নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বহুদিন আগে কোন এক বারান্দায় শেষ বিকেলের আলোয় আলোকিত উড়ন্ত খোলা চুলের এক তীক্ষ্ণ হৃদয়হরনকারী দৃষ্টি সম্পন্ন তরুনীকে দেখে ভেবেছিলাম, আমি যাদুকর হব। মানুষ বশীকরণের যাদু শিখে, তাকে বশ করে নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিব সারাটি জীবন।

কাল্পনিক_ভালোবাসা

একদিন সব হাসির ময়নাতদন্ত হবে, ফরেনসিক রিপোর্টে লেখা থাকবে - সবই মিথ্যে।

কাল্পনিক_ভালোবাসা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জরুরী সাহায্য পোষ্টঃ সাভার ট্রাজেডীর আহত শ্রমিকদের কিভাবে সাহায্য করা যেতে পারে? সবার মতামত আশা করছি।

০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২

আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন, সাভারে কি পরিমান হতাহত হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, প্রায় ২৫০০ মানুষকে। মৃতদের কথা বাদই দিলাম, কারন মৃতরা সকল হিসাবের উর্দ্ধে। আমাদের এখন চিন্তা করতে হবে যারা বেঁচে আছেন তাদের চিকিৎসা বা পূর্নবাসনের ব্যাপারে।



ইতিমধ্যেই অনেকে সাহায্য করছেন, কেউ বা সাহায্য করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। খুবই ভালো একটি উদ্যোগ। নিজেদের মানবিকতা প্রকাশের এটাই শ্রেষ্ঠ সময়। তবে এই উদ্যোগগুলো যদি সম্মিলিত আকারে করা যায় তাহলে সেটার প্রয়োগটা অনেক ভালো হয় এবং আমরা সকলেই সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।



মাঠ পর্যায়ে গিয়ে আহত শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গিয়েছে, অল্প কিছু বাদ দিয়ে অধিকাংশই প্রাথমিক সরকারী বা বেসরকারী সাহায্য পেয়েছেন। অন্তত এই ক্ষেত্রে কোন আমলাতান্ত্রিক জটিলতা সৃষ্টি হয় নি। তবে মুল যে ক্ষতিপূরনের ব্যাপার আছে, সেটা অবশ্যই আমলা তান্ত্রিক জটিলতায় আবদ্ধ।



এই মানবিক সাহায্য কার্যক্রমকে সফল করা লক্ষ্যে আহত শ্রমিকদের একটা তালিকা আমরা মাঠ পর্যায়ে ঘুরে এবং অন্যান্য যে সকল সংগঠন কাজ করছে তাদের সাহায্যের ভিত্তিতে প্রস্তুত করেছি। প্রাথমিক ভাবে এই তালিকায় আছে প্রায় ১০৮ জনের নাম। এদের মধ্যে প্রায় ২৫ জন অতি অতি ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে প্রাথমিক ভাবে চিহ্নিত হয়েছেন। এখানে উল্লেখ্যেও যে, এমন অনেক শ্রমিক আছেন যাদের হয়ত কোন অংগহানি হয়েছে, কিন্তু তাদের পারিবারিক অবস্থা খুব একটা খারাপ নয়। তারা ইতিমধ্যে সরকারী সাহায্য পেয়েছেন, বেসরকারী সাহায্যও পেয়েছেন। পরিবারে অন্য উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আছেন। যেহেতু আমাদের বাজেটের একটা ব্যাপার আছে, তাই এই ক্ষেত্রে আমরা তাদেরকে অতি ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে বিবেচনা করছি না।



অনেক আহত শ্রমিক আছেন, যাদের হয়ত কোমড়ের হাড় ভেঙে গিয়েছে, এবং তাদের পক্ষে অন্তত আগামী ২ থেকে ৩ বছর কোন প্রকার কাজ করা সম্ভব নয় এবং তারাই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। এই ক্ষেত্রে আমরা অতি ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে এদেরকেই বিবেচনা করেছি।



বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে গিয়ে আহত শ্রমিক এবং ডাক্তাদের সাথে কথা বলে জেনেছি, যারা সাহায্য করতে যাচ্ছেন, তারা মূলত যাদের অংগহানী হয়েছে, বা শরীরে বড় কোন ব্যান্ডেজ দেখতে পাচ্ছেন, তাদেরকেই তারা সাহায্য করছেন। এতে অনেক সময় অন্য যারা ক্ষতিগ্রস্ত আছেন তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। সুতরাং এদের প্রতি নজরা দেয়াটা আমাদের কর্তব্য।



এখন পর্যন্ত যারা নিখোঁজ আছেন তাদের একটি তালিকা করার কাজ আমরা হাতে নিয়েছিলাম, কিন্তু বিষয়টি অনেক সময় সাপেক্ষ এবং অনেক কিছু যাচাই বাছাই এর ব্যাপার আছে। আমরা ইতিমধ্যে দেখেছি অনেক ফলস কেস ধরা পড়েছে, যারা মিথ্যে স্বজন হারার অভিযোগ করছেন। আমাদের যে সীমিত বাজেট তাতে আমাদের কাছে মনে হয়েছে, এই মূহুর্তে এই সব নিখোঁজ বা মৃত মানুষের তালিকা প্রস্তুত করাটা শুধু শুধু সময় ক্ষেপন হবে। তাই সেই তালিকা প্রস্তুত করার কাজ আপাতত আমরা বাদ দিয়েছি। আমি একটি এনজিওকে চিনি যারা নিখোঁজ শ্রমিকদের একটি তালিকা প্রস্তুত করছেন, যদি সব ঠিক থাকে তাহলে আগামী ৫ তারিখ সেই লিস্টটি আমার হাতে এসে পৌছাবে।



