নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন সব হাসির ময়নাতদন্ত হবে, ফরেনসিক রিপোর্টে লেখা থাকবে - সবই মিথ্যে।
লেখক ও সাহিত্যিক সালমান রুশদির উপর আক্রমনের ঘটনা ঘটেছে। ধারনা করা হচ্ছে উগ্রবাদী 'ধর্মীয়' মনোভাবের কারনে এই আক্রমনের ঘটনা ঘটেছে।
সালমান রুশদি মূলত খ্যাতি অর্জন করেন 'মিডনাইটস চিলড্রেন' নামক বই দিয়ে। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ নামক একটি বই লিখে মুসলিমদের সমালোচনার মুখোমুখি হন এবং দীর্ঘ নয় বছর পালিয়ে থাকতে বাধ্য হন।
যদি আবারও ধর্মের কারনে এই ধরনের আক্রমনের ঘটনা ঘটে, তাহলে সেটা খুবই হতাশাজনক এবং নিন্দার। ধর্মকে অপব্যাখ্যার মাধ্যমে যারা চুড়ান্ত ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে - ধর্ম বিনাসের দায় বহন করতে তাদেরকে।
সামহোয়্যারইন ব্লগ এই হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
২| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:০৮
রানার ব্লগ বলেছেন: লেখক ও কবিদের জাতির বিবেক বলা হয় আর দেখা যায় যে সেই লেখক কবিদের উপরে মৌলবাদীদের যতো রাগ গোস্যা !!!
৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:১৬
সাসুম বলেছেন: যাদের কাছে যুক্তির চেয়ে তলোয়ার বড়, যাদের কাছে শিক্ষার চেয়ে কুতর্ক বড়, যাদের কাছে সভ্য হবার চেয়ে অসভ্যতা বড় - তারাই এই ধরনের কাজ করতে পারে।
সাল্মান রুশদিকে খুন করার জন্য মিলিয়ন ডলার এর পুরষ্কার ঘোষণা করেছিল মুস্লিম জাহানের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ- ইরান ( যদিও আমরা ইরান কে মুস্লিম দেশ ভাবিনা )
যাই হোক- যে আক্রমন চালিয়েছে তার পরিচয় পেয়েছে পুলিশ।
Hadi Matar
New York state police identified his attacker as Hadi Matar, 24, from New Jersey. "The motive behind the attack remain unclear," officials said. A preliminary review of Matar's social media showed him to be sympathetic to "Shia extremism" and the causes of Iran's Islamic Revolutionary Guard (IRGC).
তার মানে দেখা যাচ্ছে ইরানের এই এক্সট্রিমিস্ট মোসলমান দের কোন এক উগ্র সমর্থক রাই খুন করতে চেয়েছে সাল্মান রুশদি কে। সফল হলে পেয়ে যেত - মিলিয়ন ডলার পুরষ্কার
একই ঘরানার ধার্মিক রাই হত্যা করেছিল ব্লগার অভিজিত দের, নীলয় নীল দের সহ আমাদের দেশে হওয়া আরো অনেক খুন।
যাই হোক, এই পোস্টে আশা করি কোন অমানুষ , কোন ধার্মিক, কোন ধর্মান্ধ , কোন মোসলমান এই হত্যা প্রচেষ্টার পক্ষে যদি কিন্তু দিয়ে সাফাই গাইতে আসবেন না। নিজেদের ধর্ম কে হাস্যকর এবং হিংস্র করে তুলে ধরবেন না।
সাল্মান রুশদির উপর হত্যা প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাই এবং এর অপরাধের পক্ষে সমর্থন জানানো সকল জানোয়ার দের আশু মুক্তি কামনা করি।
French writer, wit, and philosopher Voltaire said, “I may not agree with what you have to say, but I will defend to the death your right to say it.”
ভলতেয়ার এর মত আমি বলতে চাই- আপনি যেই হোন না কেন, আপনার মত প্রকাশের জন্য আমৃত্যু লড়াই করাই আমার দায়িত্ব।
৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:২৯
শাহ আজিজ বলেছেন: কজনকে হত্যা করবে শিয়ারা ?
