নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পদ্মা সেতু, বিশ্বব্যাংক ও শেখ হাসিনা

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫২

স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তব রূপ পেতে দৃশ্যমান দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে চল্লিশ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পদ্মার অথই বুক চিড়ে একদিন সেথায় চলবে গাড়ি, চলবে রেল। আর এই বৃহৎ তটিনীর জলতরঙ্গে আপন সঙ্গী হয়ে পদ্মাবক্ষে সুসজ্জিতরূপে দাঁড়িয়ে থাকবে স্বপ্নের সেতু। যার সুফল ভোগ করবে বাংলাদেশ এবং দেশের মানুষ। নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি এ সেতুর ব্যবহার বিস্ময় চোখে তাকিয়ে দেখবে বিশ্ববাসী। কিন্তু একটা সময় বর্তমান সরকারের এই ভারী প্রকল্প বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়ায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। তখন স্বপ্নের সেতু স্বপ্ন সীমায় ঘুরপাক খেতে থাকে অবিরাম। যে চক্রান্ত শেখ হাসিনার মহাজোট সরকারকে খাদের কিনারে নিয়ে দাঁড় করায়। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক তাদের অর্থঋণ বাতিল করে দেয়।
আচমকা আশার পালে বইতে থাকে ধমকা হাওয়া। সমালোচনার হুলুস্থূল বয়ে যায় সর্বত্র। কার আগে কে হাসিনা সরকারের বারোটা বাজানোর ঘণ্টা বাজাবে সেই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। গভীর রাতের টক শোর টেবিল, সংবাদপত্রের সম্পাদকীয় পাতা, সভা-সেমিনার সবখানেই ‘গেলরে গেল সব গেল’ বলে নিন্দার ঝড় তোলা কথিত সুশীলবাদী সমাজ ও হাসিনাবিরোধী বলয় যেন স্বর্গে যাওয়ার রাস্তা পেয়ে বসল। যে যেভাবে পারল সে সেভাবেই মহাজোট সরকারের মু-ুপাত করে গেল। শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বারবার বলা হলো, পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোনো ধরনের দুর্নীতি হয়নি; এমনও বলা হলো, যে প্রকল্পে কোনো ধরনের অর্থছাড় হয়নি সেখানে দুর্নীতি কীভাবে হবে। কার কথা কে শোনে। বাস্তবতা যখন ‘ইউনূস হিলারি সখ্য’ তখন একতরফা নীতিতে এগিয়ে যায় বিশ্বব্যাংক।
মহাজোট সরকারের ভেতর ও বাইরে এক ধরনের অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে ত্রুটি-বিচ্যুতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করে সরকার। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বিশ্বব্যাংক যেন শেখ হাসিনা সরকারকে পদাঘাতের কাঁঠাল পেয়ে বসল। এখন এইটা করতে হবে তো তখন সেইটা করতে হবে, এ যেন গ্রামীণ প্রবাদ ‘গরিবের বউ সবার ভাবি’র মতন অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাংকের অসম্মানজনক বাঁদরামি আর সহ্য করতে পারেননি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। বিশ্বব্যাংকের প্রতি উচ্চারিত হলো ‘না’সূচক বার্তা।
প্রতিকূল পরিবেশে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। যেই কথা সেই কাজ। শুরু হয় এই মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের প্রস্তুতি। সমালোচক গোষ্ঠীর চোখ কপালে ওঠার অবস্থা। ঠোঁট বাঁকিয়ে কপাল কুঁচকে অনেকেই তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ভাবটা নিজেদের মধ্যে লুকিয়ে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা চালান। যে যত অবজ্ঞা-অবহেলা করুক না কেন, শেখ হাসিনা সরকার ঠিকই দেখিয়েছে বিশাল প্রকল্প বাস্তবায়নের মহাযজ্ঞ ও প্রতিশ্রুতি রক্ষার গিরি সাহস। যদি বিশ্বাস করো হে অধম!