যারা মারা গিয়েছেন, তাদের মধ্যে আমরা বেশ কিছু পরিবারকে চিহ্নিত করেছি, যাদের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটি নিহত হয়েছেন। আমরা যখন আমাদের মোট প্রাপ্ত অর্থের পরিমান নির্ধারন করতে পারব, তখন তার উপর ভিত্তি করে এই ধরনের কয়টি মৃতদের পরিবারকে আমরা সাহায্য করব সেটা নির্ধারন করা যাবে।



যে বিষয়ে সকলের মতামত চাইছিঃ



১) গড়ে ২০০০/৩০০০/৫০০০ টাকা দিয়ে নগদ চিকিৎসা সাহায্য প্রদান।

২) আমরা কি পূর্নবাসন সংক্রান্ত কোন পরিকল্পনায় যাব?

৩) যদি পূর্নবাসন সংক্রান্ত কোন পরিকল্পনায় যাই, তাহলে পুর্নবাসনের প্রক্রিয়াটা কি হতে পারে?

৪) পূর্নবাসনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বিবেচনায় কোন বিষয়টি নেয়া দরকার?



আমাদের প্রস্তাবসমূহঃ

ক) আমরা কি আহত এমন ১০ ব্যাক্তির সারাজীবনের দায়িত্ব নেব যারা আর কোনদিন কাজ করতে পারবেন না?



খ) নাকি সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকজন আহত শ্রমিককে আমরা কোন নির্দিষ্ট আয়ের ব্যবস্থা করে দিব। যেমন, একটা দোকান করে দেয়া, বা সেলাই মেশিন কিনে দেয়া অথবা কিছু পশুপালন সংক্রান্ত কোন সাহায্য। এতে করে তারা নতুন করে স্বর্নিভর ভাবে বাঁচতে পারবেন।



এখানে উল্লেখ্য আরেকটি বিষয়, যারা সাভার দূর্ঘটনায় অঙ্গহানির শিকার হয়েছেন, বা যে কোন প্রকার পঙ্গুত্বের শিকার হয়েছেন, তাদের জন্য সাভারের সিআরপি বিনামুল্যে বিভিন্ন প্রকার সাহায্য করছে এমনকি যাদের অঙ্গহানি হয়েছে তাদের প্রত্যেকেই বিনামূল্যে কৃত্তিম হাতপা সংযোজন এবং প্রয়োজনে পূর্নবাসনের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, সেখান নগদ আর্থিক সাহায্যের করারও ব্যবস্থা আছে। কেউ চাইলে সেখানেও টাকা দিতে পারেন।



বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে এই সব আহত শ্রমিকদের চিকিৎসার নামে একধরনের অপব্যবসা চলছে। এই সব হাসপাতালগুলোতে কিছুদিন চিকিৎসা করিয়ে ঘুরে ফিরে সেই সিআরপিতেই ঐ আহত শ্রমিকদেরকে পাঠানো হচ্ছে বা হবে বলে দেখা গিয়েছে। সেই ক্ষেত্রে যারা নিজ উদ্যোগে কাজ কাজ করছেন, তারা চাইলে তাদের জানামতে এই ধরনের আহত বা পঙ্গুত্ববরনকারী শ্রমিকদেরকে সিআরপিতে যোগাযোগ করিয়ে দিতে পারেন। তবে যেহেতু এখনও অনেক জায়গায় সরকারী বা প্রশাসন থেকে সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে, তাই বুঝে শুনে এবং সঠিক খোঁজ খবর নিয়ে আহত ব্যক্তিদেরকে সিআরপিতে ট্রান্সফার করতে হবে।





এই প্রস্তাবগুলোকে আপনারা উদহারন হিসেবে নিতে পারেন। মনে রাখবেন আমরা যাই করি না কেন, আমাদের সেটা দ্রুতই করা উচিত। তাই এই বিষয়ে আপনাদের সকলের মতামত চাচ্ছি। যদি নতুন কোন প্রস্তাব থাকে তাহলে সেটা আপনারা আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। আমরা চাচ্ছি আগামী ৯ তারিখ থেকে এই সাহায্য কার্যক্রম বাস্তবায়িত করতে।



এখন আপনাদের মতামত দিন। সবার মতামতের ভিত্তিতে যা সবার বেশি সমর্থন পাবে, আমরা অতিদ্রুত সেটা বাস্তবায়ন করতে চাই। যত দ্রুত করা যাবে, সেটা আমাদের সকলের জন্যই ভালো।

মন্তব্য ৬৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৬৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪

s r jony বলেছেন: কিছু সময়ের জন্যে হলেও এই পোস্ট স্টিকি করা গেলে ভাল হয়।
স্টিকি করা হোক


লাঞ্চ করে এসে মতামত দিব

০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার মতামত জানিয়ে দিয়েন।

২| ০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯

জনৈক গণ্ডমূর্খ বলেছেন: পোস্ট পর্যবেক্ষণে রাখলাম!!!

s r jony বলেছেন: কিছু সময়ের জন্যে হলেও এই পোস্ট স্টিকি করা গেলে ভাল হয়।
স্টিকি করা হোক

০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ দেশি ভাই। আমাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

৩| ০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২

শিপু ভাই বলেছেন:
খ) নাকি সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকজন আহত শ্রমিককে আমরা কোন নির্দিষ্ট আয়ের ব্যবস্থা করে দিব। যেমন, একটা দোকান করে দেয়া, বা সেলাই মেশিন কিনে দেয়া অথবা কিছু পশুপালন সংক্রান্ত কোন সাহায্য। এতে করে তারা নতুন করে স্বর্নিভর ভাবে বাঁচতে পারবেন।


এটাতে সহমত!!!

