![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক আজ একটি কার্যকর আন্তরিকতার পর্যায়ে এসেছে। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা শুধু নয়, সীমান্ত সুরক্ষা, প্রযুক্তি বিনিময়, মহাকাশ গবেষণা, সাইবার নিরাপত্তা, কানেক্টিভিটি, শিপিং, নদী খননসহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতার দিগন্ত ক্রমেই সম্প্রসারিত হচ্ছে। এতে দুই দেশই উপকৃত হচ্ছে। এমনই সময়ে আগামী ৭ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লি যাচ্ছেন। তাঁর এ সফরে দুই দেশের সম্পর্ক যে নিশ্চিতভাবে আরো গতিশীল হবে, সে আশ্বাসই ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। সোমবার ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া পরিদর্শনে এসে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের যেকোনো উদ্যোগকে ভারত স্বাগত জানাবে এবং সমর্থন দেবে। জাতীয় গণহত্যা দিবস পালনের প্রাসঙ্গিকতা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগকে যারা অস্বীকার করে তারা বিশেষ উদ্দেশ্যে ইতিহাসকে ভুল পথে পরিচালিত করতে চায়। জাতিকে এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে একটি গোষ্ঠী বরাবরই অপপ্রচার করে। কারণ তাদের রাজনীতির পুঁজিই হলো ভারতবিরোধিতা ও সাম্প্রদায়িক উসকানি। এরাই পাকিস্তানের শোষণ, নির্যাতন ও সর্বশেষ ১৯৭১ সালের পাকিস্তানি বর্বরতাকে বাংলাদেশে বহাল রাখার চেষ্টা করেছিল। তারা আবার শেখ হাসিনার ভারত সফরের আগে আগে নানা ধরনের অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফরের এজেন্ডায় সামরিক চুক্তির উল্লেখ না থাকলেও তারা সেটি বলে বলে জল ঘোলা করার চেষ্টা করছে। এ ক্ষেত্রে যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের কথা রয়েছে, তা পৃথিবীর প্রায় সব দেশই অন্যান্য দেশের সঙ্গে করে থাকে। বাংলাদেশেরও এ ধরনের সমঝোতা যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ অনেক দেশের সঙ্গেই আছে। ভারতের সঙ্গে একই সমঝোতা থাকলে অসুবিধা কোথায়? এর আওতায় তথ্য বিনিময়, প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহযোগিতা পাওয়া গেলে বাংলাদেশের ক্ষতি কোথায়? তারা বলছে, তিস্তা চুক্তি না হলে আর কোনো চুক্তিই হবে না। তিস্তা চুক্তি হতে যদি আরো এক বছর লেগে যায়, তত দিন পর্যন্ত বাণিজ্য, বিনিয়োগ, নদী খনন, গবেষণা এমন নানা বিষয়ে কোনো চুক্তি করা না হলে ক্ষতি কার হবে? তিস্তার পানির হিসসা আমাদের অবশ্যই প্রয়োজন। তা না হওয়া পর্যন্ত বাকি সব বন্ধ করে রাখা কি কোনো যৌক্তিক পদক্ষেপ হবে?
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে গঙ্গা চুক্তি হয়েছে। অমীমাংসিত স্থলসীমান্ত ও ছিটমহল সমস্যার সমাধান হয়েছে। সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধের অবসান হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যে ভারসাম্য আসছে। বাংলাদেশে ভারতীয় বিনিয়োগ বেড়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি গতিশীল হচ্ছে। মানুষের মাথাপিছু আয় কয়েক গুণ বেড়েছে। যাঁরা অপপ্রচার করেন তাঁদের সময়ে কী হয়েছে? অর্থনীতি কতটা লাভবান হয়েছে? ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগে মানুষকে এসব বলে বোকা বানানো যাবে না। আমরা আশা করি, বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো উন্নত ও কার্যকর করার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফর একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।
©somewhere in net ltd.