![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক
কিছু কিছু খবর- গরম চায়ে প্রথম চুমুকের মতো, একটু সাবধানী হতে হয়।
দুই
আমাদের এক বন্ধু পাহাড় বিক্রি করতো। পাহাড় বিক্রির খবরটা একটু অদ্ভুত শোনায় বলেই কিনা জানিনা, তাহের খবরটা প্রথম যেদিন দিলো, তাকে আমরা মিথ্যুক ভাবলাম। দোকানীরা গুল মারবে- জানা কথা। আবার কেন যেন মনে হলো, কথাটা সত্যিও হতে পারে। তবে খবরটাকে সেদিনের মতো অসত্য ভেবেই আমরা তিনশ গ্যালন চা গিলে, পেটে অম্বল নিয়ে আরিফের বাড়ীতে ঢুকেছিলাম এবং এর পরের দিনও একে অসত্য ভেবেছিলাম, তারপর ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। তবে দিনকয়েক যেতেই বুঝলাম, আমাদের বুক ফুলে উঠছে একথা ভেবে যে, আমাদের বন্ধু নজরুল পাহাড় ব্যবসায়ী। আদার ব্যবসা, কিংবা জাহাজের কারবার করার চেয়ে পাহাড় বেচা-কেনার ব্যাপারটি আলাদা এবং কাজটি যে সে পারেনা, নজরুল পারে। সে সময়- ঘুমাতে গেলে, রাস্তায় জ্যামে আটকালে, ইডেন কলেজ কী রোকেয়া হলের সামনে জোড়-বেজোড়, জোড়-বেজোড় গুনতে গুনতে নজরুলের কথা মনে হতো। এক সময় আমরা বুঝতে পারলাম, পাহাড় বিক্রি না করাটা জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। তখন থেকে আমরা রাস্তায়, শোবার ঘরে, দোকানের শো-রুমে, কলতলায়, এমন কি স্বপ্নেও পাহাড় দেখতাম। দেখতাম, মাউণ্ট এভারেষ্ট কেনার জন্য লাইন ধরে খদ্দেররা দাঁড়িয়ে আছে, কাঞ্চনজঙ্ঘা এইমাত্র ডেলিভারীতে গেল, তাজিনডং আর ফরেস্ট হীল বেচার চালানপত্র তৈরী হয়ে গেছে- খুব ভালো লাগতো; আর ঘুম থেকে উঠলে- সকাল বেলায় নিজেদের তুচ্ছ মনে হতো, খাঁচার ভিতর অচিন পাখি গানটা শুনে মাঝে মাঝে যেমন লাগে, তেমন বৈরাগ্য হতো। পাহাড়ের আশেপাশে চিন্তাশীল মুষিক হয়ে বেঁচে থাকার কোনো মানে হয়না।
সে সময় তাহেরের দোকানে আড্ডা শেষ করে আরিফদের বাড়ীতে যখন আসতাম, ঘড়িরকাঁটা বারোটা ছুঁই ছুঁই করতো। মাঝরাতে অন্যের বাড়ীতে কড়া নাড়ার মতো অসভ্যতায় তখনো আমরা অভ্যস্ত ছিলাম না। আরিফ আমাদের দেখে বিরক্ত হতো, আবার হয়তো অপেক্ষাও করতো। ও থাকতো আকাশের কাছাকাছি, খুব সম্ভবতঃ দোতলা কোনো বাড়ীতে। এ বাড়িতে ঢুকলেই টের পেতাম, বড় বেশী স্যাণ্ডেল ঘষটে হাটার অভ্যাস আমাদের! খুব সাবধানে পা ফেলতাম, সিঁড়ির গায়ে কম কষ্ট দিয়ে দোতলায় উঠতাম, দোতলা থেকে তিন তলায়, তিন তলা থেকে আকাশের কাছাকাছি; অথবা তিন তলাতেই হয়তো উঠতে হতোনা আমাদের, দোতলায় থামতাম; তেতলা কিংবা আকাশ থেকে খুব বেশী দূরে নয়।
আমরা তালা ঝুলানোর কয়রায় হাত রাখার আগেই আরিফ দরোজা খুলে দিত, কপালে ভাঁজ ফেলতো, তারপর ফিসফিস করে বলতো, 'কী খবর?' আরিফের কথা শুনে আমরা তার গেঞ্জি ঠেলে উপচে পড়া ভুড়ির দিকে তাকিয়ে থাকতাম, নাভীর কাছে উঁচু হয়ে থাকা নীল লুঙ্গির গেঁড়ো দেখতাম, তারপর বলতাম, 'বাড়ীর সবাই ঘুমায়া পড়ছে?' আরিফ মাঝে মাঝে মাথা নেড়ে এ কথার উত্তর দিত; আবার কখনো কখনো ওর মাথা নাড়ার আগেই বাথরুমের পাশের ঘর থেকে কে যেন জিজ্ঞেস করতো, 'এত রাত্রে কে আরিফ?' আরিফ তাড়াতাড়ি প্রশ্নকর্তার ঘরে ঢুকত, আর আমরা হাফপ্লেটে ঢাকা তরকারীর বাটি সামনে নিয়ে ডাইনিং টেবিলে বসতাম, যেখানে মেলামাইনের গামলায় জালি দিয়ে ঢাকা ভাত থাকতো, মাছি থাকতো; জালির নীচে আটক নীল মাছিগুলোকে আমরা বেকশুর খালাস দিতাম।
'ও আরিফ, ঘরের মধ্যে সিগারেট খায় কে?'- ফ্যানের শব্দ, আধখোলা মেহগনীর দরজা, আর দরজায় ঝুলানো পর্দা ঠেলে বাথরুমের পাশের ঘর থেকে কার যেন গলা শোনা যেত; এইসব গলায় আহ্লাদ আর সর্দির সংশ্লেষণ থাকে। আরিফ কোমরগামী লুঙ্গির গিট পেট বরাবর টানতে টানতে ডাইনিং রুমে ঢুকতো, আমরা গ্লাসের পানিতে অর্ধেক সিগারেটের সলিল সমাধি দিতাম, সিগারেটের ফিল্টারের মরণ-বাঁচন সাঁতার দেখতে দেখতে বলতাম, 'তাইলে চইলা যাব?' আরিফ মাথা চুলকাতো, চুল ঠিক করতো, ঠিক করা চুল আবার চুলকাতো, তারপর বলতো, 'ওর শরীরটা ভালো না।' শরীর ভালো না- সংবাদটাতে আমাদের আমোদ লাগতো, তারপর সিদ্দীকা খালাম্মার মতো জিজ্ঞাসা করতাম, 'কয় মাস?' আরিফ লজ্জা পাওয়া গলায় বলতো, 'তোরা যা ভাবতেছোস, সেই রকম কিছুনা।' আমরা মাথা নাড়তাম, অল্প শব্দে হাসতাম।
তারপর আরিফ আধখোলা মেহগনীর দরজা ঠেলে বাথরুমের পাশের ঘরে ঢুকতো। আমরা অপেক্ষা করতাম। 'এতো রাতে কী করো?', দরজায় ঝুলানো পর্দার ওপাশ থেকে আহ্লাদী স্বরে কে যেন জানতে চাইতো; উত্তর শোনার জন্য আমরা কান খাড়া রাখতাম। একসময় দরজায় ঝুলানো পর্দা নড়তো, আরিফ ডাইনিং রুমে ঢুকতো, আমরা হলদে ডিস্টেম্পার করা দেয়ালে টিকটিকি বালিকাদের ছলা-কলা দেখতাম। আরিফ ডাইনিং টেবিলের তরকারীর বাটির পাশে কিছু টাকা রাখতো, বলতো, 'দশ হাজার আছে।' আমরা টাকাটা পকেটে ঢুকাতে ঢুকাতে বলতাম, 'মাত্র দশ?'
- 'বাকিটা কাজের পরে।'
- 'নগর ভবনের টাকাটা এখনো পাই নাই।'
- 'টেণ্ডারটা নিয়া ঝামেলা হইছে। দুই মিনিষ্ট্রিতে ক্যাচাল লাগছে।'
আন্তঃমন্ত্রণালয়ের ক্যাচালে আমরা ভীষণ বিরক্ত হতাম, বলতাম, 'আমরা এইবার কোন মিনিষ্ট্রির?'