০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ শিপু ভাই। আমার ধারনা এটাই বেশি ভালো। এখন দেখা যাক ভিন্ন কোন মত আসে কিনা।

৪| ০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭

একজন আরমান বলেছেন:
ভাইয়া আমার মনে হয় নগদ চিকিৎসার জন্য সাহায্য কম বেশি সবাই পেয়েছে। প্রয়োজনে অপ্রতুল হলেও যথেষ্ট। এখন যেটা করা যেতে পারে সেটা হল পুনর্বাসন। ২/৩ হাজার টাকা করে দিলে সেই টাকা কদিনেই শেষ হয়ে যাবে। তার থেকে যদি আমরা একজনকেও পুনর্বাসনের ব্যাবস্থা করতে পারি সেটাই অনেক। প্রস্তাব (খ)। ১০০ জনকে ২/১ হাজার করে টাকা না দিয়ে অন্তত ১০ জনকে এমনভাবে পুনর্বাসন করে দেওয়া উচিৎ যাতে তার আর ভবিষ্যতে অন্য কারো কাছে হাত পাততে না হয়। আর শুরুটা অবশ্যই পঙ্গুদের দিয়ে হওয়া উচিৎ।

ধন্যবাদ।

০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আরমান। :)
ভালো বলেছ।

৫| ০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

কিছু সময়ের জন্যে হলেও এই পোস্ট স্টিকি করা গেলে ভাল হয়।
স্টিকি করা হোক

০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারী ভাই।

৬| ০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩

খালেদা আকতার বলেছেন: (ঢাকা মোডিকেল এ সাভার এর বেশ কিছু রোগিদের সাথে কথা বলে আসলাম। রোগিদের অবস্থা নতুন করে বলার মত কিছু নেই, কিন্ত আমার কােছ মনে হল যে রোগীদের সাথে আপনজন যারা আছে তাদের জন্য ও কিছু খাবার সরবরাহ করা দরকার অথবা টাকা পয়সা )

অামার কাছে মনে হয় সকলকে গড়ে কিছু টাকা দিয়ে দেওয়া ভাল হবে, ওদের সকলের নগদ টাকা দরকার বলে মনে হল

০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ঠিক আছে। ধন্যবাদ।

৭| ০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩

s r jony বলেছেন: খ) নাকি সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকজন আহত শ্রমিককে আমরা কোন নির্দিষ্ট আয়ের ব্যবস্থা করে দিব। যেমন, একটা দোকান করে দেয়া, বা সেলাই মেশিন কিনে দেয়া অথবা কিছু পশুপালন সংক্রান্ত কোন সাহায্য। এতে করে তারা নতুন করে স্বর্নিভর ভাবে বাঁচতে পারবেন।

এটাই মনে হয় ভাল হয়। আমার ব্যাক্তিগত অভিমত।

০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

৮| ০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩

বাংলার হাসান বলেছেন: ++++++++

০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এখানে প্লাস মানে ধরে নিব অর্থহীন কমেন্ট ;)

মতামত থাকলে দেন। নইলে কন, সবাই যেটা কয় সেটা করেন, খালি প্লাস দিয়া দায় এড়াইলে চলব না। সব খানে খালি পিছলামী মিয়া। :P :P

৯| ০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: s r jony বলেছেন: খ) নাকি সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকজন আহত শ্রমিককে আমরা কোন নির্দিষ্ট আয়ের ব্যবস্থা করে দিব। যেমন, একটা দোকান করে দেয়া, বা সেলাই মেশিন কিনে দেয়া অথবা কিছু পশুপালন সংক্রান্ত কোন সাহায্য। এতে করে তারা নতুন করে স্বর্নিভর ভাবে বাঁচতে পারবেন।

এটাই মনে হয় ভাল হয়। আমার ব্যাক্তিগত অভিমত।

০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:২০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

১০| ০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭

শীলা শিপা বলেছেন: কয়েকজনকে নির্দিষ্ট আয়ের ব্যবস্থা করে দিতে পারলে সেটা ভাল হবে বলে আমার মনে হয়।

০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:২১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার। যাক সবার চিন্তা ভাবনা তাহলে মোটামুটি এক দিকেই যাচ্ছে।

১১| ০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: পুনর্বাসন করার প্রচেষ্টা নেয়া উচিৎ।তাদের ভালভাবে বেচে থাকতে সহায়তা করা উচিৎ।

০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:২২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম ভাই। মতামত জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ রইল।

১২| ০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:২১

বাংলার হাসান বলেছেন: হা হা হা, জানতাম আপনি এমন কিছুই বলেবেন। এখানে প্লাস মানে ধরে নিব অর্থহীন কমেন্ট একমত নয়। দেখুন এই বিষয়ে আমরা যারা মাঠে কাজ করছি, এবং যেই সকল মহৎ মানুষরা সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে সকলকে নিয়ে আলোচনা করে কর্ম ঠিক করার জন্যই এই পোষ্ট। তাহলে অবশ্যই এটি একটি প্লাস পাবার মত পোষ্ট। আর মতামত অবশ্যই দিব। কিন্তু তার আগে এই সচ্ছ ভাবে কাজটা সম্পূর্ন করার জন্য যে পোষ্ট দিলেন তা কি প্লাস পাবার কথা নয়?

