| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
    
ভোটটাই হলো কেবল একমাত্র মাধ্যম নেতাকে কিছু দিয়ে তার কাছ থেকে কিছু নেওয়া,  সবাই জানি, কিছু দেওয়া ছারা কিছুই পাওয়া যায়না।  নেতার দরকার ভোট,  আর আমাদের দরকার, নিজ এলাকার সমস্যাগুলার সমাধান নিয়ে নেওয়া নেতার কাছ থেকে। 
ভোট বিষয়টা হলো টাকা ধার দেওয়া ----- 
কাওকে টাকা ধার দিলে সে যদি ফেরত না দেয় তাহলে রাগবে সবাই ,  ভোট দেওয়া ও এমনি কিছু, যাকে দিবেন তার কাছ থেকে সেবা পাওয়া মানেই ধার শোধ হওয়া। 
কিছু পরামর্শ আপনার নিজ ভোট বিষয়ে -----
আপনি জাতীয় কোন নাগরিক না হয়ে থাকেন, তাহলে দয়া করে কখনোই নিজেকে ছারা অন্য কারো বিষয় নিয়ে মাথা ঘামবেননা,  কখনোই আপনার মূল্যবান ভোটটা জাতীয় কোন ইশুতে দিয়ে দিবেননা, সবসময় নিজ এলাকার ইশুর পক্ষে ও বিপক্ষে ভোট দিবেন, তাহলেই আপনার নিজ এলাকাটা আপনার মনের মতো হবে আশা করি। 
আরো একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন,  শেখ সাহেব ও জিয়া -তারা কেওই আমাদের মাঝে আর নেই, তাদের ছবি ব্যবহার করে যারা ভোট চাবে, তারা তাদের মতো নাও হতে পারে,  যে যার ছবি ব্যবহার করবে ভোটের আগে ভোটারদের কে আই ওয়াশ দেওয়ার জন্য, দয়াকরে সবাই নিজের বিবেক দিয়ে বিবেচনা করে দেখবেন,  ছবির চলে যাওয়া নেতার সাথে তার সমাজ সেবার কতটুকু মিল আছে,কর্মের,চরিএের, সাহসিকতার কতটুকু মিল আছে। এটা না দেখে কেও ভোট দিবেননা।  কারন বর্তমান আমলে দেখা যায়,  হুজুরের ছেলে অনেক খেএে খারাপ হয়ে যায় আবার অনেক খারাপ লোকের ছেলে হুজুর হয়ে যায়,  সুতরাং - মহান নেতাদের ছবি ব্যবহার করলেই কি সবাই মহান নেতা হয়ে যায়???  শেখ সাহেব ও জিয়া ও ভাষানী, তারা কে কার ছবি নিজের ছবির পিছনে লাগিয়ে নেতা হয়েছিলেন বলেন?  তারা নিজ কর্মের বলেই নেতা হয়েছিলেন। ভোটটা দিবেন আগামী ৫ বছরের জন্য নেতাকে, ৫ বছরে আপনার কি কি সমস্যা হতে পারে!  সমস্যা হলে কি নেতা সমাধান দিতে পারবেন!  নাকি সংসদ নিয়েই Busy থাকবেন!  তাহলে কেনইবা দিবেন ৫ বছরের জন্য নিজের মূল্যবান মতটা কাপুরুষ কে?   
    
নিজের ভোটটা এমনি এমনি দেওয়ার আগে আরো একটু ভাববেন -------- 
যাকে ভোটটা দিবেন সে যাতে এমপি, মন্ত্রী হবার পরে আপনাকে নিয়ে কানামাছি খেলতে না পারে, এটা আগেই শিওর হয়ে নিবেন দয়া করে,  একটা সমস্যায় পরে তার কাছে গেলে যাতে সে ভাব না নেয়, ভাব নেওয়া মানে বিয়ে করা বউকে দিয়ে যা খুশি তাই করানো। ভোট নেওয়ার লোভে বলে, সব আমি সমাধান করে দিবো,  পরে তার কাছে গেলে বলে - এতে আমার কোন হাত নাই, এটা কমিশনারের হাতে বা চেয়ারম্যানের হাতে,  ডিসি, এসপির হাতে,  আবার অনেক নেতা বাচার জন্য বলে,  বিরোধী দলের সাথে মিশলে এমন হবেই, তখন আপনি নিজেকে অসহায় ভাবার আগেই ভেবে নিন কাকে দিবেন ভোট। আপনি যাকে ভোট দিবেন,  যেই মার্কায় দিবেন, সেই মার্কা যদি খমতায় থাকে, এরপর ও যদি কেও আপনাকে বলে তুই বিরোধী,  এটা কখনোই মেনে নিবেননা , কারন, কাপুরুষ টা নিজের অক্ষমতা ঢাকতেই আপনাকে আজেবাজ বলবে।
  মনে রাখবেন - ১৭ কোটির মধ্যে - এই দল, সেই দল, ঐ দল করা লোকের সংখা কেবলই ৩ কোটি, বাকী ১৪ কোটিই হলো কেবল নাগরিক,  তারা এদিককার ও না ঐদিককারও না। তাদের কে নিয়ে পায়তারা করলেই বুজবেন, লোকটা দেশের ও নিরপেক্ষ নাগরিকদের বিরাট শত্রু ।  
 
       
আরো মনে রাখবেন, আপনিও একজন ভোটার,  আপনার অধিকার আছে সকল বিষেয়ে ---- 
আপনার ভোট দেওয়া মানে,  আগামী ৫ বছর দেশে যা কিছু হবে, যে উপায়ে হবে, যার দারা হবে, দূর্নিতী হলে, লুটপাট, নতুন আইন চাপানো নিজের উপর,যতো খুন,  ধর্ষন সব কিছুতেই আপনার মত আছে, কারন আপনি নিজেই ৫ বছরের জন্য পরিচালনা করার দায়িত্ব দিয়ে দিছেন আগেই।  এই শত শত, লাখ লাখ, কোটি কোটি বিষয়ে আপনার আলাদা আলাদা মত দেওয়ার কোন অধীকার নাই,  তখন মত দিতে গেলে - যাকে ভোট দিছেন, তার নিরব ইশারায় তার পুলিশ আপনাকে পেঁদানি দিবে।  সুতরাং আগে থেকেই সাবধান হয়ে,  বিবেচনা করে দেখেন,  নিজ এলাকাতে কাকে ভোট দিলে আপনার নিজের লাভ হবে।  দয়া করে কেও ধোকা খাবেননা আপনার নিজ মালিকানাধীন ভোটের বিনিময়ে
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮  রাত ১২:২২
শাহিন বিন রফিক বলেছেন: ভাল লাগল আপনার লেখা। আসলে বঙ্গবন্ধু ও জিয়ার ছবি পোস্টারে ব্যাবহার বন্ধ করা উচিত।