বিশ্ববিদ্যালয়ে একসাথে পড়াশুনা করেও আমরা আরিফকে অর্থহীন প্রশ্ন করতাম। আমাদের আমলা বন্ধুটি এসব প্রশ্ন শুনলেই লুঙ্গির গিট ঠিক করতো। তাকে ফাঁপর থেকে বাঁচাতেই বাথরুমের পাশের ঘর থেকে আবার প্রশ্ন আসতো, 'ও আরিফ, এতো রাতে তোমরা কী করো?' আরিফের কপালে ভাঁজ পড়তো, বলতো, 'তোরা আজ যা।'
আমরা আকাশের কাছ থেকে তিন তলায়, তিনতলা থেকে দোতলায় এবং দোতলা থেকে একতলা হয়ে পথে নামতাম। অথবা তিন তলাতেই হয়তো উঠতে হতোনা আমাদের, দোতলা থেকেই পথে নামতাম; দোতলা আকাশ থেকে খুব বেশী দূরে নয়।
এসময় আমরা রাস্তায় নেমে হোমিওপ্যাথির শিশিতে সোডিয়ামের আলো ভরতাম, সাগুদানায় গোটাদশেক খসা তারার ভেজাল মেশাতাম, আর কুয়াশা থাকলে, জীবনানন্দ দাশকে ট্রামের তলা থেকে টেনে তুলে বসিয়ে দিতাম ট্রাফিক কন্ট্রোলে। বুড়ী চাঁদ- মগবাজারের রূপালী অশ্ব হয়ে ছুটে আসতো প্রেসক্লাবের সামনে; আমরা তার পিঠে চড়ে টাকায় চার মণ চাল বিক্রি করতাম। এসব দেখে ঈশা খাঁ বড় খুশি হতেন; তারপর পানের বোটায় হাকিমপুরি হাসি মাখিয়ে হোসনী দালানের পথ ধরতেন শম্ভু কাওয়ালের সাথে মন্দিরা বাজাবেন বলে।
এসব দিনে কুকুরের মতো একটা রিক্সা আমাদের পায়ে পায়ে হাঁটতো, গন্ধ শুকতো, হাইকোর্টের দিকে তাকিয়ে ষোল সেকেণ্ড অলস দাঁড়িয়ে থাকতো, টুংটুং বেল বাজিয়ে উকিল-মোক্তারদের রোল কল করতো, একটু পরে আবার দৌড়াতো, শিশু একাডেমীর রেইন-ট্রি গাছের গোড়ায় খুঁজে পাওয়া সঙ্গিনীকে নিয়ে নীল পলিথিনের নীচে ঠিক সাড়ে তিন মিনিটের সংসার পাততো, তিন নেতা মাজারের চৌকি ভুলে ফ্লাস্কে চা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতো খালি রিক্সার পায়ের কাছে। এ দৃশ্যে উৎসাহিত হয়ে প্রলেতারিয়েতের ভালোবাসা পাঠ করতাম; বড় তৃপ্তি হতো আমাদের। আমাদের তৎসম শব্দে সমাজতন্ত্র পোয়াতি হয়ে ওঠার আগেই জন্ম নিত দু’শ চল্লিশ জন লেনিন। আমরা রাস্তা জুড়ে গোল্লাছুট খেলতাম; আর শিশু কমরেডরা উবু-দশ-কুড়ি গুনতে গুনতে নিমের মাজনের মতো মিশে যেত দাঁতাল শহরে, বড় আফসোস হত আমাদের। তারপর নূর হোসেনের মতো খুন হওয়া অলৌকিক পক্ষীর শোকে আমরা চুয়ান্ন ধারা ভেঙ্গে দোয়েল চত্বরে ঢুকে প্রশ্রাব করতাম; আরিফকে ভুলে যেতাম এসময়।
'তোরা এইখানে!' আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম কোনো বিনয়ী যন্ত্রযান কদম্বুচি করতে হাজির হয়েছে, গোলাপ শাহের মতো আমরা পা বাড়িয়ে দেই দর্শনার্থীর সুবিধার্থে, পরে দেখি আমাদের বন্ধু আরিফ গাড়ী থেকে নামছে, তার ল্যাণ্ড ক্রুজারকে তমিজ দেখাতে আমরা পা গুটাই এবং একটু পরে গুটানো পায়ের ঝি-ঝি ঝাড়তে উঠে দাঁড়াই, বলি, 'তোর বউ না অসুস্থ?' আমাদের কথা শুনে আরিফ চেহারায় ভ্যাবাচ্যাকা ভাব করে, খুচরা অপরাধে ধরা পড়লে সবাই যেমন করে আরকি! সে কপালে ভাঁজ ফেলে, বোকা বোকা হাসি দেয়, তারপর এটা কোনো ব্যাপার না- এমন স্বরে বলে, 'দুই মিনিট থাইকা-ই চইলা যাবো।'
- 'লোকজন দেখলে সমস্যা নাই তো?'
- 'কী সমস্যা?'
- 'একজন নব্য আমলা রাস্তায় ঘুরতেছে দেইখা জাতির বিবেক জাগ্রত হইলে?'
- 'জাতির বিবেক এতো ঘন ঘন খাড়া হয়া উঠলে তো মুশকিল!', আরিফ জটিল হাসি দেয়, আমরা রাজকর্মচারীর অনুগ্রহ পাওয়া বন্ধুর দলও হাসি। সোডিয়ামের আলোতে আমাদের হাসি এ ল্যাম্পপোষ্ট, ও ল্যাম্পপোষ্ট করে। আরিফ ভুরু কুচকে ফুটপাতে বসে, দুই ভুরু প্রায় এক করে ফেলার বিরল কৃতিত্ব দেখায়, আমরা মনে মনে বাহবা দেই, জাতির বিবেক জাগ্রত হওয়ার অপেক্ষা করি। আরিফ জিজ্ঞাসা করে, 'নজরুলের কোনো খোঁজ পাইলি?'
- 'বরিশালে আছে।'
- 'ঐখানে কি করে?'
- 'মনে হয় জলদস্যু হইতে গেছে; সে ভাস্কো দা গামার আত্মীয় কিনা!'
- 'মশকরা থামা। তোদের নিয়া পত্রিকায় রিপোর্ট হইছে।'
আমাদের ধারনা ছিল কোনো একদিন বিখ্যাত হয়ে যাব; তবুও আরিফের কথা শুনে আমরা অবাক হই। ভাবতাম একদিন ঘুম থেকে উঠেই দেখবো আমরা বিখ্যাত হয়ে গেছি। আমাদের সাথে সাথে তোষকের নীচে লুকিয়া রাখা নীল পলিথিন ব্যাগ এবং ভিজিটিং কার্ডের উল্টো দিকে নাম ভুলে যাওয়া কারো ফোন নম্বর- সবাই বিখ্যাত হয়ে যাবে কোনো এক সকালে। তবে ঘটনাটা এতো তাড়াতাড়ি ঘটবে আশা করিনি। আমরা সলজ্জ হাসি এবং বিধি মোতাবেক মাথা চুলকাই, জিজ্ঞাসা করি, 'কী লিখছে পত্রিকায়?' 'কী আর! কতিপয় বিপথগামী শিক্ষিত যুবক ঢাকার পরিবেশ নষ্ট করছে- এইসব হাবিজাবি! সমস্যা নাই, আমি থানায় বইলা রাখছি।'
আরিফের উত্তরে আমরা বিচলিত হই এবং আশ্বাসে বিগলিত। আমাদের বিখ্যাত এবং নিরাপদ রাখার আমানত নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে কসরত হচ্ছে, ভাবতেই শিহরণ জাগে এবং তা প্রকাশে আমরা জিভ বের করি এবং বলি, 'নজরুলের কী করবি?' 'তোরা তাইলে একবার বরিশালে যা, দ্যাখ নজরুলরে পাস কিনা!' আরিফ আমাদের বুড়িগঙ্গায় ভাসার সমন দিয়ে ল্যাণ্ডক্রুজারে ওঠে। আমরা দোয়েল চত্বরের পাখি দু’টোকে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা থেকে মুক্তি দেই; শাহবাগে আসি এবং পাহাড় ব্যবসায়ী, আর জাতির বিবেকের চৌম্বক শক্তিতে আটকা পড়ি।
তিন
বরিশাল থেকে ফিরেই তাহেরের দোকানে গরম চায়ে চুমুক দিতেই সংবাদ পাই আমরা আরো বিখ্যাত হয়ে গেছি। পত্রিকায় নাকি ছবিও ছাপা হয়েছে। তাহের খবর দেয়, আর কলা ঝুলানো সুতালির মাছি তাড়ায়। নীল নীল ডুমো মাছি ওড়ে, গরম চায়ে আমাদের জিভ পুড়ে। ফোস্কা পড়া গালে পল রবসনের ওল্ড ম্যান রিভার গাইতে গাইতে তাহেরের সাথে আমরাও মাছি তাড়াই; ভুপেন হাজারিকার পিঠে দু'টো মাছি ঝুলে থাকে, তাহের যেমন আমাদের পিঠে ঝুলে থাকে, আমরা যেমন আরিফের পিঠে ঝুলে আছি- সেই রকম। 'আপনেগো খোঁজে কাইল এইখানে পুলিশ আইছিল', তাহের জানায়। আমরা হাসি; হাসতে হাসতে কুটি-পাটি হই, তাহের তাকিয়ে থাকে।
'আরিফ ভায়ের বউ মাডার হইছে', তাহেরের গলায় চক্রান্ত, চোখে নিখুঁত শয়তানী। আমরা খবরটা শুনি; তাহেরের দিকে তাকাই। তাহেরও আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকে। 'শালা', আমরা থু থু ফেলতে ফেলতে নীল ডুমো মাছিকে গালি দেই; আরো এক গ্যালন চা খাই। তারপর যখন মনে পড়ে- বাথরুমের পাশের ঘর থেকে শ্লেষ্মা জড়ানো স্বরটি আর শোনা যাবেনা, তখন একটু অবাক লাগে; তারপর টুপ করে সব ভুলে যাই এবং নজরুল আমাদের মাথায় ভর করে, যে পাহাড় বেচে এবং যার কাছে একজন আমলাও নীল ডুমো মাছি! নোয়াখালি, নেত্রকোণা, সদর রোড নাকি আলেকান্দা- কোথায় কারবার তোমার! নাকি কারওয়ান বাজার আড়তে তোমার নিবাস!
