নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আছে এক মায়াঘেরা ভোর

মৌলিক মোহান্ত

মৌলিক মোহান্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংবিধানে 'বিসমিল্লাহ ' থাকছে : তাহলে তালিবিএন্পি ও ড়াজাকার ঝামাত চেচাচ্ছে কেন ??

২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৭:৫২

সংবিধানে 'বিসমিল্লাহ' থাকবে

আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় প্রধানমন্ত্রী

পার্থ প্রতীম ভট্টাচার্য্য ও পাভেল হায়দার চৌধুরী

[ কালের কন্ঠ / ২৩ জুলাই ২০১০ ]

-------------------------------------------------

সংবিধানে 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম' কথাটি থাকবে আর ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। সংবিধানের যা কিছু পরিবর্তন আসবে, তা বাহাত্তরের সংবিধানের মূল চেতনার সঙ্গে কোনোভাবেই সাংঘর্ষিক হবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম কথাটি সংবিধান-সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় নয়। সংবিধানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম থাকবে না বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগবে_এমন কোনো সংশোধনী আনা হবে না বলে তিনি দলীয় সংসদ সদস্যদের আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন, বর্তমানে সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর ছবি প্রতিটি অফিসে টাঙানো বাধ্যতামূলক। এটা সংশোধন করা হবে। যদি কেউ প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙাতে চান, সে ক্ষেত্রে নির্বাহী আদেশে তা পারবেন। তবে জাতির জনকের ছবি টাঙানো বাধ্যতামূলক থাকবে।

সূত্র জানায়, শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর ছবি অফিস-আদালতে সবার মাথার ওপরে ঝুলবে, তা তিনি চান না।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার বিরোধী। কারণ রাজনীতি করার অধিকার সবার রয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনের আইন মেনে নিয়ে তাদের রাজনীতি করতে হবে। কেউ নির্বাচন কমিশনের নীতিমালার বিরুদ্ধে কিছু করতে চাইলে তা করতে পারবে না। ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত যা নেওয়ার, তা নেবে নির্বাচন কমিশন। জামায়াত ইসলামীকে নির্বাচন কমিশনের আইন মেনে রাজনীতি করতে হবে।

সূত্র জানায়, সংসদের বাজেট অধিবেশন শেষ হওয়ার পর ঘণ্টাব্যাপী চলা রুদ্ধদ্বার বৈঠকে শেখ হাসিনা মন্ত্রী-এমপিদের উদ্দেশে বলেন, মন্ত্রীদের সঙ্গে সংসদ সদস্য এবং সংসদ সদস্যদের সঙ্গে দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের দূরত্ব দূর করতে হবে। তিনি বলেন, দলের স্বার্থে সব সংসদ সদস্যকে কাজ করতে হবে, তা না হলে সামনের নির্বাচনে তাঁরা দলের মনোনয়ন পাবেন না। তিনি এমপিদের জনগণের সঙ্গে ভালো আচরণ করার এবং নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার নির্দেশ দেন। শেখ হাসিনা বলেন, যদি কোনো সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ওঠে, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মন্ত্রী-এমপিদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, তাঁর কাছে সব খবর আছে। প্রতি সপ্তাহে খবর আসে। ছয় মাস পরপর এমপিদের নির্বাচনী এলাকা মনিটর করা হচ্ছে। দুর্নীতির কোনো খোঁজ পেলে তিনি তা আমলে নেবেন। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

বৈঠক সূত্র জানায়, কয়েকজন মন্ত্রী সচিবরা তাঁদের কথা শোনেন না বলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেন।

সূত্র মতে, চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর পরাজয়ের ব্যাপারে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, সেখানে দলের নৈতিক পরাজয় হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তখন এ থেকে শিক্ষা নিয়ে এমপিদের নিজ নিজ এলাকায় নির্বাচনী ওয়াদা পূরণের ব্যাপারে তাগিদ দেন ।

সূত্র আরো জানায়, সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে গঠিত 'সর্বদলীয় বিশেষ কমিটি'তে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি যদি প্রতিনিধি দেয় তবে তাদের অবশ্যই কমিটিতে রাখা হবে বলে মন্তব্য করেন সংসদ নেতা।

সূত্র মতে, বৈঠকে একজন সংসদ সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর সমালোচনা করেন। ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা, আতিউর রহমান আতিক, আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, এ কে এম এ আউয়াল, আবদুল মান্নানসহ অনেকে বৈঠকে বক্তব্য দেন। বৈঠক শেষে সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা গণভবনে তাঁদের সম্মানে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেন।



মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +৩/-১২

মন্তব্য (৭০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৭:৫৬

সাজিদ বলেছেন: বিসমিল্লাহ থাকলে ধর্মনিরপেক্ষ হয় কেমনে?

২| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৮:০৫

উন্নত শিক্ষা বলেছেন: যদি বিসমিল্লাই রাখা হয়, তাহলে সংবিধান সংশোধন করার ভ্ন্ডামির প্রয়োজন কী? এ প্রশ্নটা কেন তোলা হলো না?

৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৮:০৯

মিতভাষী বলেছেন: আমি বাহাত্তরের সংবিধান মানিনা....


বিবিসির জরিপে নির্বাচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালি খলিফতুল মোসলেমীন বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবর রহমান কর্তৃক প্রণীত পচাত্তুরের সংবিধানের চতুর্থ সংশোধণীতে ফিরে যেতে হবে অবিলম্বে...

বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা এক হও...
চতুর্থ সংশোধনী বাতিল করে বঙ্গবন্ধুকে অপমানের এই প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করতে হবে....

৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৮:১১

উন্নত শিক্ষা বলেছেন: বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা এক হও...
চতুর্থ সংশোধনী বাতিল করে বঙ্গবন্ধুকে অপমানের এই প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করতে হবে...


চুয়াত্তরের সংবিধানে কী ছিলো???

৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৮:১২

উন্নত শিক্ষা বলেছেন: চুয়াত্তরের সংবিধানে কী ছিলো???

দুঃখিত। প্রশ্নটি করতে চেয়েছিলাম-

চতুর্থ সংশোধনীতে কী ছিলো?

৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৮:২১

বোবা ছেলে বলেছেন:

ভাইজান তো কোন কমেন্টের উত্তর দেন না...... ;)


পেইড ব্লগারদের এই হইলো সমস্যা......!!

২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৮:৫৭

মৌলিক মোহান্ত বলেছেন: পেইডদের এরকমই থাকতে হয় , নিয়মনীতি আছে না !
চিনতে পারার জন্য ধন্যবাদ ।

৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৮:২৪

েগাধূলীেবলা বলেছেন: সাজিদ বলেছেন: বিসমিল্লাহ থাকলে ধর্মনিরপেক্ষ হয় কেমনে?

৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৮:৩২

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: হুদায়বিয়ার সন্ধিতে যখন আল্লাহ/রাসূলের নাম দিয়ে শুরু করতে চাওয়া হয়েছিল, অমুসলিমরা আপত্তি জানান। সে পরিপ্রেক্ষিতে নিরক্ষর নবী মুহাম্মদ জানতে চান কোন জায়গাটিতে "আল্লাহ/রাসূলের নাম" লেখা আছে, এবং তিনি নিজ হাতে তা কেটে দেন।

দেশের কাগুজে সংবিধানে "ধর্মনিরপেক্ষতা" থাকল নাকি "আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস" থাকলো, তা দিয়ে বাংলাদেশে বসবাসকারী বাঙালি জাতির 'ধর্মবোধ', 'সাম্প্রদায়িক মনোভাব','পরমত সহিষ্ণুতা', 'ধর্ম ভিত্তিক চরিত্র-চেতনা-চর্চা-জীবনবোধ' কোন কিছুরই পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। আইন করে সকল প্রকার ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি বা রাজনৈতিক দল করে নিষিদ্ধ না করতে পারলে এইসব কাগুজে বর্ণ, শব্দ সমষ্টি দিয়ে অমুসলিম ও কথিত ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের ভোট, সমর্থন, বাহবা ছাড়া কার্যত কিছুই অর্জণ হয়না। কাগজে কলমে ধর্মনিরপেক্ষতা থাকলেই সাম্প্রদায়িকতা বন্ধ হয়ে যাবে আর আল্লাহর নাম উঠলে অমুসলিমদের উপর অত্যাচার হবে শুরু হয়ে যাবে, এসব অহেতু কথা বার্তা। ভারত নিজে তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। আমেরিকা ইন গড ইউ ট্রাস্ট লিখে সাম্প্রদায়িকতার চর্চা করে বাকি দুনিয়ায় 'গডমুক্ত' ধ্যান ধারণায় বল পূর্বক পোক্ত করতে চায়। আইন করে, বল প্রয়োগ করে জাতির একাংশের সমাজতান্ত্রিক, ধর্ম তান্ত্রিক চর্চা বা পছন্দগুলো নিষিদ্ধ করে দেয়াটাও খুব শোভনীয় গণতান্ত্রিক কাজ হয়না (যদিনা সমাজতান্ত্রিক/ধর্মতান্ত্রিক উপাদান গুলো দেশদ্রোহীতা বা রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি না মনে করা হয়)।

কিন্তু 'ধর্ম যার যার' কিংবা 'আমার ধর্ম আমার কাছে' এসব উদারপন্থী চেতনায় বিশ্বাসী লোকদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে আল্লাহ, খোদা, গড, ভগবান দেশ কাল ভেদে ভিন্ন শব্দ ধারণ করে থাকলেও এগুলোর নির্দেশনা সর্বশক্তিমানকেই ইঙ্গিত করেই। আওয়ামীলীগের পোস্টারে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধুর মাঝে মোটা দাগে "আল্লাহ সর্বশক্তিমান" লেখাটার ব্যাপারে অনেক অমুসলিম সমর্থকের প্রবল আপত্তি থাকতে পারে, কিন্তু সেই আপত্তির জবাবে নিজেদের পোস্টার ঠিক না করে জনগণের সংবিধানকে ধর্ম থেকে উদ্ধার করতেই, উনারা বেশি তৎপর। জনদরদী দল কিনা! ;)

৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৮:৩৮

অক্টোপাশ বলেছেন: বিসমিল্লাহ আর ধর্মনিরপেক্ষতা একসাথে রাখা মানে ভন্ডামি।

১০| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৮:৩৯

রামন বলেছেন: সংবিধানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম কথাটি থাকলেই জামায়েত ইসলামী রাজনীতি করতে পারবে জামাতিদের এই আশায় হবে গুড়েবালি। জামাত রাজনীতি করতে পারবে কিনা পারবে না এই সিদ্ধান্ত নিবে নির্বাচন কমিশন। জামাতের গঠনতন্ত্রে এখনো এমন কতকগুলো ধারা রয়েছে যা সংবিধানের সাথে সংগতিপূর্ণ নয়। রাজনীতি করতে হলে অবশ্যই তাদের ধারাগুলোর সংঙ্কার করতে হবে এবং সে ক্ষেত্রে ধর্মহীন দল হিসেবে জামাত রাজনীতি করার সুযোগ পাবে ।

১১| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৮:৪৪

সাজিদ বলেছেন: আমেরিকায় ৭৬.৫% খ্রিষ্টান, ১.৩% ইহুদি, ০.৫% মুসলিম ১৪.১% ফ্রিথিংকার/নাস্তিক।


Click This Link

সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হতে হলে তাকে অবশ্যই খ্রিষ্টান অথবা ইহুদি হতে হবে। মুসলিমরা হতে পারবে না এরকম লেখা নাই। তবে তাকে গডে বিশ্বাসী হতে হবে। রেফারেন্স: ল্যারি কিং

বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হলেও ১% এর কম যেসব ধর্ম যেমন ক্রিশ্চিয়ানিটি, বুডিজম এদের একাধিন ধর্মীয় অনুষ্ঠান রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হয়। সরকারি ছুটি থাকে। মার্কিন মূলুকে ১.৩% ইহুদিদের জন্য ছুটি থাকলেও অন্য ধর্মালম্বিদের জন্য কোন ছুটি নাই।

ইহুদিদের জন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আছে। বাংলাদেশে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম ধর্মভিত্তিক কোটার কথা আপাতত জানা নেই। তারপরেও আমাদের রাষ্ট্রধর্মে কেন ইসলাম এটা নিয়ে আপত্তি। এরা আসলে একদল জংগি তৈরী না করে থামবে না।

১২| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৮:৪৯

রামন বলেছেন: 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম' শব্দটি আরবী ভাষা, কোনো দৈব কারণে শব্দটি সংবিধানে ঠাই পেলেও পাশাপাশি এর বাংলা তর্জমাটি অবশ্যই থাকতে হবে ।

১৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৮:৫১

সাজিদ বলেছেন: রামন বিসমিল্লাহ হির রাহ মানিররাহিমের বাংলা তর্জমা কি?