শারলি এবদো আবারো কার্টুন ছাপিয়েছে ।
৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৩৩
আরইউ বলেছেন:
আয়াতুল্লাহ খোমেনির এক ফতোয়া রুশদির জীবন যাপন, ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সংকুচিত করে এনেছিল। অনেকগুলো এসাশিনেশন এটেম্পট-এর সর্বশেষটা সম্ভবত ঘটে গেল কাল।
একজন লেখক কী লিখবেন, কী বলবেন, কী বিশ্বাস করবেন তা একান্তই তার বিষয়। পছন্দ না হলে তার সমালোচনা হবে, তাকে বয়কট করা হবে। কিন্তু তাকে ফিজিকালি এসল্ট করা, হত্যাচেষ্টা এসব সভ্য পৃথীবির সভ্য মানুষের কাজ নয়।
আমি রুশদির সেতানিক ভার্স সহ বেশ কয়েকটা বই পড়েছি। তার লেখনী চমৎকার; ফ্যান্টাসি আর রিয়েলিজমের সুন্দর মিশ্রন দেখতে পাওয়া যায় তার লেখায়।
ওনার উপর হামলার নিন্দা জানাই। দ্রুত ওনার আরোগ্য কামনা করছি।
৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৩৮
মোগল বলেছেন: তিবর প্রতিবাদ জানাই
৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৫০
জুল ভার্ন বলেছেন: ধর্মের নামে সন্ত্রাসের নিন্দা জানাই।
৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:০৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: দুঃখজনক।
৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:১৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই ঘরানার কট্টরপন্থি ধার্মিক রাই হত্যা করেছিল ব্লগার অভিজিত, নীলয় নীল দের সহ আমাদের দেশে হওয়া আরো অনেক খুন।
ওনার উপর হামলার নিন্দা জানাই। দ্রুত ওনার আরোগ্য কামনা করছি।
১০| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:২৫
জ্যাকেল বলেছেন: লেখার জন্য কাউকে হত্যা করা মুর্খ মানুষ ছাড়া আর কে করতে পারে? ইসলাম কখনোই এই ধরণের হ্ত্যাকে প্রশ্রয় দেয় না। আমিও এই জঘন্য ঘটনায় নিন্দা জানাই।
১১| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:২৮
জোবাইর বলেছেন: সালমান রুশদির ওপর হাদি মাটার নামে একজন কট্টর শিয়া মুসলমানের আক্রমণ আবারও ইসলাম ধর্মকে কলঙ্কিত করলো। বিশ্বের মৌলবাদী কিছু মুসলমান এতে খুশি হলেও সারা বিশ্বে ইসলামোফোবিয়া বাড়বে এবং শান্তিপ্রিয় মুসলমানেরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
১২| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:০১
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ধর্মান্ধতার মতো বিশ্রী পৃথিবীতে আর কিছু নেই। এসব নোংরা বকধার্মিক পারেনা মতের অমিল হওয়া প্রতিজন মানুষকে বোমা মেরে হত্যা করতে। এদের জন্য শুধু ঘৃণা।
১৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:১৭
এমজেডএফ বলেছেন: স্যাটানিক ভার্সেস একটি ফিকশন উপন্যাস। এখানে কিছু কাল্পনিক চরিত্র আছে যেগুলোর সাথে ইসলামের কিছু বিতর্কিত ঐতিহাসিক ঘটনার সাথে মিল আছে। মৌলবাদীদের আপত্তি এখানেই। বিভিন্ন ধর্মের কল্পকাহিনী নিয়ে আরো উপন্যাস আছে, সগুলো খুব একটা মাথাব্যাথা না থাকলেও ইরানের ধর্মীয় নেতা খামেনী সালমান রুশদীর মৃত্যুদন্ড জারি করেন।
এখন কথা হচ্ছে ইসলামে এরকম অনেক বিষয় আছে যেগুলো নিয়ে খোদ মুসলমানদের মধ্যেই বিতর্ক, দ্বন্দ্ব রয়েছে। এমনকি সামু ব্লগে জাল হাদিস, সহি হাদিস, কোরআন, মাযহাব এগুলো নিয়ে হাঁকাহাঁকি, খুদোখুঁদি নিয়মিতই দেখা যায়। তাই বলে মারামারি ও খুনোখুনি করার প্রশ্নই আসে না। সুতরাং একজন লেখক এসব বিতর্কিত বিষয় নিয়ে কাল্পনিক উপন্যাস লিখলে সমস্যা কোথায়?
এখানে উদাহরণ হিসাবে “স্যাটানিক ভার্সেস” নামের ভূমিকা উল্লেখ করলাম:
অনেক ঐতিহাসিকের লেখা থেকে জানা যায় - নবী মুহাম্মদ মক্কার কুরাইশ গোত্রের নেতাদের সাথে একটা বোঝাপড়ায় এসেছিলেন যে তিনি কুরাইশদের তিনটি নারী দেবতাকে স্বীকৃতি দিয়ে কোরানের আয়াত নাযিল করালে কুরাইশরা মুহাম্মদের ঘোষিত আল্লাহর উপাসনা করবে এবং মুসলমানদের সাথে মক্কায় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করবে। কিন্তু কুরাইশরা তাদের কথা রাখেনি, তাই মুহাম্মদ পরে শয়তান দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার দাবি করে ওই আয়াতগুলোকে কোরান থেকে বাতিল করে দেন, এর জন্য এর নাম “স্যাটানিক ভার্সেস”।
এখন কথা হচ্ছে উপরল্লোখিত (বিতর্কিত) তথ্যটি সালমান রুশদি নিজে সৃষ্টি করেনি, ইতিহাস থেকে নিয়েছেন এবং কাল্পনিক উপন্যাসে ব্যবহার করেছেন। এখানে তো লেখকের অপরাধের কিছু দেখি না।
যাই-হোক, যে কোনো ধর্মের মৌলবাদী জল্লাদরা আধুনিক মানব সভ্যতার জন্য হুমকি স্বরুপ। তাই এদের বিরুদ্ধে ধর্ম-মত নির্বিশেষে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। উল্লেখ্য, ব্লগার অভিজিৎ, নীলয়দের হত্যাকারী মৌলবাদীরা ও তাদের সমর্থকেরা সামু ব্লগেও ধার্মিকতার লেবাস পড়ে লুকিয়ে আছে। একটু চোখ-কান সজাগ রাখলেই এদেরকে চিনতে পারবেন।
পরিশেষে সামু ব্লগের সাথে সহমত জানিয়ে লেখক সালমান রুশদির উপর আক্রমনের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
১৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৪৯
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: লোকজন তাকে ভুলে গিয়েছিল, স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য এমন করেছে। কানারা কানাকানি করলেও অনেক লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবে।
আগের বারের মত এবার আর বই বিক্রি হবে না।
১৪ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৩২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনি একজন অসুস্থ শ্রেনীর মানুষ। পশু সুলভ।
আপনার জায়গা তো ব্লগে হওয়া উচিত নয়, আপনি পাকিস্থানের জাতীয় প্রানীর চেয়েও অধম।
১৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৮
শেরজা তপন বলেছেন: এমন জঘন্য কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি
১৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৬
কামাল৮০ বলেছেন: এগুলো বিশ্বাসের ভাইরাসের কাজ।বিশ্বাসের ভাইরাসের লেখক নিহত হয়েছিল এদের হাতে।
১৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:০৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সর্বাত্মক নিন্দা প্রকাশ করছি এরকম বর্বরোচিত হত্যাপ্রচেষ্টার জন্য। সালফান রুশদীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।
১৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৫৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
স্যাটানিক ভার্সেস কী?
