নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তিন দশক যাবত মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে প্রবাসী। \nতবুও আমি বাংলায় গান গাই

মোঃমোজাম হক

ভাল লাগে জোছনা রাতে মেঘ হয়ে আকাশে ভাসতে।

মোঃমোজাম হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেখে এলাম পর্বতের শহর আল-আবহা পর্ব -২

১৭ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:১৮

দুপুর বারোটার মধ্যেই কাজ সেরে হোটেলে চলে এলাম।মধুমিতা ভাইও অফিস থেকে ছুটি নিয়ে চলে এলেন।
ঊনার গাড়ীতেই আল-আবহা শহর দেখতে বেরুলাম।

আবহা হচ্ছে সৌদি আরবের দক্ষিন-পশ্চিম প্রান্তের আশির প্রদেশের রাজধানি শহর।আসির আরবী শব্দার্থ হচ্ছে কঠিন।সেখানকার লোক জনও নাকি চারিত্রিকভাবেই খুব কঠিন মনের।আমাদের পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর মতো এখানেও বাইরের লোকেরা কোন জমি জমা ক্রয়-বিক্রয় বা ব্যাবসা বাণিজ্য করতে পারেনা।
আসির প্রদেশ বেশ কয়েকটি পাহাড়,উপত্যকা এবং সমভূমি নিয়ে গঠিত।আবহা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় সাড়ে সাত হাজার ফুট উপরে।আর তাই জলবায়ু সারা বছরই ঠান্ডা থাকে,দেশের সবচেয়ে বেশী বৃষ্টিপাতও হয় এখানে।তাই সবুজ চারণভূমি এবং কৃষি ভুমিও এখানে আছে।আর এই সুন্দর দৃশ্যাবলী,বিখ্যাত কুয়াশাচ্ছন্ন পর্বতের চূড়া এবং ঠান্ডা বাতাসের কারণেই গ্রীষ্মকালে সৌদি আরবের অন্যান্য অঞ্চল থেকে সবাই এখানে ছুটি কাটাতে আসে।

আমরা দুজনে গল্প করতে করতে পাহাড় বেয়ে একটু নীচে নেমে গেলাম।সেখানে দেখলাম বিশাল এক পানির জলাধার বা ড্যাম।আরও আছে আশপাশে শিশু পার্কসহ ছোটখাটো পিকনিক স্পট।এখন সারা সৌদি আরবের মতো সেখানেও উন্নয়নের কাজ চলছিল।

এর নিকটেই আসির ন্যাশনাল পার্ক।তবে আমরা দুজনেই সিঙ্গেল ছিলাম বলে ভেতরে যাইনি।এটা সৌদি আরবের প্রায় প্রতিটা শহরেই প্রযোজ্য।পরিবার ছাড়া অনেক স্থানেই প্রবেশ নিষেধ এমনকি অনেক শহরেই বসুন্ধরা মার্কেটের মতো বড় বড় মলেও প্রবেশ নিষেধ।

আভা শহরের মাঝখানে রয়েছে একটি সবুজ মাউন্টেন,যেখান থেকে সম্পূর্ন আবহা শহরটি দেখা যায়।তাই পর্যটকদের জন্য এই পাহাড়টিকে আরো আকর্ষনীয় করতে রাতের বেলায় সবুজ লাইট জ্বালিয়ে রাখা হয়, যা দূর থেকে আরো চমৎকার মহনীয় করে তুলে। পাহারটির উপড়ে পর্যটকদের জন্য রয়েছে হোটেল-মোটেল।অনেকেই সেই মহনীয় পাহাড় থেকে সুর্যাস্ত বা রাতের দৃশ্য দেখতে পছন্দ করে।
দূর থেকে দেখা সবুজ পাহাড়

রাতের বেলার দৃশ্য
বেলা দুটোর সময় ভাবী বাসায় ফিরবেন তাই ফিরে গেলাম লাঞ্চ করতে।খেতে বসে দেখলাম একদম দেশী মুরগীর মতো,জিজ্ঞেস করে জানলাম এগুলি সৌদি দেশী মুরগী(পাহাড়ী),সাইজে একটু বড় দাম চারগুণ বেশী।এগুলো কিনেছেন এখানকার আরেকটি প্রসিদ্ধ স্থান সুক তালাতা অর্থাৎ মঙ্গলবারের বাজার থেকে।

ইন্টারনেট থেকে নেয়া
মঙ্গলবারের বাজার মূলত মহিলা বিক্রেতারা চালায়,এছাড়া তাদের বেশিরভাগই হচ্ছে তালাকপ্রাপ্তা আর বেদুঈন পুরুষেরা যাদের সংক্ষেপে আমরা বেদু (কৃষকদের আমরা যেমন বলি চাষা বা ক্ষেত  ) বলে থাকি। এটা অনেকটা আমাদের গ্রামের হাট বা মেলার সঙ্গে তুলনা করা যায়। সেখানে পাওয়া যায় স্বর্ণ ও রূপার বেদুইন গয়না,জাম্বিয়া(বেদুদের কমড়ে রাখা একপ্রকার ছুরি),ট্র্যাডিশনাল পোষাক,ঝুরি,টুপি থেকে শুরু করে হাঁস-মুরগি,খোরগোস, শজারু,কবুতর,পাখি,হরেক রকমের মশলা,খেজুর,মধু,হাড়িপাতিল ইত্যাদি রকমারি পসরা।