২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৮:৫৬

মৌলিক মোহান্ত বলেছেন: ''শুরু করছি মহান আল্লাহ এর নামে ''

১৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৮:৫১

মু. নূরনবী বলেছেন: অক্টোপাশ বলেছেন: বিসমিল্লাহ আর ধর্মনিরপেক্ষতা একসাথে রাখা মানে ভন্ডামি।

পেইড এজেন্ট না এককালীন?......

১৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৮:৫২

হাসান আব্দুল্লাহ বলেছেন: Bal der Durdhosha dekhle--amar lojja pai- Lekhar nunnotomo juggota nai--shironame ekadhik vul--khoborer kagojer copy paste... Tar poro poshu vondamir achoron prokash korte lojjito noi! Ci Ci

১৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৮:৫৯

আলিম আল রাজি বলেছেন: কারণ চেচামেচি করাটা তাদের হবি।

১৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:০০

বোবা ছেলে বলেছেন:
-

সংবিধান সংশোধনের মূল উদ্দেশ্য আম্লীগের ক্ষমতা চিরস্হায়ী করার ফন্দি করা, তয় আম্লীগ যখন ক্ষমতা হারাইবো সেইটা হইবো খোদার গজব........., সংবিধান ও ভারত কেউই সেই খোদার গজব থাইকা রক্ষা করতে পারবো না.........।

১৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:০৩

সাজিদ বলেছেন: লেখক, রহমান আর রাহিম ধরলে মনে হয় হবে পরম করুনাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে। যাই হোক হিন্দুরাতো আল্লাহ বলে না। খ্রিষ্টানরাও বলে না। বুদ্ধদের ও না। তাহলে তারা যদি ধর্ম নিরপেক্ষ করতে চায় তাহলে ঐসব ধর্ম কি দোষ করলো? তাদের নিজের নিজের রীতিতে কেন তারা সংবিধান পড়া শুরু করতে পারবে না?

২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:৫২

মৌলিক মোহান্ত বলেছেন: ' শুরু করছি মহান আল্লাহ ( প্রভু ) এর নামে , যিবি অসীম দয়ালু ও দাতা '

সাবাই তাদের প্রভুর নামে শুরু করতে পারে ।

১৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:০৬

রামন বলেছেন: @ সাজিদ যারা সংবিধানে এই বিদেশী ভাষা অন্তভুর্ক্ত করবে বাংলায় সঠিক অনুবাদ করার দায়িত্ব তাদের উপরই বর্তাবে ।

২০| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:০৬

বোবা ছেলে বলেছেন:

@সাজিদ ভাই:

সংবিধান সংশোধন করতে গিয়েই আম্লীগের আসল চেহারা বেরিয়ে পরবে......।

২১| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:১০

রামন বলেছেন: @ লেখক আল্লাহ শব্দটি যে আরবি তথা বিদেশী শব্দ এটি অস্বীকার করার উপায় নেই ।

২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:৫৩

মৌলিক মোহান্ত বলেছেন: আল্লাহ - আরবী শব্দ । প্রতীক অর্থে যে কেউ ব্যবহার করতে পারে।

মেক নো ডিফরেন্স

২২| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:১৩

বোবা ছেলে বলেছেন:

@রামন:

আল্লাহ আরবী শব্দ হইলে খাঁটি কোলকাতার বাংলা কোন শব্দ কি আপনার ভান্ডারে আছে.......??

ঝাতি ঝান্তে ছায়...... ;)

২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:৫৪

মৌলিক মোহান্ত বলেছেন: আল্লাহ - আরবী শব্দ । প্রতীক অর্থে যে কেউ ব্যবহার করতে পারে।

প্রভু - হতে পারে। বিধাতা হতে পারে। সর্বময় - হতে পারে ।

২৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:১৩

সাজিদ বলেছেন: রামন, সংবিধান নামক এই বস্তুটি বাংলাদেশের কত পার্সেন্ট মানুষ জীবনে একবার হলেও পড়ে দেখেছে? সংবিধান মেনে তো আমরা কেউ ধর্ম পালন করবো না। ধর্মের কথা যারাই এনেছে তারা দেশের সিংহভাগ মানুষের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে তাদেরকে দলে টানতে এনেছে। এমন না রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম করাতে বা বিসমিল্লাহ আনাতে আমরা রাতারাতী বিরাট ধার্মিক জাতি হয়ে গিয়েছি। প্রত্যেক দেশেই প্রধান ধর্মের একটা প্রাধান্য থাকে। বারাক হোসেন ওবামার হোসেন নাম লুকানোর এত চেষ্টা কেন? তিনি বারবার ঘোষনা দেয়া সত্ত্বেও সে তিনি একজন খ্রিষ্টান?

যাই হোক এখন যে বা যারা হঠাৎ করে ধর্মনিরপেক্ষতা ফিরিয়ে আনার কথা বলছে তারা দেশকে আরকেটা দূর্যোগের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এত বড় লিখতে ভালো লাগে না। তবে এখানে লিখে রেখে গেলাম, কোন একসময় আওয়ামি ভাড়াটেরাই বলবে, " যুদ্ধাপরাধিদের বিচার বাধাগ্রস্হ করার জন্য সরকারের ভিতর ঘাপটি মেরে থাকা রাজাকরদের দোসররা সরকারকে দিয়ে এমন সময়ে সংবিধান পরিবর্তনের হুজুগ তুলেছিল"।

২৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:৩৮

আমি কেউ না বলেছেন: সাজিদ ভাই, প্লাস দিলাম...

২৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:৪৩

আমি কেউ না বলেছেন: রামন দাদার বগটা কেউ দেখেন, মজা পাইবেন... এইসব বাল+ব্লগার ব্লগে আসছে অন্য ধর্মের নামে গুজব ছড়াতে্‌,

২৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:৫২

রামন বলেছেন: @ সাজিদ.... দেশের কতজন মানুষ সংবিধান পড়েছে এর সঠিক তথ্য আমার কাছে নেই তবে বলতে পারি দেশের প্রত্যেক সচেতন নাগরিকের সংবিধান নিয়ে পড়াশুনা থাকা বা ধারণা থাকা উচিত। আজকে যে সংবিধান পরিবর্তনের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে এর জন্য দায়ী অতীতের স্বৈরাচারী সরকার। বিগতদিনে এরা অসংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতায় এসে দেশের সংবিধানকে কুলষিত করেছে। দেশের স্বার্থে,জনগনের স্বার্থে সংবিধান পরিবর্তন করা হয়, বিদেশে এর নজির আছে কিন্তু অতীতে যারা এই সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করেছে এরা কেউ বৈধ ছিল না,সম্পূর্ণ অসংবিধানিক প্রক্রিয়ায় এই কাজটি করা হয়েছিল। আজ এটির সংশোধনের দায়িত্ব এসে পড়েছে এই সরকারের উপর, যে মূলমন্ত্র নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল সেই বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাবার কঠিন দায়িত্ব নিয়েছে এই সরকার , আর সে মেন্ডট নিয়েই তারা সাংবিধানিকভাবে ক্ষমতায় এসেছে ।

২৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:০৬

ডন অফ কর্লিওন বলেছেন: আরে বাবা এইখানে দেহি বিরাট আলুচনা। তয় ডন একখান কথা কইতাম চায়।

দুয়ারে এক ফকির আইলো। আন্নে তারে এক পেলেট ভাত দিলেন হেইটা আচমকা কাইড়া লইলে যেরম হইবো বাংলাদেশের সংবিধান থেকে ইসলাম ধর্মের নাম নিশানা মুইছা দিলেও তেমন হবে। ভাত না দেন হেইটা সমস্যা না। তয় ভাতের প্লেট যদি মাঝখানে কাইড়া লন তাইলে কিন্তু খবর আছে।

গিয়ানি লোকেগোরে বেশী কইতো হয় না তারা বউঝা লয়।

২৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:৪৯

চক্কর বলেছেন: োগায় চার্জ বেশী থাকলে সবাই একটু লাফালাফি বেশী করে।োগার চার্জ বেশীদিন দাদাদের চার্জার দিয়ে দেয়া যায়না। কথাটা বলেছেন জয় মা কারি দুর্গা

২৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:৫৩

রাঙ্গাকলম বলেছেন: আমার প্রশ্ন সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ উঠিয়ে দিলেই কি দেশ ধর্মনিরপেক্ষ হয়ে যাবে?

এটা আসলেই ভন্ডামী, আসল উদ্দেশ্য দাদাদের খুশি করা যারা ক্ষমতা নির্নয় করে বা জনগণকে বোকা বানিয়ে ভোট আদায়ের উপায় মাত্র।
ঃঃঃঃঃঃঃঃঃ

৩০| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:০৯

মুর্তজা হাসান খালিদ বলেছেন:
বিসমিল্লাহ থাকলেই কি আল্লাহর প্রতি আনুগত্যতা প্রকাশ পেলো?

আল্লাহ তার নাম দেখে সংবিধানটা কবুল করে নিলেন?

যত্তোসব ফালতু কর্মকান্ড, আর এই নিয়ে মাতামাতি।

এটাতো খেল তামাশার বিষয়ে পরিণত হলো। ইসলাম খেলতামাশার বস্তু নয়। এটা একটা সত্যসুন্দর জীবন ব্যবস্থা। কেউ মানলে মানুক না মানলে না মানুক।

কিন্তু স্বার্থসিদ্ধির জন্যে বা ইসলাম প্রিয় মানুষের মন যোগানোর জন্যে বা ভোটের রাজনীতিতে বিজয়ী হওয়ার জন্যে ইসলামি ট্যাগ ব্যবহার করার অধিকারতো আল্লাহ কাউকে দেননি।

সিনেমা শুরু করার আগে দেখি বিসমিল্লাহ দিয়ে শুরু করা হয়- অথচ এটা যারা নামে শুরু করা হচ্ছে তিনি তা মন্দ কর্ম হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

মূলত ইসলামিক পরিভাষাগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে মন্দ ও হীন স্বার্থে -যা পুরোপুরি জঘন্য পাপ কাজ।

৩১| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৩৯

দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: @সাজিদ:ইউ এস সুপ্রিম কোর্টে জাজ হতে গেলে গডে বিশ্বাসী হওয়া লাগে, এরকম কথা কোথাও শুনিনি, রেফারেন্স টা ভাল করে দেন, দেখতে ইচ্ছা করছে খুব।

আর কোন ধর্মের কয়দিন ছুটি আছে, এইটা নিয়ে যদি ধর্মনিরপেক্ষতা হিসাব করতে হয়, তাহলে তো হইছিলই! আমেরিকা যদিও অনেক প্রথম বিশ্বের দেশের থেকে বেশী কনজারভেটিভ, কিন্তু তাদের সংবিধানেই "ফ্রিডম অফ স্পিচ" এর কথা লেখা আছে, যেটার প্রয়োগ হয় অহরহই।

৩২| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৪১

সাজিদ বলেছেন: দ্যা ফিউরিয়াস ওয়ান, গত ২ সপ্তাহের কোন এক উইকেন্ডে একটা ল্যারি কিং লাইভে ল্যারি কিংয়ের মুখে শুনেছি।

৩৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৪৬

মুহাম্মদ মামুনুর রশিদ বলেছেন: এত মন্তব্যের পরও কি বুঝতে পারেন নাই?কেন চেচাচ্ছে?

৩৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৫৪

সাজিদ বলেছেন: দা ফিউরিয়াস ওয়ান এটা একটা অলিখিত নিয়মের মত। কেন সেটা নিচের লেখাটা পড়লে বুঝবেন

The Court has historically been dominated by White male Protestants born into wealthy families.[84] The first Roman Catholic appointed to the Court was Roger Taney in 1836, with the second (Edward Douglass White) appointed in 1898. Prior to the twentieth century, concerns about diversity of the Court were mainly geographic, to represent all regions of the country, as opposed to ethnic, religious, or gender diversity.[85] The twentieth century saw the first appointment of a Jewish justice (Louis Brandeis, 1916), an African-American (Thurgood Marshall, 1967) and a woman (Sandra Day O'Connor, 1981). In the 21st century, the first Latina justice was appointed (Sonia Sotomayor, 2009). All justices were Caucasians of European heritage until the appointment of Marshall. Since then, only two other non-white justices have been appointed: Marshall's African-American successor, Clarence Thomas, and Sotomayor. Of the 111 justices, 108 have been white, and 108 have been male. All justices were males until 1981, when Ronald Reagan fulfilled his 1980 campaign promise to place a woman on the Court by appointing O'Connor.[86] O'Connor was later joined by Ruth Bader Ginsburg, appointed by Bill Clinton in 1993. After O'Connor's retirement in 2006, Ginsburg was joined by Sotomayor, named to the Court in 2009 by Barack Obama.