কারওয়ান বাজারে কথা মনে হতেই মিন্তিদের কুচকাওয়াজ শুরু হয়। লেফট-রাইট, লেফট-রাইট করতে করতে এলিফেণ্ট রোডের মিন্তিরা আমাদের স্যালুট জানায়; আমরাও তিন বাহিনী প্রধানের মতো সীনা টান রাখি। আমাদের সটান সীনায় আরিফ নেমে আসে, বলে, 'নজরুলের খোঁজ পাইলি?' নজরুলের কথা মনে হতেই শাহবাগ ওভার ব্রিজের আগা-পাশ-তলায় মাইক্রোস্কোপ বসাই, বারডেমের প্রতি স্কোয়ার ইঞ্চি ওলোট-পালোট করি, টুকরির খোলে ঘুমিয়ে থাকা মিন্তিদের সার করে দাঁড় করাই। কোথায় পালাবিরে নজরুল! চিম্বুক পাহাড়ে? লাভ নেই। আরিফের ল্যাণ্ড ক্রুজার চান্দের গাড়িতে ভরে ঠিকই পৌঁছে যাবে মেঘের কাছাকাছি, সাথে আমরাও।
চাঁদ, পাহাড়, বকুল তলা, তাহেরের দোকান, চায়ের কাপ, তিন বাহিনী প্রধান সব শেষ করে আমরা হাজির হই ফকিরাপুল পানির ট্যাঙ্কির গলিতে, আকাশের কাছাকাছি, আরিফের বাড়ীতে। সিঁড়িকে কম ব্যথা দেই, পা না ঘষটে সাবধানে হাঁটি, দরজার কড়ায় হাত রাখি, নাভী বরাবর গিট দেয়া লুঙ্গি পরে আরিফ দরজা খুলে দেয়, ফিসফিস করে বলে, 'কী খবর?' আমরা অপেক্ষা করি। ওপাশ থেকে আজ কেউ বলে না, 'এত রাত্রে কে আরিফ?' আমি নিশ্চত হই- তাহের মিথ্যে বলেনি। পিথাগোরাসকে সত্য প্রমান করে আমরা বুঝি- বড় ক্লান্তিকর এই বেঁচে থাকা। কেনরে এতো ক্লান্তি! নিরন্তর ক্লান্তি নিয়ে মুষিক কতদিন বাঁচেরে নজরুল? তোর পর্বতও বুঝি মুষিক প্রসবিনী!
আমাদের বন্ধু আরিফ, যে আকাশের কাছাকাছি দোতলা, না-কি তিনতলা বাড়ী থেকে নেমে- কখনো কখনো তশরিফ আনতো ফেলে আসা পথে, তাকে মুক্তি দিলাম। ছয় ইঞ্চি ছোরাটা কেমন মোমের মতো বসে গেল এফোঁড় ওফোঁড়।
চার
আমাদের এক বন্ধু পাহাড় বিক্রি করতো, ইদানিং কথাটি খুব মনে পড়ে।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:৩৭
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: '৯০-এর দশক? সুনীল না গুণের যেন কবিতাটা..., নদী, পাহাড়-- আরো কি সব কেনার সাধ ছিল তার...। (আমাদের বন্ধু নজরুল তখনো পাহাড় ব্যবসা শুরু করেনি; না হলে কবিকে এতো হা-পিত্যেশ করতে হতো না।)
২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:০৬
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: দারুণ সুন্দর । গল্পের শুরুতেই শেষটা এসে উঁকি ঝুঁকি দেয়ার বদঅভ্যাসটা জোঁকের মত বেশির ভাগ লেখনীতে লেগে থাকে । এখানে তার লেশ পাই না ।
শেষতক পড়ে যেতে হল , কি হল , কেন হল তার জওয়াবের জন্য
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:৩৯
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: মেহরাব ভাই আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব খুশি হয়েছি। (জওয়াব পাওয়া গেল শেষতক?)
৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:৫০
নিবিড় অভ্র বলেছেন: হুমমমমমম....
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:৪৭
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: কারো হুমমম... দেখলেই নাদানের 'নবীনদের জন্য' পোষ্টে যেতে হয়... যুৎসই ইমোটিকন খোঁজার জন্য...
৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৬
মাহবুব সুমন বলেছেন: এ রকম গল্প পড়তেই ব্লগে আসি
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:৪৮
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: সুমন ভাই, খুব খুশি হই আপনার মন্তব্য পেলে, দারুণ খুশি।
৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:৪৫
রাশেদ বলেছেন: জট্টিল গল্প। অনেক ভালো লেগেছে। অসাধারন।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:৫০
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: রাশেদ ভাই, থ্যাংকু। হ্যাপ্পি নিউ ইয়ার...
৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:২০
একরামুল হক শামীম বলেছেন: দারুন গল্প।
সেই অক্টোবরের পর নতুন গল্প পেলাম এই জানুয়ারিতে।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:৫১
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: খালি আলসেমী লাগে...
৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৩১
ফারহান দাউদ বলেছেন: অবশেষে আমি ইহাকে পাইলাম,আপনার লেখার বেলায় এটা খুব খাটে,একেকটা পেতে কতদিন অপেক্ষা করা লাগে! লেখা নিয়ে মন্তব্য করার যোগ্যতা নেই,তবে পর্বতের কাছাকাছি মানুষগুলোকে নিয়ে ভাবা লাগে।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:৫৩
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: ফারহান ভাই, আপনি শুধু ভালো লিখেন না, শরমও দ্যান ভালো... (আমি কই যাই!)
৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:১৯
আকাশচুরি বলেছেন: দুর্দান্ত!!!!
ফারহানের মতো বলি, অবশেষে আমি ইহাকে পাইলাম
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:৫৪
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: তারেক ভাই, আপনার কী হইছে? লেখেন না কেন?
৯| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:২৫
ফারহান দাউদ বলেছেন: আকাশচুরি ভাই,আপনে তো মনে হয় চুরি হয়ে গেলেন, আপনাকে কবে পাইবো?
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:৫৯
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: এসে ছিলো তবু আসে নাই... জানায়ে গেল...
১০| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৩৬
পথিক!!!!!!! বলেছেন: হু..আমিও একটা পাহাড়ে উঠে বসে থাকার স্বপ্ন দেখতে থাকি
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:০১
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: সুনীলের 'পঞ্চম অভিযান' পড়েছেন? স্বপ্ন স্বপ্ন স্বপ্ন...
১১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৩৮
আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:
পড়তে পড়তে আনন্দের মতো একরকম অনুভূতি হয়, -- তীব্র ধারালো একটি লেখা পড়ার আনন্দ ।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:০২
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: শিপন ভাই, শুভাশিষ জানুন।
১২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:০১
রাশেদ বলেছেন: হেপ্পি নিউ ইয়ার। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো। নিয়মিত গল্প উপহার দিবেন, আশা রইলো।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:০৩
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: সময় পাইনা। ক্লাস, পরীক্ষা...। আপনার জন্যও অনেক শুভেচ্ছা।
১৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:৩৮
ফকির ইলিয়াস বলেছেন: চমৎকার জীবনবাদী গল্প। খুব ভালো লাগলো।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:৫৭
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: ধন্যবাদ ইলিয়াস ভাই।
১৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:৪৬
যীশূ বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার লেখা। ভালো লাগলো, বরাবরের মতই।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:৫৮
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: যীশূ, আপনার মন্তব্যে প্রাণিত হই, খুব ভালো লাগে।
১৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:১৬
দ্বিধা বলেছেন: বরাবরের মতই দুর্দান্ত ।
অবশ্য আরিফ ভাইরে কেন মারলেন, বুঝলাম না । (মাথায় বুদ্ধি এম্নিতেই কম, আবার দুবার জন্ডিস হইসিল… )
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:০০
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: দু'বার জণ্ডিসের পরেও মাথাটা যখন টিকে গেছে, ওটির সম্ভাবনা ব্যাপক। (আমার এই কথাটি মাথায় রাখুন)।
আরিফ খুন হলো কেন?... সবাই খুন হয়- পলিথিন ঘরে জন্ম নেয়া শিশু কমরেড, নূর হোসেন, দোয়েল পাখি, নীল ডুমো মাছি, আরিফের বউ, আরিফ... হয়তো নজরুলও। ... 'নিরন্তর ক্লান্তি নিয়ে মুষিক কতদিন বাঁচে'?...
১৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:০৫
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
পাহাড় কেনার স্বপ্ন .........কেমন ছুঁয়ে গেলো।
অনেকদিন পর রিপন.............
খুব ভালো লাগলো।
কিছু আলো আঁধারী থেকো গেলো.....।
নাহ প্রশ্ন না.......
নিজের মত করেই বুঝে নিতে ভালো লাগলো।
পরদার অন্তরালে ঘটে যাওয়া অনেক কিছুই তো আমরা জানিনা....
কেউ ই জানে না.......
