![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত বছর গুলশান হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে ও শোলাকিয়ার ঈদের সর্ববৃহৎ জামাতে জঙ্গিবাদী তৎপরতার পর সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুততম সময়ের মধ্যে যে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছিল তাতে জঙ্গিবাদ বেশকিছুটা নিয়ন্ত্রিত হয়েছিল বলে মনে হয়। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। এখন মনে হয় জঙ্গিবাদীদের ঘাঁটি দেশব্যাপী বিস্তৃত হয়েছে। তাই সরকার ও জনগণ এই ব্যাপারে উদ্বিগ্ন্ন ও চিন্তিত। বিরোধী দলের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা যখন বলেন, জঙ্গিবাদী তৎপরতাকে পুঁজি করে সরকারবিরোধী দলীয় কর্মকা-কে দুর্বল করতে চান, তখন সত্য সত্যই ভাবতে অবাক লাগে দেশের এক গভীর সংকটকালে বিরোধীদলীয় নেতা-নেত্রী হিসেবে তারা কী করে এ ধরনের দায়িত্বহীন বক্তব্য প্রদান করতে পারেন। তারা কি বলতে চান সরকার জঙ্গিদের অস্ত্র, গোলা-বারুদ ও অর্থ দিয়ে দেশে অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে শুধু বিরোধী দলের মোকাবেলা করতে আগ্রহী। এ পর্যন্ত যতগুলো জঙ্গিবাদী তৎপরতার ঘটনা ঘটেছে এবং তাতে যারা ধরা পড়েছে, তাদের পরিচয়টা কি? শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কথা যদি ধরা হয়, তাহলে বলতে হবে স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদীদের ঘাঁটিচক্র সেই মাদ্রাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুপরিচিত, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি হিসেবে যারা বিশেষ শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তনে আগ্রহী, একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মন ও মানসিকতায় জাতীয়তাবাদী চেতনাবিরোধী বিকাশ ঘটাতে চান তারাই জঙ্গিবাদ সৃষ্টির শিক্ষামূলক কারখানা চালু রেখেছেন। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় সংগীত পর্যন্ত বাজানো হয় না, জাতীয় জীবনের বিশেষ বিশেষ ঘটনা স্মরণ করে অনুষ্ঠান করতে দেয়া হয় না, ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টির জন্য সাম্প্রদায়িকতাবাদী পাঠ্যপুস্তক পড়ানো হয়, দেশীয় সংস্কৃতি অনুসরণ যেখানে নিষিদ্ধ, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যেসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকরা স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের প্রতিনিধিত্ব করেন, বিত্তশালী, শিক্ষিত সমাজের উচ্চশ্রেণির ছেলেমেয়েরা যেখানে পড়াশোনা করলেও হঠাৎ করে তাদের জঙ্গিবাদী তৎপরতায় লিপ্ত হতে দেখা যায়। আগে জঙ্গিদের উৎস হিসেবে এক বিশেষ শ্রেণির মাদ্রাসাকে গণ্য করা হতো এবং নিম্নবিত্ত গরিবের সন্তানেরা অর্থ ও লোভের বশবর্তী হয়ে জঙ্গিবাদী কাজে আদর্শিত হতেন। এখন সমাজের সর্বোচ্চ শ্রেণির লোকের সন্তানেরা জঙ্গি তৎপরতায় লিপ্ত হতে দেখা যাচ্ছে। বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে প্রায় বলতে শোনা যায় জঙ্গি দমনে সফলতার ক্ষেত্রে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন। আমরাও তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করি না। কিন্তু এই জাতীয় ঐক্য বলতে তিনি কোন ধরনের ইঙ্গিত করেছেন তা বোঝা দুষ্কর। এটা বুঝতে কোনো অসুবিধা হয় না যে বাংলাদেশে এই জঙ্গি তৎপরতার উৎস