In terms of religion, most justices have been Protestants, including thirty-five Episcopalians, nineteen Presbyterians, ten Unitarians, five Methodists, and three Baptists.[87] Following the retirement of Justice John Paul Stevens, the Court is without a Protestant for the first time in its history.[88]

সৌজন্যে : উইকি

৩৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:০০

দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: @সাজিদ: যদি শুনেও থাকেন, তবে হয় ভুল শুনেছেন, বা ল্যারি কিং ভুল বলেছেন। আমেরিকাতে "সেপারেশন অফ চার্চ এন্ড স্টেট" খুব প্রবলভাবে মেনে চলা হয়, এমনকি একটা পাবলিক স্কুলেও কোন শিক্ষক তার ক্লাসে "দোয়া" বা প্রেয়ারের আয়োজন করতে পারেননা।

৩৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:০২

সাজিদ বলেছেন: দ্যা ফিউরিয়াস ওয়ান উপরের লেখাটা পড়ুন. speciallay take a note to the following line

Prior to the twentieth century, concerns about diversity of the Court were mainly geographic, to represent all regions of the country, as opposed to ethnic, religious, or gender diversity.[

৩৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:০৪

দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: ৩৫ নম্বরটা আপনার ৩৪ নম্বর দেখার আগেই করা।

তবে আপনার ব্যাখ্যা পড়ে হাসি পাচ্ছে :) এটা কোনভাবেই অলিখিত নিয়ম নয়, এবং এই "অলিখিত" নিয়ম দেখিয়ে যদি অন্য কোন ধর্মের কাউকে জাজ হতে বাধা দেয়া হয়, তবে দায়ী ব্যাক্তিরা বড়সড় বিপদে পড়বেন।

আপনার কথা অনুযায়ী, আর ২ বছর আগে বলা যেত, কোন "অশ্বেতাঙ্গ" আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে পারেনা, এটাই আমেরিকার অলিখিত নিয়ম :)

৩৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:০৭

সাজিদ বলেছেন: লিখিত কোন নিয়ম বা যোগ্যতার কথা লিখা নাই। তবে আগের ট্রেন্ডকে আমরা যোগ্যতার মানদন্ড হিসেবে নিতে পারি।

৩৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:০৮

দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: @সাজিদ, ৩৬ নম্বরে দেয়া লাইনটার অর্থ কি আপনি নিজেই বুঝেছেন?? এখানে তো আপনার মতামতকে সাপোর্ট করে এমন কিছুই পেলাম না!

৪০| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:০৯

সাজিদ বলেছেন: as opposed to ethnic, religious, or gender diversity.[

৪১| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:১২

সাজিদ বলেছেন: দ্যা ফিউরিয়াস ওয়ান এই শব্দগুলো কি বুঝায়?

৪২| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:১২

দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: এই লাইনটার বাংলা অর্থ দাঁড়ায়: "বিংশ ষহতাব্দীর আগে, সুপ্রিম কোর্টের জাজদের ডাইভার্সিটি নিয়ে যেসব উদ্বেগ প্রকাশ করা হত, তার প্রায় সবটাই ছিল এলাকা কেন্দ্রিক, অর্থাৎ তারা কোন এলাকা (স্টেট) থেকে এসেছেন। তাদের ধর্ম, জাতিগত অথবা লিঙ্গগত ডাইভার্সিটি নিয়ে তখন তেমন আলোচনা হত না।"

৪৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:১৪

দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: আপনার "আগের ট্রেন্ডকে মানদন্ড" ধরাটাও খুব বড় ভুল, এবং অযৌক্তিক। ভাগ্যিস, আমেরিকার জাজরা আপনার মত ভাবেননা, তাহলে আর ওবামাকে প্রেসিডেন্ট হতে হতনা ;)

৪৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:১৮

সাজিদ বলেছেন: আপনের কাছে তো অনুবাদ শিখতে হবে দেখি

concerns about diversity of the Court were mainly geographic, to represent all regions of the country,

আমি এটার যে অর্থ বুঝেছি সেটা হলো আগে কোর্টে ডাইভার্সটি আনয়নের লক্ষছিল মূলত ভৌগলিক, দেশের সব এলাকা যাতে প্রতিনিধিত্ব করে। আর এটা

as opposed to ethnic, religious, or gender diversity

এই লাইনের অনুবাদ আপনি করলেন তাদের নিয়ে আলোচনা হতো না? নাকি ধর্মীয়, এথনিক, বা লিন্গ বৈচিত্র আনয়নকে বিরোধিতা করে হতো বলবো?

৪৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:২০

সাজিদ বলেছেন: দ্যা ফিউরিয়াস ওয়ান বুশ বাবা এরকম ব্লান্ডার না করলে ওবামা জীবনেও প্রেসিডেন্ট হতো না। তারপরেও প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান অনেক কম। ওবামার একা নির্বাচিত হওয়াই কি সব প্রমান করে দেয়?

৪৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:২৩

সাজিদ বলেছেন: Of the 111 justices, 108 have been white, and 108 have been male.


এই লাইনটা পড়সেন? এই লাইন পড়ে আপনার কি মনে হয়?

আর আমার উপর পূর্বের ক্ষোভ ঝারতে যেয়ে খেই হারিয়ে ফেলছেন মনে হয়? জাজরা কি ওবামাকে প্রেসিডেন্ট করসে? জাজরা আমার মত বেকুব হতে যাবে কেন?

৪৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:২৯

দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: @সাজিদ: আপনি এক কাজ করেন, আপনি আপনার পরিচিত ইংরেজী "বিশেষজ্ঞের" কাছ থেকে এইটার অনুবাদ নিয়ে আসেন :D :D মনের শান্তি বলে কথা। তবে অনুবাদ এইটাই, নিশ্চিন্ত থাকেন।

তবে, এই ডিকশনারীতে দেখতে পারেন:(এইটা আমি বানাই নাই)
Click This Link

এইটাও দেখতে পারেন
Click This Link

এইববার মিলায়া দেখেন।

আর আপনার "ট্রেন্ড টাই মানদন্ড" নিয়া নতুন কোন কথা বলার নাই। আবারো বলি, ব্যাপক ভুল।

৪৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:৩৩

সাজিদ বলেছেন: ১১১ জন বিচারকের মধ্যে ১০৮ জন কেন পুরুষ ও হোয়াইট। আপনার কি ব্যখ্যা?

৪৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:৩৫

সাজিদ বলেছেন: আমার পরিচিত কোন ইংরেজি থেকে বাংলা বিশেষগ্গ নাই। আর আমিও আপনার অনুবাদটি মেনে নিতে পারলামনা বলে সরি।

৫০| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:৩৬

দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: বাংলাদেশের সব প্রেসিডেন্ট আজ পর্যন্ত মুসলমান। আপনার কি ব্যাখ্যা?