এভাবেই জীবন এগোয় জানা অজানায়।
শুভেচ্ছা রিপন.......অনেক শুভকামনা।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:০৭
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: সাজি আপা, নববর্ষের শুভেচ্ছা।
খুব খুশি হয়েছি আপনার মন্তব্য পেয়ে। এই গল্পটি অনেকদিন সময় নিয়ে লেখা। আর বলা যায়, এটি দ্বিতীয় ভার্সন আসল গল্পের। প্রথমে যেভাবে এগিয়ে ছিল কাহিনী, কেন যেন খুব সরল মনে হচ্ছিল সেটি। পরে, ঘষা-মাজা করতে গিয়ে এখনকার দশায় দাড়িয়েছে। এটিকেও খুব সুবিধের মনে হচ্ছেনা। ইচ্ছে ছিল, থ্রিলারের ঢং-এ কাহিনী সাজানোর। মুশকিলে পড়ে গেলাম, প্রথম ভার্সনটি অনেক রূপকে ঠাসা ছিল, আর এক ধরনের কবিতার টোন ছিল তাতে। তো সেটিকে কাটতে কাটতে পুরনো কাহিনী বদলে গেছে।
১৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৪৭
আকাশচুরি বলেছেন: আবার পড়লাম
১৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৫৪
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: জ্বী রিপন ভাই , জওয়াব পেয়ে লা-জওয়াব
১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:৩২
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
দ্যাখেন লা-জওয়াব ইমোটিকন...
জটিল না!
১৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৭
প্রণব আচার্য্য বলেছেন:
ওফ্ !!!
১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:৩৪
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
২০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:১৬
সীমান্ত আহমেদ বলেছেন: আপনার লেখার একজন বিশাল ভক্ত আমি।কিন্তু কোন বায়াস হয়ে নয়, এই লেখাটা অনেক ভালো লাগলো আমার।
ঘোরের মত পড়ে গেলাম। শিশিতে সোডিয়ামের লাইট,জীবন বাবুকে ট্রাফিকে টেনে আনা,আকাশের কাছে আরিফের দোতলা,কিংবা আহ্লাদ সর্দির সংশ্লেষণে আরিফের বউ কাহিনীর চেয়ে সুখপাঠ্যতা আর ঘোরলাগাটা মনে ধরল অনেক।
ভালো থাকবেন অনেক আর আমাদের মত পাঠকদের কথা মনে রেখে একটু তাড়াতাড়ি না থাক তাড়াতাড়ি দরকার নেই আপনি লিখতে থাকেন আপনার মত।
শুভেচ্ছা রইল অনেক।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:৪৪
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
সীমান্ত,
আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে খুব দেরী করলাম। একটা পারিবারিক দুর্ঘটনায় খুব বিপর্যস্ত দিন যাচ্ছে। এরমধ্যে আপনার ব্লগগুলো পড়েছি। মন্তব্য করা হয়ে ওঠেনি। আপনার লেখার হাত ভালো।
আপনি ভালো থাকুন। শুভাশিষ সব সময়।
২১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৫৮
সবাক বলেছেন: ভাগ্যিস দুপুরটা কাজহীণ...
খুব ভালো লাগলো...
হয়তো আবার আরেক কাজহীন দুপুরে আপনার গল্পে এস আশ্রয় নেবো।
২২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:১০
ছন্নছাড়ার পেন্সিল বলেছেন: আমি তিনবার পড়েছি, জানাতে দেরি হলো সেটা। আমি এখনও কিছুটা মোহমুক্তির আশা করতে পারি।...
শুধু শুধু শুকনো প্রশংসা আপনাকে আর করবো না, যখন জানেন যে কতটা ভালো লাগে আপনার গল্পগুলো। আর গল্পের সার্থকতা, সফলতা, গল্প হয়ে ওঠা তাবৎ ব্যাকরণ আমি জানি না। অজ্ঞাতজ্ঞান নিয়ে কথা বলতে চরম কুণ্ঠা কাজ করে। আমি চেষ্টা করছি চরিত্রগুলো বুঝে ওঠার। গল্পের অ্যাম্বিয়েন্সে আলো খুব কম, কিংবা আলো-আঁধারির খেলা। স্পষ্ট হয় না কিছুতেই, তিনবার পড়েও...
আমার এই প্রগলভ-অপারগতা ক্ষমা হউক!
১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:২২
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: শুকনো প্রশংসায় রাগ হলে ভেজা প্রসঙ্গ তোলা যাক। ...গল্পের সার্থকতা, সফলতা, গল্প হয়ে ওঠা তাবৎ ব্যাকরণ... ওরে বাপস... কেই-বা জানে! গল্প অবোধ্য হোক, সেটি সুপাঠ্য কি-না, তা পাঠককে ভাবায় কি-না, বিষয়টির উপযোগিতা নিয়ে চিন্তা করা যাতে পারে।
এবার গল্পটি বলিঃ
আমরা যারা জীবনের প্রান্তিক সীমায় থাকি, আর যাদের আকাশের কাছাকাছি বসবাস- তারা সবাই আসলে জালির নীচে আটকা পড়া, কিংবা সূতালিতে ঝুলে থাকা নীল ডুমো-মাছি; পাহাড়চূড়ার স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকি।
২৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:১৪
প্রণব আচার্য্য বলেছেন: শুভ সকাল
হিংসা হয় আপনাকে।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:২৫
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: সুপ্রভাত কবি।
আমরা সবাই লক্ষ্মীসোনা, তোমরা ভারী বিশ্রী
তোমরা খাবে নিমের পাঁচন, আমরা খাব মিশ্রী।
('হিংসুটীদের গান' পড়েছেন?)
২৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:১০
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: শিরোনামটাই গল্পটির দিকে টেনে নিয়ে আসে। একবার পড়লাম, এটুকুতে যথার্থ মন্তব্য করা যাচ্ছেনা, সময় করে আরও একবার পড়তে হবে।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:২৭
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: হিমালয়, আপনার মন্তব্য শুনতে চাই। আপনার পর্যবেক্ষণগুলো আমাকে সাহায্য করবে। আগাম কৃতজ্ঞতা রইলো।
২৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:৫৮
সীমান্ত আহমেদ বলেছেন: ভাই আপনি আমার লেখা পড়েছেন শুনে খুবই আনন্দিত হলাম।
ভালো থাকবেন সবসময়।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৩৩
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: মঙ্গল হোক।
২৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৩৮
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: রিপন খবর কি?
গল্প লেখা চলছে কেমন?
শুভেচ্ছা থাকলো/
১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৪৫
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: সাজি আপা,
কয়েকদিন পরে ব্লগে এলাম। মনটা ভাল নেই। একটা পারিবারিক দুর্ঘটনায় খুব বিচলিত ছিলাম এ ক'দিন। আপনি ভালো আছেনতো?
২৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৩৯
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: আকাশচুরি, সবাক,
কী অকাণ্ড বলুনতো, আপনাদের মন্তব্যের ঘরে 'জবাব দিন' বাটনটি কাজ করছে না!
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:২০
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
২৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৫৫
জ্বিনের বাদশা বলেছেন: আপনার বর্ণনার হাত যে অসাধারণ সেটা নতুন করে আবারও অনুভব করলাম ... গল্প পড়ে সেরকম ভালো লাগলো ...
কিন্তু অনেক প্রশ্ন রয়ে গেল!
আমার যতটুকু ধারনা, আপনার অধিকাংশ গল্পেই কাহিনীর চেয়ে পারিপার্শ্বিকতার সাপেক্ষে চরিত্রের অনুভূতিপ্রকাশটাই মূলশক্তি ...
এই গল্পে তো মনে হয় প্রথাভেঙে তো জমজমাট কাহিনীর অবতারনা করলেন, কিন্তু দু'বার পড়েও পুরোপুরি কয়েকটা জিনিস বুঝতে পারলামনা (মাথা ইদানিং কম কাজ করে সেটা স্বীকার করে নিচ্ছি )
আরিফের বউকে কে খুন করলো? কেন?
আরিফকেই বা তিনজন মিলে খুন করলেন কেন?
নজরুলের ভূমিকা কি?
"কতিপয় বিপথগামী যুবক ঢাকার পরিবেশ নষ্ট করছে" পড়ে তো ভাবলাম এরা ড্রাগের ব্যবসা করে -- নাকি অন্যকিছু
অনেক প্রশ্ন!!!
আমি কি কিছু মিস করলাম নাকি?
১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:২১
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: কঠিন কঠিন প্রশ্ন।
মিস্টিক থ্রিলার-- কোন সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দিলে গল্পটি পরিধিতে স্বল্পতা পায়। আমি চেয়েছি, পাঠক একটি করে গল্প তৈরী করুক... এক একটি অনির্দিষ্ট উপাক্ষ্যাণ জন্ম নিক পুনঃপাঠে। এবং পাঠক তারপরেও খেলতে থাকুক আলো-আঁধারির সাপ-লুডু।
'মেমেন্টো' ('গজনী' না কিন্তু) দেখেছেন?
এই গল্পের বর্তমান চেহারাটি মূল গল্পের পরিমার্জিত কাট-ছাট। গল্পের প্রাথমিক চাহারাটি কিছুটা সরল ছিল। আপনার মন্তব্য পড়ে ইচ্ছে হচ্ছে, গল্পের প্রথম ভার্সনটি ব্লগে প্রকাশ করি। কাজটি করলে আপনাকে জানাবো।
২৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৩০
সুমন রহমান বলেছেন: আমি লগইন করতে করতে দেখলাম জ্বিনের বাদশা এসে আমার প্রশ্নগুলো করে দিয়েছেন।
এই প্রশ্নগুলো খোঁচায়, গল্প পড়বার পর।
এর বাইরে, গল্প বলার ভঙি, ভাষাবিন্যাস, পরিমিতি, সবকিছুই অদ্ভূত সুন্দর।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:৫৪
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: প্রিয় সুমন রহমান, আমার ব্লগে এটি আপনার প্রথম মন্তব্য। কী যে খুশি হয়েছি আপনার মন্তব্য পেয়ে! দারুণ প্রাণিত হলাম।
৩০| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৯
আন্দালীব বলেছেন: অদ্ভুতরকম প্রাঞ্জল আপনার ভাষা....লেখনী অসাধারন!
