| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমেরিকান ফল ড্রাগন, অন্যান্য ফসলের তুলনায় উৎপাদন খরচ কম, লাভ বেশী। জমির পাশাপাশি বাড়ীর ছাদেও ফলটি চাষ করা য়ায়।ড্রাগন ফলের গাছ দেখতে একদম ক্যাকটাসের মতো । পাতাবিহীন এই গাছটি দেখে অনেকেই একে ক্যাকটাস বলেই মনে করেন। ডিম্বাকৃতির উজ্জ্বল গোলাপি রঙের এই ফলের নাম শুনলে কেমন জানি অদ্ভুত মনে হয় । এ আবার কেমন ফল । এটা কি আদৌ খাবার উপযোগী কিনা মনে সন্দেহ জাগে । ফলের ভিতরের অংশ লাল ও সাদা হয়। ভিতরে নরম শাঁস এবং ফলের মিষ্ট গন্ধ আছে । শাঁসের মধ্যে ছোট ছোট নরম বীজ থাকে। ড্রাগন গাছে ফুল ফোটার ৩৫ - ৪০ দিনের মধ্যেই খাওয়ার উপযুক্ত হয়
বাড়ীর ছাদে টবে চাষ করে সাফল্য লাভ করেছেন উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুস ছালাম।আব্দুস ছালাম ২০১১ সালে এপ্রিল মাসে গাজীপুর জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমি (নাটা) হতে ৩টি চারা এনে টবে লাগিয়েছিলেন। ২০১২ সালে ফুল ফোটে ফল হয়। এপ্রিলের শেষ হতে নভেম্বর মাস পর্যন্ত গাছে ফুল-ফল ধরে। সন্ধ্যা রাতে সাদা ফুল ফোটে ভোর রাতেই বন্ধ হয়ে যায়। তাই অনেকে একে নাইট কুইনও বলে। ফুল ফোটার এক মাস পরই ফল পেকে গাঢ় গোলাপী লোভনীয় রং হয়, তখনই ফল সংগ্রহ করতে হবে। টবে লাগানো একেকটি ফলের ওজন ১৫০ গ্রাম হতে ৩০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। ফলের দাম ৬০০ হতে ১০০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়। সাঁথিয়া তথা পাবনা জেলার মধ্যে তিনিই প্রথম দালানের ছাদে সফলভাবে ড্রাগনফল চাষ করেছেন। তার এ ফলের বাগান দেখতে প্রতিদিন লোক ভীড় করছে। বানিজ্যিক ভাবে জমিতে চাষ সম্পর্কে কৃষিবিদ আব্দুস ছালাম আরো জানান, পানি জমে না এমন উচু জমিতে ড্রাগনফল চাষ করতে হবে। এক বিঘা জমিতে ১২০- ১৩০টি পিলার পুতে প্রতি পিলারে ৪টি করে চারা রোপন করতে হয়। এতে প্রায় ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা খরচ হবে। জমিতে ফলের ওজন ১৫০ গ্রাম হতে ৫০০ গ্রাম হয়। এ ফলে রোগ বালাই ও পোকার আক্রমন নাই বললেই চলে। গাছ রোপনের এক-দেড় বছরের মধ্যেই ফল আসতে শুরু করে। অন্যান্য ফসলের চেয়ে চাষীদের পরিশ্রম অনেক কম, আয় বেশী। আমাদের দেশে ড্রাগনফল চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বিভিন্ন এলাকায় এর সম্প্রসারণের চেষ্টা করছেন। যারা বিল্ডিং বাড়ীতে বাস করেন তাদের প্রত্যেকের ছাদে যেন অন্ততঃ একটি করে ড্রাগনফলের টব থাকার প্রত্যেয় ব্যক্ত করেন কৃষিবিদ আব্দুস ছালাম।
চাষ পদ্ধতিঃ
প্রায় সব ধরনের মাটিতেই ড্রাগন ফল চাষ করা যায়। তবে জৈব পদার্থসমৃদ্ধ বেলে-দোঁআশ মাটিই ড্রাগন চাষের জন্য উত্তম। ছাদে ড্রাগন ফলের কাটিং লাগানোর জন্য ২০ ইঞ্চি কালার ড্রাম বা টব সংগ্রহ করতে হবে । ড্রামের তলায় ৩-৫ টি ছিদ্র করে নিতে হবে । যাতে গাছের গোড়ায় পানি জমে না থাকে । টব বা ড্রামের তলার ছিদ্রগুলো ইটের ছোট ছোট টুকরা দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে । টব বা ড্রামের গাছটিকে ছাদের এমন জায়গায় রাখতে হবে যেখানে সবসময় রোদ থাকে । এবার ২ ভাগ বেলে দোআঁশ মাটি, ১ ভাগ গোবর, ৪০-৫০ গ্রাম টি,এস,পি সার এবং ৪০-৫০ গ্রাম পটাশ সার,একত্রে মিশিয়ে ড্রাম বা টবে পানি দিয়ে রেখে দিতে হবে ১০-১২ দিন । অতঃপর মাটি কিছুটা খুচিয়ে দিয়ে আবার ৪-৫ দিন একইভাবে রেখে দিতে হবে । মাটি যখন ঝুরঝুরে হবে তখন একটি কাটিং এর চারা উক্ত টবে রোপন করতে হবে । গাছের গোড়ায় মাটি কিছুটা উচু করে দিতে হবে এবং মাটি হাত দিয়ে চেপে চেপে দিতে হবে । যাতে গাছের গোড়া দিয়ে বেশী পানি না ঢুকতে পারে । একটি সোজা কাঠি দিয়ে গাছটিকে বেধে দিতে হবে । ড্রাগন ক্যাক্টাস জাতীয় গাছ তাই পানি খুব কম দিতে হবে । লক্ষ্য রাখতে হবে যেন গাছের গোড়ায় পানি কখনই জমে না থাকে ।