০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা ওকে বাংলা ভাই। আপনি স্বচ্ছতার হেফাজত কারী প্লাসাকাংখী।
(ইহা একটি নতুন ট্যাগ ;))

১৩| ০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:২১

এম ই জাভেদ বলেছেন: অল্প কয়েক জনকে হলেও আমি স্থায়ী পুনর্বাসনের পক্ষে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে দুঃস্থ পরিবারকে সাহায্য করা অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত বলে মনে করি। পুনর্বাসনের মাধ্যম নির্ধারণে আহত ব্যক্তির বা নিহতের পরিবারের পেশা পছন্দের সুযোগ দেওয়ার পক্ষে আমি। মানে ২/৩ টা অপশন রাখা যেতে পারে। আমি এটা বলার কারন হচ্ছে কাউকে হয়ত ধরুন সেলাই মেশিন কিনে দেওয়া হল, কিন্তু এ ব্যাপারে তার কোন আগ্রহ নেই তাহলে আমাদের উদ্দেশ্য সফল হবে না। পরে হয়ত তিনি সেটা বিক্রি করে দেবেন। তাই ফলো আপ ও জরুরি ।

০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ঠিক বলেছেন, আমরা ঠিক এমনটাই করেছি। আমরা জনে জনে গিয়ে জিজ্ঞেস করেছি, বিশেষ করে যাদেরকে আমরা মনে করি পূর্নবাসন করা উচিত, তারা অনেকেই গ্রামে ফিরে যেতে চেয়েছেন। আবার অনেকেই শহরেই থাকতে চেয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ চেয়েছেন, পশু পালন করতে আর কেউ চেয়েছেন একটা ছোট দোকান দিতে। আপনাদের মতামত গুলো পেয়ে আসলে অনেক ভালো লাগছে।

যে কাজে হাত দিয়েছি, সেটা নিঃসন্দেহে একটি কঠিন কাজ। আপনাদের সকলের সহযোগিতা ছাড়া এটা কোন ভাবেই শেষ করা সম্ভব না। অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকজন আহত শ্রমিককে আমরা কোন নির্দিষ্ট স্থায়ী আয়ের ব্যবস্থা করে দিতে পারলে সবচাইতে ভালো হয়।




পোস্টটি স্টিকি করা হোক ।


সকলের মতামত খুব জরুরি। আশা করি সকলে এগিয়ে আসবেন।

০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। সবার মতামত পেলে কাজে সুবিধা হবে।

১৫| ০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯

বাংলার হাসান বলেছেন: এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে দুঃস্থ পরিবার গুলোর মাঝে যে কয়টা পরিবারকে সম্ভব একটি স্থায়ী আয়ের ব্যবস্থা করে দেয়াটা উত্তম বলে মনে করি।

০৭ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান ভাই।

১৬| ০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:২২

জনৈক গণ্ডমূর্খ বলেছেন: আমি প্রথমে 'ক' এবং 'খ' এর ব্যাপারে কিছু বলি,

ক) আমরা কি আহত এমন ১০ ব্যাক্তির সারাজীবনের দায়িত্ব নেব যারা আর কোনদিন কাজ করতে পারবেন না?

খ) নাকি সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকজন আহত শ্রমিককে আমরা কোন নির্দিষ্ট আয়ের ব্যবস্থা করে দিব। যেমন, একটা দোকান করে দেয়া, বা সেলাই মেশিন কিনে দেয়া অথবা কিছু পশুপালন সংক্রান্ত কোন সাহায্য। এতে করে তারা নতুন করে স্বর্নিভর ভাবে বাঁচতে পারবেন।


'ক' ব্যাপারটা নিঃসন্দেহে ভালো। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী, সময় সাপেক্ষ, এবং যথেষ্টই জটিল। অর্থাৎ যেভাবেই আপনি সাহায্য করেন না কেন আমার কাছে মনে হয় এককালীন কিছু একটার বাইরে তেমন কিছু করা সম্ভব না। কারন লোকবলের বাইরে সময় সময় তদারকির ব্যাপারও আছে।
এ ক্ষেত্রে আমি বলব উনাদের পুনর্বাসনের জন্য সর্বোচ্চ এফ্রোটটা যেন একবারেই করা হয়।


'খ' এর ব্যাপারে অলরেডি শিপু ভাই, জনি ভাই সহ কয়েকজনের সমর্থন আছে। আমারও পূর্ণ সমর্থন এখানেই থাকবে।


তারপরও আমি জানার উদ্দেশ্যে আরও দুয়েকটা পয়েন্ট উল্লেখ করছি,

১) ফান্ড কতটুকু কালেক্ট হয়েছে এ ব্যাপারে আমার কোন ধারনাই নেই। আবার পোস্টে 'ক' এবং 'খ' নিয়ে আলাদা আলাদা সাহায্যের বিষয়টিও পরিষ্কার উল্লেখ নাই। মানে 'ক' করা গেলে 'খ' করা যাবে কিনা? কিংবা শুধুই 'ক' করা হবে অথবা 'খ' করা হবে??