৫১| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:৩৭

সাজিদ বলেছেন: আমার কথার জবাব দেন আগে।

৫২| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:৪৪

দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: এইটার ব্যাখ্যা হইল, তখনকার শিক্ষিত, এলিট শ্রেণী এরাই ছিল, তাই তারাই জাজ হয়েছে বেশী।

আপনার "আপনার অনুবাদটি মেনে নিতে পারলামনা বলে সরি" এই লাইনটা আগে বললেন না কেন? এইটারে বলে তালগাছ আমার সিনড্রোম, এইটা জানলে আপনার সাথে টাইম ওয়েস্ট করার দরকার ছিলনা।

ডিকশনারীতে দেখায়া দিলাম "এজ অপোজড টু" কথাটার মানে হইল "কমপেয়ারড টু" আপনি তারপরও মানবেননা। ঠিক আছে, B-)

আর আপনার ট্রেন্ডই আইন---এই হাস্যকর কথাটা দেখি আপনি আবার জোর দিয়া প্রতিষ্ঠিত করতে যাইতেছেন। হাসতে হাসতে হাততালি দেওয়া ছাড়া কিছু করতে পারলামনা, দুঃখিত!

খুদাপেজ, ভালো থাকবেন, আর নিজের অন্ধকূপে বসে তালগাছটি সযত্নে রাখবেন।

৫৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:৪৫

সাজিদ বলেছেন: ব্যাখ্যাতো ডিলেন না। নাকি শাগরেদদের সাঠে আলুচনা করতে গেলেন। আমাকে ঘুমাতে হবে। পরে দেখবো কি ব্যখ্যা দিলেন ১১০ বছরে ১১১ জন বিচারকের মধ্যে মাত্র ৩ জন নারী এবং নন ককেশিয়ান। এর কারণ কি? আর ৩৪ নম্বর মন্তব্যটা আবার পড়ে দেখেন। তারপরও যদি মনে হয় ইউএস এ জাস্টিস নির্বাচন রেইস/রিলিজিয়ন বায়াসড না তাহলে কোন কিছু বলার নাই।

৫৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:৪৮

সাজিদ বলেছেন: ও জবাব দিসেন। হোয়াট ডু ইু মীন বাই টখনকার? ৩ জন নারীর ২ জন এখন সার্ভ করছে। আর ৩ জন কালোর একজন এখন সার্ভ করছে। তাহলে কখন পর্যন্ত্য পিছিয়ে ছিল। আর কেন পিছিয়ে ছিল কালোরা? কালোরা ইচ্ছা করে পিছিয়ে ছিল?

৫৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:৪৮

সাজিদ বলেছেন: আমারতো তাও একটি তালগাছ আছে। াপনি কোন গাচ নিয়ে যে পড়ে আছেন সেটাইতো বুঝলাম না।

৫৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৮:৫৩

বোবা ছেলে বলেছেন:

-

@ফিউরিয়াস:

ভাই কত বছর ও কত কাছে থেকে আমেরিকার সরকার ও আইন বিভাগকে দেখেছেন একটু জানতে চাইছিলাম, উত্তর জেনে আলোচনায় অংশ নেব ভাবছি....... :):)

৫৭| ২৪ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১:৫০

দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: @বোবা ছেলে: আপনিও আমার মত ভুল করছেন, এই আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য আমেরিকার আইন বিভাগের জ্ঞান নয়, বরং "ইংরেজী অনুবাদ" আর "তালগাছ আমার" বিষয়ক জ্ঞান দরকার।

উপরে সব কথাই বলা আছে, নিজেই দেখে নিন।

ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।

৫৮| ২৪ শে জুলাই, ২০১০ রাত ২:০১

এক্স বলেছেন: বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম অর্থ পরম করুনাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু. এটা সূরা ফাতিহার অংশ, যার পরবর্তী আয়াত গুলির মধ্যে আছে, হে আল্লাহ আমাদের সেই দলের অন্তর্ভূক্ত করুন যাদের উপর আপনি সন্তুষ্ট এবং সেই দলের না যাদের উপর আপনি অসন্তুষ্ট.

তাহলে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম হচ্ছে তাদের জন্য যারা আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে চায়. আর আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার একমাত্র পথ হচ্ছে ইসলামি জীবন ব্যবস্হাকে পরিপূর্নভাবে সমাজ-রাষ্ট্র-জীবনে গ্রহন করা. কিন্তু আমাদের সংবিধান রচিত হয়েছে গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, মুজিব-জিয়া-এরশাদের মত বৃহদান্ত্র-ক্ষুদ্রান্ত দিয়ে. সংবিধানের ব্যাকবোন ছিল ব্রিটিশদের সংবিধান কপিপেস্ট এন্ড ডিকম্পোজড বাই পোটকা কামাল হোসেন. তাহলে পোটকা কামাল মুজিব জিয়া এরশাদের সংবিধান মুসলমানরা মানবে কেন? বিসমিল্লাহ বলে মদ খেলেই তো আর মদ হালাল হয়ে যায়না. কাজেই বিসমিল্লাহ লাগালেই হারাম কুফর সংবিধান হালাল হয়ে যায় না.

৫৯| ২৪ শে জুলাই, ২০১০ ভোর ৫:১৮

সাজিদ বলেছেন: দা ফিউরিয়াস ওয়ান, আপনি আবার ভুল বলছেন। আমি অনেক আগেই বলেছি পৃথিবীর প্রত্যেক দেশেই প্রধান ধর্মের একটা প্রাধান্য থাকে। আপনি সেটা অস্বিকার করতে চাইছেন।

বাংলাদেশেও আওয়ামিলীগের নির্বাচনী ইশতিহারে ছিল কোরআন - সুন্নাহ বিরোধি কোন আইন করবে না। অন্য কোন ধর্মের কথা নাই।

৬০| ২৪ শে জুলাই, ২০১০ ভোর ৬:০৩

মৌলিক মোহান্ত বলেছেন: আম্রিকার প্রেসিডেন্ট / জাজ রা বাইবেল হাতে নিয়েই শপথ নেন ।
আম্রিকার ডলারে লেখা আছে '' ইন গড উই ট্রাস্ট ''

এসবও তো ধর্মের প্রাধান্য পায় ।

৬১| ২৪ শে জুলাই, ২০১০ ভোর ৬:২৩

কবিরকস বলেছেন: মোহান্ত ভাই ভালোই ক্যাচাল লাগিয়ে দিয়েছেন দেখছি। চালিয়ে যান বাহে।

৬২| ২৪ শে জুলাই, ২০১০ ভোর ৬:২৮

রাগিব বলেছেন: সাজিদ,

উইকির ঐ বাক্যটির অনুবাদের ক্ষেত্রে ফিউরিয়াসের অনুবাদ, অর্থাৎ "as opposed to" এখানে "তমুকের বদলে" অর্থে ব্যবহৃত হচ্ছে। এখানে উদাহরণটা পাবে, Click This Link ("I like pro basketball, as opposed to the college game.")

