নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ ভাল নয় কিন্তু মন ভাল।

মোস্তফা সোহেল

আমি আমার মত করে অন্যদের যতটুকু ভালবাসি অন্যরা আমাকে ততটুকু ভালবাসে না।

মোস্তফা সোহেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে সকল কারনে \'আয়নাবাজি\' দেখবনা!

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৩১




এক বাটপার একবার একটা বুদ্ধি আঁটলো। বলল, আমি এমন একটা দালান বানাবো, যার ছাদ থেকে চাঁদের বুড়িকে দেখা যাবে। দালান বানানোর আগে থেকেই ব্যাপক হারে এর প্রচারণা চললো। সাহায্য করলো, তার মতো আরো কিছু বাটপার। তত্ত্বটা যেহেতু "নতুন", তাই সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক কৌতুহল সৃষ্টি হলো। নির্দিষ্ট দিনে দালান বানানো শেষ হলে, সর্বপ্রথম বাটপার গুলি ছাদ থেকে নেমে জানালো, তারা চাঁদের বুড়ি দেখেছে।

এরপর চাঁদের বুড়ি দেখবার জন্যে রাজাকে আমন্ত্রণ জানানো হলো। হাসিমুখে ছাদ থেকে ফিরে রাজা জানালেন, হ্যাঁ, তিনি চাঁদের বুড়ি দেখেছেন। তারপর একে একে মন্ত্রী, উজির, নাজির, কোটাল, সবাই।

যেহেতু সমাজের উচ্চশ্রেণীর লোকেরা দেখেছে, তাই নিম্নশ্রেণীর লোকেরাও পজিটিভ উত্তর দিলো। অত:পর এক রাখাল ছেলে বলল, আমি দেখি নি। কারণ শর্তটা বোধহয় উলটো, "একমাত্র জারজরাই চাঁদের বুড়ি দেখবে, অন্যরা দেখতে পারবে না!" (তখন সবার বোধোদয় হলো। কেউই তো দেখে নি। কিন্তু বাটপাররা জারজ বলবে, তাই না দেখেও স্বীকার করেছে)

২. আয়নাবাজি নিয়ে এত বেশি প্রচারণা হয়েছে, কেউ যদি এটার কোনো ভুল ধরে, তাহলে সবাই তাকে বাঁকা চোখে দেখবে। সে সিনেমা বুঝে না, দেশপ্রেম নেই। অবস্থা এমন যে, কেউ সিনেমা খারাপ লাগলেও বলতে পারছে না! এমন একটা ভাব যে, এই সিনেমা না দেখলে সে বাঙালি ধর্মের মুরতাদ!

আপনার কী মনে হয়, সিনেমা ভালো হওয়ার কারণে এত প্রচারণা? তাহলে আপনি মায়ের কোলে গিয়ে দুধ খেয়ে আসেন। এটা গতানুগতিক এভারেজ সিনেমাই। অত্যন্ত স্লো গল্প, ঢাকা শহরের অলিগলি দেখিয়ে আধাঘন্টা কাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। ট্রল পেইজগুলোতে এর চেয়ে ভালো কাহিনীর ভিডিও পাওয়া যায়। তাহলে একে ঘিরে এত প্রচারণা কেন?

ট্রেইলার রিলিজের আগেই এত প্রচারণা দেখে সন্দেহ হলো, "এর পেছনের কারণটা কী! মিডিয়া তাদের এত হেল্প করছে কেন? আর ফেসবুকে সিন্ডিকেট প্রচারণাই বা কেন?" চোখে পড়লো, পরিচালকের অমিতাভ রেজা চৌধুরীর নাম। এই সেই অমিতাভ যিনি সুপরিচিত নাস্তিক, এরাই কুরবানিকে সতীদাহ প্রথার সাথে তুলনা করে একে "বর্বর" হিশাবে আখ্যায়িত করেন!