হু, এইটা ঠিক যে- পাঠকের ভাবনার বিবিধগামীতার স্কোপ রাখা হয়েছে-
এজন্যই বোধহয় কেমন একটা রেশ থেকে যায়...
মোস্তাফিজ রিপনের বই আশা করি খুব দ্রুতই। এই বিষয়ক অগ্রগতি জানানো হোক...
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:০২
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: আন্দালীব ভাই, বই প্রকাশের সাহস এখনো হয়ে ওঠেনি। (নাকি, দুঃসাহসে কিনে ফেলি...!)
কবিদের কথা বলার ব্যাপারটিই আলাদা... 'ভাবনার বিবিধগামীতা'... কী দারুণ মানিয়ে গেল শব্দ দু'টো, অসাধারণ। ছন্নছাড়ার পেন্সিলের ব্লগে আপনার মন্তব্যগুলো আমি চেটে-পুটে পড়ি; ভাল লাগে।
৩১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:০৮
নৈঃশব্দ্যের কোলাহল বলেছেন: মন্ত্র(গল্প)মুগ্ধ।
৩২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:২৪
কাকশালিখচড়াইগাঙচিল বলেছেন: সব ছারখার হইয়া গেল আমার
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:০৪
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
৩৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৫৩
শেরাম চীংখৈ বলেছেন: অদ্ভুত সুন্দর!...মুগ্ধ হলাম...
৩৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৪৮
আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: এই গল্পটা ভাসা ভাসা ভাবে অফলাইনে পড়েছিলাম আগে। আজ পূর্ণ মন দিয়ে পাঠ দিলাম। অসাধারণ বললেও কম বলা হবে। সুতারাং, প্রিয়তে নিয়ে কিছুটা আমার নিজস্ব করে নিলাম!
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:০৮
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: আশরাফ ভাই, আমি মাঝে মাঝে বলি, এবং কথাটা সত্য, কবিরাই সবচে' ভাল গদ্য লিখেন। আপনি কী জানেন- কবিতার পাশাপাশি কতখানি সম্ভাবনাময় আপনার গদ্যের হাত!
৩৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:০২
প্রতিদিন বলেছেন: ভাল লাগছে।
৩৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:১৮
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
প্রিয় প্রতিদিন, চীংখৈ, নৈঃশব্দ্যের কোলাহল,
জানিনা কি এক অজ্ঞাত কারনে যেন আপনাদের মন্তব্যের ঘরে আমি প্রতি মন্তব্য করতে পারছিনা। মন্তব্যের ঘরের জবাব দিন বাটনটি কাজ করছেনা।
আপনাদের সবার জন্য শুভাশিষ রইল।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:২৩
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: আপনারা সমস্যাটির কোনো সামাধান বলতে পারেন?
৩৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:২৩
আকাশচুরি বলেছেন: রিপন ভাই, ছাপার অক্ষরে আপনার গল্পগুলো, এখন গনদাবী
আমাদের নিরাশ করবেন না, আশা করি
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:২৭
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: পাইছি... গণদাবী তো আমাদেরও আছে। তারিক স্বপনের বই চাই। আচ্ছা, বলুনতো, আপনি কেন লিখছেন না ব্লগে? ব্যস্ত? অন্য কোথাও লিখছেন?... আপনার লেখা খুব মিস করি। আমি শিখতে চাই। আপনার কাছে কৃতজ্ঞতা জানানোর অনেক কিছু আছে আমার। লিখুন প্লিজ।
৩৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৩৬
আকাশচুরি বলেছেন: না রিপন ভাই, অন্য কোথাও লিখছি না! আর আমি এইগুলিকে লেখালেখির কাতারে ফেলতে অস্বস্তি বোধ করি, আপনি শুধু-শুধু লজ্জাই ফেলছেন
মাঝে অবশ্যি, দুটো পোস্ট দিয়েছিলাম
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৪৭
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
প্রায় ছয় মাস বিরতি দিয়ে পোষ্ট নতুন দিলেন।... অনেকদিনের পরে যেন বৃষ্টি এলো...
৩৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৩৩
জানজাবিদ বলেছেন: মারহাবা, মারহাবা!!
নাফে এনামকে ধন্যবাদ পোস্ট লিখে আমার মত নবীন ব্লগারকে আপনার লেখার সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:০৩
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: শুভেচ্ছা জানুন।
৪০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৭
স্বাক্ষর শতাব্দ বলেছেন: ভালো লিখতে পারেন
৪১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:০৯
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: ধন্যবাদ স্বাক্ষর শতাব্দ।
৪২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:২৪
রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: এইসব কী লিখেন পইড়া রাগ হয়। বইটই বাইর করেন না কিছু না। খালি ব্লগে লেখলে হয়? আগামী বইমেলায় বই চাই।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:১৯
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: বিয়া কইরা লোকজন ব্লগ ছাইড়া দিলরে! পরীক্ষা কইরা প্রমান পাওয়া গেছে যে, বিবাহ কইরাও ব্লগে লেখা সম্ভব।
(নতুন সংসারের ঘটি-বাটি কেনা হইছে?)
৪৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:২৮
রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: আমি কইলাম কী আর আপনে কইলেন কী। ধুর ধুর। এমন করলে হয়?
বই বই।
যাই হোক Click This Link এইখানে আমার মন্তব্য দেইখেন।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:৪৯
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: ব্যাপক মজা পাইছি। শোক-বাণীও দিলাম।
৪৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৩০
ফারহান দাউদ বলেছেন: ৫ মাসে ৫টা গল্প,মানে কিনা মাসে একটা। পরেরটার জন্য কি আবার ১ মাস অপেক্ষা করতে হবে?
৪৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৪১
নাজিম উদদীন বলেছেন: অসাধারণ। 'মেমেন্টো' দেখেছি, বুঝিয়ে দেয়ায় আপনার গল্প বেশি ভাল লেগেছে।
৪৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৪৯
কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: আপনার গদ্যের হাত চমৎকার!
৪৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:১৭
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: আপনার গল্প পড়ে অল্প কথায় মন্তব্য করা কঠিন! এসব নিয়ে দীর্ঘ আড্ডা দিতে ইচ্ছে করে। ব্লগে আমার আরো কয়েকজন প্রিয় গল্পকার আছেন, তাদের ব্যাপারেও একইরকম ইচ্ছে হয়। কিন্তু আপনি তো গিয়ে বসে আছেন বিদেশে! আড্ডা কেমনে হইবো?!?
গল্প সম্বন্ধে দু-একটা কথা : আপনার কিছু কিছু ট্রিটমেন্ট সত্যি চমৎকৃত করে আমাকে। যেমন :
'হাইকোর্টের দিকে তাকিয়ে ষোল সেকেণ্ড অলস দাঁড়িয়ে থাকতো'
'শিশু একাডেমীর রেইন-ট্রি গাছের গোড়ায় খুঁজে পাওয়া সঙ্গিনীকে নিয়ে নীল পলিথিনের নীচে ঠিক সাড়ে তিন মিনিটের সংসার পাততো'
'আমাদের তৎসম শব্দে সমাজতন্ত্র পোয়াতি হয়ে ওঠার আগেই জন্ম নিত দু’শ চল্লিশ জন লেনিন।'
এই বাক্যগুলোতে ষোল, সাড়ে তিন ও দু'শ চল্লিশ সংখ্যাগুলোর হয়তো আক্ষরিক কোনো অর্থ নেই, কিন্তু মনের মধ্যে একটা চিত্রকল্প তৈরি হয়! কী রকম চিত্রকল্প সেটা আবার ব্যাখ্যা করা কঠিন। অনেকটাই অনুভবের মতো বিষয়।
আবার এই বাক্যগুলো বারবার ফিরে এসে একটা ঘোর তৈরি করে :
'আমরা আকাশের কাছ থেকে তিন তলায়, তিনতলা থেকে দোতলায় এবং দোতলা থেকে একতলা হয়ে পথে নামতাম। অথবা তিন তলাতেই হয়তো উঠতে হতোনা আমাদের, দোতলা থেকেই পথে নামতাম; দোতলা আকাশ থেকে খুব বেশী দূরে নয়।'
বর্ণনার এই ঘোরটিই গল্পের চালিকাশক্তি। পাঠকের মনে অনেক প্রশ্ন জাগার অবকাশ দেয় না এই বর্ণনা কৌশল! নইলে 'রাজকর্মচারি' যে কীরা আবার ল্যাণ্ডক্রুজারে চলাফেরা করে, ফকিরাপুলের পানির ট্যাংকির ঘিঞ্জি গলিতে থাকবে কেন, এরকম 'বাস্তবসম্মত' প্রশ্ন উঠতে পারতো! আপনার গল্প বাস্তবাতিরিক্ত বাস্তবতায় নিয়ে যায়।
[এইবার কানে কানে একটা 'উপদেশ' দেই : ভুলেও শহীদুল জহির পইড়েন না! মারা পড়বেন!! আপনার লক্ষণ ভালো না! ]
৪৮| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:০১
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
ফারহান ভাই, কী এক ঝামেলায় পড়লাম বলেনতো, মন্তব্যের 'জবাব দিন' বাটনটা কাজ মাঝে মাঝে করতেছে না।
আপনি ইঞ্জিনিয়ার মানুষ, অঙ্কে ভাল হবেন এমনই আশংকা ছিল; এইবার প্রমান পাওয়া গেল।
৪৯| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:১৩
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
নাজিম ভাই, ক্রিসমাসের বন্ধে 'মেমেন্টো'সহ অনেকগুলো থ্রিলার দেখলাম... রক্তারক্তি কাণ্ড। 'পারফিউম' দেখেছেন?