মার্কিন সংবিধানে ধর্ম নিয়ে কিছু নাই। তবে অনেক কিছুই রাজনৈতিক। বছর ৫০ আগেও ক্যাথলিক কেউ প্রেসিডেন্ট হবে এটা অভাবনীয় ছিলো। কেনেডির বাপের টাকাপয়সার প্রভাবে ক্যাথলিক হয়েও প্রেসিডেন্ট হয়েছিলো, কিন্তু ঐ একজনই।

এখনো আসলে বিচারকের ধর্মের কোনো বিধিনিষেধ নাই। তবে বিচারক হতে হলে কংগ্রেস/সিনেটের অনুমোদন লাগে। সেটা যে কারো পক্ষে পাওয়াটা কঠিন। গত শতকের শুরুর দিকেও ইহুদি ধর্মের কাউকে বিচারক করা হতো না। সেটা পালটে যায় বিংশ শতকের শুরুতে, কিন্তু তার পরেও অলিখিত ভাবে ১ জনের বেশি রাখা হতো না।

আর আরেকটা ব্যাপার মানতেই হবে । ইহুদি ধর্মাবলম্বী মার্কিনীরা শিক্ষার দিক থেকে মুসলিম ধর্মাবলম্বী মার্কিনীদের চাইতে বহু বহু দূর এগিয়ে আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইসলাম ধর্মের বিস্তার মাত্র অল্প কয় দিনের। কাজেই ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের কাছাকাছি যেতে অনেক সময় বাকি। এখনো অভিবাসী মুসলিম বাদে স্থানীয় মুসলিমদের সেরকম উন্নতি হয়নি যুক্তরাষ্ট্রে। ধারণা করছি, ৪০/৫০ বছর পরে তারা হয়তো শিক্ষা ও ব্যবসার দিক থেকে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের কাছাকাছি আসতে পারবে।

৬৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১০ ভোর ৬:৩৪

দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: @মৌলিক মোহান্ত: বাইবেল হাতে নিয়ে শপথ নেয়াটা কোন আইন নয়, একটা প্রচলিত নিয়ম মাত্র। আমেরিকার অনেক প্রেসিডেন্টই আছেন, যারা বাইবেল হাতে নিয়ে শপথ নেননি। থিওডর রুজভেল্ট তার শপথে বাইবেল ব্যভার করেননি। জন কুইন্সি এডামস আইনের বই হাতে নিয়ে শপথ করে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন।
Click This Link

"সো হেল্প মি গড" না বলে অন্য কিছু বলে শপথ নেওয়াও সম্পূর্ণ আইনসিদ্ধ, এটার উদাহরণও খুজলেই পাবেন। এটাকে বলা হয় "এফারমেশন"।

টাকার গায়ে "ইন গড উই ট্রাস্ট" এর ব্যাপারটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। নেটে সার্চ দেন।

আর প্রসঙ্গক্রমে, আমেরিকান সংবিধানের একটা মৌলিক বৈশিষ্ট্য হল, সেখানে বড় করে উল্লেখ করা হয়েছে যে রাষ্ট্রের কোন পদের জন্য কাউকে কখনো তার ধর্ম নিয়ে জাজ করা হবেনা। এটা সংশোধনী দিয়ে করা হয়নি, মূল সংবিধানেই ছিল
Click This Link

তাই আমেরিকাতে অনেক ক্ষেত্রে কোন ধর্মের লোক বেশী থাকতে পারে, কিন্তু তার মানে এই না যে অন্য ধর্মের কাউকেকে আইনী ভাবে বা সাংবিদগানিকভাবে বাধা দেওয়া হয়।

৬৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৭:০৬

মিতভাষী বলেছেন: ৥ উন্নত শিক্ষা

সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী ছিল বাংলাদেশের জন্য এক কালো অধ্যায়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, গণতান্ত্রিক তথা সকল মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়। এই ঘটনায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দার ঝড় ওঠে।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এদেশের স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক মুক্তি, গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা, মৌলিক অধিকার রক্ষার আশায় যখন স্বপ্ন দেখতে শুরু করে, ঠিক তখন চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের সকল অধিকার হরণ করা হয়। পঞ্চম সংশোধীর মাধ্যমে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, ধর্মীয় মূল্যবোধ, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে যেভাবে জনগণের অধিকার কেড়ে নেয়া হয় তা হলো- সংশোধনী

১. সংসদীয় সরকার পদ্ধতিকে প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকারে পর্যবসিত করেছে।

২. প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা দিয়েছে সংসদ সদস্য না হলেও যে কোনো ব্যক্তিকে মন্ত্রী নিয়োগ করার।

৩. এতে প্রধানমন্ত্রী (শেখ মুজিবুর রহমান) রাতা-রাতি প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। এই সংশোধনী অনুযায়ী ধরে নিতে হবে যে ঐদিন তিনি জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।

৪. সংশোধনী অনুযায়ী ধরে নিতে হবে যে সংসদে যেসব সদস্য তখন সংসদে ছিলেন তারা সেদিনই জনগণের ভোটে সরাসরি নির্বাচিত হয়েছেন ও তারা তারপর ৫ বছর মেয়াদে থাকবেন।

৫. প্রেসিডেন্ট পদে থাকার কোনো মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়নি। এই সংশোধনী বলে তিনি যতকাল ইচ্ছা ততোকাল প্রেসিডেন্ট পদে বহাল থাকতে পারবেন।

৬. সংশোধনীর আওতায় প্রেসিডেন্টকে অভিশংসিত করার কার্যপদ্ধতি রাখা হলেও ঐ পদ্ধতিকে এতই কঠিন করা হয় যে অভিশংসন প্রায় অসম্ভব।

৭. যেমন, প্রেসিডেন্টকে অভিযুক্ত করার প্রস্তাবের জন্য সংসদের মোট সদস্য সংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশের সম্মতির প্রয়োজন হবে আর অভিশংসিত করতে হলে সংসদের তিন-চতুর্থাংশের ভোটের প্রয়োজন হবে।

৮. প্রেসিডেন্টকে নিরঙ্কুশ ভেটো দেয়ার ক্ষমতা দেয়া হয়, অর্থাৎ সংসদে পাস করা কোনো বিলে যদি প্রেসিডেন্ট সম্মতি প্রদান না করেন তাহলে সে বিল কখনও আইনে পরিণত হবে না। আর সংসদ ঐ বিলটি পুনর্বিবেচনা করতে পারবে না।

৯. এই সংশোধনীর আওতায় একজন ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ সৃষ্টি করা হয়।

