![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনের হারানো সুরের খোঁজে এঁকে যাই নৈশ্বাব্দিক অপেক্ষার ছবি। যদি কখনো ফিরে পাই বিশ্বাসের সেই পুরোনো রঙ তুলি তবে আবার আঁকতে চাই ভালোবাসার পুরনো সেই ক্যানভাসে পুরনো সেই একই ছবি -একই বিশ্বাস ।
পনেরর ‘পরে আমি এক পিতৃবৎ কিশোর
চালতার ডাল ভেঙেছি। রিনিদের পলাশ ডালিম সবই ছিড়েছি
পিপুলের ডালে দিয়েছি মাছরাঙার বিয়ে
তখন আমায় কেউই কিছু বলেনি।
আঠারোর ‘পরে আমি এক উন্মাদ নাস্তিক
শাস্ত্রীয় রীতি ছেড়ে পিয়েছি নিষিদ্ধ লোবাণ
রাত্তিরে গিয়েছি তাশের দেশে-মদের নেশায় বুদ হতে
তবুও আমায় কেউই কিছু বলেনি।
বাইশের ‘পরে এলো শ্রাবণের মেঘ
জায়মান চেতনায় জীবন হলো ঋদ্ধ
উত্তরকালের চিতস্রোতে এঁকেছি ন্যাড়া বাউলের পাণ্ডুলিপি
দ্যাখো, তবুও কেউ কিছু বললো না।
তিরিশের ‘পর আমার ঘর গোছানোর পালা
বিকেলের মাঠে শাদা রোদে ঘাম ঝড়িয়ে হাত ধরলো এক নারী
নোনা জলের উষ্ণতায় বিদ্ধ আমি পাণ্ডুলিপি ছেড়ে কোথায় পালাই
সবাই বলে, দ্যাখো ওই যায় এক লম্পট কবি।
এখন আমি কোথায় লুকি, কোথায় গিয়ে কাঁদি।
©somewhere in net ltd.