আপনার 'গুগল কি আমাদের স্টুপিড বানাচ্ছে' অসাধারণ।
৫০| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:১৮
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
কুঙ্গ থাঙ, আপনার লেখার আমি ভক্ত। আদিবাসী সংস্কৃতি নিয়ে আপনার প্রচেষ্টাটি অসাধারণ। টুপি বিয়োজন... (আন্দালীবের ভাষায় বললাম।)
৫১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:৪৩
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
প্রিয় আহমাদ মোস্তফা কামাল,
শুভেচ্ছা জানুন। আমি সত্যি অনেক খুশি হয়েছি আপনার মন্তব্য পেয়ে। আপনাকে আজ জানাই, শুধু আমার ব্লগেই না, যেখানেই আপনার মন্তব্য পাই, আমি আগ্রহ নিয়ে তা পাঠ করি; ভালো লাগে।
গল্পটি ব্লগে প্রকাশ করার পর পরই কয়েকটি অসঙ্গতি আমার চোখে পড়ে। যেমন, আরিফের বাসার অবস্থানটি দুই বর্ননায় দুটি ভিন্ন জায়গায় রয়েছে- একটি ফকিরাপুলে, আরেকটি মিণ্টু রোডে। এই গুবলেট পাকিয়েছে এডিট করার কালে, বেখেয়ালে। আলসেমী করে ঠিকও করা হয়নি।
এই মরার শহরে শহিদুল জহিরের যে ছিটে-ফোঁটা পাই, তাতে মারা পড়ার কোনো লক্ষ্মণই পাচ্ছিনা। দেশে ফিরি, আপনার সাথে আড্ডা দেব পেট-ভরে।
৫২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৩৬
ঊশৃংখল ঝড়কন্যা বলেছেন: আপনার ব্লগে এসে লগড্ অফ থাকা অবস্থায় গল্প পড়েছি কয়েকবার, পড়ার পর হতভম্ব-মোহমুগ্ধ অবস্থা হয়ে যেত! এতদিন দেখাই নি, আজকে মুনস্ট্রাক অবস্থা দৃশ্যমান করে দিলাম।
অসাধারন লেখা!!!
খুব ভাল থাকবেন।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:৪১
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: মুনস্ট্রাক! চন্দ্রাহতদের জন্য 'দ্যাটস আমোরে' শিরোনামে ডিন মার্টিনের একটা গান আছে।
http://www.youtube.com/watch?v=zeWVzT4s2Kw
আপনিও ভালো থাকুন।
৫৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:০৮
আমি ও আমরা বলেছেন: আমি এসেছিলাম আপনার এখানে কিছু বলেই যেতে পারলামনা এখানে
২০ শে জানুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৬:৫২
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: কবি গাহিয়াছেন-
এসেছিলে তবু আসো নাই
জানায়ে গেলে...
৫৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৬:৫৪
আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: নতুন লেখা পেতে কতকাল অপেক্ষা করতে হবে?
২০ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:৫৫
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: খুব বাজে একটা সময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি...
৫৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:০৩
আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: আচ্ছা। মঙ্গলে থাকুন........সারাবেলা।
২০ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:৩১
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: মঙ্গল হোক।
৫৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৪০
বাপ্পাদিত্য বলেছেন: কতদিন পর নতুন গল্প পেলাম রিপন ভাই!!! অসাধারণের পর কি আর কিছু থাকে???
টিএসসি'র সেই স্মৃতি গুলো এখনও কাঁদায়... কিংবা হাসায়... স্বরকল্পন'কে খুব মিস করি রিপন ভাই... তারচেয়েও বেশী মিস করি আপনাকে।
প্রদীপ তো আমার উপর মহাক্ষ্যাপা, আপনার গল্প গুলো প্রিন্ট করে ওকে পড়তে দিচ্ছি না বলে!!
(টিটু ভাইয়ের এস এম এস এ দুঃসংবাদ শুনলাম... ঈশ্বর ওনার আত্মার শান্তি দিন।)
২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৬:৪৩
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: বাপ্পাদিত্য, তোমার কথাগুলো শুনে মনটা কেমন করে উঠলো টিএসসি'র জন্য। আহারে কী সব দিন ছিল আমাদের!
চোখের মতন সেই ইস্টিমার, সব রাত্রে আসে...
৫৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৪৭
বাপ্পাদিত্য বলেছেন: রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: এইসব কী লিখেন পইড়া রাগ হয়। বইটই বাইর করেন না কিছু না। খালি ব্লগে লেখলে হয়? আগামী বইমেলায় বই চাই
----
বই চাই... বই চাই। (রিপন ভাই, আপনার বইয়ের ইনার সেট-আপ টা আমি আনন্দের সাথে করে দিতে পারি... আপনার কাছ থেকেই তো শেখা। আর প্রচ্ছদে তো আপনি একাই একশ। তাহলে আর দেরী কেন??? প্লিজ, বই প্রকাশের উদ্যোগ-টা নিয়ে নিন না!)
২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৬:৪৯
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: বই...!? ওরে বাপরে! সাহস হয়না; একেবারেই সাহস হয়না।
তুমি লিখ না কেন নিয়মিত?
৫৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:০৬
না বলা কথা বলেছেন: সবাই ভালো কইতাছে, দশে যেটা ভালো কয়, নিশ্চয়ই ভালো।
শালার গোবর মাথা নিয়া দুনিয়াই আইলাম, কিছুই বুঝলাম না।
২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:৫৬
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
৫৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:০৮
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: আপনি গল্পের ভেতরে উপমাগুলো অসাধারন দিতে পারেন। ঠিক কিভাবে বললে বুঝাতে পারব আপনি আমার অনেক অনেক একজন প্রিয় লেখক। লেখালেখির অভ্যেস একটা সময় খুব ছিল। এখনো আছে। কিন্তু আপনাদের লেখাগুলো পড়ে স্তব্দ হয়ে যায়। এতো সুন্দর মানুষ লিখতে পারে সেটা বিশ্বাস করতে ঈর্ষা হয়।
কিভাবে ভালো গল্প লেখা যায় রিপন ভাই উপদেশ চাই(সিরিয়াসলি)। উপামার জন্য কি কোন বই আছে কবিতার জন্য যেমন মাত্রা কিংবা ছন্দশাস্ত্র শেখা লাগে। কোন বইয়ের নাম দিতে পারবেন(সিরিয়াসলি জানতে চাই)?
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:৩১
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: ইমন, শুভেচ্ছা জানুন। আপনার কথা শুনে নিজেকে বেশরম বেশরম লাগছে। (খুশিও হয়েছি কিন্তু ম্যালা!)
উপমার কোনো বইয়ের কথা আমি জানিনা। তবে, নিয়মিত কবিতা পাঠের অভ্যাস উপমা প্রয়োগে সহায়ক হতে পারে।
আহমাদ মোস্তফা কামাল ভাইয়ের শরণাপন্ন হওয়া যেতে পারে এ ক্ষেত্রে। আমার বিশ্বাস, আমরা খুব ভাল উপদেশ পেতে পারি তাঁর কাছ থেকে। এছাড়া ছন্নছাড়ার পেন্সিল, আকাশচুরী, ফারহান দাউদ, মঞ্জুরুল হক, মাজুল হাসান, আন্দালীব, সুমন রহমান... এমন অনেক অসাধারণ ব্লগারদের সাথেও আমরা আলোচনা করতে পারি।
আপনার লেখার হাত কিন্তু চমৎকার ইমন ভাই।
৬০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:৩৭
জ্বিনের বাদশা বলেছেন: গল্পের প্রথম ভার্সনটি ব্লগে প্রকাশ হবার অপেক্ষায় আছি
মেমেন্টো দেখা হয়নি যদিও, বুঝতে পারলাম পাঠকের জন্য ভাবনার অনেক স্কোপ রেখেছেন ... তবে আমার জন্য এখন মনে হয় মেমেন্টো না দেখে কাহিনীটা কি হতে পারে কোনদিকে গড়াতে পারে ভাবাটাই বরং বেশী ইন্টারেস্টিং হবে
একটা আয়োজনও করা যায় ... পাঠকরা "মোস্তাফিজ রিপনের পাহাড় বিক্রেতা বন্ধুবিষয়ক গল্পের নেপথ্যে" নামক সিরিজে পাঠকরা যে যে যার যার মতো করে একটা কনক্রিট কাহিনী দাঁড় করাতে পারে ... ব্লগাররা রাজী হলে ইন্টারেস্টিং একটা ব্যাপার হবে ... তবে একজন কোন কনক্রিট কাহিনী লিখে ছেড়ে দিলে যেহেতু অন্যরা সেটা দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে, তাই দিনক্ষণ ঠিক করে সবার লেখা একসাথ করে প্রকাশ করার একটা ব্যবস্থাও করা যায়
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:১০
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: আইডিয়াটা মন্দ না! তবে, ম্যালা গালি কিন্তু হজম করতে হবে পাবলিকের!