আর অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী সেই ব্যাক্তি, যিনি খালেদা জিয়াকে "আগুন সন্ত্রাসী" আখ্যা দিয়ে খালেদার বাড়ির সামনে প্লে কার্ড নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। এরা মিডিয়ার হেল্প পাবে না তো, কারা পাবে? প্রতিটা শাহবাগির টাইমলাইনে যান, জীবনে কোনোদিন সিনেমা নিয়ে টু শব্দ করে নি, কিন্তু এটা নিয়ে তিন চারটা পজিটিভ রিভিউ আছে তাদের টাইমলাইনে।

অনেকে বলবেন,শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি পলিটিক্সের বাইরে। আপনি হয় মাথামোটা নতুবা শিশু। যদি সাহিত্য পলিটিক্সের বাইরেই হয়, জীবিতদের মধ্যে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ কবি আল মাহমুদকে কেন একঘরে করে রাখা হয়েছে? কোন কিছুই পলিটিক্সের বাইরে নয়। ক্রিকেট নিয়ে চারদিকে এত উন্মাদনা। ক্রিকেটের সেরা গানটি যে আসিফ গেয়েছেন তিনি আজ উপেক্ষিত কেন?

ক্রিকেট নিয়ে অনুষ্ঠান গুলোতে তিনি দাওয়াত পান না। তার সেই গান টিভিতে প্রচার হয় না। ফেসবুকে ক্রিকেটের কোনো গ্রুপেও কখনও আসিফ নিয়ে আলোচনা হতে দেখি না। ব্যান্ড তারকা হামিন-শাফিন বিএসএফের হামলার প্রতিবাদ করায় হয়ে যায় রাজাকার! যারা আজ আয়নাবাজির ভুল ধরায় দেশের শত্রু আখ্যা দিচ্ছে, তারাই আসিফকে ছাগু আখ্যা দেয়, হামিন শাফিন তাদের চোখে পাকি দালাল। ইজিন্ট ইট পলিটিক্স?

বাংলাদেশ এমন এক দেশ, যেদেশে কোনো ব্যাক্তি যদি একটা সুন্দর প্যাকেটে কিছু কেঁচো নিয়ে রাতদিন টিভিতে বিজ্ঞাপন দেয়, কেঁচো স্বাস্থ্যের জন্যে খুবই উপকারী, পুষ্টিকর। একমাস পর কেঁচো কেনার জন্যে লাইন পড়ে যাবে। কেউ প্রশ্নও করবে না, কেঁচো উপকারী, কিন্তু তাই বলে হঠাৎ কেঁচো নিয়ে এত প্রচারণা কেন? পুষ্টিকর আর কোনো কিছু কী নেই? তারা কখনোই বুঝবে না, তার বাড়ির পাশের ক্ষেতের কেঁচোগুলো বিক্রি করার জন্যে এসব বিজ্ঞাপন ধান্দাবাজি!

যারা মিডিয়ার প্রচারণায় বিভ্রান্ত হয়ে প্রশ্ন করতে ভয় পান, তারা কেঁচোর মতোই মেরুদণ্ডহীন। সেই রাজার মতোই কাপুরুষ। আপনি যদি সেই রাখাল ছেলেটার মতো পালটা প্রশ্ন না করতে পারেন, আপনি অমেরুদন্ডী কেঁচো। কালোকে কালো বলতে না পারেন, অন্তত শাদা বলে বিভ্রান্ত করবেন না। চঞ্চলের মতো একটা দলীয় দালালকে বর্জন করার সাহস আপনার নেই, নীরব থাকুন। কিন্তু একটা এভারেজ সিনেমাকে ফার্স্ট ক্লাস বলে মানুষের সাথে প্রতারণা করবেন না!

"চাঁদের বুড়ি" দেখা গেলো কী, গেলো না, সেটা পরের ব্যাপার, বাটপারদের প্রচারণায় বিভ্রান্ত হয়ে, ছাদে চাঁদের বুড়ি দেখতে যাওয়াটাই তো বোকামি!

এমেনিতেই সিনেমা খুব একটা দেখা হয় না। কিন্তু অফিসের কলিগদের অনুরোধে ঢেকি গিলতে গিয়েছিলাম প্রায় অর্থাৎ আয়নাবাজি ছবিটা দেখার সুযোগ তৈরী হয়েছিল। কিন্তু অমিতাভ রেজা আর চঞ্চল চৌ: এর নাম দেখে আরো ইচ্ছে হয় নি। উপরোক্ত লেখাটি যখন ফেসবুকে দেখলাম তখন চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এই ছবি আর দেখবোনা।

লেখা = রাষ্টপুত্র

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:১৮

রানার ব্লগ বলেছেন: :D

হাস্যকর যুক্তি

২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "চাঁদের বুড়ি" দেখা গেলো কী, গেলো না, সেটা পরের ব্যাপার, বাটপারদের প্রচারণায় বিভ্রান্ত হয়ে, ছাদে চাঁদের বুড়ি দেখতে যাওয়াটাই তো বোকামি!

৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: সত্যি বলতে কি, আয়নাবাজি ছবিটিকে আমারো মোটেও খুব স্পেশাল কিছু মনে হল না, যদি চারিদিকে এই ছবির জয় জয়কার!! :|

৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৭

শোভ বলেছেন: "একমাত্র জারজরাই চাঁদের বুড়ি দেখবে, অন্যরা দেখতে পারবে না!" আপনার এই কথাটা মিলাতে পারছি না , কথাটা মনে হয় এই রকম হবে "একমাত্র জারজরাই চাঁদের বুড়ি দেখবেনা , অন্যরা দেখতে পারবে!" জারজ না হওয়ার জন্য রাজা ওজির সবাই চাঁদের বুড়ি দেখিছি বলেছে ।

৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আয়নাবাজি দেখিনি, তবে আপনার পোষ্ট পড়ে আমি নিশ্চিৎ হলাম আপনি বিশেষ শ্রেণীর গেয়ানী লুক :-B

৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আরেকটা কথা বলা দরকার, আপনার মতো গেয়ানী লুকেরা চাঁদের বুড়ি না দেখলেও সাঈদীকে ঠিকই চাঁদে দেখে থাকেন =p~

৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৩৫

আরাফাত৫২৯ বলেছেন: ছবি ভালো না হলে ছবি দেখবেন না। সিম্পল। কিন্তু আপনি যেইসব ফালতু যুক্তি দেখালেন, তাতে বুঝলাম আপনার বুঝার দৌড় কতটুকু। আপনার দেখা বা না দেখা অথবা মতামতের কোন গুরুত্ব দেওয়ার কোন কারণ দেখতেছিনা নিম্নোক্ত কারণসমূহের জন্যঃ

১/ আপনি বলছেন, "অমিতাভ যিনি সুপরিচিত নাস্তিক"। কারো নাস্তিকতা নিয়ে আপনার এলার্জির কারণ কি? আপনি তো ভণ্ড ধার্মিক। যেইখানে ধর্মে ছবি দেখা বা করাই হারাম, সেইখানে আপনার ছবি দেখে মতামত দেবার প্রশ্ন আসে কেন? আগে নিজে ধর্ম শিখেন, তারপরে অন্যের নাস্তিকতা মাপতে বইসেন। প্লাস, কোন নাস্তিকের কোন কথা ভালো না থাকলে ইগনোর করেন, কিন্তু ত্যানা প্যাচাইয়েন না।

২/ আপনি বলছেন, "অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী সেই ব্যাক্তি, যিনি খালেদা জিয়াকে "আগুন সন্ত্রাসী" আখ্যা দিয়ে খালেদার বাড়ির সামনে প্লে কার্ড নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।" এখন বলেন, চঞ্চল চৌধুরী কি ভুল বলছেন? খালেদাতো এক সন্ত্রসী বটেই। এই কারণেই এই অভিনেতার ছবিটা বেশি করে দেখা দরকার।

৩/ আপনি বলছেন, "প্রতিটা শাহবাগির টাইমলাইনে যান, জীবনে কোনোদিন সিনেমা নিয়ে টু শব্দ করে নি, কিন্তু এটা নিয়ে তিন চারটা পজিটিভ রিভিউ আছে তাদের টাইমলাইনে।" ছবি নিয়া শাহবাগীরা পজেটিভ রিভিউ দিসে, তাই ছবি খারাপ!!! মাইরি, আপনার সেই যুক্তি। কিন্তু যেটা বুঝা গেল, আপনার শাহবাগীদের প্রতি অনেক রাগ আর খালেদার প্রতি অনেক ভালোবাসা। কারণ, আপনি ইতর গোলাম আজমের প্রাণ পেয়ারা, তাই শাহবাগী দেখলে আপনার চুলকায় আর গোলামের পা চাটা খালেদারে দেখলে ভালোবাসা জাগে।