এখানে উল্লেখ্য সৌদিরা খরগোশ খায় আগেই জানতাম কিন্তু কাঁটাওয়ালা শজারু খায় শুনে,ভয়ে আমার শরীরেও কাঁটা দিয়ে ঊঠলো


চলবে ----

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০

তৌফিক মাসুদ বলেছেন: দারুন ছবিগুলোর সাথে সুন্দর বর্ননা।
শুভকামনা আপনাকে।

১৭ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:০৯

মোঃমোজাম হক বলেছেন: আপনেকেও আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ

২| ১৭ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বলেন কি! শজারুও খায় নাকি তারা??

পরের পর্বের অপেক্ষায় রইল।

১৭ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:১৬

মোঃমোজাম হক বলেছেন: হ্যা ভাই এখানে দেখেছি খোরগস ও সার্ক বিক্রি হতে,সেখানে গিয়ে শুনলাম সজারূও খায় :#>

ধন্যবাদ আপনাকে

৩| ১৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৩:২৮

সুফিয়া বলেছেন: সত্যি ভাল লেগেছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

১৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:৫১

মোঃমোজাম হক বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
আপনার প্রপিক দেখে মনে হচ্ছে পাহাড়-পর্বত আপনার পছন্দ।

৪| ১৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:২১

অপ্রতীয়মান বলেছেন: নতুন কিছু জানলাম, পাশাপাশি আপনাদের ঘুরে বেড়ানোর বদৌলতে দেখা হল কিছু নতুন স্থান।

পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম :)

১৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৪

মোঃমোজাম হক বলেছেন: হ্যা সাথে থাকলে দেখবেন এই মরুর দেশে আরো কতো কি আছে B-)

ধন্যবাদ ভাই

৫| ১৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩

মধুমিতা বলেছেন: খাইছে .... দেশে যে কয়টা সজারু আছে তা এখন সাফা হয়ে যাবে। আপনি অনেক সুন্দর করেই সুক তালাতা'র বর্ণনা দিয়েছেন। সময় করে নিয়ে যাওয়ার দরকার ছিল।


এটা হচ্ছে গ্রিন মাউণ্টেইনের রাতের রূপ।

১৭ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০০

মোঃমোজাম হক বলেছেন: না ভাই শজারু কেউ সাফা করবে বলে মনে হয়না।গলায় কাটা ফুটার ভয় আছেনা ? :)

আমি দিয়েছিলাম উপড় থেকে তোলা একটি গ্রিন মাউন্টেইনের ছবি।আপনারটাও জুরে দিলাম।

অনেকিছুই বাকি রয়েছে,আবার আসিবো ফিরে ;)

৬| ১৭ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালো লাগছে সিরিজ
ছবি নেট কালেশন হোক আর নিজেদের তোলা হোক সুন্দর ।

১৮ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:৩৭

মোঃমোজাম হক বলেছেন: যে দুইতিনটা ছবি নেট থেকে নিয়েছি তা উল্লেখ করেছি।
হ্যা মরুর দেশে এমন শহর তা আমাকে অবাক করেছে বলেই এখানে শেয়ার করছি।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপা :)

৭| ১৭ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:২০

জুন বলেছেন: সৌদি আরবেও এত সুন্দর সবুজ শহর দেখে ভালোলাগলো মোজাম ভাই ।
কিন্ত এত সবুজ যেখানে সেখানকার মানুষ এত কঠোর হয় কি করে ?
জ্যাকারান্ডা গাছ বেগুনী ফুলে ভরে আছে মনকাঁড়া এক সৌন্দর্য্য ।
পরিবার সাথে না নেয়ার জন্য খারাপই লাগলো আপনাদের জন্য ।
অনেকদিন পর আপনার শুরু করা এই সিরিজটা খুব ভালোলাগছে ।
+

১৮ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:৫৬

মোঃমোজাম হক বলেছেন: সৌদি আরবেও এত সুন্দর সবুজ শহর বলেই এখানে শেয়ার করলাম জুনাপু।
আপনার মতো এতো ভাগ্য নেই যে স্বপরিবারে যাবো ;)
ছেলের এ লেভেল চলছিল,তাই একদিনেই ফিরে এসেছি।আরেকবার না গেলে অধুরাই থেকে যাবে।

আপনার উৎসাহ আরো লেখার প্রেরনা যুগাচ্ছে :)

৮| ১৮ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৩:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃমোজাম হক ,


আরবীভাসী দেশে বোধহয় একটা করে "সুক তালাতা " থাকে । "সুক" বা "সুগ" হচ্ছে মার্কেট আর "তালাতা" মানে তিন । আমি লিবিয়াতেও প্রতি শহরে "সুক তালাতা " পেয়েছি । এটা সংখ্যাগত দিক থেকে "তিন" মানে তিন নম্বর মার্কেট । আর সপ্তাহের তৃতীয় দিনটি হলো "মঙ্গলবার " । যেটার কথা আপনি বলেছেন ।

