![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"
আসুন পিও দলে-দলে, জেয়াফত পার্টি ছেড়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চর্চার দলে
পিসা (PISA) বা Programme for International Student Assessment (PISA) পরীক্ষা সূচক হলও এমন একটি সূচক, যা নির্ধারণ করে কোন দেশের স্কুল-কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থা ২১শ শতকের আধুনিক বিশ্বে জ্ঞান-ভিত্তিক অর্থনীতির জন্য কোন দেশ তার ছাত্র-ছাত্রীদের কতটা প্রস্তুত করছে। পিসা পরীক্ষার ফলাফল মূল্যায়ন করে দেখা গেছে যে এই পরীক্ষায় যে সকল দেশের ছাত্র-ছাত্রীরা উচ্চ স্থান অর্জন করে সেই সকল দেশ অর্থনৈতিক ভাবে খুবই সফলতা লাভ করছে।
প্রতি তিন বছর পর পর বিশ্বব্যাপী শিক্ষা ব্যবস্থায়, OECD (Organisation for Economic Co-operation and Development) সংস্থা পিসা (PISA) নামক একটি মূল্যায়ন পরিচালনা করে, যেখানে গণিত, বিজ্ঞান এবং পাঠ-দক্ষতা বিষয়ে ১৫ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের বিশ্লেষণমূলক চিন্তাভাবনার (critical thinking) দক্ষতা যাচাই করা হয়। সাধারণত এই পরীক্ষা বিশ্বের ৬৫ টিরও বেশি দেশে পরিচালিত হয়, যে দেশগুলো বিশ্বের ৯০% অর্থনীতির প্রতিনিধিত্ব করে। ২০২২ সালের পিসা (PISA) পরীক্ষায় বিশ্বের ৮৩ টি দেশের শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল।
পিসা (PISA) কি? কেন এটা গুরুত্বপূর্ণ?
Programme for International Student Assessment (PISA) হলও একটি বৈশ্বিক কর্মসূচি, যার অধীনে ৩ বছর পর-পর বিশ্বের উন্নত ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর প্রায় ১৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী ৬ লক্ষ শিক্ষার্থী দুই ঘণ্টার একটি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এই পরীক্ষায় মূলত বিজ্ঞান, পাঠ-দক্ষতা ও গণিত বিষয়ে শিক্ষার্থীদের বাস্তব-জীবনের সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা যাচাই করা হয়— মুখস্থ করা তথ্য নয়।
২০২২ সালের পিসা পরীক্ষায় ৮৫টি দেশ অংশগ্রহণ করেছে, যা ২৬ জুলাই থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। তিনটি মূল শিক্ষাবিষয়: পাঠ-দক্ষতা, গণিত, এবং বিজ্ঞান – এ পরীক্ষিত হয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয় একটি “উদ্ভাবনী বিষয়” যা প্রতিবার পরিবর্তিত হয়। ২০২২ সালে গণিত ছিল মূল ফোকাস, এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনা ছিল উদ্ভাবনী ডোমেইন।
২০২২ সালের পিসা পরীক্ষায় ৮৫টি দেশ অংশগ্রহণ করেছে সেই ফলাফলের লিস্টে শীর্ষস্থানীয় ৩০ টি দেশের মধ্যে ১ টিও মুসলিম প্রধান দেশের নাম নাই। ৩১ থেকে ৫০ তম দেশগুলোর মধ্যে ৪ টি মুসলিম প্রধান দেশের নাম রয়েছে (তুরস্ক (৩৬), ব্রুনেই (৪২), কাতার, আরব আমিরাত (৪৬), মালয়েশিয়া (৪৭)। কাজাখিস্তান (৫১), সৌদি আরব (৬৪), আজারবাইজান (৬৬), ইন্দোনেশিয়া (৬৯), প্যালেস্টাইন (৭২), জর্ডান (৭৫), মরক্কো (৭৬), উজবেকিস্তান (৭৮)।
৮৫ টি দেশের মধ্য মুসলিম প্রধান দেশের সংখ্যা মাত্র ১২ টি যাদের বেশিভাগেরই অবস্থান প্রায় লিস্টের শেষের দিকে।
মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে সামরিক অস্ত্র ও প্রযুক্তি বিক্রয়কারী দেশগুলোর মধ্যে সবার উপরে রয়েছে তুরস্ক। দৈবক্রমে, পিসা (PISA) পরীক্ষায় মুসলিম প্রধান দেশগুলোর ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে লিস্টে সবার উপরে স্থান রয়েছে তুরস্কের।
গণিত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে পড়া-লেখা করে সেই যোগ্যতা অর্জন করেন যে যোগ্যতা দিয়ে আপনাদের শত্রুর সাথে লড়াই করে নিজেদের বানানো অস্ত্র ও নিজেদের অর্জিত যুদ্ধ-বিদ্যা ও বুদ্ধি দিয়ে জয়লাভ করতে পারেন। গণিত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে পড়া-লেখা করে সেই যোগ্যতা অর্জন করেন যাতে করে প্রতিপক্ষের সাথে যুদ্ধে জয়লাভ করার জন্য আবাবীল পাখির সাহায্যের জন্য বসে থাকতে না হয়।
সব কথার শেষ কথা , জেয়াফত পার্টির আয়োজন করে ও সেই পার্টিতে যোগ দিয়ে দিনে-দিনে শুধু মারাই খাবেন ও হাস্য-রসের বিষয়ে পরিণত হবেন বিশ্বব্যাপী। আমেরিকা, কানাডা, যুক্তরাজ্য হতে হবে না; নিদেশ পক্ষে তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া হতে চাইলেও আপনাদের সন্তানদেরকে গণিত ও বিজ্ঞান চর্চায় উৎসাহিত করুন।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৫১
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: বিজ্ঞান চর্চার কোন বিকল্প নেই।