৪/ আপনি আরো বলছেন "ব্যান্ড তারকা হামিন-শাফিন বিএসএফের হামলার প্রতিবাদ করায় হয়ে যায় রাজাকার"। না ভাই। উনারা ইনিয়ে-বিনিয়ে রাজাকারদের পক্ষে শাফাই গাইতে চাইছিলেন। সেই কারণে তাদের আদর করে কেউ "রাজাকার" ট্যাগ দিসে। কিন্তু ভাই একটা জিনিস বুঝি না, আপনারা রাজাকারদের পক্ষে এত বলেন, তাও রাজাকার ট্যাগ খাইলে দুঃখ পান, গোস্বা করেন। ক্যান ভাই, আপনাদের কি মেরুদন্ড নাই?

৫/ এর পরে আপনি ইনিয়ে-বিনিয়ে বিভিন্ন সাহিত্যিক আর গায়কের উদাহরণ টানলেন। দলবাজী হয় টিভি-সিনেমাতে, এটা সত্য। আপনার উদাহরণের সাহিত্যিক-গায়কেরাও এমন ছিলেন বলেই হয়ত আজকে এই অবস্থা এদের। আপনার ভাষাতেই বলি, "কালোকে কালো বলতে না পারেন, অন্তত শাদা বলে বিভ্রান্ত করবেন না"।

৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:৫৩

অপু তানভীর বলেছেন: আয়নাবাজি আমিও দেখেছি । সত্যি বলতে কি আমার কাছে এতোটা আহামরি মনে হয় নি যতটা প্রচার করা হয়েছে কিন্তু আপনি যে হাস্যকর যুক্তি দিলেন তাতে এটা স্পষ্ট যে আপনি কোন শ্রেণীর পাবলিক । ব্লগ তো তাই কিছু নিয়ম নীতি নেমে চলতে হয় নয়তো আরও চমৎকার কিছু ভাষা ব্যবহার করা যেত !



সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আয়নাবাজি দেখিনি, তবে আপনার পোষ্ট পড়ে আমি নিশ্চিৎ হলাম আপনি বিশেষ শ্রেণীর গেয়ানী লুক :-B

৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:৫৯

নতুন বলেছেন: ট্রেইলার রিলিজের আগেই এত প্রচারণা দেখে সন্দেহ হলো, "এর পেছনের কারণটা কী! মিডিয়া তাদের এত হেল্প করছে কেন? আর ফেসবুকে সিন্ডিকেট প্রচারণাই বা কেন?" চোখে পড়লো, পরিচালকের অমিতাভ রেজা চৌধুরীর নাম। এই সেই অমিতাভ যিনি সুপরিচিত নাস্তিক, এরাই কুরবানিকে সতীদাহ প্রথার সাথে তুলনা করে একে "বর্বর" হিশাবে আখ্যায়িত করেন!

আর অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী সেই ব্যাক্তি, যিনি খালেদা জিয়াকে "আগুন সন্ত্রাসী" আখ্যা দিয়ে খালেদার বাড়ির সামনে প্লে কার্ড নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। এরা মিডিয়ার হেল্প পাবে না তো, কারা পাবে? প্রতিটা শাহবাগির টাইমলাইনে যান, জীবনে কোনোদিন সিনেমা নিয়ে টু শব্দ করে নি, কিন্তু এটা নিয়ে তিন চারটা পজিটিভ রিভিউ আছে তাদের টাইমলাইনে।



এই সব কারনে যদি আপনি আয়নাবাজীকে খারাপ বলেন তবে তো আর কিছুই বলার নাই।...<<<

অপু তানভীর বলেছেন: সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আয়নাবাজি দেখিনি, তবে আপনার পোষ্ট পড়ে আমি নিশ্চিৎ হলাম আপনি


কিন্তু আমার কাছে ছবিটা ৬/১০ এর মতন লেগেছে.... পরিচালনা ভাল, ক্যমেরার কাজও ভাল ( কিন্তু মনপুরায় আরো ভালো ছিলো) কিন্তু গল্পটা খুবই সাধারন এবং কাহিনি গোজামিল দেওয়া...