অন্যান্য পরিচর্যাঃ
ড্রাগনের গাছের কান্ড লতানো প্রকৃতির । তাই চারা লাগানোর পর গাছ কিছুটা বড় হয়ে গেলে খুঁটি বা পিলার পুঁতে দিয়ে ড্রাগন ফল গাছ বেঁধে দিতে হবে ।
ফলের ব্যবহারঃ
ড্রাগন ফল ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে খেলে ভালো লাগে। ফলকে ২/৪ টুকরা করে চামচ দিয়ে কুরে এর শাঁস খাওয়া যায় । এ ছাড়াও খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে কাঁটাচামচ দিয়ে খাওয়া যায়।

১৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৫১
মোস্তাফা শেখ বলেছেন: Thanks
২|
১৯ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। গাছের চারার দাম কেমন হবে। ঢাকায় পাওয়া যাবে কোথায়?
১৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:২০
মোস্তাফা শেখ বলেছেন: ড্রাগন ফলের চারা ঢাকায় পাওয়া যাবে, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই) এবং বাংলাদেশ কৃষি বিদ্যালয়।ড্রাগন ফলের চারা বা কাটিং সরকারি মূল্য প্রতি কাটিং ৫০ টাকা।ড্রাগন ফলের গাছগুলোতে ফল আসতে রোপণের পর এক থেকে দেড় বছর সময় লাগে। এরপর গাছগুলো একাধারে ২০ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত ফল দিয়ে যায়।
৩|
১৯ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৫
অদৃশ্য বলেছেন:
আমার খুবই ইচ্ছা আছে, ছাদে লাগানোর... তবে এর বাগান করাটা খুব সহজ না বলেই মনে হয় আর দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার...
শুভকামনা...
১৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:২৪
মোস্তাফা শেখ বলেছেন: ড্রাগন ফল চাষপদ্ধতি মোটেও কঠিন নয়।ড্রাগন ফলের গাছগুলোতে ফল আসতে রোপণের পর এক থেকে দেড় বছর সময় লাগে। এরপর গাছগুলো একাধারে ২০ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত ফল দিয়ে যায়।এ কারণে ড্রাগন ফল চাষের ব্যয় যথেষ্ট কম।
৪|
১৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:০৮
মোস্তাফা শেখ বলেছেন: বড় বড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের যে কোনটাতেই পাবেন, যেমন গুলশানের ল্যাভেন্ডার, মীনা বাজার, স্বপ্ন, নন্দন, আগোরা।দাম ৩০০/৪০০ টাকা।
৫|
১৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:০৫
পথিকের পাঁচালী বলেছেন: এমন মুহুর্তে আপনার পোস্টটি চোখে পড়ল যখন আমি আমার বাড়ীর ছাদে বাগান করার প্রাথমিক প্রস্তত্তি শেষ করেছি। অর্থাৎ ছাদ পরিষ্কার করে ২০ টি ড্রাম কিনেছি । দোআঁশ মাটির খোজে আছি । পাচ্ছিনা। এমন সময় আপনার লেখা দেখে মনস্থ করলাম দু একটি ড্রাগন ফলের চাষ করব। আমি ছাদে চাষ যোগ্য কিছু ফলের চারার জন্য বিশ্বস্ত নার্সারী খুঁজছি। কারণ আমার পুকুর পাড়ে এক নার্সারী থেকে চারা কিনে ঠকেছি। ফল ধরার পর এখন দেখা যাচ্ছে এগুলি বাঘ নয় ভেড়া । অতএব আমি ড্রাগন সহ উন্নত মানের চারা পাওয়ার জন্য ঢাকার কোন সরকারি নার্সারি থাকলে জানালে উপকৃত হব । আচ্ছা বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই) কোথায় ?
২০ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:২৬
মোস্তাফা শেখ বলেছেন: Bangladesh Agricultural Research Institute
Chowrasta Joydebpur Road,Joydebpur, Gazipur-170০
৬|
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭
রাফি০০৪৪ বলেছেন: আমি চারা কিনতে চাই। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই) এ যোগাযোগের জন্য ব্যক্তির নাম ও মোবাইল নাম্বার চাই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। অনুপ্রেরণা পেলাম।