নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতিহাস সৃষ্টি করছে আওয়ামী লীগ

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫৩

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগপ্রধান শেখ হাসিনা জাতীয় জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করে জাতির উদ্দেশে নির্বাচনী ইশতেহার উপস্থাপন করেছিলেন। তখন বিষয়টি অনেকের কাছেই কথার কথার মতো শুনিয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতাগ্রহণের পর শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তীকে উপলক্ষ করে ২০২১ সালকে প্রচারে এনেছিলেন, বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে কৃষি, শিল্প, বিদ্যুৎ, রেমিট্যান্স, শিক্ষা ইত্যাদি খাতে উন্নয়ন ঘটাতে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে থাকেন। এরই মধ্যে বাংলাদেশ এর সুফল পেতে শুরু করেছে, বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে প্রবেশ করেছে, মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে। এখন ২০২১ সালের মধ্যে স্থিতিশীল উন্নয়ন ঘটিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
একসময় এসব লক্ষ্য নির্ধারণের কথা খুব বেশি বিশ্বাস করা হতো না; কিন্তু এখন সেই ধারণা পাল্টে গেছে, বিশ্বাস করা হচ্ছে এবং এভাবেই প্রকৃত উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব বলে প্রমাণিত হচ্ছে। আসলে দেশ ও জনগণের জন্য যেসব রাজনৈতিক নেতা কাজ করেছেন, সংগ্রাম ও ত্যাগ করেছেন, তাঁরা জাতীয় ঐতিহাসিক প্রয়োজনীয়তাকে উপলব্ধি করে কর্মসূচি নির্ধারণ করেছেন, লক্ষ্য স্থির করে সেভাবেই রাজনীতি করেছেন। এ ধরনের রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে দেশ ও জাতি লাভবান হয়েছে। এঁরাই হচ্ছেন দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ নেতা। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির জন্য স্বাধীনতার লক্ষ্য স্থির করেছিলেন, ১৯৬৬ সালে ছয় দফা প্রদান করে তিনি লক্ষ্য বাস্তবায়নে বড় ধরনের মাইলফলক স্থাপন করেন। এখান থেকেই ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা সে লক্ষ্যেই পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে তৈরি করেছিলেন এবং নেতৃত্ব প্রদান করেছিলেন। এর ফল হচ্ছে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন। স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে আধুনিক চরিত্রদানের লক্ষ্য নিয়ে তিনি একের পর এক প্রতিকূলতা অতিক্রম করে অগ্রসর হচ্ছিলেন। প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্যাভিমুখী যাত্রার শেষ গন্তব্য সম্পর্কে বুঝতে পেরেই রক্তাক্ত আগস্ট-নভেম্বর ঘটিয়েছিল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিয়ে সাম্প্রদায়িক পাকিস্তানি ভাবাদর্শে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করে। সেই থেকে বাংলাদেশের গতিপথ নির্ধারিত হয়েছিল সাম্প্রদায়িক ভাবাদর্শের রাষ্ট্রব্যবস্থার দিকে। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা প্রথম সরকার গঠনের সুযোগ পেয়ে বাংলাদেশকে আবার মুক্তিযুদ্ধের ধারায় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিলেন। দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে উদার ও কল্যাণবাদী আর্থ-সামাজিক লক্ষ্যাভিমুখী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন শুরু করেছিলেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি শেখ হাসিনার লক্ষ্যাভিমুখী যাত্রা সম্পর্কে বুঝতে পেরে জোটবদ্ধ হয়, দেশি-বিদেশি নানা মহলের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে অনেকেই পা দেয়, ২০০১ সালের নির্বাচন এবং নির্বাচন-পরবর্তী পাঁচ বছর ছিল ১৯৯৬-২০০১ সালে সূচিত ধারাকে উল্টে দেওয়ার, ২১ আগস্টও সেই পরিকল্পনা থেকেই সংঘটিত হয়েছিল। সুতরাং বাংলাদেশে দুটি পরস্পরবিরোধী ধারার রাজনীতি এবং ভাবাদর্শের লড়াই অবিরত চলছে। সেই লড়াইয়ে শেখ হাসিনা ১৯৯৬-২০০১ এবং ২০০৯-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনানির্ভর কল্যাণবাদী অর্থনীতির ধারায় এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্য পূরণ করে চলছেন। খুব গভীর রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণ এবং বিশ্লেষণ দিয়েই বিষয়টি বোঝা ও উপলব্ধি করতে হবে। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর মতো ভিশনারি-মিশনারি নেতা—এ কথা ঢোল পিটিয়ে কাউকে বিশ্বাস করাতে হবে বলে মনে করি না।
শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দলের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দলকে পুনরুজ্জীবিত করেছেন। দলের ভেতরে-বাইরে নানা চড়াই-উতরাই পার হয়েই তাঁকে রাজনীতিতে নিজের জায়গা নির্মাণ করতে হয়েছে। পিতা তাঁর দীক্ষাগুরু হলেও নিজেকে দেশ, জাতি ও বিশ্ববাস্তবতা সম্পর্কে প্রচুর জানতে হয়েছে, শিখতে হয়েছে। এদিক থেকে বলতে হবে তিনি নিজেকে গড়তে কঠোর পরিশ্রম করেছেন, অধ্যয়ন করেছেন, এখনো করছেন। এভাবেই তিনি আজকের জায়গায় পৌঁছতে সক্ষম হয়েছেন। একজন সৃজনশীল রাজনীতির পথ এমনই। আওয়ামী লীগ সৌভাগ্যবান। দলটির জন্ম থেকেই দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ লক্ষ্যাভিমুখী নেতাদের নিয়ে একের পর এক, বছর, দশক ও যুগের পর যুগ পার করতে পেরেছে। জনবান্ধব রাজনীতির কারণে এর প্রতি বৃহত্তর মানুষের যেমন আস্থা তৈরি হয়েছে, আবার জনবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্রের শিকারও দলটিকে হতে হয়েছে। পঞ্চাশ-ষাটের দশকে সেই দুর্গম গিরি দলটিকে পার হতে হয়েছিল, আবার পুনরুজ্জীবনও ঘটেছে। ১৯৭৫-পরবর্তী সময়ে প্রথমে দলটিকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল ষড়যন্ত্রকারীদের। এরপর ভাঙাচোরাভাবে নানা নামে রাখার চেষ্টা হয়েছিল, তারপর ১৯৮১-পরবর্তী সময়ে নতুন করে পুনরুজ্জীবনের সংগ্রাম শুরু হয়। ১৯৯৬ সালে দল ক্ষমতায় আসার পর এর আসল রূপটি প্রকাশিত হলেই নতুন করে ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা শুরু হয়। তা থেকেই ২০০১-২০০৮ সালের হত্যা, খুন, নির্যাতন ও দেশছাড়া করার কূটকৌশল, আওয়ামী লীগকে পঙ্গু করে দেওয়া ইত্যাদি ঘটে।
সেই ষড়যন্ত্র এখন থেমে গেছে, তেমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই। বিশেষত ২০০৯-পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, দেশের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশকে তুলে ধরা ইত্যাদিতে যে সাফল্য দেখিয়েছেন, তখন থেকেই তাঁকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র, উৎখাতের ষড়যন্ত্র ক্রমাগত হয়ে চলছে। শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনায় লক্ষ্যাভিমুখী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছেন—এটি তাঁর রাষ্ট্র-রাজনীতির পরিপক্বতার বিষয়। সেটি বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে উদ্ভাসিত করেছে। তাতে দৃশ্যত আপ্লুত হয়ে অনেকেই এখন দলে ভিড়ছে, দলও ভারী হচ্ছে। এখন যখনই কোথাও কিছু চাওয়া-পাওয়ার সুযোগ ঘটে, সেখানে সবাই নিজেকে আওয়ামী পরিবারের বলে দাবি করে, এমনকি নিজেদের আওয়ামী পরিবারের রক্তের ডিএনএ টেস্ট সনদও হাজির করে থাকে। এটি আওয়ামী লীগের জন্য কতটা সুখের, নাকি ভয়ের, তা নিয়ে রাজনীতি সচেতন মহলের ভয় বা আশঙ্কা রয়েছে। আওয়ামী লীগের সভা-সমাবেশে সদলবলে তাদের উপস্থিত হওয়ার বিষয়টি দৃশ্যমান; কিন্তু অনেকেই আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে অনেক কিছু আদায় করে নিচ্ছে, যা মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়। আওয়ামী লীগের এখন সেদিক থেকে এক ধরনের সুদিন এসেছে, এটা কতটা সুসংবাদ জানি না। তবে দলের এই সুদিনকে কাজে লাগিয়ে সুবিধাবাদীরা দলকে জননিন্দিত করতে মোটেও কসুর করছে না, এটি নেতাদের বুঝতে হবে। আওয়ামী লীগের দুর্দিনে যাঁরা হাল ধরেছিলেন, যাঁরা চরম প্রতিকূল অবস্থায় আদর্শকে ধরে রেখেছিলেন, তাঁদের দলের তৃণমূল থেকে ওপর পর্যন্ত মূল্যায়নে রাখার কোনো বিকল্প আওয়ামী লীগের জন্য নেই। এখন যারা আওয়ামী লীগে আসছে তাদের দলের আদর্শ, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য বাস্তবায়নে তৈরি করার পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে নেতাদেরই। যাঁরা দলের কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা ও গ্রাম পর্যায়ের নেতৃত্ব পেয়েছেন তাঁরা যদি সেভাবে দলে আদর্শের প্রতি আস্থাশীল নবাগতদের অবস্থান নির্ধারণ না করতে পারেন, তাহলে সর্বত্র সুবিধাবাদীদের অনুপ্রবেশ, বাড়াবাড়ি, শক্তি ও অর্থবিত্তের প্রভাব বিস্তার ছাড়া আওয়ামী লীগের আদর্শের বাস্তবায়ন ঘটার কোনো কারণ নেই। এখন বিএনপি সে রকম সংকটেই রয়েছে।
