![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আধুনিক প্রযুক্তি সংযুক্তির মাধ্যমে বিচারপ্রার্থী জনগণকে দ্রুততর সেবা দেয়ার লক্ষ্যে ই-জুডিসিয়ারি প্রকল্পের আওতায় দেশের ৬৪ জেলায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ই-কোর্ট এবং ডিজিটালাইজড মোবাইল কোর্ট। একই সঙ্গে উচ্চ আদালত এবং নি¤œ আদালতসহ বিচারালয়ে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিতের লক্ষ্যে এই প্রকল্পের অধীনে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে নানা কর্মকাণ্ড।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ডিজিটাল ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে দ্রুত ও স্বচ্ছতার সঙ্গে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা, বিচার ব্যবস্থার জন্য প্রশাসনিক ও বিচার সংক্রান্ত কার্যক্রম অটোমেশন, ই-কোর্ট রুম স্থাপন এবং বিচারক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আইসিটি সক্ষমতা উন্নয়নসহ বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন হবে প্রকল্পের অধীনে। ২০১৬ সালের নভেম্বরে শুরু হওয়া এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ শেষ হবে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে।
ই-জুডিসিয়ারি প্রকল্পের অধীনে দেশের ৬৪ জেলার ১ হাজার ৪০০টি কোর্ট রুমকে ই-কোর্ট রুমে রূপান্তর ছাড়াও নিরবচ্ছিন্ন বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৬৩ জেলায় (ঢাকা ব্যতীত) ৬৩টি মাইক্রো ডাটা সেন্টার স্থাপন করা হবে এবং সুপ্রিম কোর্টের কেন্দ্রীয় ডাটা সেন্টারের সঙ্গে মাইক্রো ডাটা সেন্টারের আন্তঃসংযোগ স্থাপন করা হবে। এ ছাড়া ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেমের মাধ্যমে সাক্ষ্য গ্রহণ ও ডিজিটাল এভিডেন্স রেকর্ডিং ব্যবস্থা উন্নয়ন এবং ই-কোর্ট রুম বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট নতুন আইন প্রণয়ন ও প্রচলিত আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনও প্রস্তাব করা হবে। প্রকল্পের অধীনে বিচারকদের ২০০০ ট্যাব বা ল্যাপটপ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ডেস্কটপ কম্পিউটার প্রদান, সুপ্রিম কোর্টসহ অন্যান্য জেলার কোর্ট রুমের জন্য বায়োমেট্রিক অ্যাটেন্ডেন্স সিস্টেম স্থাপন, ৬৩ জেলায় বিচারকদের বাসভবনে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং বিচারক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আইসিটি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
১৭ জানুয়ারি দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে দেয়া বাণীতে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, মামলা ব্যবস্থাপনায় সংস্কার এবং দ্রুত সেবাদানের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। সুপ্রিম কোর্টে আমরা তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা অনেক আগেই উপলব্ধি করি। কারণ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কাজের গতি কয়েকগুণ বৃদ্ধি এবং সেবার জন্য অপেক্ষমাণ সর্বশেষ ব্যক্তির কাছে দ্রুত তথ্য পৌঁছানো সম্ভব। বিচার ব্যবস্থার ডিজিটাইজেশনের পথে এরই মধ্যে আমরা কিছুটা এগিয়েও গিয়েছি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, উচ্চ ও নিম্ন আদালতে ই-কোর্ট ব্যবস্থা চালু, ডিজিটাল পদ্ধতিতে সাক্ষ্য ধারণ ও সংরক্ষণ, জেলাভিত্তিক ও কেন্দ্রীয় কারাগারের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের সুবিধা চালু, দেশের বিচার ব্যবস্থায় ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের প্রচলন এবং বিচারিক কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক তিন বছর মেয়াদি ই-জুডিসিয়ারি প্রকল্প গ্রহণ করার বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের উদ্যোগে অনেক এগিয়েছে।
২৯ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সরকারদলীয় এমপি মো. গোলাম রাব্বানীর এক প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক জানান, অধস্তন আদালতগুলোর কাজকর্মের গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য ই-জুডিসিয়ারি নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের আদালতগুলো ডিজিটালাইজড হবে এবং আধুনিক কম্পিউটারাইজড প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া আরো সহজ, স্বচ্ছ ও গতিশীল হবে।
©somewhere in net ltd.