১০. ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নিয়োগদানের ক্ষমতা দেয়া হয় প্রেসিডেন্টকে। ১১. মন্ত্রী পরিষদকে প্রেসিডেন্টের কাছে দায়বদ্ধ করা হয়।

১২. মৌলিক অধিকার বলবৎ করার ব্যাপারে বিচার শাখার ক্ষমতা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। তার পরিবর্তে সংসদকে কর্তৃত্ব দেয়া হয় একটি সাংবিধানিক আদালত বা ট্রাইব্যুনাল গঠনের জন্য যা মৌলিক অধিকারগুলো বলবৎ করবে।

১৩. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়।

১৪. কেবল মাত্র প্রেসিডেন্টই সুপ্রীমকোর্টের বিচারকদের নিয়োগ করার একমাত্র কর্তৃপক্ষ হয়ে ওঠেন।

১৫. প্রেসিডেন্ট বিচার বিভাগের সকল কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়োগ করার ও তাদের স্ব-স্ব পদ থেকে অপসারণ করার ক্ষমতার অধিকারী হন।

১৭. বহুদলীয় রাজনীতির পরিবর্তে এক দলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়।

১৮. সকল রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে দেয়া হয় ও তার স্থলে মাত্র একটি রাজনৈতিক দল (বাকশাল) দেশে থাকবে বলে নির্ধারণ করা হয়।

১৯. সরকারি কর্মচারীদের রাজনৈতিক করণ করে তাদের ও নতুন রাজনৈতিক দলের সদস্য করার ব্যবস্থা করা হয়।

২০. এই সংশোধনী বলে নতুন দল বাকশালের অনুমোদন ছাড়া কেউ প্রেসিডেন্ট বা সংসদ সদস্য হতে পারবেন না এবং নতুন দলে যোগ না দিলে বর্তমান সংসদ সদস্যদের সদস্যপদ হারাতে হবে বলে নির্ধারণ করা হয়।

২১. আবাদী জমি ও গ্রামীণ অর্থনীতির সমষ্টি করণের লক্ষ্যে বাধ্যতামূলক গ্রাম সমবায় ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়।

২২. মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা খর্ব করা হয়।

২৩. সংবাদপত্রে স্বাধীনতা খর্ব করা হয়।

২৪. জেলার সংখ্যা ৬১টিতে উন্নীত করা হয়।

২৫. প্রতিটি জেলার মুখ্য প্রশাসন হবে একজন গভর্নর ও গভর্নর নিয়োগের ক্ষমতা দেয়া হয় প্রেসিডেন্টকে আর ২৬. সংসদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ১৫ থেকে ৩০-এ উন্নীত করা হয়।

সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী ছিল কার্যত সম্পূর্ণ একটি নতুন সংবিধানের মতই। এই সংশোধনী কোনো রকম প্রতিবিধায়ক ও ভারসাম্য রক্ষার ব্যবস্থা না রেখেই সকল ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের হাতে কেন্দ্রিভূত করে। সংসদকে করা হয় রাবার স্ট্যাম্পে এবং নামেমাত্র নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হলেও বাস্তবে সংসদ পরিণত হয় একটা অপ্রতিনিধিত্বশীল সংস্থায়। সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী মূলত ছিল একটি জঘন্যতম ঘটনা। সভ্য দেশে এমনটি হওয়া এক নজিরবিহীন ঘটনা। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে তৎকালীন সরকার কর্তৃক সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী মানুষের সকল মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়। আর এই জঘন্যতম অধ্যায়ে ফিরে যেতে চায় বর্তমান সরকার। আইনমন্ত্রী চতুর্থ সংশোধনীতে ফিরে যাওয়ার পক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করতে গিয়েই পরিষ্কার করেছেন। তিনি পঞ্চম সংশোধনী সম্পর্কিত রায়ে আপিল তুলে নেয়ার মানেই সরকার এই রায় মেনে নিয়ে চতুর্থ সংশোধনীতে ফিরে যাওয়ার কথা বলেন।

৬৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৭:১০

সাজিদ বলেছেন: রাগিব ভাই ধন্যবাদ আলোচনায় অংশগ্রহনের জন্য। আমার এই আইন নিয়ে কোন জানা ছিল না। মূলত্য ল্যারি কিংয়ের একটা মন্তব্যকে রেফারেন্স করা নিয়ে আলোচনা। ল্যারিন কিং জেটা বলেছিল অলিখিত নিয়মের কথাই বলেছিল হয়তঃ। অলিখিত নিয়মগুলা অনেক সময় লিখিতের মতই হয়। অনেক দেশে তো কোন লিখিত সংবিধানই নাই। তবে সময়ের প্রয়োজনে সেটার পরিবর্তন হতে পারে ও হয়।

বিচারক নিয়োগের ইনফ্যাক্ট লিখিত কোন যোগ্যতার বিবরণ পেলাম না। তবে সাধারনত আইনবিদরাই হয়ে থাকে। সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেখানে এত নারী বা ব্ল্যাক শিক্ষক আছে সেখানে গত ১১০ বছরের ১১১ জন বিচারকের মধ্যে মাত্র ৩ জন নারী পেলাম যাদের দুজন আবার এখন সার্ভ করছে।

মানুষের পক্ষে সম্পূর্ন নিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব না। নিরপেক্ষ হতে চেষ্টা করতে পারে বটে। আর মার্কিন ক্ষমতার কেন্দ্রে যারা আছে তারা রেইস দ্বারা প্রভাবিত হওয়াতেই ১১১ জনের মধ্যে মাত্র ৩ জন ব্ল্যাক। আর মার্কিন মুলুকের যে ১৪% স্বিকৃত নাস্তিক তাদেরও কোন প্রতিনিধি গত ১১০ বছরে আসতে পারে নাই মূলত অলিখিত সেই নিয়মের কারণেই হয়ত, যে জাস্টিসকে আস্তিক হতে হবে। তবে পরিস্হিতির হয়তঃ পরিবর্তন হবে।

আর ইহুদিদের কাছাকাছি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমরা কখনও হয়ত আসতে পারবে না। আর ধর্মীয়ভাবে এভাবে শ্রেনীবিভাজন ভাল লাগে না। দুজন ইহুদি খুব ভাল বন্ধু হয়েছে। আমার বর্তমান বস একজন রাশিয়ান ইহুদি। ব্যক্টিগতভাবে ভারতীয় বা চাইনিজদের তুলনায় ইহুদিদের সাথে ব্যক্টিগত অভিগ্গতা ভাল। তবে এটাও ঠিক তারা অনেক সুবিধা পায় সর্বক্ষেত্রে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.