নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও বাংলাদেশ

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫৬

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের ভারত সফরকে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক অগ্রগতি হিসেবেই চিহ্নিত করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। বহু প্রত্যাশিত তিস্তা চুক্তি না হলেও এ সফরে বাংলাদেশের অর্জন বা প্রাপ্তির পাল্লা অনেক ভারী বলেই মনে করছেন তাঁরা। তা সত্ত্বেও সফর শুরুর আগে থেকেই বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল এ সফর ঘিরে নানা ধরনের অপপ্রচার করে চলেছে। এমনই প্রেক্ষাপটে দেশে ফেরার পরদিন গত মঙ্গলবার গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরের বিস্তারিত তুলে ধরেন উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে। সাংবাদিকদের অনেক প্রশ্নের জবাবও দেন তিনি; যাতে ছিল বিরোধী দলগুলোর অপপ্রচারের অনেক জবাব।
তিস্তা চুক্তি না হলেও এ ক্ষেত্রে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট ঘোষণাকে আমরা এক ধাপ অগ্রগতি হিসেবেই বিবেচনা করতে পারি। তিনি সুস্পষ্টভাবেই বলেছেন, দুই দেশের বর্তমান সরকারের সময়ই এ চুক্তি হবে, যার মানে দাঁড়ায় ২০১৮ সালের মধ্যেই এ চুক্তি হতে পারে। ভারত মাত্র ১ শতাংশ সুদে বাংলাদেশকে ৫০০ কোটি ডলার ঋণ দেবে, যার মধ্যে ৫০ কোটি ডলার দেওয়া হবে সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়ের জন্য। অপপ্রচারকারীরা এ ক্ষেত্রে যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে, তা নিয়েই সবচেয়ে বেশি বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করেই জানান, এই ৫০ কোটি ডলার ব্যয় করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সম্পূর্ণ স্বাধীন। অর্থাৎ অস্ত্র বা কী সামরিক সরঞ্জাম কিনবে এবং কোথা থেকে কিনবে সেসব সিদ্ধান্ত বাংলাদেশই নেবে। প্রয়োজনে বাংলাদেশ এ ঋণ নাও নিতে পারে। ২০০২ সালে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন সরকার একই রকম সমঝোতা স্মারক সই করেছিল চীনের সঙ্গে। কই, তখন তো কেউ ‘দেশ বিক্রির’ অভিযোগ তোলেনি। প্রয়োজনে বাংলাদেশ আরো কোনো কোনো দেশের সঙ্গে এমন চুক্তি করবে এবং বর্তমান বৈশ্বিক কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি খুবই স্বাভাবিক ঘটনা।
আসলে বাংলাদেশে কিছু রাজনৈতিক দলের রাজনীতির মূল পুঁজিই হচ্ছে ভারতবিদ্বেষ ও পাকিস্তানপ্রীতি। তারা স্বাধীনতাযুদ্ধেরও বিরোধিতা করেছিল এ প্রেক্ষাপট থেকেই। ভারত আমাদের সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী। বাংলাদেশের তিন দিক ঘিরেই রয়েছে ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত। ফলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অনেক অমীমাংসিত সমস্যা রয়ে গেছে। আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করাটাই সংগত। শেখ হাসিনার সরকার দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা স্থলসীমান্ত ও ছিটমহল সমস্যার সমাধান করেছে। গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি করেছে। বঙ্গোপসাগরে বিরোধপূর্ণ জলসীমান্ত সমস্যার সমাধান করেছে। আলোচনার মাধ্যমে তিস্তাসহ অন্যান্য অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন সমস্যার সমাধান করা যাবে। তা না করে ভারতের সঙ্গে শত্রুতা করে আমাদের কী লাভ হতো। আঞ্চলিক যোগাযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে বিবিআইএন উদ্যোগ এগিয়ে চলেছে। বিমসটেক বাস্তব রূপ পাচ্ছে। এসবই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছে এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির লক্ষ্যও তাই।
আমরা আশা করি, শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং আরো এগিয়ে যাবে। কোনো অযৌক্তিক সমালোচনা বা অপপ্রচার তার রাশ টানতে পারবে না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.