২) এজন্য আমি বলব সাহায্যটা একবারেই করা হোক এবং এককালীন এবং অবশ্যই সবাইকে। সেক্ষেত্রে আহতদের পারিবারিক সচ্ছলতা, পরিবারের অন্যান্য উপার্জনক্ষম ব্যক্তি, আহতের মাত্রা, অঙ্গহানি সব তথ্য নিয়ে যেন সাহায্য করা হয়। সাহায্যের মাত্রাটা শ্রেণিভেদে একেকজনের জন্য একেক রকম হোক।

৩) সবচাইতে মুল্যবান বিষয় আমার কাছে যেটা মনে হয়, আহতদের পারিবারিক তথ্য যেন সতর্কতার সাথে নেয়া হয়। অতীতেও আমরা এজাতীয় সমস্যাগুলো দেখেছি। যাতে এক জনের সাহায্য অন্য কেউ নিয়ে যেতে না পারে।

০৭ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার প্রস্তাব দেশী ভাই। আপনি জেনে খুশি হবে, এই সংক্রান্ত সকল তালিকার কাজ যথাসম্ভব সরেজমিনে খোঁজ খবর নিয়ে আমরা প্রস্তুত করেছি।

আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন, ফান্ডের উপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে, আমরা ঠিক কতজনকে সাহায্য করতে পারব। এই বিষয়ে সঠিক তথ্য আপনি, পলাশ ভাই এর কাছে পাবেন।

এখন পর্যন্ত যে সাহায্য কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে তার অধিকাংশ হয়েছে আমার ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে। মূল ফান্ড থেকে অল্প পরিমান টাকাই আমরা আহত ব্যক্তিদের জন্য এখন পর্যন্ত খরচ করেছি। এই ক্ষেত্রে খরচের খাতগুলো ছিল, সাভারে দূর্ঘনটা স্থলে কিছু যন্ত্রাংশ যেমন, কাটিং ব্লেড, খাবার পানি, অল্প কিছু ঔষুধ, নাইট গ্লাস, মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস এবং সর্বশেষ দুইজনকে নগদ অর্থ সাহায্য করা যা ইতিমধ্যেই আপনারা দেখেছেন।

আমি ব্যক্তিগত ভাবে সবারই অংশগ্রহন চাই। এতে কাজের চাপ যেমন কমে, তেমনি সবারও অংশগ্রহন নিশ্চিত হয়। আমরা আশা করব, স্থান ভেদে আমাদের স্থানীয় ব্লগাররা এই সকল পূর্নবাসনকৃত বা যাদেরকে আমরা সাহায্য করব তাদেরকে একটা মনিটরিং এর মধ্যে রাখবেন।

আবারো ধন্যবাদ আপনাকে আলোচনায় অংশগ্রহন করার জন্য।

১৭| ০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯

রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: সাভারে আহতদের মধ্যে যারা দিনাজপুর অঞ্চলের তাদের একটি লিস্ট চাচ্ছি (আজ আমিনুর রহমান ভাইয়ার দেওয়ার কথা)। আমরা চেষ্টা করব তাদের অন্তত একটি পরিবারকে স্বাবলম্বী করার। যদি আমাদের ফান্ড বেশি হয় তবে একাধিক পরিবারের স্বাবলম্বনের ব্যাবস্থা করবো।

আমাদের প্রচেষ্টার পরেও যাদের জন্য কিছু করা সম্ভব হবে না তাদের তালিকা আবার আপনাদের পাঠাবো। যদি সম্ভব হয় তবে সারাদেশ থেকে সংগৃহীত ফান্ডের থেকে এই মানুষগুলোর জন্য কিছু করতে হবে। তবে পারিবারিক স্বাবলম্বনের ব্যাপারটা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।

সবাই যদি নিজ নিজ এলাকার দায়িত্ব নেন তবে অনেক মুমূর্ষু পরিবার হয়তো বেঁচে যাবে।

০৭ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুবই চমৎকার একটি প্রস্তাব। আমরা বেশ কিছু আহত মানুষকে পেয়েছি যারা উত্তরবংগের বাসিন্দা। বিশেষ করে দিনাজপুরের বেশ কয়েকজনকে দেখেছি। এর মধ্যে অতি ক্ষতি গ্রস্ত ও অল্প ক্ষতিগ্রস্ত উভয়ই আছে। আশা করি আমিনুর ভাই আপনাকে লিস্টটি দিয়ে দিবেন।

এক সাথে কাজ করা ছাড়া কোন বিকল্প নাই। আপনাদের এই ভাবে এগিয়ে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।

১৮| ০৭ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৬

রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: ১) গড়ে ২০০০/৩০০০/৫০০০ টাকা দিয়ে নগদ চিকিৎসা সাহায্য প্রদান।
- এটা মনেহয় না প্রয়োজন।

২) আমরা কি পূর্নবাসন সংক্রান্ত কোন পরিকল্পনায় যাব?
- প্রয়োজন যদি নিয়ে যায়, তবে।

৩) যদি পূর্নবাসন সংক্রান্ত কোন পরিকল্পনায় যাই, তাহলে পুর্নবাসনের প্রক্রিয়াটা কি হতে পারে?
- আহতের পরিবারকে একটি পর্যাপ্ত স্থায়ী আয়ের ব্যাবস্থা করে দেওয়া।

৪) পূর্নবাসনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বিবেচনায় কোন বিষয়টি নেয়া দরকার?
- আহতের পারিবারিক অবস্থা।

অঞ্চল ভিত্তিক প্রতিনিধির উপর দায়িত্ব দেওয়া হোক আহতদের পারিবারিক ডাটা সংগ্রহের জন্য। এই ডাটা থেকে সব থেকে বিধ্বস্ত পরিবার গুলকে বেঁছে নিয়ে তাদের কন্টিনিউয়াস ইকোনোমিক সাপোর্টের একটা স্থায়ী ব্যাবস্থা করে দেওয়া হোক।

