নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বাধীনতা মাস ও স্বাধীনতা

২৩ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০১

দেশকে প্রকৃত গণতান্ত্রিক ধারায় নিয়ে আসতে উদ্যোগ নিতে হবে। নিরবচ্ছিন্ন গণতন্ত্রের চর্চাই স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল বয়ে আনতে পারে। দেশের অর্থনৈতিক মুক্তিও এর মাধ্যমেই আসবে। সত্যিকার অর্থে বাঙালির স্বাধীনতা অর্জন সেদিনই সার্থক হবে যখন এ দেশের প্রতিটি মানুষ আত্মনির্ভরশীল হতে পারবে এবং দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। এর জন্য প্রয়োজন ব্যক্তির নীতি-নৈতিকতা তথা চরিত্র গঠন, দেশপ্রেম ও জাতীয় ঐকমত্য।সালাম সালেহ উদদীন এদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন বাঙালির অস্থিমজ্জায় মিশে আছে। স্বাধীনতার জন্য বাঙালির ত্যাগ ও সংগ্রাম ইতিহাসে বিরল। স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়ার মাস এই মার্চ। আর ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। সঙ্গত কারণে মাসটি বাঙালি জাতির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের পর বাঙালি জাতি যে স্বাধীনতা আন্দোলনের পথে এগোচ্ছিল তা স্পষ্ট হয়ে যায় এ মার্চেই।
বাঙালি জাতি দীর্ঘ নয়মাস যুদ্ধ করে, ৩০ লাখ শহীদের আত্মদানের বিনিময়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দেয়। অন্যায় ও অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতি বিজয় ছিনিয়ে আনে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির অপরিসীম ত্যাগের পাশাপাশি এক গৌরবময় ঘটনা। এই একাত্তরে পাকিস্তান বাহিনী এ দেশের নিরীহ বাঙালিদের ওপর বর্বর নৃশংস গণহত্যা চালায়। একাত্তরের ২৫ মার্চ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলেছে নির্বিবাদে হত্যাযজ্ঞ। ২৫ মার্চের গভীর রাত থেকে শুরু হয় বর্বরোচিত হত্যাকা-। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিজয়ের পূর্ব পর্যন্ত চলে এক নারকীয় হত্যা লীলা। সেই হত্যায় প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে বাংলাদেশের আবালবৃদ্ধবনিতা নির্বিশেষে। খুনি পাকিস্তান বাহিনীর পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে লাখ লাখ মা-বোন। হত্যাযজ্ঞে শহীদ হয়েছেন বাংলাদেশের বাঙালি বুদ্ধিজীবী। ছাবি্বশে মার্চের স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের নির্দেশে শুরু হলো মুক্তিযুদ্ধ।
স্বাধীনতার মাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। সেদিন বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহীন এক ভাষণ প্রদান করেন বঙ্গবন্ধু। মাত্র ১৭-১৮ মিনিটের অনবদ্য এ ভাষণটি কোনো লিখিত ভাষণ নয়। একটি বারের জন্য ছন্দপতন ঘটেনি ভাষণে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল কঠিন সংকটে ভারসাম্যপূর্ণ অথচ আবেগময় অসাধারণ বক্তৃতা। ভাষণের প্রতিটি লাইন উদ্ধৃতিযোগ্য। বাঙালির জীবনে ৭ মার্চ উজ্জ্বলতম মাইলফলক। এই ভাষণ ছিল বহুমাত্রিক তাৎপর্যমন্ডিত সে বিষয়টি আজ পরিষ্কার। এটা ছিল এক মহাকাব্যিক ভাষণ। এমন উদাত্ত কণ্ঠে সম্মোহনী জাগানো ভাষণ আর কারও পক্ষে দেয়া সম্ভব ছিল না। যদিও অনেকে এই মহাকাব্যিক ভাষণের তুলনা করে থাকেন আব্রাহাম লিংকনের গেটিসবার্গের ভাষণের সঙ্গে। বাঙালির স্বাধিকার স্বায়ত্তশাসন ও মানবমুক্তির স্বপ্ন সবই ছিল আমাদের জাতির পিতার ঐতিহাসিক ভাষণটিতে। সেদিনের রেসকোর্স ময়দান ও বর্তমানের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সেই ভাষণটিকে কেন্দ্র করে বিপুল মানুষের সমাবেশ মানবসভ্যতার ইতিহাসের বিরল ঘটনা। বঙ্গবন্ধু বলেন_ 'তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাক। রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।' ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদানের পর শুধু ঢাকা শহর নয় বরং দেশের রাজনৈতিক চেহারা বদলে যেতে শুরু করে। অল্প সময়ের মধ্যে পাল্টে যেতে থাকে সামগ্রিক প্রেক্ষাপট। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠে আরও বলেন_ 'ভাইয়েরা আমার প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যার যা আছে তাই নিয়ে মোকাবিলা করতে হবে'। বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন ৭ মার্চের পর পশ্চিম পাকিস্তানিরা তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আটকাবস্থায় প্রহসনের বিচার করতে পারে তাই তিনি বলেছিলেন_ 'আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি তোমরা সব রাস্তা-ঘাট বন্ধ করে দেবে'। তিনি সাধারণ জনগণের প্রতি আস্থা রেখে বলেছেন_ 'প্রত্যেক গ্রামে, প্রত্যেক মহল্লায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তুলুন এবং আপনাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকুন'।