কিন্তু আপনার উপরে যেই সব কারনে ছবি দেখবেন না বলেছেন তাতে কিন্তু প্রমান হয় আপনি বিশেষ শ্রেণীর গেয়ানী লুক B-))

১০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:১৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: পোস্টে স্পষ্টতই বিভ্রান্তি ছড়ানোর একটা প্রয়াস লক্ষ্য করলাম। অমিতাভ রেজা নাস্তিক, চাঁদের বুড়ি, উচ্চ শ্রেণি, চঞ্চল চৌধূরীর প্রতিবাদী প্লেকার্ড নিয়ে খালেদা জিয়ার বাড়ির ঘটনাসহ অনেক অপ্রাসংগিক টপিক এনে আলুপোড়ার একটা প্রচেষ্টা দেখলাম। উপরের কয়েকটা মন্তব্য বিশেষত সাদা মনের মানুষ ভাইয়ের মন্তব্যে আপনার নাড়ি ধরা পড়েছে।
মুভি হিসেবে আয়নাবাজি কতটা সফল সেটা নিয়ে আলোচনা করলে আপনার এ পোস্টে বিতর্কের সুযোগ ছিল কিন্তু আপনার ডাস্টবিন থেকে উচ্ছিষ্ট দিয়ে সে অবস্থাটা আর রাখেনই নি। তারপরও বলছি, আয়নাবাজি যাপিত জীবনের ছবি। এটা খুবই সাধারণ অথবা খুবই অসাধারণ। কুত্তার পাতে ঘি দিলেও সেটার যা মর্যাদা, পান্তা দিলেও একই মর্যাদা!! হাড্ডি দিলে অবশ্য ভিন্ন কথা!!

১১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৩১

মেহেদী রবিন বলেছেন: আর সিয়াটলের ফিল্ম ফেয়ারে আয়নাবাজি যে শ্রেষ্ঠ ফিল্মের পুরস্কারটা পেল সেটা কেন ভাই ? ওরাও কি নাস্তিক, খালেদা বিরোধী ?

১২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৪০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
আপনে আসলেই বিশেষ শ্রেণীর গেয়ানি লুক।

পোস্টের শিরোনাম দেখে ভাবছিলাম - লজিক্যাল কিছু পাব। পড়ার পর বুঝলাম - আপনে আসলে না বুইঝাই একটা ফান পোস্ট লিখছেন। ফান অবশ্য পোস্টের থেইকা বেশি আপনারে নিয়াই।

আয়নাবাজির ভুল গুলো এই নিয়ে ব্লগে কমগুলো মন্তব্য করি নাই। পোস্টও কম আসে নাই অনলাইন জুড়ে। লজিক্যাল ভুলও কম নাই। আয়নাবাজির ভুল ধরলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে সেটাও কেউ বলে নাই। কিন্তু ভুল হইছে বইলাই শাহবাগে মানববন্ধন করা লাগবে এমনও কেউ ভাবে নাই। অত ক্রিটিক্যাল কোন ভুল না। যেই ভুল আছে সেইটা পরবর্তীতে শোধরাবে সেই আশাই সবাই করছে।

ইভেন - মুভি দেখার পর বেশির ভাগই এই কথাটা বলছে যে, মুভিটা ভাল লাগছে - কিন্তু ফিনিশিং ভাল লাগে নাই।

নিশ্চয় রঙ্গিন চশমার চোখে ঐসব দেখেন নাই। নাইলে চাঁদের বুড়ি নিয়া বেশি ব্যস্ত থাকায় দেখতে পারেন নাই।

আপচুস আপনের লাইগা।

১৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:১৫

কালীদাস বলেছেন:
অসম্ভব ভালো লিখেছেন। এক কথায় অনবদ্য।

বহুদিন পরে একটা ভালো লেখা পড়লাম। রবীন্দ্র পরবর্তী যুগে এধরনের লেখা আর আগে আসে নি। অনবদ্য...অসাধারণ...

পড়তে পড়তে চোখে পানি এসে গেল। শুধু যে প্রাসঙ্গিক ও সময়উপযোগী লেখা তাই নয় একেবারে সমস্যার মূলে কুঠারাঘাত করেছেন। লেখকের বক্তবের সাথে পুরোপুরি একমত। লেখাটিকে স্টিকি করা হোক...

১৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৫

প্রামানিক বলেছেন: আয়নাবাজি না দেখে কোন ভালো মন্দ মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.