সারা জীবনের দায়িত্ব নিতে গেলে অনেক সমস্যা সামলাতে হবে। তাই "খ"-ই বেশি কার্যকর।

০৭ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এবং সুন্দর বিশ্লেষন।

অঞ্চল ভিত্তিক প্রতিনিধির উপর দায়িত্ব দেওয়া হোক আহতদের পারিবারিক ডাটা সংগ্রহের জন্য। এই ডাটা থেকে সব থেকে বিধ্বস্ত পরিবার গুলকে বেঁছে নিয়ে তাদের কন্টিনিউয়াস ইকোনোমিক সাপোর্টের একটা স্থায়ী ব্যাবস্থা করে দেওয়া হোক।

এটা অবশ্যই বিবেচনা একটা বিষয়। এই বিষয়ে যথা সম্ভব চেষ্টা করা হচ্ছে।

১৯| ০৭ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

মুহিব বলেছেন: প্ল্যানগুলো খুবই পজিটিভ্ আমার চেয়ে আপনি নিজেই ভাল উপায় খুজে পাবেন বলে আশা করি। আমার শুভকামনা থাকল। কি করছেন জানতে পারলে সাধ্যমত সাথে থাকার ইচ্ছা আছে।

০৭ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মুহিব ভাই। আমরা যারা কাজ করছি, তারা মুলত আপনাদের সকলেরই প্রতিনিধিত্ব করছি। সুতরাং আমরা চেয়েছি, সবাই জানুক বা তাদের মতামত শেয়ার করুক। এটা নিঃসন্দেহে কঠিন একটা কাজ। সকলের সাহায্য ছাড়া সম্ভব হবে না।

২০| ০৭ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
আপনার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
এই দূর্ঘটনা/হত্যাকান্ড পরবর্তী আপনাদের কার্যক্রম কে স্যালুট।

০৭ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দূর্জয় ভাই, এই ভাবে বললে আসলে লজ্জা লাগে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, আসলে আমরা যারা কাজ করছি, তারা তারা মুলত আপনাদের সকলেরই প্রতিনিধিত্ব করছি। সুতরাং আমরা যখন সবাই একটা টিমে তখন আর নিজেদেরকে কেন এই ধন্যবাদ দেয়া?

আপনাকেও ধন্যবাদ। আপনার কোন মত থাকলে আপনি অবশ্যই জানাতে পারেন। যদি আপনি সরাসরি সাহায্য কার্যক্রমে থাকতে চান অবশ্যই যোগাযোগ করবেন। আমরা সবাই এক সাথে থাকব।

আপনাকেও ধন্যবাদ। :)

২১| ০৭ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: যে বিষয়ে সকলের মতামত চাইছিঃ

১) গড়ে ২০০০/৩০০০/৫০০০ টাকা দিয়ে নগদ চিকিৎসা সাহায্য প্রদান।

নগদ চিকিৎসা সাহায্য আসলে যত দেয়া হবে ততই কম হবে। তাই এর চেয়ে পুর্ণবাসন সংক্রান্ত বিষটাই গুরুত্বপূর্ণ।


২) আমরা কি পূর্নবাসন সংক্রান্ত কোন পরিকল্পনায় যাব?

অবশ্যই। মিনিমাম সহায্য তো করতেই হবে!!


৩) যদি পূর্নবাসন সংক্রান্ত কোন পরিকল্পনায় যাই, তাহলে পুর্নবাসনের প্রক্রিয়াটা কি হতে পারে?

আপনাদের দুইনং প্রস্তাবই বেটার মনে হচ্ছে!


৪) পূর্নবাসনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বিবেচনায় কোন বিষয়টি নেয়া দরকার?

অবশ্যই শারিরিক ক্ষতির পরিমান এবং পারিবিারিক অবস্থা।

আমাদের প্রস্তাবসমূহঃ
ক) আমরা কি আহত এমন ১০ ব্যাক্তির সারাজীবনের দায়িত্ব নেব যারা আর কোনদিন কাজ করতে পারবেন না?

অনেকের দুইহাতই অথবা দুইপা কেটে গেছে। এই বিষয়টাতে মতামত দিতে পারলাম না। বিজ্ঞদের মতামতের অপেক্ষায় রইলাম।

খ) নাকি সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকজন আহত শ্রমিককে আমরা কোন নির্দিষ্ট আয়ের ব্যবস্থা করে দিব। যেমন, একটা দোকান করে দেয়া, বা সেলাই মেশিন কিনে দেয়া অথবা কিছু পশুপালন সংক্রান্ত কোন সাহায্য। এতে করে তারা নতুন করে স্বর্নিভর ভাবে বাঁচতে পারবেন


এক্সিলেন্ট আইডিয়া!!! এই প্রস্তাবটিই সবচাইতে গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে।

০৭ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আলোচনায় অংশগ্রহন করার জন্য। এখন বেশ সাহস পাচ্ছি মনে। মনে হচ্ছে নাহ, তাদের জন্য আমরা ভালো কিছুই করতে পারব। :)

২২| ০৭ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: আর আপনোদের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।

০৭ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ :)

২৩| ০৭ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
আমি ব্যক্তিগতভাবে আসলে আপনাদের কার্যক্রমে জড়াতে পারিনি।
তবে অন্য কয়েকটা ফান্ডে টুকটাক সহায়তা এবং তহবিল সংগ্রহে সময় দিতে পেরেছি।
মাত্র কয় মিনিট আগে আমার স্থানীয় সংগঠন যেটি টর্ণেডো পরবর্তী সহায়তার একটা অতিরিক্ত অংশ এখানে কাজে লাগাতে চায় বলে মতামত জানতে চেয়েছে। এটা হলে, হয়তো নিজে সরাসরি সম্পৃক্ত হবার সুযোগ আসবে।।

