![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশ রক্ষায় সামরিক বাহিনীকে যুগোপযোগী ও আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার কোনো বিকল্প থাকে না। বাস্তবতা হলো, উন্নয়নশীল দেশগুলোর সামরিক শক্তি উন্নত দেশগুলোর মতো অতটা শক্তিশালী নয়। আর বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর তুলনায় সামরিক শক্তিকে বাংলাদেশ এখনো অনেক পিছিয়েও রয়েছে। আবার এটাও ঠিক যে, স্বাধীনতার এই ৪৬ বছরে সামরিক-বেসামরিক প্রতিটি খাতেই দেশের অগ্রগতি হয়েছে। সম্প্রতি নৌবাহিনীতে দুটি ডিজেল ইলেকট্রিক অ্যাটাক সাবমেরিন অন্তর্ভুক্তির পর প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী নতুন যুগে পদার্পণ করল। নৌপথে বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করতে সাবমেরিন দুটি ভূমিকা রাখবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি সত্যিকারের 'ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে' রূপান্তরের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সাবমেরিন অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়ে সে প্রতিশ্রুতিও পূর্ণ হলো। প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
জানা যায়, রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের নৌঘাঁটি ঈশা খাঁয় 'বানৌজা নবযাত্রা' এবং 'বানৌজা জয়যাত্রা' নামের এ দুটি সাবমেরিনের কমিশনিং ফরমান আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছেন। চীনের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা চুক্তির আওতায় সে দেশে তৈরি ০৩৫ টাইপ এ দুটি সাবমেরিন ২০১৬ সালে কেনা হয় নৌবাহিনীর জন্য। অনস্বীকার্য যে, বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক খাতে ব্যাপক এগিয়ে গেছে। সেখানে নৌবাহিনীতে নতুন দুটি সাবমেরিন অন্তর্ভুক্তি নিঃসন্দেহে সামরিক খাতের আর একধাপ এগিয়ে যাওয়ারই ইঙ্গিতবহ। আবার এটাও অস্বীকার করা যাবে না যে, বাংলাদেশের শিক্ষা-স্বাস্থ্য-অবকাঠামো-দারিদ্র্য বিমোচনসহ নানা খাতের সাফল্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মডেল হিসেবে নিলেও, কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমরা এখনো বেশ পিছিয়েও রয়েছি। এ ক্ষেত্রে প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি অগ্রগণ্য হিসেবে দেখা যেতে পারে। তবে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সরকারের আন্তরিকতাহেতু আশা করা যেতে পারে, পিছিয়ে পড়া খাতগুলো অচিরেই উন্নয়নের ধারায় শামিল হবে।
তথ্য মতে, নৌবাহিনীতে সম্প্রতি যুক্ত হওয়া 'নবযাত্রা' এবং 'জয়যাত্রা' দৈর্ঘ্যে ৭৬ মিটার এবং প্রস্থে ৭ দশমিক ৬ মিটার। টর্পেডো ও মাইনে সজ্জিত এ দুটি সাবমেরিনে সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭ নটিক্যাল মাইল এবং ডিসপ্লেসমেন্ট ১ হাজার ৬০৯ টন। চীনের দালিয়ান প্রদেশের লিয়াওনান শিপ ইয়ার্ডে ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদের কাছে সাবমেরিন দুটি হস্তান্তর করেন চীনের রিয়ার অ্যাডমিরাল লিউ জি ঝু। উভয় দেশের নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও নাবিকদের যৌথ তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণ ও 'সি ট্রায়াল' শেষে ২২ ডিসেম্বর সাবমেরিন দুটি চট্টগ্রামে পেঁৗছে। পিপলস লিবারেশন আর্মি নেভির জন্য উচাং শিপইয়ার্ড এক ডজন টাইপ ০৩৫জি (মিং ক্লাস) সাবমেরিন বানানো হয়েছিল ১৯৯০ থেকে ১৯৯৯ সালের মধ্যে। এর মধ্যে দুটি ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কিনে নেয় বলে চীনের 'ইবাদা ডটকমের' এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। হস্তান্তরের আগে লিয়াওনান শিপ ইয়ার্ডে সংস্কার ও আধুনিকায়ন করে ডুবোজাহাজ দুটির সামরিক ক্ষমতা ও কার্যক্ষমতা বাড়ানো হয়। এ দুটি যুদ্ধযান শত্রু জাহাজ ও সাবমেরিনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণসহ যুদ্ধকালীন দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। তা ছাড়া বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাতিসংঘের জন্য আন্তর্জাতিক জলসীমায় টহল দিয়ে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও পালন করেছে। স্মর্তব্য যে, বাংলাদেশ গভীর সমুদ্রের দিকে কয়েক ব্যাপক এলাকা রয়েছে। এসব এলাকা পাহারা দেয়ার জন্যও নৌবাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। আর সরকারও যে নৌবাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে দায়িত্বশীল, তা সম্প্রতি যুক্ত হওয়া দুটি যুদ্ধযান অন্তর্ভুক্তির মধ্যদিয়েও প্রমাণিত।
সর্বোপরি বলতে চাই, সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি সরকারের কর্তব্য হওয়া সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে জনগণের উন্নয়নে অধিকতর নজর দেয়া। একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে যা যা প্রয়োজন সেগুলো সংগ্রহ করার পাশাপাশি দেশের জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের বিষয়টিকেও গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নেয়া সমীচীন। আমরা বিশ্বাস করি, বর্তমান সরকারের অত্যন্ত দূরদর্শী এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে অবিচল। তার প্রমাণ মেলে উন্নয়নের ধারায় দেশের সম্পৃক্তকরণ। আমাদের প্রত্যাশা, শুধু সামরিক খাতই নয়, অন্যান্য খাতের অগ্রগতির মধ্যদিয়ে আমাদের দেশ অচিরেই কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জনে সক্ষম হবে।
২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:২৯
টারজান০০০০৭ বলেছেন: যে সরকারই সংগ্রহ করুক দেশের জন্য ভালো। যাহারা "বাংলাদেশের সামরিক শক্তির দরকার কি " টাইপের চিন্তা করেন তাহাদের অবশ্য কলিজা গুর্দা পুড়িয়ে যাইতেছে !
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০৮
নতুন বলেছেন: হায়রে দল কানা....
ভারতের সিমান্তে প্রায় প্রতিদিনই যে মানুষ গুলি করে মারে..... তাদের চুলও ছেড়ার ক্ষমতা আমাদের সরকারের নাই....
দল যখন তাদের সাহাজ্যে ক্ষমতায় আছে তখন সরকারে আসলে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলবেনা সেটাই সাভাবিক...
তাই এই রকমের ভন্ডামী লেখা পড়লে জনগন হাসবে...