শুভেচ্ছান্তে ।

১৮ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:০০

মোঃমোজাম হক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই আহমেদ জী। আমাদের দাম্মাম শহরে শুক জুম্মা(শুক্রবার) আর আল-কাতিফ শহরে রয়েছে শুক খামিজ(বৃহষ্পতিবার)।এমনি শহর ভিত্তিক অনেক হাট বাজার আছে। তবে আমার অভিজ্ঞতাটুকু বর্ননা করাই আমার কাজ।
কেউ জিজ্ঞেস করলে অবশ্যই আরো জানিয়ে দিতাম।

খুব মনযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৯| ১৮ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৪১

ইমরান আশফাক বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে নতুন করে দেখে ভালো লাগলো 8-|

৮০ এর দশকে আমি হায়েল অন্চলে ছিলাম আব্বার চাকুরীর সুবাদে। ওটি ছিলো একদম মরু এলাকায় যদিও শহরটা খুবই ছিমছাম। লোকজন ভালোমন্দ মিশিয়ে তবে কিছুটা নির্বোধ জাতীয়। আর হ্যা, শৈশবকালটা (গোটা সত্তর দশক) কেটেছে লিবিয়ায়র আল-বেদা শহরে মানে যেখান থেকে গাদ্দাফীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের সূচনা হয়, সাগর থেকে ৫০০০ ফুট উপরে। ওখানে একটা বাংলা মিডিয়াম স্কুল ছিলো (আমার আব্বা ওটার সহ-উদ্যোগতা ছিলেন) সেখানে পড়তাম। লিবিয়ানদের সৌদী বেদুদের তুলনায় অনেক চটপটে, কর্মঠ, সাহায্যপরায়ন ও বুদ্ধিমান মনে হয়। ওখানে দেখতাম সুকালা হাট নামে একটা সাপ্তাহিক হাট বসতো (কোনবারে তা মনে নেই)।

আপনার আর মধুমিতা ভাইয়ের পোস্টগুলি পড়লে আবার সেই সব দিনে হারিয়ে যাই, মনে হয় যেন আপনারা নয় আমি নিজেই স্বশরীরে সেইসব জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছি। :((

১৮ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬

মোঃমোজাম হক বলেছেন: আপনার মতো একজন পুরানো প্রবাসী দেখে খুশী হলাম।আপনাকে যদি ক্ষণিকের জন্যও কিছু দিতে পারি সেটা আমাদের সৌভাগ্য।

আপনার ব্লগে যাচ্ছি একটু পরই কারন আপনার অভিজ্ঞতাও আমাদের জানা দরকার।

ভাল থাকবেন,সাথে থাকবেন :)

১০| ১৯ শে মে, ২০১৫ সকাল ১০:০৮

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়।+++্

১৯ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:৩২

মোঃমোজাম হক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই

১১| ২০ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:৪৭

ইয়ার শরীফ বলেছেন: বরাবরের মত আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো।
আমি কিন্তু সময় পেলে আপনার পুরনো পোস্ট গুলোও পড়ি।

ভালো থাকবেন।

২১ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪

মোঃমোজাম হক বলেছেন: আপনার মতো একজন পাঠক পেয়ে ভাল লাগলো।ভাল থাকবেন।
ধন্যবাদ

১২| ২২ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:১৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: এতো সৌন্দয্যের মাঝেও থাকে কাঁটা।। বুঝে নিয়েছেন??
আমরা যা আছি তাই থাকবো।। ধনী-গরীবের পার্থক্য যে এখানেই।। ধন্যবাদ।।

২৩ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:০৯

মোঃমোজাম হক বলেছেন: এখানএ ধনী-গরীবের কিছু বূঝতে পারলামনা।
অনুরোধ রইলো আরেকদিন বুঝিয়ে দিবেন ;)

আপনাকেও ধন্যবাদ

১৩| ২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:৫৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমাদের দেশের কথা ভেবে দেখুন।। কোনো খরচ ছাড়াই সবুজ আর নদী-খালের ছড়াছড়ি।। সুন্দরবন,আর বৃহত্তম সী বিচ এদেশেই।। ওরা টাকা দিয়ে এসব বানায়।। আপনিতো জানেনই এক একটা গাছের পিছনে কত খরচ হয়।। ওরা খরচ করে সৌন্দর্য বানায় আর আমরা খোদাপ্রদত্ত সৌন্দর্যকে নষ্ট করি,তার মর্ম না বুঝে।। এটাই বুঝাতে চেয়েছি,আর কিছু না।। ধন্যবাদ

২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ৩:০৬

মোঃমোজাম হক বলেছেন: হুম বুজলাম এখন।
কিন্তু আবহা শহরের কথা ভিন্ন।এখানে আল্লাহ প্রদত্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।তাইতো না শেয়ার করে পারছিনা।

আপনাকে আবারো ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.