পদ্মা সেতুবিষয়ক খবর নিয়ে সংবাদপত্রের পাতা এখন সরগরম। প্রতিদিনকার প্রতিবেদনে উঠে আসছে বিশ্বব্যাংকের মারপ্যাঁচে বিপর্যস্ত পদ্মা সেতুর নানাকথা। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ তুলে তার পরিবারকে হেয় করার চেষ্টা হয়েছিল বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূস জড়িত। এ প্রসঙ্গে তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি কিনটন তাকে ফোন করেছিলেন। এ ছাড়া ১২ ফেব্রুয়ারি রোববার বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৩৭তম জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত দরবারে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ মিথ্যা, গালগল্প; কানাডার আদালতের এ রায়ের প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সততার শক্তি ছিল বলেই বিশ্বব্যাংকের ওই অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পেরেছিলেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘এতকাল পরে আজকে তারা স্বীকার করেছে, কোর্ট বলে দিয়েছে; এখানে তো কোনো দুর্নীতি হয়ই নাই, বরং ওয়ার্ল্ড ব্যাংক যে অভিযোগ করেছে, তা ভুয়া, মিথ্যা ও আষাঢ়ে গল্প।’ এ ঘটনার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মানুষের ‘মানমর্যাদা’ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পদ্মা বিতর্কের জন্ম ২০১১ সালে। ওই বছরের এপ্রিলে পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১২০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণচুক্তি হয়। সেতুর পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দরপত্রে অংশ নেওয়া এসএনসি-লাভালিনের সঙ্গে বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে বিশ্বব্যাংক ২০১২ সালের ২৯ জুন পদ্মা সেতুতে ঋণচুক্তি বাতিল করে। সরকারের অনুরোধে একই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর এ প্রকল্পে পুনরায় সম্পৃক্ত হতে রাজি হলেও তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অর্থায়ন করতে অসম্মতি জানায় সংস্থাটি। তবে এর আগে বিশ্বব্যাংকের শর্তের কারণে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়। সাবেক সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁঁইয়াকে ওএসডি করা হয় এবং যেতে হয়েছে জেলে। এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের নামও দুর্নীতির অভিযোগের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। নানা টানাপড়েনের পর ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে শেষ পর্যন্ত সরকারই বিশ্বব্যাংককে ‘না’ বলে দেয় এবং নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সেতুর নির্মাণকাজ ইতোমধ্যে ৪০ ভাগ শেষ হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে পদ্মায় সেতু নির্মাণের প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয়। সমীক্ষা যাচাইয়ের পর ২০০১ সালের ৪ জুলাই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এর পর অর্থের জোগান না হওয়ায় সেতুর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়ে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিশ্বব্যাংক সেতু নির্মাণে অর্থায়নে আগ্রহ প্রকাশ করলে নতুন করে আশা জাগে; কিন্তু দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে ঋণচুক্তি বাতিল করে বিশ্বব্যাংক। আবারও ঘোর অনিশ্চয়তায় পড়ে সেতুর ভবিষ্যৎ। এরই মধ্যে বিশ্বকে অবাক করে বর্তমান সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। অসাধ্য সাধনের দুরন্ত সাহসে সব অনিশ্চয়তা দূর হয়। ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু।
স্বাপ্নিক মনে জন্ম নেওয়া আশীর্বাদস্বরূপ পদ্মা সেতু অঙ্কুরেই বিশ্ব ব্যাংক সৃষ্ট দুর্নীতি নামক বিষাক্ত পোকার সংক্রমণে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে। সংক্রমিত এ রেশ কাটিয়ে বাংলাদেশ এখন স্বপ্নের পূর্ণ রূপ দেওয়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। এমন এক সময়ে সততা ও সাহসিকতার আসল স্বরূপ উন্মোচিত হলো দেশবাসীর সামনে। কানাডিয়ান আদালত সেই সত্যের পক্ষেই অবস্থান নিল। বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি ও ষড়যন্ত্রের যে অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক ঋণ বাতিল করে দিয়েছিল তার প্রমাণ পায়নি কানাডার আদালত। ১০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার কানাডিয়ান পত্রিকা দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেল জানায়, ফোনে আড়ি পেতে সংগ্রহ করা যে তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রসিকিউশন মামলা সাজিয়েছিল তাকে গালগল্প ও গুজব বলে ছুড়ে ফেলেছেন বিচারক। আদালত পদ্মা প্রকল্পে দুর্নীতি ষড়যন্ত্রের কোনো প্রমাণ পায়নি।