হচ্ছে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জামায়াত-শিবিরচক্র। বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ার পর থেকে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের জোর দাবি সর্বমহল থেকে বলা হচ্ছে এবং জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মৃত্যুদ- কার্যকর হওয়ার পর বোধহয় জামায়াত শিবিরচক্রই এই জঙ্গিবাদী কর্মকা-ের পথ বেছে নিয়েছে। হয়তো তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদী তৎপরতা- (আইএস, আল কায়েদা, তালেবান ইত্যাদি)। এ দেশের জঙ্গিবাদী তৎপরতার ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে বিএনপির শাসনামলে বিশেষ করে জেনারেল জিয়া ও বেগম খালেদা জিয়ার সময় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ও মদদে জঙ্গিবাদী তৎপরতা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এই ব্যাপারে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।
যারা নিয়মিত পত্র-পত্রিকা পড়েন, টেলিভিশনে টক শো দেখেন ও বাস্তব ঘটনা প্রবাহের খবর রাখেন, তারা অবশ্যই স্বীকার করবেন, বিএনপি তার রাজনৈতিক স্বার্থের কারণেই মৌলবাদী শক্তির প্রশ্রয়, অর্থ ও অস্ত্র উভয় দিয়ে জঙ্গিবাদী তৎপরতা সৃষ্টি করেছে। বাংলা ভাইয়ের উৎস তার প্রমাণ। ভোটের রাজনীতিতে স্বাধীনতার পক্ষের বৃহত্তম শক্তি আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগীদের পরাজিত করা অসম্ভব। জাতীয় রাজনীতিতে অসাম্প্র্রদায়িক, গণতান্ত্রিক শক্তিকে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে, সেই জেনারেল জিয়ার আমল থেকে আজ পর্যন্ত বিএনপি মৌলবাদী জামায়াত-শিবিরের শক্তির ওপর ভর করে রাজনীতি করছে। এমনকি বিএনপির অভ্যন্তরে জাতীয় পর্যায়ের অনেক প্রবীণ নেতা ও বুদ্ধিজীবীরা বেগম খালেদা জিয়াকে জামায়াত-শিবিরচক্র থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করলেও সফল হননি। প্রাথমিক পর্যায়ে ছাত্রদল ও শিবির কর্মীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংঘর্ষও হয়েছে। স্বাধীনতার পক্ষের বিএনপিরা জামায়াত-শিবিরচক্রকে মেনে নিতে চাননি। বেগম জিয়া তাদের রাজনৈতিক মত ও পথে জামায়াত শিবিরের সঙ্গে সম্পর্ক টেকসই করতে বাধ্য করেছেন এর কুফলেই আজকের জঙ্গিবাদ। যতদিন এ বাস্তবতা বিরাজমান থাকবে অর্থাৎ বিএনপির এক হাত জঙ্গির দিকে, অন্য হাত যদি কৌশলগত কারণে তারা ঐক্য প্রক্রিয়ার দিকে প্রসারিত করেন, তাহলে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলতে যাদের বোঝায় তারা কী কারণে জেনে-শুনে (খালেদা জিয়ার কথামতো) জঙ্গি ইন্ধন জোগাবে। তাই বেগম খালেদা জিয়ার ঐক্যের আহ্বান ফাঁকা গুলি মাত্র। তবে এ কথা ঠিক জাতীয়পর্যায়ে যদি স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও অসাম্প্র্রদায়িকতা ভিত্তিক একটা বৃহত্তর ঐক্য গড়ে উঠত, তাহলে জঙ্গি নিয়ন্ত্রণ কিছুটা সহজ হতো। এ কথা বুঝতে এখন কারও বাকি নেই শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী দিয়ে, শক্তি প্রয়োগ করে জঙ্গি দমন সম্ভব হবে না। জঙ্গি নিয়ন্ত্রণের যে সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন তা সফল করতে হলে দলমত নির্বিশেষে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রমনা সব শক্তিকে, শ্রেণি পেশাভিত্তিক জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে দীর্ঘ সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে হবে। যতই খারাপ হোক না কেন জঙ্গিবাদীদের জঙ্গিবাদ একটা মতাদর্শ। এক সময় ছিল যখন সমাজতন্ত্রীরা সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে শ্রেণি-সংগ্রাম করে জীবন দিতে দ্বিধাবোধ করতেন না।