স্যাটানিক ভার্সেসের কথা অসংখ্য ইসলামি ঐতিহাসিকগন স্বীকার করেছেন। কোরআনে মাক্কি সুরা নাসেখ মানসুখ আয়াতের কথা পৃথিবীর সকল মুসলিম স্কলার ও ইসলামি ঐতিহাসিক স্বীকার করেন।
নবী তখন মক্কায় অহিংশ ভাবে ইসলাম প্রচার শুরু করেছেন। ছোট আকারের এই ইসলাম প্রচারে পৌত্তলিকরা বাধা দেয়নি।
কিন্তু নবী যখন কিছুটা জনপ্রীয় হয়ে অন্য ধর্ম নিয়ে কটূক্তি শুরু করে, পৌত্তলিকরা তখন ক্ষিপ্ত হয়। বাধা দান করে।
পরে এক পর্যায়ে পৌত্তলিক কাফেরগণ মিমাংসার জন্য তাকে বললো, তুমি তোমার ধর্ম প্রচার করো, কিন্তু আমাদের ধর্মকে নিন্দা করো না। তুমি আমাদের মক্কার দেবদেবীকে মোটামুটি মেনে নাও, আমরাও তোমার আল্লাহকে মেনে নিবো। এসো পারস্পরিক সহাবস্থান করি। কেউ কারো ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করবো না।
নবীর ওপর তখন সূরা নজম নাজিল হলো। এই সূরার দুইটি আয়াত নাজিল হলো। এমন,
"তোমরা কী ভেবে দেখেছো লাত ও উযযা সম্পর্কে?
এবং আরেক (দেবী) মানাত সম্পর্কে?
তাঁরা হলেন খুব-ই উঁচু পর্যায়ের (ক্ষমতাবান) দেবী
তাদের কাছেও সাহায্য চাওয়া যায়"।
এই আয়াত শুনে সেইদিন পৌত্তলিক এবং মুসলিম, সকলে মিলে আল্লাহর উদ্দেশ্যে সিজদা করলো। তাদের মধ্যকার এতদিনের শত্রুতার অবসান হলো।
কিন্তু পরবর্তিতে নবীজি মদিনায় নিরাপদ পরিবেশে শক্তি অনেক বৃদ্ধি হয়, মদিনার অনেক জমিজমা কিনে ফেলা হয়, দলও ভারি হয়। তখন আর পৌত্তলিক তোসামদ করে কোন লাভ আছে?
সুতরাং সেই আয়াত বাতিল হল।
রসুল জানালেন, ঐ আয়াত দুইটি জিবরাইল নয়, শয়তান এনে দিয়েছিল। আসলে তিনি ঐ আয়াত দুইটি বলেননি। তার মুখ দিয়ে শয়তান উপস্থিত জনতাকে ভুল শুনিয়েছে। নাজিল হলো সংশোধিত আয়াত।
ইবনে সাদ, ইবনে ইসহাক, তাবারীর ইতিহাসে এগুলো বিচ্ছিন্ন খন্ডিত ভাবে বর্ননা আছে। শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ এই সম্পর্কে বলেছেন, "প্রাথমিক ইসলামী পণ্ডিতগণ (সালাফ) সম্মিলিতভাবে সারসের আয়াতগুলোতে কোরআনের সাথে সম্পৃক্ত হিসেবে মেনে নিতেন। পরবর্তী আগত আলেমদের (খালাফ) থেকে যারা প্রথম পণ্ডিতদের মতামত অনুসরণ করেছিল, তারা বলে যে এই ঐতিহ্যগুলোকে খাঁটি বর্ণনার হাফেজদের সাথে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এবং এগুলি সম্পুর্নভাবে অস্বীকার করা অসম্ভব এবং কোরআন নিজেই বিভিন্ন ভাবে এর সাক্ষ্য দিচ্ছে।
সালমান রুশদী নতুন কিছু বলেন নি। বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যাও বলেননি। প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ঐতিহাসিকদের বর্ণনা থেকেই তিনি ঘটনাটির অংশ তার উপন্যাসে নিয়েছেন। তিনি তার বইতে ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু বলেননি। তার বইতে ধর্ম অবমাননার মত কিছু নেই।
যারা ওনার বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত তারা বেশিরভাগই তার বই পড়েন নি, বা ইংরেজি ফিকশান পড়ে কিছু না বোঝার মত স্বল্পবুদ্ধি সম্পন্ন।
১৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ২:৩৯
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: নিন্দা জানাচ্ছি এবং সালমান রুশদীর সুস্থতা কামনা করছি।
২০| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:৩৫
বিটপি বলেছেন: তাঁদের কাছেও সাহায্য চাইলে পাওয়া যায় - এরকম স্টেটমেন্ট কোনভাবেই কোরআনের অংশ হবার যোগ্যতা রাখেনা। এরকম কোন আয়াত থেকে থাকলেও তা কুরআনের বাকি ৬ হাজার আয়াতের বক্তব্যের সাথে সাঙ্ঘর্ষিক। রাসূল (স) তার দীর্ঘ নবুয়তী জীবনে একজন আপোষহীন মানুষ ছিলেন। যিনি কুরাইশদের নেতা হবার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি তাদের সাথে আপোষ করার জন্য আয়াত নাযিল করাবেন - এরকম উদ্ভট চিন্তা মানুষের মধ্যে আসে কি করে?