তাহলে সঠিক কোনটা? বিশ্বব্যাংক, শেখ হাসিনার সরকার না ষড়যন্ত্রকারী দল। কানাডিয়ান আদালতের বিচারিক নিক্তি বলছে, আপাতত শেখ হাসিনা এবং তার সরকারই পুরোদস্তুর সঠিক। আর বিশ্বব্যাংক, ষড়যন্ত্রকারী ও তাদের পক্ষাবলম্ব করে চাপাবাজির গালগল্পে জড়ানো কুশীলবরা পতিত হলো সততা ও নিষ্ঠার নির্মোহ পদতলে। এখন কী বলবে তথাকথিত ওই জ্ঞানী-গুণী সুশীলবাদী সমাজ। তারা ভ্রান্ত আঁচলে মুখ লুকিয়ে বসে থাকলেও তাদের মিথ্যাচারের জবাব দিয়েছে কানাডার আদালত।
দেশ এবং ব্যক্তিত্বের ক্ষতি যা হওয়ার তো হয়েছেই। এখন প্রশ্ন হলো, নির্দোষ মানুষগুলোকে যারা দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে একটা দেশ ও তার সরকারকে বিশ্ব ময়দানে বিতর্কিত করল তাদের কী হবে? যে প্রকল্পে অর্থঋণ না দিয়ে সেই প্রকল্পের কাজ আরও কয়েক বছর পিছিয়ে দিল এবং যারা ষড়যন্ত্রের গালগল্পে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িত কিংবা চক্রান্তকারীদের সুরে সুর মিলিয়ে যারা আস্ফালন দেখিয়েছে তাদের কী হবে? রাষ্ট্রের একটি উন্নয়নমূলক বৃহৎ কর্মে শুধু বিরোধিতাই নয়, রীতিমতো তালগোল পাকানো এসব দেশদ্রোহীসহ এদের পক্ষে সাফাই গাওয়া কথিত নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও পিছিয়ে পড়া রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াটা পদ্মা ও দেশের জন্য আশীর্বাদ বলেই বিবেচিত হবে। এটা সময়ের সর্বোৎকৃষ্ট দাবি।
এই দেশদুশমন ও অন্যায়ী জল্পকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে হয়তো অতি উৎসাহী চাটুকাররা হিসাব করে কথা বলবে। আর বিশ্বব্যাংক! তাদের জন্য কানাডিয়ান আদালতের চপেটাঘাতই যথেষ্ট। এর আগে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরির ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উচিত শিক্ষা দিয়েছিলেন। তারা বাঙালি দুষ্টু লোকদের কাছে বসিয়ে শেখ হাসিনা ও তার সরকারকে বেকায়দায় ফেলার অপকর্ম সাধনের যে অপতৎপরতা চালিয়েছিল তা আজ সবার সামনে নিন্দনীয়রূপে উপস্থাপিত হলো। এখন বিশ্বব্যাংক নামের সঙ্গে বিশ্ব শব্দটি যুক্ত করার বিষয়টিও আজ প্রশ্নের সম্মুখীন।
বিশ্বের উন্নয়নশীল ও দরিদ্র রাষ্ট্রের কল্যাণকামী আন্তর্জাতিক সংস্থা বিশ্বব্যাংক যদি কোনো ব্যক্তিস্বার্থ সংরক্ষণের চিন্তায় ব্যতিব্যস্ত হয়ে একটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তাহলে বিশ্বব্যাংকের বিশ্ব শব্দ প্রয়োগের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক। পদ্মা সেতু প্রকল্পবিষয়ক অঘটনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংক নিশ্চয়ই শিক্ষা পেয়ে গেছে যে, এই বাংলাদেশ শুধু পলি মাটির নরম স্তরে আবৃত্ত বঙ্গীয় ভূমিই নয়, এই বাংলাদেশ ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তে রঞ্জিত ও দুই লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিরল বিনিময়তায় অর্জিত বঙ্গবন্ধুর হার না মানা বাংলাদেশ, এই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে দুর্বার গতিসম্পন্ন দুরন্ত বাংলাদেশ। এই বাঙালি ও বাংলাদেশের তেজোদ্দীপ্ত তরঙ্গের তপ্ত ঝাঁজ কতটুকু যন্ত্রণাময় তা একাত্তরেই টের পেয়েছে বিশ্বব্যাংকসহ ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের রথী-মহারথীজন।
সে দিনের তলাবিহীন ঝুড়ি অপবাদ পাওয়া বাংলাদেশ কিংবা আজকের শেখ হাসিনার বাংলাদেশকে জুজুর ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। বাঙালি বীরের জাতি। আর বাংলাদেশ সেই জাতির পরিচয় বহন করে চলা দক্ষিণ এশিয়ার রোল মডেল। যে বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রকল্পের বৃহৎ ভার বহন করে বিশ্বব্যাংক ও বিশ্বের ভাবঅলা রাষ্ট্রগুলোকে বুঝিয়ে দিল নিজেদের অর্থনৈতিক শক্তিমত্তার ইতিবাচক অহংবোধ, যা সত্যিই গর্ব করার মতো বিষয়।
সর্বশেষ সত্য ও ন্যায়ের জয় হয়েছে। ষড়যন্ত্রকারী ও ষড়যন্ত্রের জালবোনা নিপুণ কারিগর বিশ্বব্যাংকের গায়ে কলঙ্কিত কালো মার্কা সাঁটিয়ে দিল কানাডিয়ান আদালত। এ থেকে শিক্ষা নিয়ে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতি আরও দায়িত্বশীল আচরণ করবে বিশ্বব্যাংক এমনটি প্রত্যাশা। শুধু নিজেদের অনৈতিক স্বার্থ সংরক্ষণ করতে থাকলে বিশ্বব্যাংকের প্রতি সবার আস্থা ও বিশ্বাস অনেক ক্ষীণ হয়ে আসবে। আর বিশ্বব্যাংকের বিশ্ব শব্দটি পদ্মার ঢেউয়ে বারবার তলিয়ে গিয়ে বিশ্ববিহীন ব্যঙ্গ ব্যাংকে পরিণত হবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪২

বাংলার জামিনদার বলেছেন: ভাই ঠকমারানি শো যারা করে, তাদের উপেক্ষা করাই হবে তাদের জন্য শাস্তি। দেশ এগিয়ে যাক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.