বাংলাদেশ মহান স্বাধীনতার ৪৬ বছর পার করেছে। কিন্তু আজও আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি আসেনি। সামাজিক-রাজনৈতিক, শিক্ষা, মানবাধিকার ও আইনের শাসনজনিক গণতান্ত্রিক পরিস্থিতিও খুব সুখকর নয়। চার দশকে আমাদের যতটা এগোনোর কথা ছিল ততটা এগোতে পারিনি। তবে বর্তমান সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং অনেক ক্ষেত্রে সফলও হয়েছে।
ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। মানুষের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের শপথও ছিল তার মধ্যে। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা_ এসব ক্ষেত্রে চার দশকে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। তারপরেও প্রশ্ন জাগে, স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর এসে এত রক্তের বিনিময়ে কী পেয়েছি? পেয়েছি অনেক কিছু। আবার পাইনি অনেক কিছুই। আজও আমরা মানুষের স্বাভাবিক জীবনের নিরাপত্তা দিতে পারছি না। বাজারে আজ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেশি। গুদাম ভরা চাল থাকতেও চালের দাম কমছে না। ভেজাল খেয়ে মরে যাচ্ছে দেশের মানুষ। ভেজাল ওষুধ তৈরি বন্ধ হচ্ছে না। নানা ধরনের ফলমূল, খাবারে মেশানো হচ্ছে বিষ। একবারও তারা চিন্তা করছে না, এই বিষ মানুষের কত বড় ক্ষতি করছে। ডাক্তারদের ভাষ্য, এর ফলে দেশের মানুষের কিডনি, লিভার, হার্ট ধীরগতিতে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। আমরা পাচ্ছি না বিশুদ্ধ পানি। শহরের বাতাস ভারী হয়ে উঠছে দূষণে। আমরা কি কখনই বিবেকের কথা শুনব না? মনে হয় আমাদের বিবেকের দ্বার রুদ্ধ হয়ে গেছে। এভাবে আর কতদিন। এর একটা সমাধান দরকার। ভবিষ্যৎ বংশধরদের কাছে এ অন্যায়ের কী উত্তর দেব?
দেশি-বিদেশি শাসন থেকে মুক্ত হলেই স্বাধীন হয় না। পৃথিবীর বুকে দেশের নাম খোদাই করা হলেই তার শান্তি-সমৃদ্ধি নিশ্চিত হয় না। দেশের মানুষকে হতে হয় বিবেকবান। আমার দেশের মানুষ আজ ছিনতাই, ডাকাতি করছে, একে অন্যকে খুন করছে। নিরপরাধ কিশোরী মেয়েকে এসিড মেরে পঙ্গু করে দিচ্ছে তার ভবিষ্যৎ। অহরহ ধর্ষণ গণধর্ষণ অপহরণ হচ্ছে শহরে গ্রামগঞ্জে। ছেলে বাবাকে হত্যা করছে জমির লোভে। মাকে লাথি দিয়ে মেরে ফেলছে তার আজন্ম স্নেহে লালিত সন্তান। ডাস্টবিনে পাওয়া যাচ্ছে সদ্যজাত শিশু। আর কত কী?

এ কথা সত্য যে ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই এসেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ কোনো কাকতালীয় বিষয় নয় বরং পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণ নির্যাতনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৪ বছরের রাজনৈতিক আন্দোলনের ফসল এই স্বাধীনতা। কোনো জাতি যখন স্বাধীনতা চায় তখন সে প্রত্যাশিত স্বাধীনতাকে ঠেকিয়ে রাখার শক্তি আর কারও থাকে না। '৭১-এ স্বাধীনতা অর্জনের বিষয়ে সমগ্র জাতি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়েছিল। কারণ বাঙালি চেয়েছিল স্বাধিকার তথা স্বায়ত্তশাসন। দেখেছিল স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন।
দীর্ঘদিন পাকিস্তানের শোষণ-শাসন আর বৈষম্যে অতিষ্ঠ বাঙালি জাতি স্বাধীনতার জন্য উন্মুখ হয়েছিল। এ কথা অনস্বীকার্য যে ভাষা আন্দোলন ছিল এ প্রেরণার উৎস। এ আন্দোলনের বিজয় বাঙালিকে আরও বেগবান করে স্বাধীনতার আন্দোলনে। এরপর বঙ্গবন্ধুর সময়োপযোগী নেতৃত্বে বাঙালি জাতি মনেপ্রাণে হয়ে ওঠে অগি্নযোদ্ধা। পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে তখন এ দেশের তরুণ-তরুণী, মুটে-মজুর, ছাত্র-শিক্ষক, কিষাণ-কিষাণিসহ আবালবৃদ্ধবণিতা সবাই মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুতি নেয়।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হলেও এর ঐতিহাসিক পটভূমি ছিল দীর্ঘ। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ বিভক্ত হয়ে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি দেশ জন্ম নেয়। ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ছিল হিন্দু, পাকিস্তানে প্রাধান্য ছিল মুসলমানদের। পাকিস্তানের ছিল দুটি অংশ_ পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান। পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যকার দূরত্ব ছিল হাজার মাইলেরও বেশি। সংস্কৃতিগতভাবে পূর্ব পাকিস্তান তথা পূর্ববাংলা পশ্চিম পাকিস্তান থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল।