এরকম কোন হাদীস যদি থেকেও থাকে - তা অবশ্যই জাল হাদীস এবং রাসূলের (স) চরিত্রে কলঙ্ক আরোপের জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ ধরণের হাদীসের প্রচলন করা হয়েছে। আমি পোস্টের বিষয়ের প্রতি সমর্থন জানানোর পাশাপাশি এ ধরণের বিভ্রান্তি যারা ছড়াচ্ছেন - তাদের অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাই।
২১| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:২৩
তানভির জুমার বলেছেন: 'স্যাটানিক ভার্সেস নামক মিথ্যা বানোয়াট বই লেখার তিব্র প্রতিবাদ জানাই। লেখক কে এভাবে হামলার করারও প্রতিবাদ জানাই।
ব্লগে দেখি রুশদিকে বঙ্গ নাস্তিকরাও পীর মানে। অথচ রুশদির স্যাটানিক ভার্সেস মিথ্যা আর বানোয়াট ইতিহাাসের ভিত্তি করে লেখা একটি শয়তানী বুক।
যে সীরাত (আল তাবারি এবং ইবন সা'দ ) কে সূত্র ধরে রুশদি তার নোংরা বইটি লিখেছেন। অথচ আল তাবারি এবং ইবন সা'দ সীরাত গ্রন্থের শুরুতেই বলেছেন (তারা শুধু তা-ই কিতাবে স্থান দিয়েছেন যা তাঁদের পর্যন্ত পৌঁছেছে। সত্য-মিথ্যা যাচাই করেনি। এখন কেউ যদি তার কিতাবে কোন আপত্তিকর বিষয়াদি খুঁজে পায় যা ইসলামের ফান্ডামেন্টাল জিনিসের সাথে সাংঘর্ষিক এবং অন্যান্য সহী সূত্রে তা বাতিলযোগ্য দেখা যায়- তাহলে তাঁর দায় আল তাবারীর নয়, তিনি যার কাছ থেকে পেয়েছেন, কেবলই তার।তিনি এখানে কেবল একজন 'লিখিয়ে'র ভূমিকায়..... সুতরাং, আল তাবারির বর্ণনা যে ভুল 'হতেও' পারে, তা আল তাবারিই বলে গেছেন।)
.সূরা আন নাজম নাজিল প্রসঙ্গ..
