নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বঙ্গবন্ধু ইজ বঙ্গবন্ধু

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৪০

বিনম্র শ্রদ্ধা, গভীর শোক এবং হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসায় বাঙালি জাতি ১৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেছে। একই সঙ্গে যথাযথ মর্যাদা এবং ভাবগম্ভীর পরিবেশে সারাদেশে পালিত হয়েছে মহান নেতার ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। নানা পথ-মত ও শ্রেণী-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন স্বাধীনতার মহানায়ককে। পিতা হত্যার ৪০ বছর পর আবারো প্রমাণিত হলো 'জীবিত মুজিবের চেয়ে মৃত মুজিব অনেক বেশি শক্তিশালী। মুজিব বাংলার_ বাংলা মুজিবের। বাংলাদেশ ও শেখ মুজিব একে অপরের পরিপূরক।' সত্যিকার অর্থেই 'মুজিবের তুলনা মুজিব নিজেই।' মুজিবের ৭ মার্চের ভাষণ সমগ্র জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। শত বছর পরে হলেও ৭ মার্চের ইতিহাস সৃষ্টিকারী ভাষণ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। শত্রুর কারাগারে বন্দী থাকা সত্ত্বেও শেখ মুজিবই ছিলেন স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনাকারী সরকারের রাষ্ট্রপতি। পাকিস্তানের কারাগার থেকেই তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন। অনুপস্থিত সেনাপতির এমন অলৌকিক নেতৃত্ব ইতিহাসে নজিরবিহীন। মুজিবের নামেই পরিচালিত হয়েছে স্বাধীনতা যুদ্ধ। মুক্তিযোদ্ধারা জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলে হাসতে হাসতে জীবন দিয়েছেন।বাঙালির শতবর্ষের ইতিহাসে গৌরবময় অর্জন হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ভারত-পাকিস্তানের মতো আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়নি। এই স্বাধীনতার জন্য শত বছর পূর্বে মাস্টারদা সূর্যসেন, প্রীতিলতা, ক্ষুদিরামসহ আরো অনেকে ফাঁসিতে জীবনদান করে গেছেন। অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়েই ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ হয়েছিল। ২৩ জুন পলাশীর যুদ্ধে মীরজাফর গংদের বিশ্বাসঘাতকতায় নবাব সিরাজুদ্দৌলাহ পরাজিত হলে বাংলার স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত হয়। পলাশীর পরাজয়ের ২১৪ বছর পর ১৯৭১ সালে বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীন আবাসভূমি স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত ২৩ বছরের আন্দোলন সংগ্রামেও শত শত মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। তবে ১৯৭১ সালে শুধু ৯ মাসের সশস্ত্র স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন এবং ৪ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি ঘটেছে। ঐ সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের এদেশীয় নিজামী চক্র হাজার হাজার বাড়িঘর জ্বালিয়ে ছাই করে দিয়েছে। তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে চার দশকেও স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের সঠিক সংখ্যা নিরূপণ করা হয়নি।স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস গৌরবের। '৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মধ্যে দুর্ধর্ষ সামরিক বাহিনী হিসেবে পরিচিত প্রবল পরাক্রমশালী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ৯৩ হাজার সেনা সদস্য বাংলার দামাল মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। মুক্তিযোদ্ধারা জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলে সম্মুখ সমরে হাসতে হাসতে জীবন দিয়েছেন। একাত্তর বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে এক গৌরবময় হিরণ্ময় সময়। সে সময় সাড়ে সাত কোটি বাঙালি শেখ মুজিবের নেতৃত্বে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন, এ ধরনের ঐক্যের কোনো দ্বিতীয় উদাহরণ হাজার বছরের ইতিহাসে খুঁজে পাওয়া যাবে না। ২৭ বছরের যুবক শেখ মুজিব ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেন। আর সেই মুজিব আমেরিকা, চীনসহ বহু রাষ্ট্রের বিরোধিতা সত্ত্বেও মাত্র ২৩ বছরের মাথায় পাকিস্তান ভেঙে চুরমার করে দিলেন। মুজিবের অতিমানবীয় নেতৃত্ব বাঙালি জাতিকে শুধু ঐক্যবদ্ধ করেনি, বাঙালিকে বীরের জাতিতে পরিণত করে।পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে কথা বলার মতো দেশে কোনো বিরোধী দল ছিল না। এই পরিস্থিতিতে যুব নেতা শেখ মুজিব পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার ৪ মাস পর ১৯৪৮-এর ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে ছাত্রলীগের মাধ্যমে মুজিব বাংলার স্বাধিকার আন্দোলনকে ধীরে ধীরে কিভাবে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিয়ে গেছেন। এই বাঙালি নেতা পূর্ব পাকিস্তানকে সব সময় পূর্ববাংলা নামে উল্লেখ করেছেন। পাকিস্তান পার্লামেন্ট এমএনএ হিসেবে তিনি সব সময় পূর্ব বাংলার বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন। পূর্ব পাকিস্তানকে (পূর্ব বাংলা) সময় মতো তিনি যে স্বাধীন করতে চান, তা আকারে ইঙ্গিতে সব সময় বুঝিয়ে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, প্রথিতযশা দেশপ্রেমিক সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার মৃত্যুর পর তাকে ৩ নেতার কবরের পাশে দাফনের জন্য জায়গা দিতে পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক শাসককে টেলিফোনে শেখ মুজিব অনুরোধ করেছিলেন। গাফফার চৌধুরীর লেখা থেকে জানা যায়, কবরের জায়গা দিতে অস্বীকার করায় উত্তেজিত মুজিব পাকিস্তানি সামরিক কর্তৃপক্ষকে পরোক্ষভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, 'বুঝলাম পূর্ব বাংলা স্বাধীন দেশ নয়। এ দেশকে স্বাধীন দেশে পরিণত করতে হবে।' ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার লেখা থেকে জানা যায়, খাবার টেবিলে বঙ্গবন্ধু একবার বলেছিলেন, 'কোনোদিন সুযোগ হলে কবিগুরুর আমার সোনার বাংলা গানকে স্বাধীন দেশের জাতীয় সঙ্গীত করবো।' একাত্তরের ৩ মার্চ পল্টনে ছাত্রলীগের জনসভায় বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে সুপরিকল্পিত পূর্ব সিদ্ধান্ত থেকেই কবি গুরুর গানকে জাতীয় সঙ্গীত নির্ধারণ করা হয়েছিল। ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের নামকরণ করেন বঙ্গবন্ধু মুজিব। তিন নেতার মাজার প্রাঙ্গণে সোহরাওয়ার্দীর স্মরণসভায় মুজিব বলেন, "এক সময় এ দেশের বুক হতে_ মানচিত্রের পৃষ্ঠা হতে 'বাংলা' কথাটি সর্বশেষ চিহ্নটুকু চিরতরে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। একমাত্র বঙ্গোপসাগর ছাড়া কোনো কিছুর নামের সঙ্গে বাংলা কথাটির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। বাংলা বা বাঙালির অবিসংবাদিত গণনায়ক শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেরে বাংলার প্রতিও অমার্জনীয় অবজ্ঞা প্রদর্শিত হয়েছে। বাংলার এই দুই কৃতী সন্তান আজ অসহায়ের মতো আমাদের মুখের দিকে তাকিয়ে আছেন। এই দুই নেতার মাজারের পাশে দাঁড়িয়ে জনগণের পক্ষ থেকে আমি ঘোষণা করছি, "আজ হতে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশটির নাম হবে পূর্ব পাকিস্তানের পরিবর্তে শুধুমাত্র বাংলাদেশ।"'৭০-এর ডিসেম্বরে নির্বাচনের আগে ১২ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে দক্ষিণাঞ্চলে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। সপ্তাহব্যাপী ঘূর্ণিদুর্গত অঞ্চল ঘুরে ২৬ নভেম্বর ঢাকায় এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে বিদ্রোহী বাংলার বিদ্রোহী মুজিব এক পর্যায়ে স্পষ্ট ভাষায় বলেন, "বাংলাদেশ আজ জেগেছে। বানচাল করা না হলে বাংলার মানুষ নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের রায় ঘোষণা করবে। আর যদি নির্বাচন বানচাল করা হয়, ঘূর্ণিঝড় ও সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে নিহত দশ লাখ লোক আমাদের ওপর যে দায়িত্ব অর্পণ করে গেছে, তা সম্পাদনের জন্য স্বাধীন দেশের নাগরিকের মতো বাঁচার জন্য এবং আমরা যাতে নিজেরাই নিজেদের ভাগ্য নিয়ন্তা হতে পারি, এর জন্য প্রয়োজনবোধে আরো দশ লাখ বাঙালি প্রাণ বিসর্জন দেবে।" এ সময় একজন বিদেশি সাংবাদিক জানতে চান, এই উক্তির মাধ্যমে কি আপনি পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ সৃষ্টির কথা বলছেন? ত্বরিৎ উত্তরে সাহসের বরপুত্র জাতীয় নেতা মুজিব বলেন, ্তুঘড়ঃ ুবঃ্থ (এখনই নয়)। অর্থাৎ এই বক্তব্যের মাধ্যমে শেখ মুজিব বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিলেন, প্রয়োজনে তিনি স্বাধীনতার ডাক দেবেন। '৭১-এর ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিব '৬৯-এর ২৬ নভেম্বরের রেশ ধরেই আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে বলেছিলেন, "বাংলার মানুষকে আর দাবায়া রাখতে পারবা না। রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেবো, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ। এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।"রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, স্বাধীনতা সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করার জন্যই '৬৬ সালে শেখ মুজিব ৬ দফা দিয়েছিলেন। আইয়ুব-ভুট্টোসহ পশ্চিমা সামরিক চক্র ৬ দফার অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য বুঝেই মুজিবকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে আখ্যায়িত করেছিল। আর শেখ মুজিবও জানতেন, "ওরা ৬ দফা মানবে না আর তখনই ৬ দফা এক দফায় পরিণত হবে।" একইভাবে সামরিক বিধির বেড়াজালে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের অনেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিপক্ষে ছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু নির্বাচনে অংশ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে বলেছিলেন, 'নির্বাচনে অংশ না নিলে বাংলার মানুষের পক্ষে কথা বলার অধিকার অর্জন করা যাবে না।' তিনি এও জানতেন, "নির্বাচনে বাংলার মানুষ তাকে ও তার দলের পক্ষে রায় দেবেন। নির্বাচনী ফলাফল মেনে না নিলে বাঙালি জাতি ব্যালটের রায় রক্ষার জন্য বুলেট হাতে নেবে।" পরবর্তীকালে মুজিবের ভবিষ্যদ্বাণী অক্ষরে অক্ষরে সঠিক প্রমাণিত হয়েছিল।মার্কিন কূটনৈতিক অ্যার্চার বস্নাড তার গ্রন্থে লিখেছেন শেখ মুজিব ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের 'মুকুটহীন সম্রাট।' মুজিব ১৯৬৯-এর জুনেই বস্নাডকে বলেছিলেন, 'সামরিক বাহিনী যদি আমাকে বাধা দেয় তাহলে আমি স্বাধীনতা ঘোষণা করে গেরিলা যুদ্ধের ডাক দেবো।" ঐতিহাসিকদের মতে, সত্তরের নির্বাচনই হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল ভিত্তি। এ নির্বাচনে পূর্ব বাংলার ১৬৯ আসনের মধ্যে ১৬৭টি পেয়ে মুজিবের দল পাকিস্তান পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। তাছাড়া প্রাদেশিক নির্বাচনে পূর্ব বাংলায় ৩০০ আসনের মধ্যে তার দল ২৮৮ আসন পায়। এমনিভাবে ৭ ডিসেম্বর ও ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচনে পূর্ব বাংলার জনগণের শতকরা ৯৮ ভাগ মানুষের সমর্থন পেয়ে আওয়ামী লীগ ও শেখ মুজিব পূর্ব বাংলার জনগণের একমাত্র মুখপাত্র হয়ে গেলেন।'৭১-এর ১ মার্চ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান যখন ৩ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠেয় জাতীয় পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশন স্থগিত করেন, মূলত পাকিস্তান সেদিনই ভেঙে যায়। এরপর ১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগ স্বাধীন বাংলাদেশ পরিচালনা করেন। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দেন। তিনি বলেন, 'আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি, তোমরা রাস্তাঘাট বন্ধ করে দিও।' 'আমরা ভাতে মারবো, পানিতে পারবো বলে তিনি গেরিলা যুদ্ধের দিক-নির্দেশনা দেন। ১৫ মার্চ স্বাধীন দেশের সরকার প্রধানের মতো বঙ্গবন্ধু ৩৫টি নির্দেশ জারি করেন। ২৩ মার্চ ৩২ বম্বরের বাসভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু করলে ২৫ মার্চ রাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তিনি ৯ মাস অনুস্থিত থাকলেও তার নামেই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয় মনীষী আবুল ফজল বলেছেন, "অনুপস্থিত সেনাপতির এমন সেনাপতিত্ব সত্যিই অভিনব, ইতিহাসে এমন নজির বিরল।'স্বাধীনতাবিরোধীরা যাই বলুক, ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, 'শেখ মুজিব ঘুমন্ত জাতির জাগরণের জন্য জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত ব্যয় করেছেন। দেশ ও জাতিকে তিনি আত্মশক্তিতে বীর্যবান করে স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। শেখ মুজিবের অপরিসীম আত্মত্যাগের ফসলই হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশ। শেখ মুজিব ও বাংলাদেশ একে অপরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। একটিকে বাদ দিয়ে অপরটিকে কল্পনা করা যায় না।" প্রফেসর মোঃ আবু নসর লিখেছেন, "বঙ্গবন্ধু ছিলেন স্বাধীনতার প্রতীক ও জাতীয় বীর। তিনি ছিলেন খাঁটি দেশপ্রেমিক। তিনি বাংলার জন্য, বাংলার মাটির জন্য, বাংলার মানুষের জন্য অকাতরে নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলেন। বাংলার জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য তার আত্মার অস্তিত্ব ছিল সর্বদা নিবেদিত ও উৎসর্গকৃত। রাজনীতিতে আদর্শ ও মূল্যবোধের চর্চায় এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব বঙ্গবন্ধু। অন্যান্য রাজনীতিবিদদের তিনি রোল মডেল। তাই ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু একটি হিরণ্ময় নাম।"১৭ আগস্ট, ২০১৫।[লেখক মোহাম্মদ শাহজাহান: সম্পাদক, সাপ্তাহিক বাংলাবার্তা]

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:০৩

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা রইল বাঙালি জাতির শ্রেস্ঠনেতা বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবরহমানের প্রতি ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.