আর এখন এক ধরনের ধর্ম বিশ্বাসীদের দেখা যায়, যারা ইসলামের বিশ্বাসী বলে দাবি করেন এবং জঙ্গিবাদী তৎপরতার মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত রাখতে চান, তারাও একইভাবে জীবন বিসর্জন দিয়ে চলেছেন। ঠিক মৃত্যুর আগে একজন জঙ্গি তার বন্ধুকে বলেন, মৃত্যুর পর বেহেশতে একসঙ্গে দেখা হবে। এখন স্পষ্টত দেখা যায় কোন কোন মতবাদের ওপর বিশ্বাস ও আস্থা হওয়ায় মৃত্যুর পথ বেছে নিচ্ছে। সম্প্রতি জঙ্গি কার্যক্রমে সুইসাইড স্কোয়াড একের পর এক ধরা পড়ছে। যারা বিস্ফোরক দিয়ে নিজেদের ধ্বংস করছেন, তাদের বদ্ধমূল ধারণা ধর্মের কারণে জীবন দিয়ে তারা বেহেশতবাসী হবেন। অথচ পবিত্র কোরআন শরিফে পরিষ্কার বলা আছে, যদি কেউ নির্দোষ একজন মানুষকে বিনা কারণে হত্যা করে, তাহলে ধরে নেয়া হবে, সে সমগ্র মানবজাতিকে হত্যা করেছে। শান্তির ধর্ম ইসলামের এই হচ্ছে বাস্তব নির্দেশ। আর জঙ্গিরা কোন উপলক্ষে ইসলামকে ব্যবহার করছে। শিক্ষাব্যবস্থা যদি এমন হয়, জঙ্গিবাদ প্রসার লাভের সুযোগ পায়, ব্যক্তিগতভাবে পরিবার থেকে পিতা-মাতা ইন্ধন জোগায়, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল কলেজ, মেডিকেল কলেজ এমনকি পেশাগত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জঙ্গিবাদী বীজ বপন করা হয়, তাহলে জাতীয়পর্যায়ে জঙ্গিবাদী তৎপরতা চলবে না কেন? মসজিদ, মাদ্রাসা, ওয়াজ মাহফিল, সেমিনার, ধর্মীয় সম্মেলন যেখানেই সামাজিক আলোচনা পরিচালিত হচ্ছে, সেখানে যদি কোনটা ধর্ম, আর কোনটা জঙ্গিবাদী তৎপরতা এর পার্থক্যটা সঠিকভাবে নিরূপিত না হয় এবং শিক্ষার্থীরা ভ্রান্ত দর্শনে দীক্ষিত হন, তাহলে জঙ্গিবাদ দমন করা যাবে কী করে? প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জঙ্গিবাদকে দমন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেসব বক্তব্য রাখছেন তা প্রণিধানযোগ্য। তবে শুধু জঙ্গিবাদী প্রতিক্রিয়া প্রতিশোধের জন্য নয়, জঙ্গিবাদী তৎপরতা নিরসনের জন্যই প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয়, সামাজিক পর্যায়ে সর্বত্র ধর্মীয় শিক্ষা যাতে কোনো প্রকারে মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক চিন্তাধারায় উৎসাহিত না করে এই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
ইসলাম মানবতাবাদী ধর্ম। এই ধর্মের সঙ্গে জীবনবোধ অত্যন্ত নিবিড়ভাবে জড়িত। তাই সামাজিক আচরণে ধর্মীয় প্রভাব কীভাবে প্রভাবিত করছে সেই ব্যাপারে সতর্ক থেকে প্রকৃত ইসলামী শিক্ষাকে জঙ্গিবাদী তৎপরতা থেকে মুক্ত করতে হবে। জঙ্গিবাদী কাজ যে শান্তির ধর্ম ইসলাম সমর্থন করে না_ এই কথা যদি মসজিদে, মাদ্রাসা থেকে যুক্তি দিয়ে বলা হয়, তবে অবশ্যই জঙ্গিবাদীবিরোধী দর্শনই সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে। এ ব্যাপারে ইমাম, ধর্মবিদদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। বহুদিন ধরে এসব প্রতিষ্ঠানে জামায়াত শিবিরচক্র সুকৌশলে এসব আদর্শ প্রচার করে আসছে। এখনো আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের উদ্যোগে মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মিত হচ্ছে, পরে ওই সব মসজিদ-মাদ্রাসার পরিচালকম-লীর আসনে বসছে জামায়াত-শিবিরচক্র। ইসলামিক শিক্ষার জন্য মাদ্রাসা নির্মাণে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে আর সেখানে জন্ম নিচ্ছে জঙ্গিবাদীরা।