সকল ইতিহাসবিদদের মতে, সূরা আন নাজম নাজিল হয় রাসূল সাঃ নব্যুয়াত লাভের পঞ্চম বছরে, রজব মাসে, যে বছর প্রথম একটি মুসলিম দল আবিসিনিয়ায় হিজরত করে। অর্থাৎ, রাসূল সাঃ এর মদিনায় হিজরতের আরো ৮ বছর আগে।
এখন, সালমান রুশদী এবং খ্রিষ্টান মিশনারীদের দাবি, রাসূল সাঃ শয়তান থেকে ওহী প্রাপ্ত হয়েছিলেন পরে, আল্লাহ কোরআনের ওহীর মাধ্যমে রাসূল সাঃ কে সংশোধন করে দেন। তাদের দাবি, সূরা আল হাজ্বের ৫৩ নাম্বার আয়াত সেদিনই (যেদিন তথাকথিত Satanic Verses নাজিল হয়) নাকি অই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেখানে বলা হচ্ছে-
'আমি তোমার পূর্বে যে সব রাসূল কিংবা নবী পাঠিয়েছি, তাদের কেউ যখনই কোন আকাঙ্ক্ষা করেছে তখনই শয়ত্বান তার আকাঙ্ক্ষায় (প্রতিবন্ধকতা, সন্দেহ-সংশয়) নিক্ষেপ করেছে, কিন্তু শয়ত্বান যা নিক্ষেপ করে আল্লাহ তা মুছে দেন। অতঃপর আল্লাহ তাঁর নিদর্শনসমূহকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। কারণ আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্বশ্রেষ্ঠ হিকমতওয়ালা।'
সালমান রুশদী এবং খ্রিষ্টান মিশনারীদের দাবি, এই আয়াত দিয়েই আল্লাহ মুহাম্মদ সাঃ কে তৎক্ষণাৎ সংশোধন করে দেন এবং মুহাম্মদ সঃ সূরা আন নাজমের সাথে মিশিয়ে ফেলা ওই আয়াত দুটো বাতিল করে দেন।
শত্রুপক্ষ এই গল্প খুব সুচতুরভাবে বানিয়েছে বলা যায়। কিন্তু ঘাপলা রেখে গেছে অন্য জায়গায়। সেটা হলো, সূরা আন নাজমের সাথে সূরা আল হাজ্ব এর নাজিলের মধ্যকার সময়ের ব্যবধান।
সূরা আন নাজম নাজিল হয় রাসূল নবুয়্যাত লাভ করার ৫ম বছরে, মক্কায়। সূরাটিও মাক্কী সূরার অন্তর্গত। আর, সূরা আল হাজ্ব নাজিল হয় রাসূল সাঃ নব্যুয়াত লাভের প্রায় ১২-১৩ বছরের পরে, হিজরতের প্রথম বছরে। সূরাটি মাদানী সূরা।
অর্থাৎ, তাদের কথানুযায়ী, রাসূল সাঃ ভুল করেন নব্যুয়াত লাভের ৫ম বছরে, আর সূরা আল হাজ্ব নাজিল হয় নব্যুয়াত লাভের ১৩ তম বছরে। দুই সূরার মধ্যে সময় ব্যবধান ৮ বছর। অর্থাৎ, তাদের দাবিনুযায়ী, রাসূল সাঃ ভুল করেছেন আজ, আর আল্লাহ তা সংশোধন করেছেন ৮ বছর পরে...
'আচ্ছা বলুন তো, পাগল না হলে, কোন মানুষ কী এই গল্প বিশ্বাস করবে? ভুল করেছে আজ, আর তা সংশোধন হলো আরো ৮ বছর পরে।
এই আট বছরের মধ্যে, রাসূল সাঃ সূরা আন নাজমে লাত, উযযা, মানাতের মতো দেবীর প্রশংসা করেছেন (তাদের মতে), আবার কালেমায় বলেছেন- 'লা ইলাহা ইল্লাহহ' (আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই)।
একদিকে দেবীদের কাছে সাহায্য চাওয়ার বৈধতা, আবার অন্যদিকে 'লা ইলাহা ইল্লাহ' বলে তাদের বাতিল করে দেওয়া- এতোসব কাহিনী করার পরেও কীভাবে তিনি সেখানে 'আল আমীন' হিসেবে থাকতে পারেন? হাউ পসিবল?
ঠিক আছে, তর্কের খাতিরে ধরেই নিলাম যে, সূরা হাজ্বের সেই সংশোধনী আয়াত আল্লাহ সেই রাতেই নাজিল করেছিলেন এবং সেই রাতেই রাসূল উনার ভুল শুধরে নিয়েছিলেন এবং পরে ঘোষণা করলেন যে, লাত, উযযা, মানাতের কাছে সাহায্য চাওয়া যাবে না।'
খেয়াল করুন, দিনে বলেছেন এরকম-
'তাঁরা হলেন খুব-ই উঁচু পর্যায়ের(ক্ষমতাবান দেবী)
'এবং, তাদের কাছে সাহায্যও চাওয়া যায়...'
আবার রাতে নিজের সেই কথাকে উইথড্র করে নিয়ে বলছেন, লাত, উযযা, মানাতরা বাতিল।
এমতাবস্থায়, মক্কার কাফির, পৌত্তলিকদের কাছে রাসূল সাঃ কী একজন ঠক, প্রতারক, বেঈমান বলে গন্য হবার কথা না?
অথচ, ইতিহাসের কোথাও কী তার বিন্দু পরিমাণ প্রমাণ পাওয়া যায়? যায় না।
যাদের সাথে তিনি মূহুর্তেই এতোবড়ো বেঈমানি করলেন, তাদের কারো কাছেই তিনি 'ঠক' 'প্রতারক' 'মিথ্যুক' সাব্যস্ত হলেন না - এটা অত্যন্ত আশ্চর্যের। রাসূল সাঃ কে অপমান করার এতোবড়ো সুযোগটা কীভাবে শত্রুপক্ষ মিস করলো?
তাছাড়া, ইতিহাস থেকে জানা যায়, মদীনায় হিজরতের আগের রাতে, রাসূল সাঃ হজরত আলী রাঃ কে উনার ঘরে রেখে যান, যাতে রাসূল সাঃ এর কাছে গচ্ছিত আমানত প্রাপকদের কাছে (যারা মুশরিক ছিলো) যথাযতভাবে ফিরিয়ে দেওয়া যায়।
ভাবুন তো, যিনি একদিনে দু রকম কথা বলতে পারে, (একবার দেবীদের প্রশংসা করে, আবার তা বাতিল করে) তাকে কিন্তু তখনও মক্কার কুরাইশরা বিশ্বাস করছে, ভরসা করে আমানত গচ্ছিত রাখছে। কীভাবে? একজন ঠক, প্রতারককে (যদি Satanic Verses incident সত্য হয়) কীসের ভিত্তিতে এতো বিশ্বাস?
