![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত শুক্রবার কানাডার একটি আদালত বহুল আলোচিত বাংলাদেশের পদ্মা সেতু মামলা খারিজ করে দিয়েছেন। আদালত পুলিশি প্রতিবেদনকে কল্পনা ও অনুমান ভিত্তিক বলে অভিহিত করেছেন, কানাডার সরকার পক্ষও নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্যপ্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করতে পারেনি, অভিযোগকারী প্রতিষ্ঠানও কোনো বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-উপাত্ত আদালতে উপস্থাপন করতে পারেনি। ফলে আইনগতভাবেই আদালত মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন। খবরটি শুনে বাংলাদেশে দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়েছে।
এক. পদ্মা সেতুর প্রকল্পটি নিয়ে ২০১১-১২ সালে বিশ্বব্যাংক কর্তৃক আনীত দুর্নীতির চেষ্টা হওয়ার অভিযোগ করে সরকারকে দেশে-বিদেশে হেয়প্রতিপন্ন করতে চেয়েছিল যারা, যারা তখন এ নিয়ে উল্লসিত ছিল, সরকারকে দুর্নীতিবাজ হিসেবে আখ্যায়িত করে তখন লেখালেখি, বলাবলি এবং নানা বানোয়াট অপপ্রচার চালিয়েছিল- তাদের মুখে হঠাৎ যেন কুলুপ লেগেছে। তারা এই সংবাদ শুনে খুশি হতে পারেনি, তাদের তখনকার ভূমিকার জন্য তারা খুব যে অনুতপ্ত হয়েছে- তাও দেখা যাচ্ছে না। তবে মুখগুলো তাদের ভুতুম পেঁচার মতো ভীতসন্ত্রস্ত দেখে সহজেই তেমনটি বোঝা যাচ্ছে। কোনো আলোচনা নেই। মনে হয় এ আবার কী এমন হলো! বাংলাদেশে এমন মানুষের সংখ্যা এখন মোটেও কম নয়। যুক্তিহীন, আদর্শহীন, সুবিধাবাদী মানুষের সংখ্যা মোটেও যে কম নয়- তা তখনো দেখা গেছে, এখনো দেখছি।
দুই. যারা সেই সময় কাল্পনিক দুর্নীতির অভিযোগে চারদিক থেকে আক্রান্ত হয়েছিলেন, যাদের কথা দেশের বেশকিছু প্রচার মাধ্যমে গুরুত্ব দেয়া হয়নি, যাদের চোর, দুর্নীতিবাজ, লুটপাটকারী হিসেবে অভিহিত করে বক্তৃতা-বিবৃতি দেয়া হচ্ছিল, লেখালেখি হচ্ছিল, পদত্যাগও দাবি করা হচ্ছিল, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে তাদের হেয় করা হচ্ছিল- তারা অবশেষে স্বস্তি প্রকাশ করছেন, তাদের সম্মান ও মর্যাদা পুনরুদ্ধার হয়েছে। প্রথম পক্ষটি সেই সময় ছিল ভীষণভাবে উল্লসিত, এখন কিন্তু অনেকটা পরাজিত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মতো বাকরুদ্ধ, অন্যদিকে দ্বিতীয় পক্ষটি এখন ১৬ ডিসেম্বরের বিজয়ের মতো তৃপ্তি নিয়ে দেশ এবং জাতির সম্মুখে কথা বলছেন, মুখ দেখাচ্ছেন।
বাংলাদেশের সমাজ ও রাষ্ট্র এমন দুটো পরস্পরবিরোধী ধারায় বিভক্ত হয়ে আছে- পদ্মা সেতুর ইস্যুতে সেটি স্পষ্টভাবে দেখা গেছে। এখন আবার ভালো করে দেখার সুযোগ হয়েছে। আমার মনে হয় এই সুযোগে চার পাশের মানুষদের দেখা এবং চেনারও কাজটি আমাদের করা উচিত। অবশ্য নাগরিক সমাজ বলে পরিচিত মহলের একটি অংশ বিষয়ের গভীরে প্রবেশ না করে বিশ্বব্যাংকের কথায় তখন বিশ্বাস স্থাপন করেছিলেন, দেশের সরকারকে তারা মোটেও বিশ্বাস করেননি। তারা সরকার প্রধান শেখ হাসিনার কথাকেও যথেষ্ট মনে করেননি। তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনকে হেন কোনো শব্দ নেই- তা প্রয়োগ করে হেনস্তা