তাই বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় সাম্প্র্রতিককালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাবলিক জনসভায় যে আহ্বান জানিয়েছেন, সমাজের সর্বস্তরের মানুষ যদি তা অনুসরণ করে ও বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলনে নামে তাহলে এ ধরনের সামাজিক আন্দোলনই বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সম্ভব। সম্প্রতি জঙ্গিরা নতুন কৌশল অবলম্বন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর আক্রমণ করছে এই ধারণা নিয়ে ওদের ডিমোরাইজ করতে পারলে জনগণের প্রতি ভীতি প্রদর্শন আরও কার্যকর হবে। এ কথা সত্য_ রাজনীতিক দলসমূহ, শ্রেণি-পেশাভিত্তিক সর্বস্তরের মানুষ সচেতনভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সম্পূরক শক্তি হিসেবে এগিয়ে না আসে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী যে কার্যক্রম চালাচ্ছে এবং দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছে, তাতে ভাটা পড়া অস্বাভাবিক কিছু নয় এবং এমনটা হলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের দেশ বাংলাদেশ। তাই ইসলাম ধর্মের প্রভাব সমাজে থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু ইসলামের দোহাই দিয়ে যদি সমাজকে কলুষিত করা হয়, তাহলে তা প্রতিরোধ করা হবে কি করে। এটা সরকার ও প্রশাসনের একক দায়িত্ব নয়। অধিকাংশ জনগণকে সচেতনভাবে এ ব্যাপারে সম্পৃক্ত হতেই হবে। বিশ্বব্যাপী জঙ্গিবাদের কালো থাবা যে অবস্থার সৃষ্টি করেছে এর থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ নয়। এটা বিশ্ব সংকট। এই সংকট নিরসনে নির্ধারিত নীতি এখনো সঠিকভাবে প্রণীত হয়েছে বলে মনে হয় না। বিশ্বের একেকটা দেশে নিজস্ব মতে জঙ্গি দমন করতে চেয়েছে। অবশ্য সংকটের গতি প্রকৃতিও বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের। তাই আন্তর্জাতিক গৃহীত দর্শন কোনো কোনো দেশে বাস্তবে গ্রহণযোগ্য না হতে পারে।
দক্ষিণ এশিয়ার সংকটের প্রকৃতিও বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকমের। পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশের সন্ত্রাসী কর্মকা-ের পার্থক্য রয়েছে। তাই নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে সুকৌশলী না হলে এই সংকট থেকেই যাবে এবং এক দেশের সংকট অন্য দেশে বিস্তার লাভ করবে। সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ পৃথিবীর সব দেশের সঙ্গে কাজ করে যেতে চায়। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন । সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে যে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে, তা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে।
ডা. এস এ মালেক: রাজনীতিক ও কলাম লেখক
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
"বিরোধী দলের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা যখন বলেন, জঙ্গিবাদী তৎপরতাকে পুঁজি করে সরকারবিরোধী দলীয় কর্মকা-কে দুর্বল করতে চান, তখন সত্য সত্যই ভাবতে অবাক লাগে দেশের এক গভীর সংকটকালে বিরোধীদলীয় নেতা-নেত্রী হিসেবে তারা কী করে এ ধরনের দায়িত্বহীন বক্তব্য প্রদান করতে পারেন। "
-বিরোধীদলের নেত্রী হচ্ছে, রওশন এরশাদ; উনি এই ধরণের কথা বলেননি।