বিএনপির মতো বড় দলের দুর্দশা দেখে আওয়ামী লীগকে সতর্ক থাকতে হবে। দেশে এই সময়ে আওয়ামীবিরোধী রাজনীতি কিছুটা সমস্যায় রয়েছে। তাদের কৌশলগত ভুল ও শেখ হাসিনাকে অবমূল্যায়নের কারণেই এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। ২০১৩-১৬ সালে তাদের রাজনৈতিক কৌশল তাদের অনেকটাই জনবিচ্ছিন্ন ও বিদেশি বন্ধুবিচ্ছিন্ন করেছে। এ পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের সম্মুখে আওয়ামী লীগের দলীয় রাজনৈতিক দর্শন যথাযথভাবে উপস্থাপন করার প্রকৃত সময়। সে ক্ষেত্রে দলের মূল এবং অঙ্গসংগঠনগুলোকে লক্ষ্যাভিমুখী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে, জনগণের সম্মুখে নিজেদের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে হবে। আমাদের স্বীকার করতে হবে, গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের কোনো কোনো নেতা, কর্মী ও সমর্থক নিজেদের স্বার্থোদ্ধারে বিগত বছরগুলোতে লিপ্ত ছিল, এখনো আছে, সংগঠনে নানা ধরনের গ্রুপিং সৃষ্টি করেছে, তাদের কারো কারো কারণে দলের ভাবমূর্তি তৃণমূল পর্যায়ে কোথাও কোথাও বেশ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। আওয়ামী লীগকে নির্মোহভাবে এ জায়গাগুলো ও ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে হবে, সে রকম নেতাকর্মী ও সমর্থকদের চিহ্নিত করে তাদের হাত থেকে সংগঠনকে মুক্ত করতে হবে, প্রতিশ্রুতিশীল, মেধাবী, সৎ ও যোগ্য নেতাদের হাতে সংগঠনকে গড়ে তোলার দায়িত্ব দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। কারো অপকর্মের দায়ভার বহন করার প্রয়োজনীয়তা আওয়ামী লীগের রয়েছে কি না, তা বিবেচ্য বিষয়। আওয়ামী লীগকে নিবারণ করতে হবে, ভাবতে হবে ২০৪৯ সালে দলের শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বিষয়টি। কংগ্রেস ও মুসলিম এই উপমহাদেশে দুটি দল—যারা শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অতিক্রম করেছে। এই ১০০ বছরে কংগ্রেস ভেঙে অনেক রাজনৈতিক দলের জন্ম নিলেও কংগ্রেস নানা চড়াই-উতরাই পার হয়েও দিব্যি আছে এবং থাকবেও হয়তো। মুসলিম লীগ খণ্ডবিখণ্ডিত হলেও পাকিস্তান রাষ্ট্রদর্শনের দল হিসেবে এর কোনো না কোনোভাবে অবস্থিতি থাকবেই।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের অবদান অবিস্মরণীয়। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো বড় দল ততটা গভীরভাবে লালন করে না। সুতরাং এ দলের বিকাশ ও সক্ষমতার ওপরই মহান মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার কাজ নির্ভর করছে। সুতরাং আওয়ামী লীগ ২০০৯-পরবর্তী সময়ে যে সুযোগ পেয়েছে, তার সামান্যই দলটি এ পর্যন্ত কাজে লাগাতে পেরেছে বা ব্যবহার করেছে। নতুন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করে ওবায়দুল কাদের যেসব কথা বলেন, তাতে মনে হচ্ছে তিনি আওয়ামী লীগের মৌল আদর্শ প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব উপলব্ধি করছেন। এখন তাঁকেসহ গোটা দলকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে ২০৪৯ সালে দলের শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা; সেই সময় একদিকে আর্থ-সামাজিকভাবে বাংলাদেশ রাষ্ট্র, অন্যদিকে আওয়ামী লীগ দল হিসেবে এর আদর্শ ও সাংগঠনিক ভিত্তি কতটা মজবুত করতে সক্ষম হবে সেই চিন্তাভাবনা করা। পৃথিবীতে অনেক পুরনো দল সময়ের চাহিদা মোতাবেক কাজ না করায় সংকটে পড়েছে, এমনকি বিলুপ্তও হয়েছে। আবার কোনো কোনো দল খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। আওয়ামী লীগ দেশের রাজনৈতিকজীবনে অনেক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে এখন ভবিষ্যেক নির্মাণের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় অনুকূলে আছে। সেই অনুকূল প্রতিকূলে চলে যেতে পারে সময়মতো প্রয়োজনীয় উদ্যোগ না নিলে। আওয়ামী লীগ ইতিহাস সৃষ্টি করা রাজনৈতিক দল। সুতরাং ইতিহাসের শিক্ষা নিতে দলটির দেরি করার কোনো সুযোগ নেই। লক্ষ্যাভিমুখে যাত্রা করে দলটি এরই মধ্যে নতুন উচ্চতায় উঠে এসেছে, আরো সুযোগ দলটির রয়েছে, ইতিহাস নির্মাণে আওয়ামী লীগের লক্ষ্য নির্ধারণ ও পথচলা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.