আমি ইণ্টারমিডিয়েটে পড়ার সময়ে একটা মজার কাণ্ড ঘটেছিল। কলেজে বার্ষিক সাংস্কৃতিক সপ্তাহে অবিরাম গল্প বলা প্রতিযোগিতা চলছিল। গল্পের ক্লু ছিল- বেকার যুবক। তো, প্রথম প্রতিযোগী মঞ্চে উঠেই নায়ককে মেরে ফেলল। দ্বিতীয় প্রতিযোগী মরা নায়ককে অনেক কসরত করে বাঁচিয়ে তুলল এবং গল্পের শেষে তাকে মেরে ফেলল। পরের প্রতিযোগীও তাই। নায়ক খালি বারবার মারা পড়ছে; আবার অজ্ঞাত ভাবে বেঁচেও উঠছে; জটিল কাহিনী। স্যাররা খুব বিরক্ত। তবু কে শোনে কার কথা! নায়ক মরতেই থাকল। এই ঘটনার এক পর্যায়ে আমাদের ছাত্র সংসদের নেতারা ঘোষনা দিলেন, মঞ্চে ওঠার আগে প্রতিযোগীদের উচ্চস্বরে শপথ করতে হবে, 'আমি নায়করে আর মারুম না', আর এর পরেও যদি একই ঘটনা ঘটে, 'তাইলে তারে পিডামু'।
রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে আর কেউ নায়করে মারতে সাহস করে নাই। (ছাত্র রাজনীতি আসলেই উপকারী একটা ব্যবস্থা সেই দিনই খালি টের পাইছি।)
৬১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:৫০
রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: টেস্ট...
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:১১
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: না, ওয়ান ডে...
৬২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:১১
রেজাবিলু বলেছেন: দেখিস ভালো হবে।
ভালো হইছে, সত্যি ।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:১২
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: বিলুপভ, তুই! কী অকাণ্ড! হায় হায়!
৬৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:৪৫
রিয়াজ শাহেদ বলেছেন: রিপন ভাই, বহুদিন পরে লিখলাম। দেখেন তো কেমন লাগে- Click This Link
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:১২
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: মিষ্টি মিষ্টি লাগল।
জটিল হইছে।
৬৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:৩৪
শান্তির দেবদূত বলেছেন: আপনার প্রশংসা করতে করতে (লিখতে লিখতে ) তো আমার হাত ব্যাথা করবে !!!
শুধু এক কথায় বলি, "এ্যানাদার মাস্টার পিস "
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:১৬
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: এই যে দেবদূত সাহেব, বিয়ে করলেই কোথোপোকোথোন (একটা ও-কার কম হইলো মনে হয়) বন্ধ করতে হয় নাকি? পরীক্ষা করে দেখা গেছে, বিবাহের পরেও কোথোপোকোথোন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব।
৬৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:৩৯
লাবণ্য প্রভা গল্পকার বলেছেন: গল্পটি পাঠে ভাল লাগা জানালাম।
এসব দিনে কুকুরের মতো একটা রিক্সা আমাদের পায়ে পায়ে হাঁটতো, গন্ধ শুকতো, হাইকোর্টের দিকে তাকিয়ে ষোল সেকেণ্ড অলস দাঁড়িয়ে থাকতো, টুংটুং বেল বাজিয়ে উকিল-মোক্তারদের রোল কল করতো, একটু পরে আবার দৌড়াতো, শিশু একাডেমীর রেইন-ট্রি গাছের গোড়ায় খুঁজে পাওয়া সঙ্গিনীকে নিয়ে নীল পলিথিনের নীচে ঠিক সাড়ে তিন মিনিটের সংসার পাততো, তিন নেতা মাজারের চৌকি ভুলে ফ্লাস্কে চা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতো খালি রিক্সার পায়ের কাছে। এ দৃশ্যে উৎসাহিত হয়ে প্রলেতারিয়েতের ভালোবাসা পাঠ করতাম; বড় তৃপ্তি হতো আমাদের। আমাদের তৎসম শব্দে সমাজতন্ত্র পোয়াতি হয়ে ওঠার আগেই জন্ম নিত দু’শ চল্লিশ জন লেনিন। আমরা রাস্তা জুড়ে গোল্লাছুট খেলতাম; আর শিশু কমরেডরা উবু-দশ-কুড়ি গুনতে গুনতে নিমের মাজনের মতো মিশে যেত দাঁতাল শহরে, বড় আফসোস হত আমাদের। তারপর নূর হোসেনের মতো খুন হওয়া অলৌকিক পক্ষীর শোকে আমরা চুয়ান্ন ধারা ভেঙ্গে দোয়েল চত্বরে ঢুকে প্রশ্রাব করতাম; আরিফকে ভুলে যেতাম এসময়।
..................................................
এই অংশটি অসাধারণ!
ভাল থাকুন
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:৪২
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: লাবণ্য প্রভা, সেরা গল্প বাছাই উপলক্ষ্যে আপনার সবগুলো লেখাই কিন্তু আমি পড়েছি। খুব ভালো লেখার হাত আপনার।
৬৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:১০
প্রণব আচার্য্য বলেছেন:
বস একটু হেল্প করেন:
সময়ের ধারাবাহিকতা= কালিক ধারাবাহিকতা?
২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৪৬
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: প্রণব, আপনি ভুল নাম্বারে ডায়াল করেছেন। আমি এই লাইনে গো-মাংশ। তারপরেও নবম শ্রেণীর ব্যকরণ বইয়ের স্মৃতি হাতড়ে যতটুকু মনে পড়ল-
শব্দের শেষে 'ইক' বা 'ইকা' প্রত্যয় যুক্ত হলে সেটি শব্দের ক্ষুদ্র একককে নির্দেশ করে। যেমন, 'ক্ষণ' থেকে 'ক্ষণিক' (ইক), ক্ষণিকা (ইকা)। এক্ষেত্রে, 'কালিক' শব্দটির অন্য কোনো গঠনগত জটিলতা না থাকলেও- 'কালিক ধারাবাহিকতা' শব্দটি কালের বিশাল প্রবহমানতার ব্যপ্তিকে ছোট করবে কি-না চিন্তা করা যেতে পারে।
ওহে কবি, সেই সত্য রচিবে যা তুমি...
৬৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:১০
প্রণব আচার্য্য বলেছেন:
এখানে সময়ের বদলে কি কালিক লেখা যায়?
আওয়াজ দেন
২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৪৯
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
বইয়ের কত দূর?
৬৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:৫৭
আকাশচুরি বলেছেন: রিপন ভাই, নতুন কি লিখছেন?
৬৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:৩০
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: তারিক ভাই, মাথায় কিছু আসছে না।
৭০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:৫৭
লাল দরজা বলেছেন: রূপকের রূপের জ্বালায় অসহ্য লাগছিল যেমন ভালোও লগল তেমন। অপনার লেখা পড়লে ভীষন আরাম পাই, আনন্দ বোধ করি। আপনার জন্য শুভ কামনা।
৭১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৫০
প্রণব আচার্য্য বলেছেন:
ঠিকাছে..
বইয়ের কাজ প্রায় শেষ; ফেব্রুয়ারির ১০/১১ তারিখে বের হতে পারে।
সেই সময় আমি ঢাকায় থাকবো। আপনার সাথে দেখা করার ইচ্ছা আছে...
if u want ...
২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৫৬
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: প্রণব দা, আমি ঢাকার বাইরে থাকি। তবে দেখা হবেই। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
৭২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৫৮
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: লাল দরজা, আপনার 'রূপকের রূপের জ্বালা' কথাটিতে ব্যাপক মজা পেয়েছি।
৭৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:০০
প্রণব আচার্য্য বলেছেন:
তাই নাকি। আমি ভেবেছিলাম, আপনি ঢাকায় থাকেন।
এনিওয়ে... আপনি কোথায় থাকেন?
তেখা হবে নিশ্চই!
২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:১৭
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: আমি টরণ্টোতে আছি। দেখা হবে প্রণব দা। শিগগিরই হয়তো। আমি জানাব।
৭৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:০১
প্রণব আচার্য্য বলেছেন: তেখা= দেখা
৭৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:২৯
প্রণব আচার্য্য বলেছেন:
ঠিকাছে... আমার ধারনারো বাইরে।
অপেক্ষায় থাকলাম
২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৪৫
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
পৃথিবীটা নাকি ছোট হতে হতে
ড্রয়িং রুমে রাখা বোকা বাক্সতে বন্দী...
৭৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৫১
মনজুরুল হক বলেছেন:
আপনার কথা অনেকবার শুনেছি, অনেকের কাছে। পোস্টে এসে নিরুদ্বেগ পড়ে গেলাম মন্ত্রমুগ্ধের মত ! বাধাধরা কোন মন্তব্য করছিনে আপাতত:
শুভেচ্ছা অনাবিল।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:২১
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: মনজুরুল ভাই, আমার ব্লগে আপনাকে পেয়ে খুশি হয়েছি। আপনার মতো গুণী লেখক এই অকিঞ্চিতকর লেখাটি পাঠ করেছেন জেনে আনন্দিত হয়েছি। দারুণ ভাল লাগছে।
শুভাশিষ জানবেন।
৭৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৫৪
আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: বর্ষপূর্তির অভিনন্দন!