করতে দ্বিধা করেননি। বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোতে সবজান্তার মতো অনেকেই কথা বলতেন, কোনো তথ্য-উপাত্তের সঙ্গে তাদের পরিচয়ের প্রয়োজনীয়তা তারা উপলব্ধি করেননি। বিভিন্ন আলোচনা ও লেখালেখিতেও মন্ত্রী, সচিব, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবুল আহসান চৌধুরীসহ অনেককে নিয়েই নানা মন্তব্য করেছেন, লিখেছেন, দেশে ভুলভাবে জনমত গড়ে উঠতে ভূমিকা রেখেছেন। তখন আমি দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত একটি লেখার আক্ষেপ করে লিখেছিলাম যে, বেচারা যোগাযোগমন্ত্রী যা বলছেন তা নিয়ে অনেকেই ব্যঙ্গ করছেন, পদ্মা সেতুর আলোচনা শুনে মনে হয় এ যেন কোনো বাঁশের সাঁকো নিয়ে গালগল্প বা কথা হচ্ছে! মন্ত্রী পত্রিকায় আমার সেই লেখাটি পড়ে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি চিঠি এবং বেশ কিছু কাগজপত্র পাঠিয়ে আমাকে বিষয়টি জানতে সাহায্য করেছিলেন। আসলে আমাদের তথাকথিত শিক্ষিত সমাজে দুটো মনোবৃত্তি সহজে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এক. শাসনের দিক থেকে বিদেশি বিরোধিতা এককালে তাদের মধ্যে প্রবল ছিল, এখন সেটি দুর্বল হতে হতে তলায় পড়ে যাচ্ছে, দুই. অর্থ-বিদ্যা-বুদ্ধিতে পশ্চিমা বিশ্বকে একবাক্যে বিশ্বাস করা। এটি হচ্ছে উপনিবেশ-পরবর্তী যুগে উন্নয়ন সহযোগী তত্ত্বের আড়ালে নানা প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে নিজেদের পুষ্ট হওয়ার সুযোগকে বড় করে দেখা- যা আমাদের দেশচিন্তা, বিদ্যাবুদ্ধি ও জ্ঞানচর্চার সক্ষমতার ওপর আস্থা না রাখার পরিচয় বহন করে। আমাদের মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত, নাগরিক সমাজ, বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ ইত্যাদি গোষ্ঠীসমূহ পরনির্ভরতার মানস থেকে খুব কমই মুক্ত হতে পেরেছেন।
বিশ্বব্যাংকের অর্থ পাওয়া, না পাওয়ার সঙ্গে আন্তর্জাতিক কোনো কোনো গোষ্ঠীর স্বার্থ, বাংলাদেশকে হেয়প্রতিপন্ন করা, শেখ হাসিনার সরকারকে দেশীয় রাজনীতিতে দুর্বল করে দেয়ার লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা, বিদেশনির্ভর অথচ দেশবিরোধী একটি পক্ষকে রাজনীতিতে সুবিধা করে দেয়ার লুকায়িত ষড়যন্ত্রের কৌশল ইত্যাদি তলিয়ে না দেখা, নিজেদের দেশদরদি, নিরপেক্ষ ইত্যাদি নামে উপস্থাপিত করার ঝোঁক প্রবলভাবে লক্ষ করা যাচ্ছে। একটু স্মরণ করলেই মনে পড়বে তখন দুদকের কথা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয়া, যোগাযোগমন্ত্রীর পদত্যাগ, সচিবের জেল ইত্যাদিতে তুষ্ট হয়নি নাগরিক সমাজের একটি অংশ। দেশের আনাচে-কানাচে অপপ্রচার সংঘবদ্ধভাবে বিস্তৃত করা হচ্ছিল। গ্রামের চায়ের দোকানে পদ্মা সেতুর অর্থ লুটপাটের নানা আজগুবি কাহিনী বলা হচ্ছিল। জামায়াত-বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা এমনভাবে পদ্মা সেতুর টাকা পয়সার ভাগের খবর বলছিলেন যেন তারা সব কিছু উপস্থিত থেকে দেখেছেন। তাদের দেয়া ভাগের সিংহভাগ শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যরাই লুটপাট করে নিয়ে গেছেন- এমনটিই দাবি