নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জগ

জগ

জগ

ঢাকা থেকে জগ বলছি

জগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একই প্রশপত্রে পরীক্ষা দিয়ে আমি পেয়েছিলাম ১২৫ থেকে ৯৩.১০ আর আমার কলেজে ইয়ারমেট চাকমা বন্ধুটি পেয়েছিল ৩৯ নম্বর । কিন্তু সাবজেক্ট ডিষ্ট্রিবিউশনেরসময় দেখা গেল আমি পেলাম "ইতিহাস" আর উপজাতি বন্ধুটির ভাগ্যে জুটলো ইংরেজি কিংবা জার্নালিজম ।

১২ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

বিশ্ববিদ্যালয়েরর ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে গিয়ে একই ফ্যাকল্টিতে একই প্রশপত্রে পরীক্ষা দিয়ে আমি পেয়েছিলাম ১২৫ থেকে ৯৩.১০ আর আমার কলেজে ইয়ারমেট চাকমা বন্ধুটি পেয়েছিল ৩৯ নম্বর । কিন্তু সাবজেক্ট ডিষ্ট্রিবিউশনেরসময় দেখা গেল আমি পেলাম "ইতিহাস" আর উপজাতি বন্ধুটির ভাগ্যে জুটলো ইংরেজি কিংবা জার্নালিজম । এর ঠিক পাঁচদিন পর আবারো জানতে পেলাম সেএকই বন্ধুটি ঢাবিতে চান্স পেয়েছে ।সেদিন মনে খুব দুঃখই লাগছিল । সেদিনই বুঝতে পেরেছিলাম কোটা জিনিসটার মানে কি ! কোটার মানে হলো অযোগ্যদেরকে বিধির

বলে যোগ্যদের স্হানে পৌছিয়ে দেওয়া ।



ইদানিং দেশের শিক্ষিত তরুন সমাজ কোটা প্রথার বিরুদ্ধে ঐক্য হচ্ছে দেখে খুবই ভালো লাগছে । দেশের অনেকেই হয়তো জানেনা পার্বত্য

চট্টগ্রামে তিন দশক ধরে চলে আসছে এই সমাজ বিধধংসী কোটা পদ্ধতি । দেশের প্রত্যকটি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ক্যাডেট কলেজ, বিসিএস সহ প্রত্যকটি চাকরির ক্ষেত্রে উপজাতিদের জন্য ৫% কোটা সংরক্ষিত আছে । যার ফলে হাজার হাজার অযোগ্য উপজাতিরা চলে যাচ্ছে রাষ্ট্রের গুরুত্বপুর্ন পদগুলোতে । পার্বত্য চট্টগ্রামের হাতে গোনা কিছু সংখ্যক উপজাতিদের মধ্যে আজ অধিকাংশ উচ্চ শিক্ষিত আর সরকারী চাকুরে । প্রজাতন্ত্রের এসকল উপজাতি কর্মকর্তারা শুধু ভালো পজিশনে চাকরি পেয়েই ক্ষান্ত হয়না । যার যার অবস্হান থেকে এদের নিজ

দায়িত্বে প্রতিনিয়ত দেশবিরোধী প্রচারনায় ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় ।



পার্বত্য চট্টগ্রামের একজন উপজাতি ছাত্র কোনমতে টেনেটুনে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করতে পারলেই তাদের আর কোন চিন্তা থাকেনা । নিশ্চিত যে কোন

একটি সরকারি অফিসারের পদ তার জন্য অপেক্ষা করছে । পক্ষান্তরে,একই জলবায়ু, পরিবেশে বাস করেও পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালিরা এসকল সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে যুগের পর যুগ । যার ফলে এ অঞ্চলের বসবাসকারিদের মধ্য দিনেদিনে মারাত্নকভাবে শ্রেনী বৈষম্য

বাড়ছে ।পাঃ চট্টগ্রামে সরেজমিন ঘুরলেই উপজাতি বাঙালিদের মধ্য

রাজা প্রজা সম্পর্কটি স্পষ্ট পরিলক্ষিত হয়।



যেখানে দেশের হাজারো মেধাবিরা তাদের যোগ্যতানুযায়ী নুনতম কিছুকরতে পারছেনা আর সেখানে সামান্য কয়টা উপজাতির জন্য আমাদের সরকারগুলোর কিসের এতো দরদ তা খতিয়ে দেখবার সময় হয়েছে এখন । তাইএকজন পার্বত্য বাঙালী হিসেবে দেশের তরুন সমাজের সাথে সুর মিলিয়ে আমিও বলতে চাই ,সমাজ ধবংসকারী কোটা পদ্ধতি মানিনা মানবোনা ।।



লিখেছেনঃ গাজী সালাউদ্দীন

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯

সেফানুয়েল বলেছেন: নদীর এপার নিঃস্বাস ছাড়িয়া কহে ওপারেই বুঝি সকল সুখ.... :-<

২| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭

সাইফ সানি বলেছেন: ১৯৭১ সালে দেশের আপামর জনসাধারন (কিছু কুলাঙ্গার ছাড়া) মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেছে, তারা কি মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী নয়? তারা কেন বঞ্চিত হবে? আর প্রতিনিয়ত এইসমস্ত কোটার নামে তাদের কে অন্যান্য সাধারন জনগনের কাছে বিশেষ সুবিধাভোগী শ্রেনী হিসেবে পরিচিত হচ্ছে। এটা মুক্তিযোদ্ধাদের পাওনা না, তারা আমাদের সবার কাছে শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে থাকেন সেটাই কাম্য।

৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৮

দুরন্ত-পথিক বলেছেন: ভাইয়া , কি আর ব্লব।আজকে শুনলাম কোটার পক্ষে না কি মানব বন্ধন হয়েছে ।আমি নিজেও কোটা প্রথার বিলুপ্তি চাই।সরকার যেভাবে একশন নিয়েছে আমাদের বিরুদ্ধে, কি যে হবে?

১২ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

জগ বলেছেন: আমরা হাল ছাড়ব না, একসময় ইনশা-আল্লাহ এই কোটা প্রথা বাতিল হয়েই যাবে।

৪| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সুখী বাঙ্গালী বলেছেন: একসময় ইনশা-আল্লাহ এই কোটা প্রথা বাতিল হয়েই যাবে।
সহমত

৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৮

হাসিবুল ইসলাম বাপ্পী বলেছেন: সরকার কি শুধু মাত্র এই কোঠা এর মাদ্ধমেই মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাবে???
আর বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ছেলে কি তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান না????
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ছেলের জীবন কাটে চায়ের দোকানের পানি টেন
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান আরও নানা ভাবে করা যায়, তাদের সন্তানদেরও আরও নানা ভাবে সিক্ষার জন্য সাহায্য করা যাবে।
প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কে একটি করে ফ্লাট বাসা দেওয়া হোক, তাদের প্রতিমাসে ১০০০০ টাকা করে দেওয়া হোক, তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য আলাদা খরচ দেওয়া হোক, তাদের টিউশন ফীস মউকুফ করা হোক...
আমাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু তাই বলে বিসিএস এর মতো জায়গায় কেন এতো বিশাল পরিমানে তাদের জন্য কোটা এর বাবস্থা???
এই কোটা প্রথা বাতিলের দাবী এর মানে কিন্তু এই না যে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করতে হবে না। এর মানে হচ্ছে তাদের এই অন্যায় সুবিধা প্রথা বন্ধ করতে হবে।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য এমনিতেই কিন্তু সরকার কম সুযোগ সুবিধা দেয় নাই।
ভালো ভালো স্কুল কলেজে কিন্তু তাদের জন্য আলাদা ভাবে কোটা এর ব্যাবস্থায় তাদের ভর্তি করা হয়, সেখানে তারা আলাদা সুবিধা পেল, মানলাম এটা।
এরপর যখন বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তির সময় এলো, তখনও তাদের জন্য কোটা এর বাবস্থা।

মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান শুধু এই কোঠা দিয়েই হয় না। আশা করি বুঝতে পারেছেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানের এই কোঠা এমন আকার ধারন করেছে যে কিছু দিন পর হয় জাতীয় বিভিন্ন খেলা-ধুলা প্রতিযোগিতায় এমন হবে যে প্রথম স্থান রাখা হবে তাদের জন্য, আর বাকি ১ম আর ২য় স্থানের আমাদের প্রতিযোগিতা করতে হবে। :p :p





আমেরিকার কোঠা নিয়ে আব্রাহাম লিংকনের একটি ঘটনা বলি...

একবার আব্রাহাম লিংকনের কাছে এক ভদ্রলোক এসে বীরদর্পে বললেন-
-- আমার ছেলেকে রাষ্ট্রীয় উচ্চপদস্থ চাকুরি দিন...
-- আব্রাহাম লিংকন: কেন ?
-- ভদ্রলোক: আমার ছেলে চাকরি পাওয়ার যোগ্য তাই।
... -- আব্রাহাম লিংকন: কিসেরযোগ্যতা আছে আপনার ছেলের?
-- ভদ্রলোক: আমার বাবা (ছেলের দাদা) আমেরিকার জন্যস্বাধীনতা যুদ্ধ করেছেন;
আমরা আমেরিকার মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বংশধর-তাই দেশ সেবার সেরা
চাকরি আমাদের দেয়া উচিৎ.....!
-- আব্রাহাম লিংকন: ওকে থাঙ্কস; আপনাদের পরিবার দেশের জন্য অনেক করেছে; এবার সাধারণ মানুষকে দেশের জন্য কাজ করতে দিন।

___________________________________________________
এই লিঙ্ক থেকে বিস্তারিত পড়ে আসতে পারেন।
____________________________________________________
অথবা এই লিঙ্ক এ বিস্তারিত...
___________________________________________________

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.