পাকিস্তান রাষ্ট্রের ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত ছিল তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানি সামন্ত ও সামরিক কর্মকর্তাদের হাতে। পাকিস্তান সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গেই দেশ শাসন ও অর্থনৈতিক নীতিতে উভয় অংশের মধ্যে বৈষম্য দেখা দেয়। পূর্ব পাকিস্তান থেকে কৃষিপণ্য ও অন্যান্য সম্পদ পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার হতে থাকে। এর পর শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর অবশেষে স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই বাঙালি জাতি সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে এবং মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বহু ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই মহান স্বাধীনতা।
পায়ে পায়ে অনেক পথ পেরিয়ে এসেছি আমরা। এত বছর পরও স্বাধীনতার স্বপ্নগুলো কতটুকু প্রতিফলিত করতে পেরেছি, তা নিজেদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন জাগে। আমরা আসলে কী চেয়েছিলাম আর কী পেয়েছি? আমাদের স্বপ্ন ছিল, এ দেশের মানুষ যাতে না খেয়ে কষ্ট না পায়, তার ব্যবস্থা করা। আমাদের দেশের মানুষ যাতে অশিক্ষিত না থাকে, তার ব্যবস্থা করা। হাসিনা সরকার ক্ষমতায় এসে দারিদ্র্য বিমোচনে ও শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি সাধন করেছে। বর্তমান সরকার অত্যন্ত সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে সেতু করার উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারের এই উদ্যোগ আজ সর্বত্র প্রশংসিত হচ্ছে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন পূরণ হতে আর বেশি সময় বাকি নেই। জাতির জনকের হত্যার বিচার হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও শেষ পর্যায়ে। সরকার কৃষি ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতেও ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে হতদরিদ্রদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
ভুলে গেলে চলবে না বাংলার সম্পদ, এর সবুজ-শ্যামলী, নদ-নদী, পাহাড়-হ্রদ-জলের প্রপাত, সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জন সবই সৃষ্টিকর্তার অশেষ দান। এমন একটি দেশে বসবাস করে আমরা মানবিক ও দেশপ্রেমিক হবো না, এ কথা বিশ্বাস করতে ভীষণ কষ্ট হয়। এ কথা সত্য, হাসিনা সরকার কৃষকস্বার্থ সংরক্ষণের জন্য নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে, জেলা পর্যায়ে কিছু কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে, তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও শেষ পর্যায়ে। সরকারের এসব উদ্যোগ ও তৎপরতা দেশের জন্য ইতিবাচক। হাতিরঝিল প্রকল্প, গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারসহ বেশ কয়েকটি ফ্লাইওভার নির্মাণ এসবও ভালো উদ্যোগ। আগামীতে জনগণকে সঙ্গে নিয়েই প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে যেতে হবে সরকারকে। সরকারের যেসব কর্মকা-ে গণঅসন্তোষ তৈরি হওয়ার সুযোগ রয়েছে ওইসব কাজ থেকে বিরত থেকে জনকল্যাণমুখী কাজে অগ্রসর হতে হবে। যে কোনো কল্যাণরাষ্ট্রের শাসকদের কর্তব্যও তাই। গণতন্ত্রের জয়ধ্বনি করার পরিবেশ তৈরি করতে হবে সরকারকেই।
দেশের মানুষের কল্যাণে রাজনৈতিক দলগুলো পারস্পরিক হানাহানি ভুলে দেশকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নেবে এটাই এ দেশের সচেতন জনগণের দাবি। বাঙালি জাতি এখন আর 'তলাবিহীন ঝুড়ি'ও নয়, দেশের অগ্রগতির মধ্যদিয়েই সেটা স্পষ্ট। সব বাধা উপেক্ষা করে বাংলাদেশ উন্নত জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক_ এটাই হোক আমাদের প্রত্যাশা।
দেশকে প্রকৃত গণতান্ত্রিক ধারায় নিয়ে আসতে উদ্যোগ নিতে হবে। নিরবচ্ছিন্ন গণতন্ত্রের চর্চাই স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল বয়ে আনতে পারে। দেশের অর্থনৈতিক মুক্তিও এর মাধ্যমেই আসবে। সত্যিকার অর্থে বাঙালির স্বাধীনতা অর্জন সেদিনই সার্থক হবে যখন এ দেশের প্রতিটি মানুষ আত্মনির্ভরশীল হতে পারবে এবং দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। এর জন্য প্রয়োজন ব্যক্তির নীতি-নৈতিকতা তথা চরিত্র গঠন, দেশপ্রেম ও জাতীয় ঐকমত্য।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.