০৭ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার। খুবই ভালো প্রস্তাব এবং উদ্যোগ। দেখা যাক কি হয়।
তবে আপনি এমনিতেই যোগ দিতে পারেন, অন্য কোন কারনেই দরকার নেই ভাই। :) :)

২৪| ০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৩৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: জাদিদ ভাই, আপনাকে ধন্যবাদ। অবশেষে পোষ্ট টি দেবার জন্য। আমি আমার ষ্টিকি পোষ্টে যোগ করে দিচ্ছি একদম উপরে। কিন্তু সামু বাগের কারনে গতকাল থেকে সর্বশেষ জরুরি আপডেট উপরে দেখাচ্ছে না।

০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:২৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ওহ তাই নাকি? দেখেন কি হয়। সামুর কারনেই তো পোষ্টটা দেরিতে দিলাম। না হলে সেদিন রাতেই দিয়ে দিতাম ভাই। তবে আমরা আগামী ২ দিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলব কি করব। তারপর ইনশাল্লাহ সেটা দ্রুত গতিতে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলব।

আপনিও এই পোষ্টে চোখ রাইখেন। যদি কারো কোন জিজ্ঞাসা থাকে তাহলে সেটা কষ্ট করে দিয়েন। ধন্যবাদ পলাশ ভাই।

২৫| ০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:২১

মামুন রশিদ বলেছেন: ২) পূনর্বাসন প্রক্রিয়ায় যাওয়া উচিত ।

৩) পূনর্বাসন প্রক্রিয়া দুইটি ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে ।

ক- যাদের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা দরকার
খ- যারা শারীরিক ভাবে অক্ষম হওয়ায় কোন কাজ করে জীবিকা নির্বাহের উপায় নেই ।

৪) পূনর্বাসনের ক্ষেত্রে সেই সব মানুষকে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত যারা ছিলো পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল ।

০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৩৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই। :)

২৬| ০৮ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৪৫

আমিভূত বলেছেন: ১) গড়ে ২০০০/৩০০০/৫০০০ টাকা দিয়ে নগদ চিকিৎসা সাহায্য প্রদান।
--->অবশ্যই নয় , এই টাকা দুদিনের মাঝেই শেষ হয়ে যাবে , দান খয়রাতে কারো দূরভাগ্যের চাকা ঘুরে না , আমি রোজ সকালেই ভিক্ষুক দেখি অনেকেই ৫/১০ টাকা দেয় কিন্তু আমি দেই না খুব কম দেই যেদিন খুব খারাপ লাগে ,আমার চেষ্টা থাকে প্রতি মাসে অন্তত কাউকে ৫০০ টাকা একসাথে দেয়ার যাতে তার কাজে লাগে।
যাতে সেই টাকা দিয়ে আরও টাকার বন্দোবস্ত করতে পারে । চিকিৎসার জন্য সরকার থেকে শুরু করে সকল হাসপাতাল দায়িত্ত নিয়েছে নিচ্ছে ।এই ব্যাপারে আমাদের আর না আগানোই উত্তম ।

২) আমরা কি পূর্নবাসন সংক্রান্ত কোন পরিকল্পনায় যাব?

--->অবশ্যই । যারা বেঁচে আছে ,অথবা যাদের কর্মক্ষম মানুষটি মারা গিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে এটাই আমাদের করনীয় ।
৩) যদি পূর্নবাসন সংক্রান্ত কোন পরিকল্পনায় যাই, তাহলে পুর্নবাসনের প্রক্রিয়াটা কি হতে পারে?
ক) আমরা কি আহত এমন ১০ ব্যাক্তির সারাজীবনের দায়িত্ব নেব যারা আর কোনদিন কাজ করতে পারবেন না?
--->এটা শুরু করলেও শেষ সম্ভব হবে কিনা জানি না আমি মনে করি এক্ষেত্রে কিছু শুরু করে মাঝ পথে বাদ দেয়ার চাইতে শুরু না করাই উত্তম।

খ) নাকি সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকজন আহত শ্রমিককে আমরা কোন নির্দিষ্ট আয়ের ব্যবস্থা করে দিব। যেমন,
একটা দোকান করে দেয়া, বা সেলাই মেশিন কিনে দেয়া অথবা কিছু পশুপালন সংক্রান্ত কোন সাহায্য। এতে করে তারা
নতুন করে স্বর্নিভর ভাবে বাঁচতে পারবেন।

--->অবশ্যই । কেন একজন অন্য একজনের উপর সারাজীবন নির্ভর করবে ? আমরা চাই সবাই স্বনির্ভর হোক ।
৪) পূর্নবাসনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বিবেচনায় কোন বিষয়টি নেয়া দরকার।
--->অবশ্যই অতি দরিদ্র এবং যারা আগ্রহী ,এই পূর্নবাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকতে চায়।অনেকেই হয়ত আবারও গার্মেন্টসে চাকুরি চাইবে ,অনেকেই নিজের মত করে কাজ করতে চাইবে তাদের আমরা আমাদের পূর্নবাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আনব না । কেননা আমাদের দেয়া লগ্নি সে হয়ত নিল কিন্তু পরে পছন্দ হল না সেটা হস্তান্তর করলো কাউকে অথবা লস করলো তখন আমাদের পূর্নবাসন প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। আমার আম্মু নিজে এক স্কুল ছাত্রের পড়ার দায়িত্ব নিয়েছিলেন এবং স্কুল থেকে ওই ছাত্রের বোনের বিনা খরচে পড়াশুনার ব্যবস্থাকরে দিয়েছিলেন যাতে ওকে বিয়ে না দিয়ে দেয়।কদিন যেতে না যেতেই মেয়েটিকে পরিবার বিয়ে দিয়ে দেয় তখন আম্মুরা অনেক ভাবে চেষ্টা করেছিলেন বিয়ে ঠেকানোর পারে নি । এ ক্ষেত্রে তারা কিন্তু ব্যর্থ হলেন।