আদৌ কী সেদিন Satanic Verses জাতীয় কিছু নাজিল প্রাপ্ত হয়েছিলো রাসূলের উপর? উত্তর- নাহ।
দ্বিতীয় প্রমাণ, তর্কের খাতিরে আবার ধরে নিই যে, Satanic Verses সত্য।
তাহলে চলুন, আরেকবার পাঠ করি সেই আয়াতগুলো-
(১৯) - 'তোমরা কী ভেবে দেখেছো লাত ও উযযা সম্পর্কে?'
(২০) - 'এবং আরেক (দেবী) মানাত সম্পর্কে?'
(২১)- 'তাঁরা হলেন খুব-ই উঁচু পর্যায়ের(ক্ষমতা
বান দেবী)
(২২)- 'এবং, তাদের কাছে সাহায্যও চাওয়া যায়'...
(২৩)- 'এগুলো তো কেবল (এই যে লাত, উযযা, মানাত এসব) কতকগুলো নাম যে নাম তোমরা আর তোমাদের পিতৃ পৃরুষরা রেখেছ, এর পক্ষে আল্লাহ কোন প্রমাণ অবতীর্ণ করেননি। তারা তো শুধু অনুমান আর প্রবৃত্তিরই অনুসরণ করে, যদিও তাদের কাছে তাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে পথ নির্দেশ এসেছে।'
খেয়াল করুন, ২১ এবং ২২ নম্বর আয়াত (সালমান রুশদী এবং খ্রিষ্টান মিশনারীদের ভাষ্যমতে) এর ঠিক পরে, আল্লাহর কাছ থেকে কোনরকম সংশোধনী আসার আগেই ঠিক ২৩ নাম্বার আয়াতে এসে বলা হচ্ছে- 'এগুলো (লাত, উযযা, মানাত ইত্যাদি) তো কেবল কতোগুলো নাম মাত্র যা তোমরা (মুশরিকরা) এবং তোমাদের পূর্বপুরুষরা রেখেছো। এদের (ক্ষমতার) পক্ষে আল্লাহ কোন প্রমাণ নাজিল করেন নি।'
বড়ই আশ্চর্যের, তাইনা? একটু আগে বলা হলো,- তারা হলেন খুব-ই উঁচু পর্যায়ের। তাদের কাছে সাহায্যও চাওয়া যায়।'
তার ঠিক পরেই বলা হচ্ছে- 'এগুলো কেবল কিছু নাম যা তোমাদের মস্তিষ্কপ্রসূত।'
What a double stand! হাহাহাহাহা।
এরকম ডিগবাজী দেওয়ার পরেও, যারা একত্ববাদে বিশ্বাস রেখে নতুন ইসলামে এসেছে, তারা কী মুহাম্মদ সা: কে ছেড়ে তৎক্ষণাৎ চলে যেতো না? আর, কুরাইশরা এতো পান্ডিত্যের অধিকারী হয়েও এটা বুঝতে পারলো না যে, মুহাম্মদ সঃ তাদের সাথে মাইন্ড গেইম খেলছে?
'তাহলে, আবিসিনিয়ায় হিজরত করা একটি দল এই ঘটনা শুনে (মুহাম্মদ (সাঃ) কুরাইশদের দেব দেবীকে মেনে নিয়েছেন) ফেরত আসলো, তাদের ব্যাপারে কী বলবে?'
'হ্যাঁ, তারা ফেরত এসেছিলো ঠিকই, কিন্তু তারা ফেরত এসেছে এই ঘটনা শুনে নয়, অন্য ঘটনা শুনে। নব্যুয়াতের ৫ম বছরে তৎকালীন আরবের শ্রেষ্ঠ লোক উমার ইবনে খাত্তাব (রাঃ) এবং হামজা (রাঃ) এর মতো প্রভাবশালীরা ইসলাম গ্রহণ করেছে শোনার পরে, মক্কার পরিস্থিতিকে কিছুটা নিরাপদ ভেবে, তারা ফেরত এসেছিলো। তথাকথিত Satanic Verses নাজিলের কথা শুনে নয়।প্রত্যেক সহী রেওয়াতেই এটার বর্ণনা পাওয়া যায়।'
১৫ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৪২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: স্যাটানিক ভার্স সত্য বা মিথ্যা এই নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন দেখছি না। ধরে নিচ্ছি তিনি ভুল লিখেছেন, অন্যায় লিখেছেন।
আমার অল্প জ্ঞানে যতটুকু পড়াশোনা আছে, তাতে ইসলামে কারো উপর এই ধরনের হামলার অনুমুতি নেই।
যুদ্ধকালীন কিছু নির্দিষ্ট সময়ের আয়াত বা হাদীসকে বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে কিছু মানুষ অপব্যাখ্যা করে ইসলামকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে এবং তাদের কারনেই ইসলাম অনেক সময় অসম্মানের স্বীকার হয়।
যদি কেউ আল্লাহকে অসম্মান করেন, তার জন্য আমাদের যৌক্তিক প্রতিবাদ থাকতেই পারে। কিন্তু কোনভাবে হামলা নয়।
২২| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:২২
নিমো বলেছেন: মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: লোকজন তাকে ভুলে গিয়েছিল, স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য এমন করেছে। কানারা কানাকানি করলেও অনেক লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবে।
আগের বারের মত এবার আর বই বিক্রি হবে না।
