সাকা চৌধুরীই সবার বড়। তার সেজ ভাই গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি। অপর দুই ভাইয়ের মধ্যে প্রয়াত সাইফুদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামাল উদ্দিন কাদের চৌধুরী রাজনীতিতে সারসরি যুক্ত ছিলেন না। আত্মীয়তা ও পারিবারিক রাজনৈতিক ইতিহাসের সূত্রে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার ফলে নানা নাটকীয় ঘটনার জন্ম দেয়ার পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ‘অশালীন’ মন্তব্য করে আলোচনা ও নিন্দা কুড়ান তিনি। বিএনপিতে থেকেও দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানকে নিয়ে মন্তব্য করে সমালোচিত হন দলের ভেতরেই।
হরতালে গাড়ি পোড়ানোর একটি মামলায় ২০১০ সালের বিজয় দিবসের সকালে সাকাকে আটক করা হলেও একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয় ১৯ ডিসেম্বর। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন ২০১১ সালের ১৪ নবেম্বর সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দিলে ১৮ নবেম্বর তা আমলে নেন বিচারক। এরপর ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের ২৩টি ঘটনায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু হয়। প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ওই বছর ৩ মে শুরু হয় এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ।
২০১৩ সালের ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রাউজানে কু-েশ্বরী ঔষধালয়ের মালিক নূতন চন্দ্র সিংহকে হত্যা, সুলতানপুর ও ঊনসত্তরপাড়ায় হিন্দু বসতিতে গণহত্যা এবং হাটহাজারীর আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজাফফর ও তার ছেলে শেখ আলমগীরকে অপহরণ করে খুনের দায়ে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ-ের আদেশ দেয়। ট্রাইব্যুনালের এ রায় সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগও বহাল রেখে চূড়ান্ত রায় দিয়েছে।
সাকার যত দম্ভোক্তি ॥ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্যতম আলোচিত মামলা ছিল সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাটি। বিচার চলাকালে নানা মন্তব্য ও বক্তব্য দিয়ে সব সময় আলোচনায় থাকতে চেয়েছেন সাকা চৌধুরী। বিচারকের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, আসামির কাঠগড়ায় বসে বিচারকাজে হস্তক্ষেপ, সাক্ষী ও চলমান রাজনীতি নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করা, বিচার চলাকালে বারবার সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে চাওয়ার আবদার, আইনজীবীকে বাদ দিয়ে নিজেই মামলা পরিচালনা করতে চাওয়া, চট্টগ্রাম থেকে আইনজীবী নিয়ে আসা, বিচার চলাকালে এজলাসে এমন বহু ঘটনার জন্ম দিয়েছেন তিনি। প্রসিকিউশন হিমশিম খেয়েছে তাকে সামাল দিতে।
প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম বলেন, ‘বিচার চলাকালে সালাউদ্দিনের উপস্থিতি একই সঙ্গে নটরিয়াস আর উদ্ধত ছিল। সে মনেই করত না তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে এবং সে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দ-িত হবে। এমনকি ট্রাইব্যুনালের রায়ের দিন, বিচারকদের রায় পাঠের পুরোটা সময় সে বিদ্রƒপাত্মক নানা ভঙ্গিতে তীর্যক মন্তব্য করায় মত্ত ছিল।’
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে চট্টগ্রামে হিন্দু ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী-সমর্থক নিধনে অংশ নেয়া এবং নির্যাতন কেন্দ্র হামলা চালানোর অপরাধে ট্রাইব্যুনাল সাকা চৌধুরীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ-ের আদেশ দেয়ার পর হেসে দিয়ে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, ‘উই আর সারপ্রাইজড।’ ট্রাইব্যুনালে বিচারক যখন রায়ের শুরুর অংশ পড়ছিলেন তখন কাঠগড়া থেকেই উচ্চস্বরে সালাউদ্দিন বলে উঠেন- ‘রায়তো কাল ইন্টারনেটেই পড়ে ফেলা গেছে, এখন আর এসব পড়ে কী হবে? চলেন বাড়িত যাই।’
ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার সময় একপর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের কথা বলা হলে সাকা কাঠগড়া থেকেই বলেন- ‘মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মারা গেছে। তার মধ্যে ২০ লাখ আমি মারছি বলে দিলেইতো হয়।’ রায়ের ধারাবাহিকতায় কোন অভিযোগে তিনি দোষী বা দোষী নাÑ সে অংশ পড়া শুরু হলে সাকা বলে ওঠেন, ‘দিয়ে দাও ফাঁসি তাড়াতাড়ি।’ এ সময় সাকার স্ত্রী বলে উঠেন, ‘একটায় দাও, তিনটায় দাও, আর ৯টায় দাও, ফাঁসিতো দিবাই।’ রায়ে ১৯৭৩ সালের আইনের কথা বলা হলে সাকা জোরে বলে উঠেন, ‘কিসের ৭৩ সালের আইন। এটা ২০০৯ সালে হইছে। সেটাতে ভূতাপেক্ষা কার্যকর দেয়া হয় নাই।’ বিচারের পুরো সময়ই সাকা বারবারই বলতে থাকেন, ‘এই আইনতো আমি করছি, আমি পাস করাইছি, ফাঁকফোকর ক্যামনে বাইর করতেছেন সেটা কতটা অন্যায় তা তো আমি জানি।’ মামলার অন্যতম সাক্ষী নূতন চন্দ্রকে রায়ের একটি অংশে ‘জনপ্রিয়’ উল্লেখ করা হলে সাকা বলে উঠেন, ‘হ্যাঁ, জনপ্রিয়। তবে মদ বেচত।’ ট্রাইব্যুনাল পুরো রায় পাঠের সময়ে প্রতিটা শব্দের বিপরীতে কথা বলে গেছেন এই অপরাধী। এই দিনই ছিল আদালতে আসার তার শেষ সুযোগ।
কেবল সাকাই নয়, তার পরিবারের সদস্যরাও পুরো বিচারপ্রক্রিয়ার সময় আদালতে উপস্থিত থেকে হাসি-ঠাট্টা মশকরায় মেতে থাকতেন। ‘এই ট্রাইব্যুনাল দলীয়’, ‘সাকা চৌধুরীর বিচার হচ্ছে কেবল রাজনৈতিক কারণে’, ‘এই ট্রাইব্যুনাল থাকবে না’- এ ধরনের কথা একাধিকবার গণমাধ্যমে বলার চেষ্টা করেছেন তারা। দৈনিক জনকণ্ঠ, ৩০ জুলাই ২০১৫
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৪৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলা আবর্জনা-মুক্ত হচ্ছে