![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) প্রকাশিত দুর্নীতির ধারণা সূচক-২০১৬ (সিপিআই) অনুযায়ী দুর্নীতি কমে দুই ধাপ অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশের। সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ২৬। তালিকায় নিম্নক্রম অনুযায়ী ১৭৬ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫তম, যা গত বছরে ১৬৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থা ছিল ১৩তম। টিআইর সূচকে সোমালিয়া সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ। গতকাল বুধবার সকালে ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছর একই স্কোর পেয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে তালিকায় নিম্নক্রম অনুযায়ী পঞ্চদশ অবস্থানে সম্মিলিতভাবে আরো রয়েছে ক্যামেরুন, গাম্বিয়া, কেনিয়া, মাদারগাস্কা ও নিকারাগুয়া। এ বছর ঊর্ধ্বক্রম অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৫তম। এর আগে ২০১৪ সালে ১৭৫টি দেশের মধ্য বাংলাদেশের অবস্থান ১৪তম, ২০১৩ সালে ১৬তম এবং ২০১২ সালে ১৩তম, ২০১১ সালে ১৩তম স্থানে ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, ৯০ স্কোর পেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষে যৌথভাবে অবস্থান করছে ডেনমার্ক ও নিউজিল্যান্ড। ৮৯ স্কোর পেয়ে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফিনল্যান্ড এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সুইডেন যার স্কোর ৮৮। ১০ স্কোর পেয়ে ২০১৬ সালে তালিকায় সর্বনি¤œ অবস্থানে রয়েছে সোমালিয়া। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপার্সন এডভোকেট সুলতানা কামাল, ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারপার্সন এম হাফিজউদ্দিন খান, সদস্য সুমাইয়া খায়ের প্রমুখ।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ২০১২ সালেও বাংলাদেশের স্কোর ২৬ ছিল। সূচক অনুযায়ী বৈশ্বিক গড় ৪৩ হওয়ায় এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শুধুমাত্র আফগানিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় সর্বনিম্ন হওয়ার প্রেক্ষাপটে বলা যায় বাংলাদেশের দুর্নীতির পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে মনে করা হচ্ছে যে, বাংলাদেশের আইনী, প্রাতিষ্ঠানিক ও নীতি কাঠামো তুলনামূলকভাবে সুদৃঢ়তর হয়েছে এই ধারণা থেকে সূচকে বাংলাদেশের স্কোর এক বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু প্রয়োগের ঘাটতির কারণে আমরা আরো ভালো করতে পারিনি।
তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জোরালো রাজনৈতিক ভূমিকা গ্রহণের পাশাপাশি আইনের শাসন এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতকল্পে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে যে কোন ধরনের প্রভাবমুক্ত থেকে স্বাধীন ও কার্যকরভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। একইসাথে জবাবদিহিতার জন্য শক্তিশালী দাবি উত্থাপনে গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও বেসরকারি সংস্থাসহ আপামর জনগণের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
সুলতানা কামাল বলেন, এবারের স্কোর আমাদের এতটুকু স্বস্তি দিচ্ছে যে আমরা আগের চেয়ে আরো নিচে নেমে যাইনি। আমাদের অবস্থান কিছুটা ভালো হয়েছে। কিন্তু এতে আমাদের দুর্নীতিবিরোধী যে সংগ্রাম বা অবস্থান তাকে লঘু করে দেখার সুযোগ নেই। কারণ এখনো আমরা খুশি হওয়ার মত অবস্থানে যেতে পারিনি। এজন্য দুর্নীতিবিরোধী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসমূহকে শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনকে আরো বেগবান করতে হবে। তিনি বলেন, ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের স্বার্থে সরকারি পদমর্যাদার অপব্যবহার করা হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০২
চাঁদগাজী বলেছেন:
তা'হলে বুঝতে হচ্ছে যে, মানুষের হাতে আর কিছুই অবশিস্ট নেই