রুশদি অনেকের উপকারেও এসেছে। যেমন: ভারতীয় রাজনীতিবিদ Syed Shahabuddin রাজীব গান্ধী আর কংগ্রেসের সাথে খেলেছেন। পাকিস্তানে জামায়াত ইসলাম লাভবান হয়েছিল। ইরানে খোমেনি ফতোয়া দিয়ে ইরান-ইরাক যুদ্ধের লাখ লাখ লাশ থেকে সবার নজর সরিয়ে নিতে পেরেছিল। খুঁজুন ইতিহাসে উপকারভোগীর তালিকাটা মোটেও সংক্ষিপ্ত নয়।
২৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৪৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সম্মিলিত সেজদার কথা ইবনে সাদ, ইবনে ইসহাক, তাবারীর ইতিহাসে উল্লেখিত আছে ।
প্রাথমিক ইসলামী পণ্ডিতগণ পরবর্তি আলেম ও স্কলারগন সমর্থন করে বলেছেন এসব ঐতিহ্যগুলোকে খাঁটি বর্ণনার সাথে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এবং এগুলি অস্বীকার করা অসম্ভব এবং কোরআন নিজেই এর সাক্ষ্য দিচ্ছে।
ইভেন ৩০০ বছর পরে লেখা একাধিক হাদিসেও এই ব্যাপারটি সমর্থন করে বিস্তারিত ভাবে বর্নিত হয়েছে।
সহীহ বুখারী হাদিস নম্বরঃ (4862)
সূনান আত তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ (575)
২৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৫৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আয়াত বাতিল হওয়ার পরও লাত উযযা মানাত সম্পর্কিত সবকিছু কোরান থেকে সম্পুর্ন মুছে ফেলা সম্ভব হয় নি। অসতর্কতার কারনে হয়তো।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ নিজেকে "আমি" না বলে, "আমরা" বলে সম্বোধন এখনো কিছু কিছু আয়াতে আছে। (যেমন সুরা কাসাস ২৮-৩)
মক্কা দখল করার পরও পৌত্তলিকদের সাথে রসুলরের একটা সহানুভুতি একটা হালকা সমঝোতা ছিল।
যেহেতু তারা সবাই রসুলের মহল্লার মানুষ, অনেকেই নিকটয়াত্নিয়।
কাবার সব মুর্তি ধ্বংশ করা হলেও পৌত্তলিকদের প্রতি সম্মান জানিয়ে কয়েকটা মুর্তি কাবা ঘরে রাখা হয়েছিল, এখনো থাকতো। কিন্তু বহু বছর পর বিভিন্ন ডামাডোলে যুদ্ধে একপর্যায়ে কাবা ঘর দখল হয়ে ধ্বংশ হয়ে যায়, বালুর সাথে মিশিয়ে ফেলা হয়। পরে কাবা আগের আদলে নির্মিত হলেও মুর্তিগুলোকে আর খুজে পাওয়া যায় নি। তবে শুধু কালো পাথরটা পাওয়া গেছিল, আর শয়তানকে ঢিল মারার খাম্বাটাও ছিল। এই দুটো ভাষ্কর্যও পৌত্তলিকদের আমলের।
২৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৫৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: উন্মত্ত এমন জঘন্য কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
২৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫২
জ্যাকেল বলেছেন: @হাসান কালবৈশাখী,
আপনি কিছু কিছু পোস্টে এমনভাবে অংশগ্রহণ করেন যে বুঝা যায় আপনি পাক্কা ঈমানদার অথচ আপনার মনের খবর হইল আপনে কোরআন যে আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত নিঁখুত বাণী সেটাই স্বীকার করেন না। ইসলামি পরিভাষায় এই টাইপ লোকদের মুনাফিক বলা হই।
যাইহোক, আপনি যদি বিশ্বাস না করেন পবিত্র ক্বোরআন আল্লাহর বাণী নয় তবে কুনো টেনশন লিয়েন না। যার যার বিশ্বাস সেটা তাকে পালন করতে দিন। আমি মনে করি সভ্যতার সরল মাপকাঠি হইতেছে অন্য মানুষকে তার ধর্ম পালন করতে দেওয়া না দেওয়ার মধ্যে।
উপরে তানভীর জুমার সাহেব ব্যাপারখানা পরিস্কার করে দিয়েছেন সাথে আমি আরো যোগ করি-
হজরত মুহাম্মাদ সাঃ এর জীবনের ৪০ বছর কেটে গিয়েছিল মুশরিকদের সাথে। যখনই একত্ববাদের আলো পেলেন তার পর থেকে তাঁর ওপর এত নির্যাতন নিপীড়ন এসেছিল যে নিজ পরিজন ছেড়ে পালাতে হয়েছে রাতের আঁধারে নিজের প্রাণ বাঁচাতে।
এই নির্মম বাস্তবতা তাঁর আসার কথা ছিল না যদি তিনি এইভাবে পেগানদের সাথে সামান্য সমঝোতা করে ফেলতেন। এটা জাস্ট কমন সেন্স যে এই স্যাটানিক ভার্সেস হইতেছে লানত প্রাপ্ত শয়তানেরই এক বিরাট অপকর্ম!
২৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:২০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
@ জ্যাকেল।
আমি মুসলমান, নাস্তিক নই। নামাজ পড়ি, বাচ্চাদেরও ইসলামে ও নামাজে দিক্ষিত করেছি।
আমি বিজ্ঞানমনষ্ক, ঈশ্বরকে মানি, বিজ্ঞান দিয়ে খুজি।
আমি মনেকরি সভ্যতা ও সামাজিক শৃক্ষলার জন্য মানুষের যে কোন একটি ধর্ম দরকার। ধর্ম হবে ব্যাক্তিগত, রাজনৈতিক নয়।
যারা ধর্ম নিয়ে হাদিস নিয়ে রাজনীতি করে বিভেদ ও হিংসা ছড়ায় আমি তাদের বিরুদ্ধে।
কোরান সবার জন্য সহজবোধ্য করে নাজেল হয়েছে। কোরান বুঝতে কোন মোল্লা রাজনীতিবিদ স্কলার দরকার নেই।
আমি মনে করি রসুল হজরত মুহম্মদ তৎকালিন সামাজিক বাস্তবতায় মক্কা মদিনার সব মানুষের চেয়ে সত্যবাদি ও সৎ ছিলেন।
এবং ধর্মনিরোপেক্ষ ও সবধর্মের সাথে সহ অবস্থানে থাকা বিশ্বাস করতেন, চাইতেন, ইতিহাস তাই বলে।
কিন্তু মোল্লারা রাজনীতিক ইসলামিষ্টরা সেসব মানতে চায় না।
২৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৩৩
জ্যাকেল বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আয়াত বাতিল হওয়ার পরও লাত উযযা মানাত সম্পর্কিত সবকিছু কোরান থেকে সম্পুর্ন মুছে ফেলা সম্ভব হয় নি। অসতর্কতার কারনে হয়তো।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ নিজেকে "আমি" না বলে, "আমরা" বলে সম্বোধন এখনো কিছু কিছু আয়াতে আছে। (যেমন সুরা কাসাস ২৮-৩)
আপনি কি জানেন না আল্লাহ বহুবচন ব্যবহার কেন করেন?
যে লোক বিশ্বাস করে আয়াত বাতিল হয়, মুছা হয়েছিল, মুহাম্মদ সাঃ এর ইচ্ছেমত/দরকার মত কুরআন পরিবর্তন হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি সে অন্তত নিজেকে মুসলিম হিসাবে কল্পনা করা সম্ভব না।
কারন মুসলমান হইবার অনিবার্য শর্ত হইতেছে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, ফেরেশতা, কিতাব ও রসুলগণের ব্যাপারে সন্দেহমুক্ত থাকা।
পরিস্কারভাবেই আপনি বারংবার নিজের মুনাফিকি বৈশিষ্ট তুলে ধরছেন। আমার অনুরোধ থাকবে আপনি নিজেকে জাস্ট একজন এগনোস্টিক হিসাবে উপস্থাপন করুন। নাস্তিক ও না মুসলমানও না।
আর আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার মানুষকে তার আদেশ নিষেধ মেনে চলতে উৎসাহ দিয়েছেন, ফোর্স করেন নি। কারণ আল্লাহ মানুষকে ব্যক্তি স্বাধীনতা দিয়েছেন। সে এই স্বাধীনতার অপব্যবহার করলে করুক তাতে ইসলাম বাধা দেয় না। হাদীস কেন্দ্রিক (যাহা পথভ্রস্ট মুয়াবিয়ার বংশ দ্বারা চর্চিত হইয়াছে) উহার ফতোয়ার কথা আলাদা।
২৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৩১
জটিল ভাই বলেছেন:
সাম্প্রতিক পোস্টে যেহুতু মন্তব্যের সুবিধা নেই তাই এই পোস্টে বলছি। শোক দিবসের ব্যানারটা পোস্টে সংযুক্ত করে পোস্টটা স্টিকি করে দিলে কেমন হয়?
১৫ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৩৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার প্রস্তাবের জন্য। আমাদের ব্লগটিম বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবে।
৩০| ১৫ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৪৪
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: জটিল ভাই বলেছেন:
সাম্প্রতিক পোস্টে যেহুতু মন্তব্যের সুবিধা নেই তাই এই পোস্টে বলছি। শোক দিবসের ব্যানারটা পোস্টে সংযুক্ত করে পোস্টটা স্টিকি করে দিলে কেমন হয়?
৩১| ১৭ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৩৩
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ‘যদি কেউ আল্লাহকে অসম্মান করেন, তার জন্য আমাদের যৌক্তিক প্রতিবাদ থাকতেই পারে। কিন্তু কোনভাবে হামলা নয়’- এ কথার সাথে একমত। কিন্তু নিজে নিরাপদ থাকার জন্য অন্যকে অসম্মান করা থেকে বিরত থাকাই বুদ্ধিমাণের কাজ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:০৭
রানার ব্লগ বলেছেন: আমার পক্ষ থেকেও চরম নিন্দা ও সন্ত্রাসীর প্রতি চরম ঘৃনা জানাচ্ছি ।