করা হতে থাকে। স্বাধীনতার পরপর এ ধরনের কাল্পনিক দুর্নীতির গল্প গ্রামগঞ্জের চায়ের দোকানে শুনেছি, ভারতীয় বাহিনী আমাদের সব অস্ত্রশস্ত্র ট্রাকে তুলে নিয়ে গেছে, চাল-ডাল, পাট ইত্যাদিও বাদ যায়নি। তখন আমরা তরুণ ছিলাম। এখন বুঝতে পারছি এটি ছিল পরিকল্পিত অপপ্রচার। গ্রাম-গঞ্জে তখন সংঘবদ্ধ চক্র সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের মনকে বিষিয়ে তুলতে কী ভয়ানক গল্প তৈরি করে তখন ছড়িয়ে দিতে যেমন দেখেছি ২০১১-১২ সালে পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে টাকা লুটপাটের পাতা গল্পের কথাও নানাজন থেকে দেশব্যাপী শুনেছি। দেশের গ্রামগঞ্জেই নয়, শহরেও অলিগলিতে এ নিয়ে অনেকেই এমন বানোয়াট গল্পের ফেরি করে বেড়িয়েছেন। এরা বাড়ি বাড়ি গিয়েও সহজ-সরল মানুষদের পদ্মা সেতুর টাকা লুটপাটের কথা বলে আসেন। যেমনিভাবে ৫ মে হেফাজতের আড়াই তিন হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করার গল্প গ্রামগঞ্জে প্রচার করা হয়েছিল, একই সঙ্গে বলা হচ্ছিল যে, ওই সব মানুষের লাশ ভারতে পাচার করে দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। পদ্মা সেতুর টাকা যেখানে ছাড়ই হয়নি সেখানে নাগরিক সমাজের বিদ্বান ব্যক্তিরা যদি টাকা লুটপাট করার কল্পকাহিনী টিভি টকশোতে অবলীলায় বলে দিতে পারেন, পত্রিকার পাতায় সংবাদ ও কলাম লেখায় লিখতে পারেন তাহলে সাধারণ গ্রাম-গঞ্জে বা শহরে বসবাসকারী মানুষজনের মধ্যে বানোয়াট টাকা ভাগভাগির গল্পতো অতি সাধারণ বিষয় মাত্র।
বাংলাদেশে তখন পদ্মা সেতুর টাকা শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারের প্রচারটি ছিল খুবই টার্গেটফুল বিষয়, মূলত শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের ভাবমূর্তিকে দারুণভাবে কলঙ্কিত করা, এরা সবাই ক্ষমতায় বসে দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়েছেন, জয় বিদেশে বসে সেই অর্থে ভোগবিলাসে চলেন- এমন একটি ধারণা জনমনে প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছিল। তখন দেশের সর্বত্রই এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুনতে হতো। যারা এসব বলাবলি করছিল তারা যেন এতটাই ‘সত্য’ এবং ‘দেশ প্রেমিক’ হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছিলেন, শেখ হাসিনার পরিবার এবং নিকটজনদের দুর্নীতিবাজ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতেই এসব কিছু করছিল। আসলেই পদ্মা সেতু নিয়ে দেশে তখন যা হচ্ছিল- তাতে আমাদের মধ্যে আদর্শ, বিশ্বাস, আস্থা ও সততার জায়গাগুলো যেন ভেঙে দেয়া হচ্ছিল। এত অপপ্রচার তখন মিডিয়ায় খোলামেলাভাবে হচ্ছিল, যানবাহন, অফিস, আদালত, গ্রামগঞ্জ, শহর- সর্বত্র যেন লাগামহীনভাবে ছড়িয়ে পড়ছিল, সে সব শুনে শুনে ভবিষ্যৎ যেন অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই মনে হচ্ছিল না।