আর পোস্টের ব্যপারে বলার কিছুই নেই , ধন্যবাদ এমন উদ্যোগের জন্য । শুভ কামনা ।

০৮ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:২১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুবই ভালো বলেছেন। আমার ব্যক্তিগত চিন্তা অনেকটা এমনই প্রিয় ভূত। যাদেরকে আমরা পূর্নবাসন করতে চেয়েছি, তাদেরকে আমরা জিজ্ঞেস করে নিয়েছি, তারা আসলে কি কিছু করতে চান কি? তারা নিজেদের মুখে যা বলেছেন, আমরা সেটাই তালিকা বদ্ধ করে এনেছি।

২৭| ০৮ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৫৮

আমিনুর রহমান বলেছেন:
উপরের কমেন্টসগুলো চমৎকার কিছু আইডিয়া চলে এসেছে আশা করছি সেগুলো বিবেচনা করে আমরা একটা সিদ্ধান্তে উপনিত হতে পারি।

০৮ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:১৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সেটাই। আশা করি আগামী কাল আমরা সবাই বসে একটা সিদ্দান্ত নিয়ে ফেলতে পারব।

২৮| ০৮ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬

রোমানা খাতুন বলেছেন: পোস্টের ব্যপারে বলার কিছুই নেই , ধন্যবাদ এমন উদ্যোগের জন্য
পোস্ট স্টিকি করা হোক

০৮ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৯| ০৮ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২

আহমেদ সাব্বির পল্লব বলেছেন: আমি আমার অফিসে কথা বলেছি একটা ফান্ড তৈরী করার ব্যাপারে....বেশ কয়েকজন উৎসাহ দেখিয়েছিল......একটা ভাল এ্যামাউন্ট হওয়ার কথা।

বাঙালী বেশিদিন কোনো কিছুতে ধৈর্য রাখতে পারেনা..তাই আমি লংটার্ম কোনো প্ল্যানে রাজি না.... যা করার এখনই.....পুরোপুরি সবটুকু দিয়ে। পরে দেখা যাবে অন্য কোনো ইস্যু নিয়ে সবাই ঝাঁপ দিয়ে পড়ছে....এই ইস্যু বেমালুম গায়েব।

আমি ফান্ড ফাইনাল হলে আবার যোগাযোগ করব......

০৮ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:২০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অবশ্যই। আপনার মতামতটি সাদরে গ্রহন করা হলো। যারা এই বিষয়ে কাজ করছেন, তাদের সামনে আমি আপনার এই মতামতটি তুলে ধরব।

ধন্যবাদ অংস নেয়ার জন্য।

৩০| ০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

গৃহ বন্দিনী বলেছেন: ১) গড়ে ২০০০/৩০০০/৫০০০ টাকা দিয়ে নগদ চিকিৎসা সাহায্য প্রদান।ক) আমরা কি আহত এমন ১০ ব্যাক্তির সারাজীবনের দায়িত্ব নেব যারা আর কোনদিন কাজ করতে পারবেন না?

এই ২টি প্রস্তাব মোটেই গ্রহণযোগ্য না। এই রকম দান খয়রাত আর দীর্ঘপ্রক্রিয়ার কার্যক্রম দ্বারা কোন সফলতা অতীতে আসে নাই , ভবিষ্যতেও আসবে না।

২৬ নং কমেন্টে আমিভূত এর সাথে একমত । পূর্নবাসন প্রক্রিয়া ক্ষেত্রে এমনটাই হওয়া উচিত বলে মনে করি ।

০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ১:৪০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। :)

৩১| ০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ২:০৬

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: যে সকল মানুষ সম্পূর্ণ ভাবে কাজ করার ক্ষমতা হারিয়েছেন তাদের জন্য একটা স্থায়ী আয়ের ব্যাবস্থা করা যেতে পারে। এবং অন্য সব ক্ষতিগ্রস্থদের প্রথমত কর্মক্ষম করে তোলা ও তারপর তাদের জন্য কাজের ব্যাবস্থা করা প্রয়োজন।
পোস্টে উল্লেখিত প্রস্তাবনা গুলোর মধ্যে "খ" নং কে সবথেকে গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়েছে।

০৯ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:৪২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩২| ০৯ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: --------------

১ - খুঁজে বের করেন এমন ফেমিলি যারা তাদের একমাত্র ইনকাম সোর্স হারিয়েছে

- এরকম ২/৩ টা ফ্যামিলি বেছে নিন

- তাদেরকে একটা নির্দিষ্ট আয়ের ব্যবস্থা করে দিন এবং সেসব ফেমেলিতে যদি স্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়ে থাকে তাদের ১/২ বছরের পড়াশুনার খরচ দিন!

২ - যারা পঙ্গু হয়েছে বা দীর্ঘ মেয়াদি চিকিৎসা দরকার এরকম ২/৩ জন খুঁজে বের করেন

- তাদের কারোর হুয়িল চেয়ার লাগলে হুয়িল চেয়ারের ব্যবস্থা করে দিন

- আর যাদের দীর্ঘ মেয়াদি চিকিৎসা দরকার তাদের চিকিতসার দায়ভার নেন

০৯ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এই প্রসংগে বলে রাখি, যারা পঙ্গু হয়েছেন, তাদের সবাইকে বিনামুল্য হুইল চেয়ার দিচ্ছে সিআরপি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.