----------------------
আপনি টরেন্টোতে নাকি? (উপরের একটি মন্তব্য অনুসারে)। একদিন দেখা করে আসব নে।
------------------------
২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:২২
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: আশরাফ ভাই, আমি টরণ্টোতে থাকি। অবশ্যই দেখা হবে।
৭৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৩৩
ছন্নছাড়ার পেন্সিল বলেছেন: এইটা একটা গল্প রে ভাই। কেউ বুঝলো না গল্পটা কী লেভেলের হইছে!! আমি মনে হয় এতবার কোনও গল্প পড়ি নাই জীবনে!
মাঝে মাঝে ধারাবাহিক নাটকের মতো মাঝ থেকে একটা বা দু'টা প্যারা পড়ে ফেলি! সেখানেও যে মজা পাই, কী বলবো!
আপনি ঢাকায় আসলে আওয়াজ ছাড়বেন একটা। দেখা হওয়া জরুরি দরকার!
২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:২০
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: বইমেলায় প্রথম কোনটা আসছে কবিতার বই, নাকি গল্পগ্রন্থ?
৭৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:১৬
ছন্নছাড়ার পেন্সিল বলেছেন: আপনি আর আমি একইদিনে ব্লগে ঢুকেছি!!
শুভ বর্ষপূর্তি!
২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:২১
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন:
কী ফূর্তি
আমাদের বর্ষপূর্তি
২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:৪২
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: বর্ষপূতির একটা 'মর্মান্তিক পোষ্ট' আশা করছি।
৮০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:০২
রেজাবিলু বলেছেন: চেক দিছ ...
Click This Link
২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:২৪
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: বস, এই ব্লগে প্রথম চার-পাঁচটা পোষ্ট কিন্তু কাফফারা দিতে হয়।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:১০
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: কাফফারা দেয়া বন্ধ আছে মনে হয়!
৮১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:১২
আহসান হাবিব শিমুল বলেছেন: এই বইমেলায় প্রথম যে বইটি কিনবো সেটা আপনার(যদি প্রকাশ করেন)।
ব্যাপারটা হয়তো কাকতালীয় তবে আপনার লেখায় শহীদুল জহিরকে পাই।জহির পাঠ করেছি যতটুকু তাতেই এটুকু বলা গেলো।
আর গল্পটা আন্দ্রেই তারকোভস্কির যেন কোন সিনেমা(বুঝিনা কিন্তু মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকি)।
বাই দ্যা ওয়ে ভুপেন হাজারিকার "গংগা আমার মা" কি পল রবসনের দ্যা ওল্ড রিভারের বাংলা সংস্করন!
২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:৩৭
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: শিমুল ভাই, বই প্রকাশের মতো ধৃষ্টতা দেখানোর সাহস হয় নাই এখনো।
ভূপেন হাজারিকার 'গঙ্গা আমার মা' পল রবসনের 'ওল্ড ম্যান রিভারে'র বাংলা ভার্সন। ইউটিউবের এই লিঙ্কটায় পল রবসনের গানটা পাওয়া যাবে। http://ca.youtube.com/watch?v=eh9WayN7R-s
৩১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:০৭
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: ভুল বলেছি, গানটা 'বিস্তৃর্ণ দু'পাড়ে'...
৮২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:৩২
রাজর্ষী বলেছেন: khuboi bhalo laglo.
bangla likha jasse na.
২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:৫৯
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: ধন্যবাদ রাজর্ষী।
৮৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:৪৪
কঁাকন বলেছেন: আপনার কল্পনা শক্তির তুলনা খুজে পাচ্ছিনা
ভালো থাকুন
২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:৫৯
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: শুভাশিষ জানুন কাঁকন।
৮৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৫৬
আকাশচুরি বলেছেন: ঝামেলা কমলে নতুন লেখা দিয়েন
৩০ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:৩৬
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: পরীক্ষা চলতেছে।
৮৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:১৮
আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: কয়েকদিনের মাঝে লেখা না আসলে গলা কাটা হবে আপনার (গল্পের পেট কাটা নয়)।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:৩৬
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: খাইছে...
৮৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:১৬
সবাক বলেছেন:
আমি গল্পের মতো একটা দিয়েছি... Click This Link
৩১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:০৮
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: সবাক, দারুণ!
৮৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৩:৪৭
ভাঙ্গা পেন্সিল বলেছেন: জ্বিনের বাদশার প্রশ্নগুলো আমার মনেও...কিন্তু গল্প যেভাবে গোগ্রাসে খেলুম...তা আর বলতে!
সিরিয়াসলি মনে হয় আপনার বই বের করা দরকার...ক্যাম্পেইনে গতর খাটতেও রাজি আছি যদি এরকম লেখার সংকলন হয়!
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:৫২
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: খুব খুশি হয়েছি আপনার মন্তব্যে। (সময়মত ডাকব কিন্তু! )
৮৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৬:৪৩
সুদীপ চৌধুরী বলেছেন:
---
কী অসামান্য লেখা!যাই আরেকবার পড়ি।
----
১৪ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১২:০১
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: সুদীপ, অনেক ভাল লাগল আপনার মন্তব্য পাঠে।
৮৯| ২৭ শে মে, ২০০৯ সকাল ১১:৩২
আহমেদ রাকিব বলেছেন: আপনার লেখা একেবারেয় আলাদা। অসাধারন। কি আর বলবো? ভাষা নাই।
--------------------------------------------------------------------------
ভাঙ্গা পেন্সিল বলেছেন: সিরিয়াসলি মনে হয় আপনার বই বের করা দরকার...ক্যাম্পেইনে গতর খাটতেও রাজি আছি যদি এরকম লেখার সংকলন হয়!
--------------------------------------------------------------------------
৯০| ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ ভোর ৬:০১
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: রাকিব, আরেকটু লিখি... আরেকটু দুঃসাহস বাড়ুক।
৯১| ১৯ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১:৪০
অদ্ভুতুড়ে বলেছেন: অদ্ভুত, কিন্তু 'মোমেন্টো'র সাথে এর মিল কোথায় তা বোধগম্য হলো না।
২২ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:২৪
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: মেমেণ্টো'র সাথে কোনো মিল নেই গল্পটার। মেলানো হয়েছিল- কাহিনীর দৃশ্যমান আর অদেখা আলো-আঁধারির সাথে। আরেকভাবে কথাটি বলি, মেমেণ্টো দেখে দর্শকরা 'সরাসরি' 'একই রকম' কোনো সীদ্ধান্ত কিন্তু নিতে পারেনা। অনেকখানি স্পেস রাখা আছে কাহিনী বিন্যাসে; দর্শকের স্বাধীনতাও আছে নিজের মতো করে গল্পের শেষটা ভেবে নেয়ার।
অদ্ভুতুড়ে, আপনার মন্তব্যে খুশি হয়েছি।
গল্পটি ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হলাম।
৯২| ২১ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৮:০৭
পেন্সিল বলেছেন: এই গল্পটা পড়ে জহির রায়হান কি বলতেন জানতে ইচ্ছা করছে...
অসাধারন একটা লেখা...
৩১ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:২৫
মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: ধন্যবাদ পেন্সিল।
(এই গল্পটি পড়ে জহির রায়হান বলতেন, eww!!)
৯৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:১৪
চতুষ্কোণ বলেছেন: দূর্দান্ত! মন্ত্রমুগ্ধের মতো পড়ছিলাম।
আমরা সবাই মনে হয় নীল নীল ডুমো মাছি। নিরন্তর ঝুলে থাকি পাহাড়শৃঙ্গের অলীক স্বপ্ন নিয়ে।
৯৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ২:৩৬
বাদ দেন বলেছেন: এসময় আমরা রাস্তায় নেমে হোমিওপ্যাথির শিশিতে সোডিয়ামের আলো ভরতাম, সাগুদানায় গোটাদশেক খসা তারার ভেজাল মেশাতাম, আর কুয়াশা থাকলে, জীবনানন্দ দাশকে ট্রামের তলা থেকে টেনে তুলে বসিয়ে দিতাম ট্রাফিক কন্ট্রোলে। বুড়ী চাঁদ- মগবাজারের রূপালী অশ্ব হয়ে ছুটে আসতো প্রেসক্লাবের সামনে; আমরা তার পিঠে চড়ে টাকায় চার মণ চাল বিক্রি করতাম। এসব দেখে ঈশা খাঁ বড় খুশি হতেন; তারপর পানের বোটায় হাকিমপুরি হাসি মাখিয়ে হোসনী দালানের পথ ধরতেন শম্ভু কাওয়ালের সাথে মন্দিরা বাজাবেন বলে
জটীল, আপনার লেখা আগে দেখি নাই কেন, মিস করছি
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:০৩
বিগব্যাং বলেছেন: আপনি তো বড়ভাই ফাটাইলাছেন...
আগেরগুলার সাথে এইটার কোনো মিলই নেই...
'৯০ দশকের এক গুরূত্বপূর্ণ কবির শুনেছি পাহাড় কেনার ইচ্ছে ছিল...
"এসময় আমরা রাস্তায় নেমে হোমিওপ্যাথির শিশিতে সোডিয়ামের আলো ভরতাম, সাগুদানায় গোটাদশেক খসা তারার ভেজাল মেশাতাম, আর কুয়াশা থাকলে, জীবনানন্দ দাশকে ট্রামের তলা থেকে টেনে তুলে বসিয়ে দিতাম ট্রাফিক কন্ট্রোলে। "