সামাজিক গণমাধ্যম বলে পরিচিতরা এটিকে আরো সহজে ছড়িয়ে দিয়েছিল। এটিও ছিল ষড়যন্ত্রকারীদের পরিকল্পনার মস্তবড় বাহন- যা তারা ব্যবহার করছিল। বিশ্বব্যাংক চলে গেছে- এর সঙ্গে দেশের রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিও বিদায় দেয়ার একটা ষড়যন্ত্র পরিকল্পিতভাবে কার্যকর ছিল। এমন পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা যখন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করার কথা ঘোষণা করেন তখন ব্যঙ্গ-বিদ্রƒপ ও কট‚ক্তির পাশাপাশি অর্থনীতিতে লুটপাটকে আরো ছড়িয়ে দেয়ার কথা প্রচার করা হচ্ছিল, দেশে অর্থনৈতিক সংকট তৈরির আগাম সংকেতের কথা দাবি করা হচ্ছিল। অর্থাৎ শেখ হাসিনা যা কিছু করছিলেন তা নিয়েই সন্দেহ পোষণ করা হচ্ছিল, নানা গুজব, অপপ্রচার ইত্যাদি চালিয়ে মানুষকে হতাশ ও বিভ্রান্তবাদী করা হচ্ছিল। এরই মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। ২০১৮ সালে এটির ওপর দিয়ে যান চলাচল করবে, দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার দারুণ এক বিপ্লবাত্মক অবস্থা তৈরি হবে- এমনটি এখন অনেকেই বিশ্বাস করতে শুরু করেছে। পদ্মা সেতু এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবাতা- এটি বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠছে। তারপরও যে অভিযোগটি দেশব্যাপী এতটা ছড়িয়েছিল তার মূলোৎপাটন খুব সহজ ছিল না। কিন্তু কানাডার আদালত মামলাটি খারিজ করে যে মন্তব্যগুলো ছুড়ে দিয়েছেন তা শোনার পর এখন অপপ্রচারকারীরা চুপসে গেছে, যাদের গলা বেশ উঁচুতে ছিল, তারা এখন কথা বলতে পারছেন না, আমতা আমতা করছেন, দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হলেও খুশি হতে পারেননি সেই সব অপশক্তি- যারা আসলেই বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থানের বিষয়টিকে মনেপ্রাণে গ্রহণ করতে পারছেন না। তবে বেশির ভাগ মানুষ নতুন করে উজ্জীবিত হওযার সম্ভাবনা দেখছেন, নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর বাস্তবতা দেখছেন।
এখন বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের কাছে কৈফিয়ৎ চাইতে পারে, আমাদের অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণের দাবি জানাতে পারে, বাংলাদেশের সম্মানহানির ক্ষেত্রে সেই সময়ে বিশ্বব্যাংকের ভূমিকার কারণ জানতে চাইতে পারে। কারা কি উদ্দেশ্যে আমাদের এত ক্ষতি করেছে- তারও একটা নিবিড় ব্যাখ্যা চাইতে পারে। বাংলাদেশ তখন আর কারো মুখাপেক্ষি নয়, স্বাবলম্বী একটি দেশ এবং জাতি। দৃঢ় ও সাহসের সঙ্গে সেই চরিত্রটি উন্মোচনের জন্য শেখ হাসিনার রাজনীতি, দেশপ্রেম এবং রাষ্ট্রনায়কোচিত ভূমিকাকে স্যালুট জানাতেই হবে। যারা উল্টো রাজনীতির ধারক বাহক তাদের জন্য শুধুই করুণা ও ধিক্কার জানাই। সারাদেশে, গ্রাম-গঞ্জে এটি নতুন করে তুলে ধরতে হবে- অপপ্রচার নয়, সঠিক তথ্যের প্রচার ও প্রসারের বড়ই প্রয়োজন। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে বিষয়টি উপলব্ধি করতে হবে।
মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:১০
হাবিব শুভ বলেছেন: মূর্খরা এখন দুই ভাবে বিভক্ত ১) শিক্ষিত মূর্খ ২) অশিক্ষিত মূর্খ। বাংলাদেশের মানুষ কখনই সত্যটা যাচাই করে কোন পদক্ষেপ নেয় না। যখন যে যেটা বলে সেটার উপরেই লাফ-ঝাপ দিয়ে আঙ্গুল তুলে।