![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৭১ এর ৬ দফা বর্তমানে ৬ হাজার দফায় রুপ নিয়েছে, ৬দফা নিয়েই বাংলাদেশীরা গর্জে উঠেছিলো ৭১ সালে দলমত নির্বিশেষে একে অপরকে ভাই মনে করে, আর এই ১৭ তে বাংলাদেশীরা না পাওয়ার যন্ত্রণার হাজার দফা থাকার পরও গর্জে উঠতে পারেনা, এটা বিলিভ করতে চায়না আমার মন। একটা কথা আছে - অশ্র জমা দিছি কিন্তু প্রশিক্ষণ ভুলি নাই। বর্তমানের বাংলাদেশীদের দেখলে মনে হয়- তারা প্রশিক্ষন ও ভুলে গেছে, তাইতো হাজার দফা থাকার পরও এক হতে পারেনা, যেখানে ৭১ এ ৬ দফাতেই পৃথিবী কাঁপিয়ে দিয়েছিলো সকলে মিলে।
আমার আইডল হলো পৃথিবীর সকল মুক্তিকামী লিডাররা, তার মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমান অন্যতম আইডল আমার, তিনি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে গিয়ছিলেন - অতীত নিয়ে পরে থেকোনা, বর্তমান প্রেক্ষাপটে মুক্তি পেতে শেখো, তাইতো তিনি ৭০ এর প্রেক্ষাপটে তখনকার মানুষ কে মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন। ৬৮ হাজার গ্রামের সকল অপরাধের দোশ তিনি তখনকার প্রধানমমন্ত্রীর উপর দিয়ে বাংলাদেশীদের কে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছিলেন - যার পরিচালনায় যখন দেশ চলবে, তখনকার সকল নির্যাতনের দায় তার কাধেই পরবে,তাইতো তিনি সাহস করে সকল অপরাধের দায় তখনকার প্রধানমন্ত্রীর উপর ঝেরে ছিলেন।
একটা কথা মনে রাখবা সবাই, যূগ কখনো মানুষের সাথে তাল মিলায়না, বরং মানুষী সবসময় তার যূগের সাথে তাল মিলায়। আগেকার পায়ের গোরার ঢোলা পেন্ট এখনকার প্রেক্ষাপটে খায়না। অতীতের মুক্তির কথা বলে আমরা বর্তমানেই ফেশে আছি হাজার দফায়। ব্যাপারটা অনেক খেএে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো। ৩০লাখ শহীদ নিয়া আলোচনার ফাকে ৬০ জন আর্মি খুন হয় তাহলে আলোচনার ফায়দা থাকে কই? আমার কাছে জনগন হলো, ফুটবল খেলার গোলকিপারের মতো, পেলে, মেরাডোনা,জিদান কেমনে গোল দিছে ঐটা সপ্নে দেখতে গিয়া যদি বার ছাইরা ঘুমাইয়া পরি তাহলেতো লেংটা পোলাপান ও তো গোল দিবো গনহারে।
জনগন চাইলেও কিছু পারেনা, আর সরকার চাইলে জনগনের উপর সব চাপাইতে পারে বিনা শর্তে।
এখন সাধীনতা নিয়ে কিছু কথা বলি, শুনলে বর্তমানের শাসকরা হজম করতে পারবেননা।
যে রিকশাচালক, হকার,দিন মজুর, এরা সাধীন নাকি যারা অফিসে বসে হেগোরে দাবরায় তারা সাধীন? প্রজারা বলে রাজারা সাধীন, আর রাজারা বলে প্রজারা সাধীন, রাজারা চলে মাগনা জীপ গাড়িতে গরীবগো ধমক দিয়া রাস্তা থেকে ফালাইয়া দিয়া পুলিশ প্রোটোকল নিয়া, আর ধমক ও লাথি, বারি খাওয়ারা হলো প্রজা, যারা রিকশা,ভেন টানে, হকার, লোকাল বাসের যাএী, তারাই ভেট দেয়, আর রাজারা ভেট,ভোট ২টাই খায় , এখন আপনি বলেন কে সাধীন?
৭০ সালে আওয়ামীলীগ, বি এন পি, জামাত, জাতীয় পার্টি সহ এতো রাজনীতিগত ভেদাভেদ থাকলে আমরা জীবনেও সাধীনতা পেতাম না।
৭০ সালে বাংলাদেশে মাদক ( ইয়াবা, ফেনসিডিল, পেথ, মদ,গাজা, হিরোইন) থাকলে, বাংলাদেশীরা জীবনেও খনিকের ও মুক্তি পেতোনা, কারন যূবক রা থাকতো সব নেশায় বোধ,যুদ্ধ করতো কারা?
