চরম ক্ষ্যাপা

১০ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:৩৯

নিজেদেরকে ছোট মনে করা আমাদের একটি মজ্জাগত বদভ্যাসে পরিনত হচ্ছে। যা পরবর্তীতে অহেতুক অনুকরন প্রবনতায় রুপ নিচ্ছে ক্রমাগত। এ প্রবনতার একটি বিশাল অংশ জুড়ে আছে ভারতীয় সংস্কৃতির অন্ধ অনুকরন। এখন আবার যোগ হচ্ছে ভারতীয় রাজনীতি, কুটনীতির অনুকরন।

অথচ এই ভারত অসংখ্য প্যারামিটারে বাংলাদেশের নীচে অবস্থান করছে। আমরা যেখানে প্রায় শতভাগ স্যানিট্যাশন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছি সেখানে ভারতে এখনও জি বাংলায় শৌচালয় বানানোর জন্য বিদ্যা বালান কান্নাকাটি করছে। আরও অবাককর হলো গত পরশু প্রত্যেক পাবলিক টয়লেট ব্যবহারকারিকে প্রতিবার ব্যবহারের জন্য ১ টাকা করে পুরষ্কারের ঘোষনা দিয়েছে রাজ্য সরকার। পুরস্কার দিয়ে যাদের টয়লেটে ঢুকাতে হয়। তারা আমাদের শেখাচ্ছে স্বচ্ছ ভারত।

আজ থেকে অনেক বছর আগে বাংলাদেশের বেদের মেয়ে জোছনা ছবিকে কপি করে ভারতে নির্মিত হয় তুম মেরি হো। আর আমরা এখন হর হামেশা ভারতীয় ছবির নগ্নতা কপি করছি। দিপীকার জন্য পুরা দেশ পাগল হয়ে গেলো, কেউ কি বলতে পারবেন দীপিকার যোগ্যতা কি? সে কি সুচিত্রা বা নার্গিসের মত অভিনয় যোগ্যতার অধিকারি নাকি অনায়াসে কাপড় খুলতে পারাটাই একমাত্র যোগ্যতা।

আমাদের কেউ ভারতে কামলা খাটতে যায়না, অথচ ভারতে রেমিট্যান্স প্রেরনকারি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৪ নম্বরে। এরপরও আমরা ভারত মাতার বন্দনা ছাড়তে পারছিনা।

আমি অহেতুক ভারত বিরোধিতার কথা বলছিনা। ভারত আমাদের একমাত্র প্রতিবেশি রাষ্ট্র (সীমানা হিসাবে)। তাদের সাথে কানেকটিভিটি ছাড়া আমাদের উন্নয়ন অসম্ভব বলে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি। তবে গাত্র অঙ্গ বিকায়ে স্বাধীনতার ঋনশোধ করতে আমি রাজি নই। এদেশ পাকিস্তানকে দিইনি, ভারতকেও দিবনা

০ টি +০/-০