৭০ সালে বাংলাদেশে ফরমালিন,পিজার্ভেটিভ থাকলে সাধীনতা আসতোনা জীবনেও, কারন, সবাই রোগ নিয়া হাসপাতালে দৌরাইতো,বিদেশে দৌরাইতো, যুদ্ধ করতো কখন?
৭০ সালে বাংলাদেশে এনজিও থাকলে আমরা জীবনেও সাধীনতা পেতামনা, কারন সবাই টেনশনে থাকতো- কেমনে লোন পরিশোধ করবো,যুদ্ধ করতো কখন?
৭০ সালে বাংলাদেশে smart phone,Internet থাকলে ও আমরা সাধীনতা পেতামনা কখনোই,কারন সবাই অনলাইন আসক্ত থাকতো, গেমিং আসক্ত থাকতো, পর্ন আসক্ত থাকতো, fb,y-tube আসক্ত থাকতো, এরপর যুদ্ধ করতো কখন?
৭০ সালে বর্তমানের মতো কাগজের তৈরী সার্টিফিকেট নামের যোগ্যতা পাবার জন্য এতো পাগল থাকতো তাহলে জীবনেও সাধীনতা আসতোনা, সবার বাবা-মা বলতো - পড়ালেখা আগে, তারপর সব, তাহলে যুদ্ধ করতো কখন?
এবার বলি ৭১ সালের ছয় দফার বাস্তবায়ন হয়নি কখনো, বরং আরো ৬ হাজার দফা যোগ হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশীদের কপালে।
প্রস্তাব - ১ :
শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি:
দেশের শাসনতান্ত্রিক কাঠামো এমনি হতে হবে যেখানে পাকিস্তান হবে একটি ফেডারেশনভিত্তিক রাষ্ট্রসংঘ এবং তার ভিত্তি হবে লাহোর প্রস্তাব। সরকার হবে পার্লামেন্টারী ধরনের। আইন পরিষদের (Legislatures) ক্ষমতা হবে সার্বভৌম। এবং এই পরিষদও শা হবে সার্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত্তিতে জনসাধারনের জসরাসরি ভোটে।
[ বর্তমানে দেশে যে সবার ভোট নেয়না শাসকরা এটা ১৭ কোটিই জানে, এখানে ৬দফা ভংগ হয়েছে, দফায় বলা হয়েছিলো সার্বজনীন ও সরাসরি ভোট,৯/৬ করে লামছাম ভোটের কথা দফায় নাই ]
প্রস্তাব - ২ :
কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা:
কেন্দ্রীয় (ফেডারেল) সরকারের ক্ষমতা কেবল মাত্র দু'টি ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে- যথা, দেশরক্ষা ও বৈদেশিক নীতি। অবশিষ্ট সকল বিষয়ে অঙ্গ-রাষ্ট্রগুলির ক্ষমতা থাকবে নিরঙ্কুশ।
[আর বর্তমানে সবচেয়ে বেশী খমতা খাটানো হয় গরীব বাংলাদেশীদের উপর, সবাই তো দেখেন কেমনে বাস বাইরানো হয়, রিকশাচালক কে দাবরানো হয়,হকার উচ্ছেদ করা হয়, সরকার খমতা খাটায়, সরকারি লোকে খাটায়, পুলিশ খাটায়, রেব, ডিবি, আনসার, ভ্রাম্যমাণ আদালত, ইত্যাদি ইত্যাদি, এই হলো ২য় দফা ]
প্রস্তাব - ৩ :
মুদ্রা বা অর্থ-সমন্ধীয় ক্ষমতা:
মুদ্রার ব্যাপারে নিম্নলিখিত দু'টির যে কোন একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা চলতে পারেঃ-
(ক) সমগ্র দেশের জন্যে দু'টি পৃথক, অথচ অবাধে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা চালু থাকবে।
অথবা
(খ)বর্তমান নিয়মে সমগ্র দেশের জন্যে কেবল মাত্র একটি মুদ্রাই চালু থাকতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে শাসনতন্ত্রে এমন ফলপ্রসূ ব্যবস্থা রাখতে হবে যাতে করে পূর্ব-পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে মূলধন পাচারের পথ বন্ধ হয়। এক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পৃথক ব্যাংকিং রিজার্ভেরও পত্তন করতে হবে এবং পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পৃথক আর্থিক বা অর্থবিষয়ক নীতি প্রবর্তন করতে হবে।
[কয়দিন আগেই কিন্তু পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশের বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থটেকে ৮০০ কোটি টাকা হরিলুট হয়েছে, এই জন্য কি এ দফা হয়েছিলো নাকি হে ভোটার? ৭১ এর পর থেকে সরকারি হিসেবে সুইচ ব্যাংকে পাচার হয়েছে ৪৫হাজার কোটি ডলার,এই টাকাটা কিন্তু সকল ভোটারের,আমগোরে রাজনীতি শিখাইয়া ২ জনে খায় খালি। বেসরকারি হিসাব তো আরো বেশী,যেটা ভোটাররা জানলে হজম করতে পারবেনা, বর্তমান পাকিস্তানের নওয়াজ শরীফের টাকা ও গেছে সুইচ এ, এই দেশের টাকাও যায় সইচ এ,ঐখানে ২দেশের টাকার বিবাহ হয় মনে হয়, সরাসরি খাওয়া থেকে ঘূরাইয়া খাওয়ার মজাই আলাদা, এই দফার মর্ম ও বাংলাদেশীরা পেলোনা, খালি শুনেই গেলো ]
প্রস্তাব - ৪ :
রাজস্ব, কর, বা শুল্ক সম্বন্ধীয় ক্ষমতা:
ফেডারেশনের অঙ্গরাজ্যগুলির কর বা শুল্ক ধার্যের ব্যাপারে সার্বভৌম ক্ষমতা থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকারের কোনরূপ কর ধার্যের ক্ষমতা থাকবে না। তবে প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের জন্য অঙ্গ-রাষ্ট্রীয় রাজস্বের একটি অংশ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাপ্য হবে। অঙ্গরাষ্ট্রগুলির সবরকমের করের শতকরা একই হারে আদায়কৃত অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল গঠিত হবে।
[ ১টাকার চকলেট তেকে শরু করে কোটি টাকার গাড়ি সব করের আওতায়, বাংলাদশীরা বছরে ১ কোটি কেটাগরিতে ভেট দেয়, আরো বারবে কয়দিন পরে, বারলে দফা দিয়ে লাভ কি হলো? ]
প্রস্তাব - ৫ :
বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা:
(ক) ফেডারেশনভুক্ত প্রতিটি রাজ্যের বহির্বাণিজ্যের পৃথক পৃথক হিসাব রক্ষা করতে হবে।
(খ) বহির্বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা অঙ্গরাজ্যগুলির এখতিয়ারাধীন থাকবে।
(গ) কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা সমান হারে অথবা সর্বসম্মত কোন হারে অঙ্গরাষ্ট্রগুলিই মিটাবে।
(ঘ) অঙ্গ-রাষ্ট্রগুলির মধ্যে দেশজ দ্রব্য চলাচলের ক্ষেত্রে শুল্ক বা করজাতীয় কোন রকম বাধা-নিষেধ থাকবে না।
(ঙ) শাসনতন্ত্রে অঙ্গরাষ্ট্রগুলিকে বিদেশে নিজ নিজ বানিজ্যিক প্রতিনিধি প্রেরণ এবং স্ব-স্বার্থে বানিজ্যিক চুক্তি সম্পাদনের ক্ষমতা দিতে হবে।
[ দেশজ পন্যের কর আছে কি দেশে হে ভোটার? করের দরকার কি রোডে রোডে মোরে মোরে চাদাবাজি করলে পোশাক পরা লোকে? সরকার বিদেশে যেই ব্যাবসা করে ঐ টার হিসাব তো পাইছে বলে মনেহয়না কোনকালে, না পাইলে পাকি আমলি কি ও এই আমলি কি হে জনতা ]
প্রস্তাব - ৬ :
আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা:
আঞ্চলিক সংহতি ও শাসনতন্ত্র রক্ষার জন্য শাসনতন্ত্রে অঙ্গ-রাষ্ট্রগুলিকে স্বীয় কর্তৃত্বাধীনে আধা সামরিক বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠন ও রাখার ক্ষমতা দিতে হবে।[২]
[ আমরা বাড়ি তে দারোয়ান রাখার এখতিয়ার পাইছি নিরাপত্তা কর্মী থাকার পরও,এর থেকে বড় পাওয়ার কি আছে ]
যেই ৬ দফা তখন দিয়েছিলাম,এই ৬দফাই আমাদের এখনো বুঝিয়ে দিতে পারেনি কেও, বরং আরো ৬ হাজার দফার নিচে চাপা পরে গেছি আমরা।
২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
১৯৭০ সালে, বাংগালীদের পক্ষে যা বলা হয়েছে, সেটাই জাতি লুফে নিয়েছে; সেজন্যই মধুর ক্যান্টিনের লোকজন নেতা হয়ে গেছে।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১১
আমি তনুর ভাই বলেছেন: ♦
|
৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৯
আমি তনুর ভাই বলেছেন: ঐ নেতারাই তো বাংলাদেশটারে এখন মধূর ক্যানটিন বানাইয়া ফেলসে চাদগাজী ভাই, তাইতো মন চাইলেই ডিম পোজ দিয়া ডিম ভাজি খায় ক্যানটিন এ।
৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৬
টেকনাফ টু তেতুলিয়া বলেছেন:
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১২
আমি তনুর ভাই বলেছেন: we need a leader, not education, best of luck
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৮
আমি তনুর ভাই বলেছেন: