নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

I\'m very simple Bangladeshi Citizen. Making the world a better place Taking action, getting Results with resolve You want great results, wants great resolve You will find more change with for (Office) than in your pocket

আমি তনুর ভাই

Bangladeshi Citizen

আমি তনুর ভাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

৭ই মার্চের ভাষন আমাকে শিখিয়েছে প্রেক্ষাপট বুজতে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:০০



 ১ ভাইয়েরা আমার, 
♥[ দল-মত, ধনী-গরীব,মত-ভিন্নমত,  রাজনীতি দলভেদ, ধর্ম-বর্নের সকল বাংলাদেশী ৭ কোটি মানুষ ও তার নতুন প্রজন্মরা (১৭কোটি)  ] ♥

২- আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আপনারা সবই জানেন এবং বোঝেন। আমরা আমাদের জীবন দিয়ে চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, রংপুরে আমার ভাইয়ের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে। আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ তার অধিকার চায়। কী অন্যায় করেছিলাম? নির্বাচনের পরে বাংলাদেশের মানুষ সম্পূর্ণভাবে আমাকে, আওয়ামীলীগকে ভোট দেন।

♥[ ৭ কোটি যেমন ভাবে সবি জানতো ও বুজতো খমতা লোভীদের খমতা ও বন্দুকের সামনে নিরুপায় হয়ে, ১৭ কোটি ও তেমনি সব জানেন ও বুঝেন, জীবন বাজি রেখে অন্নাইয়ের বিরুদ্ধে লড়তে হবে সবসময় নির্যাতীতদের সাথে থেকে,নির্যাতনকারীদের সাথে থেকে নয়, যাতে একজন বাংলাদেশীর রক্ত ও রাজপথে না ঝরে যে কোন সময় সে যেই দলেরি হোক বা সরকারি লোকি হোক বা নিরপেক্ষ বা যেই ধর্মেরি হোক,যেই শ্রেণীরী হোকা কেনো। এবং যারা মুক্তি চাবে - তাদের সাথেই থাকতে হবে।  ও সবসময় সকল বাংলাদেশীদের ভোট নিতে হবে খমতায় যেতে চাইলে,কাওকে বাদ দেওয়া যাবেনা, কারন - সংখা যতোই হোক ৭ কোটির বংশধরি তারা। ] ♥

৩- আমাদের ন্যাশনাল এসেম্বলি বসবে, আমরা সেখানে শাসনতন্ত্র তৈয়ার করবো এবং এই দেশকে আমরা গড়ে তুলবো। এদেশের মানুষ অর্থণৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক মুক্তি পাবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় ২৩ বৎসরের করুণ ইতিহাস, বাংলার  অত্যাচারের,  বাংলার মানুষের রক্তের ইতিহাস। ২৩বৎসরের ইতিহাস মুমূর্ষু নর-নারীর আর্তনাদের ইতিহাস। বাংলার ইতিহাস-এদেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস।

♥[ দেশে যেই সকল বিষয়ের অভাব থাকবে, সেটা থেকে বাহির হবার পথ খুজতে হবে। কারন - তিনি তার ভাষনে বলছেন খমতায় যাবার আগেই "" আমরা করবো" এটার মানে Future tense,  এবং সবসময় অতীতের ২৩ বছরের ইতিহাস ঘাটলেই সমাজের অবস্তহা জানা যাবে বিনা কারনে কত জনের রক্ত ঝরেছে, যদি কেও মুক্তি চায় তাকে সহযোগিতা করতে হবে, তাকে শত্রু মনে করা যাবেনা, কারন পাকিস্তানিরা ও মুক্তি কামীদের শত্রু ভাবতো , বন্ধু সূলভ আচরন দিয়ে তার সমাধান দিতে হবে ] ♥

৪- ১৯৫২ সালে রক্ত দিয়েছি। ১৯৫৪ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করেও আমরা গদিতে বসতে পারি নাই। ১৯৫৮ সালে আয়ুব খান মার্শাল ল’ জারি করে ১০ বছর পর্যন্ত আমাদের গোলাম করে রেখেছে। ১৯৬৬ সালে ৬দফা আন্দোলনে ৭ই জুনে আমার ছেলেদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ১৯৬৯ এর আন্দোলনে আইয়ুব খানের পতন হওয়ার পরে যখন ইয়াহিয়া খান সাহেব সরকার নিলেন, তিনি বললেন, দেশে শাসনতন্ত্র দেবেন, গনতন্ত্র দেবেন - আমরা মেনে নিলাম। তারপরে অনেক ইতিহাস হয়ে গেলো, নির্বাচন হলো।  

♥[  যাতে আর কোন বাংলাদেশীদের কোন দাবিতে রক্ত দিতে না হয়, খমতায় যাওয়ার চেষ্টা করাই হলো বাংলাদেশীদের ইতিহাস,  নাগরিকদের কোন বাহিনী দিয়ে আইন ব্যাবহার করে জুলুম করলে তার পতন ঘটাতে হবে,  নতুন কেও খমতা পেলে খেয়াল রাখতে হবে, যা দেবার কথা সেটা দিতে পারছে কিনা ]  ♥

৫- আপনারা জানেন। দোষ কী আমাদের? আজকে আমি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সাহেবের সাথে দেখা করেছি আপনারা জানেন - আলাপ আলোচনা করেছি। আমি শুধু বাংলা নয় - পাকিস্তানের মেজরিটি পার্টির নেতা হিসেবে তাকে অনুরোধ করলাম ১৫ ফেব্রুয়ারি তারিখে আপনি জাতীয় পরিষদের অধিবেশন দেন। তিনি আমার কথা রাখলেন না। তিনি রাখলেন ভুট্টো সাহেবের কথা। তিনি বললেন, প্রথম সপ্তাহে মার্চ মাসে হবে। তিনি মাইনে (মেনে) নিলেন। আমরা বললাম, ঠিক আছে, আমরা এসেম্বলিতে বসবো। আমরা আলোচনা করব। আমি বললাম, বক্তৃতার মধ্যে, এসেম্বলির মধ্যে আলোচনা করবো- এমনকি আমি এ পর্যন্তও বললাম, যদি কেউ ন্যায্য কথা বলে, আমরা সংখ্যায় বেশি হলেও একজন যদিও সে হয়, তার ন্যায্য কথা আমরা মেনে নেব। জনাব ভুট্টো সাহেব এখানে এসেছিলেন, আলোচনা করলেন, বলে গেলেন যে আলোচনার দরজা বন্ধ না, আরও আলোচনা হবে। তারপরে অন্যান্য নেত্রীবৃন্দের সঙ্গে আলাপ করলাম। আপনারা আসুন,বসি। আমরা আলাপ করে শাসনতন্ত্র তৈয়ার করি। তিনি বললেন, পশ্চিম পাকিস্তানের মেম্বাররা যদি এখানে আসে তাহলে কসাইখানা হবে এসেম্বলি। তিনি বললেন যে যাবে তাকে মেরে ফেলা দেয়া হবে। যদি কেউ এসেম্বলিতে আসে তাহলে পেশোয়ার থেকে করাচি পর্যন্ত দোকান জোর করে বন্ধ করা হবে। তার পরেও যদি কেউ আসে তাকে ছান্নাছাড় করা হবে। আমি বললাম, এসেম্বলি চলবে। তারপরে হঠাৎ ১ তারিখে এসেম্বলি বন্ধ করে দেওয়া হলো।

♥[  পার্লামেন্ট মেম্বার হবার পর ও যদি কোন মানুষের দাবি আদায়ে অন্য মেম্বারদের সাথে লড়তে হয়, তবে লড়তে হবে, পিছপা হওয়া যাবেনা, এটাই শেখ মুজিবের সবচেয়ে বড় আদর্শ। খমতাশীলরা ভয় দেখাবে, ভয় পাবেননা, জোর করা মানে পাকিস্তানিদের সভাব, তার জীবনী ঘাটলে দেখা যায়,তিনি অন্ধ রাজনীতি করতেননা, যেমন - তিনি যেই গভর্নমেন্টের সাংসদ ছিলেন ঐ গভর্নমেন্টের নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়েছেন, নিজ দল ভালো করলে ভালো বলা ও খারাপ করলে হুশিয়ার করাটাই হলো সঠিক লিডারের কাজ, এটাই তার আরেক আদর্শ,  ] ♥

৬- ইয়াহিয়া খান সাহেব প্রেসিডেন্ট হিসেবে এসেম্বলি ডেকেছিলেন। আমি বললাম যে আমি যাবো। ভুট্টো সাহেব বললেন তিনি যাবেন না। ৩৫ জন সদস্য পশ্চিম পাকিস্তানের থেকে এখানে আসলেন। তারপরে হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হল। দোষ দেওয়া হল বাংলার মানুষকে। দোষ দেওয়া হল আমাকে। বন্ধ করে দেয়ার পরে এদেশের মানুষ প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠলো। আমি বললাম শান্তিপূর্নভাবে আপনারা হরতাল পালন করেন। আমি বললাম, আপনারা কলকারখানা সব কিছু বন্ধ করে দেন। জনগণ সাড়া দিলো। আপন ইচ্ছায় জনগণ রাস্তায় বেরিয়ে পড়ল। তারা শান্তিপূর্নভাবে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হল।  

♥[ বাংলাদেশীদের দাবি আদায়ের জন্য শেখ মুজিব পাকিস্তান সরকারের কাছে তাদের বিরোধী হয়েছিলেন,  মানে যারা  খমতার বাহিরে থাকবে, তাদের কে দোশ দেওয়া মানে বাংলাদেশীদেরকেই দোশ দেওয়া। খমতার দাপটের বিরুদ্ধে হরতাল করা হলো বাংলাদেশীদের অধীকার, এটা যে কোন সময় হতে পারে, কেও প্রতিবাদ করলে তাকে গুলি করাও হলো পাকিস্তানীদের সভাব,  সবসময় মনে রাখতে হবে - শেখ মুজিব সাহেব ও ২৪ টা বছর সরকারের বিরোধী ছিলেন, বিরোধীদের কথা, দাবি নমনীয় ভাবে দেখতে হবে,  কঠিন ভাবেই দেখা হলো পাকিস্তানীদের সভাব ]  ♥

৭- কী পেলাম আমরা? যা আমার পয়সা দিয়ে অস্ত্র কিনেছি বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য, আজ সেই অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে আমার দেশের গরীব-দুঃখী নিরস্ত্র মানুষের বিরুদ্ধে- তার বুকের ওপরে হচ্ছে গুলি। আমরা পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু- আমরা পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু - আমরা বাঙালীরা যখনই ক্ষমতায় যাবার চেষ্টা করেছি যখনই এদেশের মালিক হবার চেষ্টা করেছি - তখনই তারা আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। তারা আমাদের ভাই। আমি বলেছি তাদের কাছে একথা। যে আপনারা কেন আপনার ভাইয়ের বুকে গুলি মারবেন? আপনাদের রাখা হয়েছে যদি বহিঃশত্রু আক্রমণ করে তার থেকে দেশটাকে রক্ষা করার জন্য। তারপরে উনি বললেন - যে আমার নামে উনি বলেছেন আমি নাকি স্বীকার করেছি যে ১০ তারিখে রাউন্ড টেবিল কনফারেন্স হবে। আমি উনাকে একথা বলে দিবার চাই - আমি তাকে তা বলি নাই। টেলিফোনে আমার সঙ্গে তার কথা হয়। তাকে আমি বলেছিলাম, জেনারেল ইয়াহিয়া খান সাহেব, আপনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, দেখে যান, ঢাকায় আসেন, কিভাবে আমার গরীবের ওপরে, আমার বাংলার মানুষের বুকের ওপর গুলি করা হয়েছে। 

♥[ জনগনের টাকায় কেনা অশ্র হলো অন্য দেশের আঘাত থেকে বাচার জন্য, সেই অস্র কখনোই অস্রহীনদে উপর ব্যবহার করার জন্য নয়, ভোটাররাই হলো সকল খমতার সংখা গুরু, যে কোন বাংলাদেশীই খমতায় যাবার চেষ্টা করতে পারবে, দেশের মালিক হবার চেষ্টা করতে পারবে, তখন যদি পলিশ কোন বাংলাদেশীর উপর ঝাপিয়ে পরে তখন বুজতে হবে এটা নির্যাতন, এবং পুলিশ ও হলো সকলের ভাই,চাকরি বাচাতে গেলে যদি নিজের ভাইকেই গুলি করতে হয়, লাঠি দিয়ে পিটাতে হয় তারি কিনে দেওয়া বন্দুক দিয়ে, এটা কেমন চাকরী নিজ ভাইকে খুন করতে হয় সৃস্টিকর্তার দিকে তাকিয়ে, আকাশের দিকে তাকিয়ে একটু ভাবুন ঠিক কাজ করছেন কিনা, সকল পুলিশেরি ছোট - বড় ভাই আছে, ভাইয়ের পরামর্শ নেয়া খারাপ কিছুনা ] ♥

৮ - কী করে আমার মায়ের কোল খালি করা হয়েছে, কী করে মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, আপনি আসুন, দেখুন, বিচার করুন। তার পরে আপনি ঠিক করুন - আমি এই কথা বলেছিলাম। আমি তো অনেক আগেই বলেছি কিসের আর টি সি? কার সঙ্গে বসবো? যারা আমার মানুষের বুকের রক্ত নিয়েছে, তাদের সঙ্গে বসব? হঠাৎ আমার সঙ্গে পরামর্শ না করে, বা আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে, ৫ ঘণ্টা গোপনে বৈঠক করে যে বক্তৃতা তিনি করেছেন এবং যে বক্তৃতা করে এসেম্বলি করেছেন- সমস্ত দোষ তিনি আমার উপরে দিয়েছেন - বাংলার মানুষের উপরে দিয়েছেন।  

♥[ কোন মায়ের কোল খালি করা যাবেনা যে কোন যূগেই হোক, একজনের মা কেই বাংলাদেশীদের মা মনে করতে হবে ] ♥

৯-- আমি পরিষ্কার মিটিংএ বলেছি যে এবারের সংগ্রাম আমার মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। ভায়েরা আমার, ২৫ তারিখে এসেম্বলি কল করেছে। রক্তের দাগ শুকায় নাই। আমি ১০ তারিখে বলে দিয়েছি, যে ওই শহীদের রক্তের ওপর পাড়া দিয়ে আরটিসিতে মুজিবুর রহমান যোগদান করতে পারেনা। এসেম্বলি কল করেছেন, আমার দাবী মানতে হবে। প্রথম, সামরিক আইন- মার্শাল ল’ উইথড্র করতে হবে। সমস্ত সামরিক বাহিনীর লোকদের ব্যারাকে ফেরত দিতে হবে। যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তার তদন্ত করতে হবে। আর জনগণের প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তারপর বিবেচনা করে দেখবো, আমরা এসেম্বলিতে বসতে পারবো কি পারবো না। এর পূর্বে এসেম্বলিতে বসতে আমরা পারি না। জনগণ সে অধিকার আমাকে দেয় নাই। ভায়েরা আমার, তোমাদের আমার উপর বিশ্বাস আছে?

♥[ সংগ্রাম হলো সাধীন হবার পথ, এবং যারা খমতাশীলদের গুলিতে মারা যাবে তারা শহীদ, তাদের বেদনা ভুলার আগে খমতাশীলদের সাথে কোন আপস হবেনা,  জন প্রতিনিধীর খমতা দখল করা যাবেনা, ] ♥

আমি, আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না। আমরা এদেশের মানুষের অধিকার চাই। আমি পরিষ্কার অক্ষরে বলে দেবার চাই, আজ থেকে এই বাংলাদেশে কোর্টকাচারি, আদালত ফৌজদারি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিস্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। গরিবের যাতে কষ্ট না হয়, যাতে আমার মানুষ কষ্ট না করে, সেইজন্য সমস্ত অন্যান্য জিনিসগুলো আছে, সেগুলোর হরতাল কাল থেকে চলবে না। রিকশা ঘোড়াগাড়ি চলবে, রেল চলবে, লঞ্চ চলবে। শুধু সেক্রেটারিয়েট, সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট, জজকোর্ট, সেমিগভার্মেন্ট দপ্তরগুলো, ওয়াপদা কোন কিছু চলবেনা। ২৮ তারিখে কর্মচারিরা যেয়ে বেতন নিয়ে আসবেন। এরপরে যদি বেতন দেয়া না হয়,

১০--- আর যদি একটা গুলি চলে, আর যদি আমার লোককে হত্যা করা হয় তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল - প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে। এবং জীবনের তরে রাস্তাঘাট যা যা আছে সবকিছু - আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি, তোমরা বন্ধ করে দেবে। আমরা ভাতে মারবো। আমরা পানিতে মারবো। তোমরা আমার ভাই, তোমরা ব্যারাকে থাকো, কেউ তোমাদের কিছু বলবে না। কিন্তু আর আমার বুকের ওপর গুলি চালাবার চেষ্টা করো না। ভালো হবেনা। সাত কোটি মানুষকে দাবায়া রাখতে পারবা না। আমরা যখন মরতে শিখেছি তখন কেউ আমাদের দাবাতে পারবেনা।    

♥[ কোন বাংলাদেশী হত্যা করলে তার হয়ে প্রতিবাদ করতে হবে যে কোন সময়, লুকুচুরি করা যাবেনা, যে শত্রু তাকে মোকাবেলা করতেই হবে,  হুকুম দেওয়ার কেও না থাকলেও করতে হবে, ] ♥

১১--- আর যে সমস্ত লোক শহীদ হয়েছে, আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে, আমরা আওয়ামীলীগের থেকে যদ্দুর পারি তাদের সাহায্য করতে চেষ্টা করবো। যারা পারেন আমার রিলিফ কমিটিকে সামান্য টাকাপয়সা পৌঁছে দেবেন। আর এই ৭ দিন হরতালে যে সমস্ত শ্রমিক ভাইরা যোগদান করেছেন, প্রত্যেকটার শিল্পের মালিক তাদের বেতন পৌঁছায়ে দেবেন। সরকারী কর্মচারিদের বলি, আমি যা বলি তা মানতে হবে। যে পর্যন্ত আমার এই দেশের মুক্তি না হবে, খাজনা ট্যাক্স বন্ধ করে দেয়া হল, কেউ দেবেনা। শোনেন মনে রাখবেন, শত্রু বাহিনী ঢুকেছে, নিজেদের মধ্যে আত্মকলহ সৃষ্টি করবে। এই বাংলায় হিন্দু মুসলমান, বাঙালি-নন বাঙালি, যারা আছে তারা আমাদের ভাই, তাদের রক্ষার দায়িত্ব আমাদের উপরে। আমাদের যেন বদনাম না হয়। মনে রাখবেন রেডিও টেলিভিশনের কর্মচারিরা, যদি রেডিওতে আমাদের কথা না শোনে, তাহলে কোন বাঙালি রেডিও স্টেশনে যাবেননা। যদি টেলিভিশন আমাদের নিউজ না দেয়, কোন বাঙালি টেলিভিশনে যাবেননা। যদি টেলিভিশন আমাদের নিউজ না দেয়, কোন বাঙালি টেলিভিশনে যাবেন না। দুই ঘণ্টা ব্যাংক খোলা থাকবে, যাতে মানুষ তাদের মায়নাপত্র নেবার পারে। কিন্তু পূর্ববাংলা থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে এক পয়সাও চালান হতে পারবেনা। টেলিফোন টেলিগ্রাফ আমাদের এই পূর্ববাংলায় চলবে, এবং বিদেশের সঙ্গে নিউজ পাঠাতে হলে আপনারা চালাবেন। কিন্তু যদি এই দেশের মানুষকে খতম করার চেষ্টা করা হয়, বাঙালিরা বুঝেশুনে কাজ করবেন। 

তবে আমি অনুরোধ করছি - আপনারা আমাদের ভাই - আপনারা দেশকে একেবারে জাহান্নামে ধ্বংস করে দিয়েন না। জীবনে আর কোনোদিন আপনাদের মুখ দেখাদেখি হবেনা। যদি আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের ফয়সালা করতে পারি তাহলে অন্ততপক্ষে ভাই ভাই হিসেবে বাস করার সম্ভবনা আছে। সেইজন্য আপনাদের অনুরোধ করছি আমার এই দেশে আপনারা মিলিটারি শাসন চালাবার চেষ্টা আর করবেন না। দ্বিতীয় কথা - প্রত্যেক গ্রামে, প্রত্যেক মহল্লায় - প্রত্যেক ইউনিয়নে - প্রত্যেক সাবডিভিশনে - আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোল। এবং তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। মনে রাখবা রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেবো। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ।'

এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম জয় বাংলা।” '[৬]

'আপনারা আমার উপরে বিশ্বাস নিশ্চই রাখেন - জীবনে আমার রক্ত আপনাদের সঙ্গে বেইমানি করি নাই। প্রধানমন্ত্রীত্ব দিয়ে আমাকে নিতে পারেনাই। ফাঁসিকাষ্ঠে আসামী দিয়েও আমাকে নিতে পারেনাই। যে রক্ত দিয়ে আপনারা আমাকে একদিন জেলে থেক বাইর করে নিয়ে এসেছিলেন এই রেসকোর্স ময়দানে আমি বলেছিলাম - আমার রক্ত দিয়ে আমি  ঋণ শোধ করব - মনে আছে? আমি রক্ত দেবার জন্য প্রস্তুত। আমাদের মিটিং এইখানেই শেষ। আসসালামু আলাইকুম। জয় বাংলা।    

♥[  জনগনের থেকে দূরে সরাবার জন্য অনেক অফার দিবে, জেলে নিবে, ফাসি দিবে। প্রতি যূগে শত্রু তৈরী হয়, তাদের কে চিনতে হবে, শেখ মুজিব তার আমলের শত্রু থেকে মানুষ কে মুক্তি পেতে সহযোগীতা করেছিলেন, আপনি আপনার আমলের শত্রু থেকে মানুষ কে মুক্ত করে যান, এটা আপনাকে করতেই হবে,  শেখ মুজিব আর আপনি তো একি সময় দুনিয়াতে আসেননি, সে তার প্রেক্ষাপট অনুযায়ী করেছিলেন , আপনি আপনার প্রেক্ষাপট দেখবেন, ২জন কেই এক সৃস্টিকর্তা পাঠিয়েছেন সমান যোগ্যতা দিয়েই শুধু যূগ আলাদা, সে তার প্রেক্ষাপটে শত্রুর  মোকাবেলা করেছেন, আপনার টা আপনি করেন।
   

[ পুলিশ যাকে অযথা পারবে, এ খেএে খেয়াল রাখতে হবে,  যাকে মারছে যেই অশ্র দিয়ে, যেই পোশাক পরে, যেই ঘোড়া - হাতী বা যানবাহন ব্যবহার করে, যানবাহনের খরচ, অশ্রধারীর মাইনে বা অশ্র বা পোশাকটা তৈরীতে নির্যাতীত মানুষটার টাকার কোন অংশ আছে কিনা,  যদি থাকে, তাহলে তাকে মারা হারাম, দেশের যেই হাতিয়ার কিনায় আমার টাকা আছে, ঐ হাতিয়ার দারাই যদি আমাকে মারা হয় তবে বুজতে হবে নাপাক শাসক ও present শাসকের চরিএ একরকম দুর্বলদের বিরুদ্ধে, কেবল চেহারাটা আলাদা। একটু পিছনে গলেই দেখবেন,  পাকিস্তান আমলে  এই ভুমির আসল মালিকরাই ছিলো তাদের সংখা গুরু,  এবং এখনো ঐ আসল মালিকদের বংশধররাই অতীত- বর্তমান ও ভবিষ্যৎ গভর্নমেন্ট এর সংখা গুরু ছিলো, এখনো সংখাগুরু হয়ে আছে এবং আজীবন সংখাগুরু থাকবে যতোদিন এই সিস্টেম পরিচালনায় দুনিয়া চলবে,  কারন- পাকিস্তানীরাও ৪৭ থেকে ৭১ পর্জন্ত যেই কুরিয়ে পাওয়া বা ব্রিটিশদের থেকে পাওয়া আইন নামের বই নিয়ে এই ভুমি শাসন করেছিলো ঐ ফরমেটের আইন কানুন দিয়েই বর্তমানে চলছে এই ভূমি, ১৯৫২ সালে ভাষা সৈনিকদের দাবী না জানাতে দিবার জন্য যেই ধারা ব্যবহার করেছিলো,ঐদিনের পর থেকে তো এই ধারা যেকোন বাংলাদেশীর বিরুদ্ধে জারি করা উচিত না, বাংলাদেশী জাতীর পিতা যদি থাকতো তাহলে আমরা হয়তো আরো সঠিক দেশ পেতাম তার কাছ থেকে,  আজকে যেই নবজাতক দুনিয়ার আলো দেখলো, সে বড় হয়ে কোন অপরাধ করে ফেললে তাকে সেই ১৮৬০ সালের নিয়মে সাজা দেওয়া হবে এটা কেমন কথা!  তাহলে তো মনে হয় ১৬শ সালের আইনে বিচার হলে আরো সঠিক হতো, মানে যতো আগের ততো সঠিক,  মানুষ মানেই তো ভুল, ১৮৬০ একটা যূগ ছিলো,২০১৮ আরেকটা যূগ।  আর যূগ কখনো মানুষের সাথে তাল মিলায় না বরং মানুষী যূগের সাথে তাল মিলায় এটাই সাভাবিক। ১৮০০ সালে যেই মানুষ টা আইন লিখে গিয়েছিলো তার সৃস্টিকর্তা ও আমাদের সকলের সৃস্টিকর্তা এক, সবাই কে সমান ব্রেইন দিয়ে দুনিয়াতে পাঠানো হয়েছে, আইন বই লেখার পারমিশন কি একাই সৃস্টিকর্তার কাছ থেকে পেয়েছিলো সে, নাকি পারমিশন ছাড়াই লিখেছিলেন? সে তার প্রেক্ষাপট অনুযায়ী লিখেছে, আমাদের টা তো আমাদের  প্রেক্ষাপট অনুযায়ী হওয়া দরকার, আমাদের নিজেদের অর্জন বলে কি কিছু নাই? ]

আপনার বাড়িতে যদি সন্ত্রাসী বা ডকাত আসে বা আপনার সন্তান কে যদি কেও কিডন্যাপ বা মাদক শিখিয়ে দেয়, তখন যদি আপনি ভাবেন - এরাতো পাকিস্তানি না, তাই ভয়ের কোন কারন নেই আমার, তবে বড় ভুল করবেন। সয়তান কখনো এক চরিএ ধারন করে আসেনা, আসলে ২য় বার শয়তানি করতে পারবেনা। যে কোন সময় যে কোন রুুুপে আসতে পারে। কখনো বাঘ হয়ে,কখনো ইদূর হয়ে, কখনো আমাদেরি নেতা সেজ, কখনো নিজ দেশী হয়ে, কখনো বন্ধুর উপর ভর করে, কখনো পুরা গভর্নমেন্ট সিস্টেম হয়ে, কখনো ঝর হয়ে, কখনো সাপ হয়ে, কখনো পুলিশ হয়ে, কখনো গাড়ি চালকের উপর ভর করে ইত্যািদি। তখন ভর করেছিলো পাকিস্তানীদের উপর। এখন তো পাকিস্তানী রা নেই, তাহলে ডেইলি যে ৪/৫ টা বাংলাদেশী তরুুুনী ধর্ষনের খবর পাই, এগুলা
কারা করে! বিহারিরা নাকি? শত্রু চেনার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো কমপেয়ার করতে পারাটাই। যেমন - পাক নামের নাপাকি পাকিস্তান ও তাদের পুলিশ নামের বন্দুক বাহিনী ও কতিপয় রাজাকাররা ঐ সময় যেই উপায়ে, যেই কৌশলে, যেই হাতিয়ার ও বুলেট ব্যবহার করেছিলো আমাদের উপর, এখনো ঐরকম বেদনা দিয়ে যে কোন বাংলাদেশীর জীবন নেওয়া হয় কিনা বা তখন মানুষের জীবন কেরে নেওয়ার যন্ত্রণা
বর্তমানে মানুষের জীবন কেরে নেওয়ার যন্ত্রণা কি এক কিনা? অনেক সময় আমরা অপরকে বলে থাকি - তোমার কথা বলার ধরন তো দেখি পুরাই মোশাররফ করিমের মতো, তুমি তো পুরাই সাকিবের মতো খেলো বা তুমি তো পুরা শাহরুখের মতো অভিনয় পারো, তেমনি আরেকটু বিবেক খাটালে বুজে যাবেন বর্তমান দেশের কার কার আচরন পাকিস্তানিদের মতো! বা চরিএ মিল আছে কিনা! তারা যেমন খোব নিয়ে মানুষ কে মারতো, এখনো কি নির্যাতন কারীদের চোখে মুখে পাকিস্তানিদের মতো খোব দেখা যায় কিনা! বা চরিএ ফুটে উঠে কিনা? আবার
অনেক সময় আমরা বলি - বাহুবালি মুভিটায় প্রভাস কে ছারা অন্য কাওকে মানাতোনা, বা ডন মুভিটা যদি ইমরান হাসমি করতো তবে কেমন হতো, জান্নাত মুভির নায়ক যদি আমির বা ভিজয় হতো? তেমনি নিজের বিবেক কে আর একটু প্রশারিত করে খাটালেই বুজে যাবেন সবকিছু, কিভাবে চলছে দেশ আর কিভাবে জানায় মিডিয়া আমাদের কে, মিডিয়া না থাকলে হয়তো জিনিশগুলা অন্যরকম করে ভাবতেন।
প্রশ্ন ফাশ যদি নাহিদের যায়গায় আইয়ুব খানের ভাগনের দায়িত্বে থাকতো মন্ত্রণালয়, তখন কিভাবে নিতেন এটা? তনু হত্যাটা যদি গো যমের ছেলের মাধ্যমে হতো? বাংলাদেশ ব্যাংক লুট টা যদি কোন পাকিস্তানী ঘটাতো? সগর-রুনি হত্যাটা যদি আই এস ঘটাতো তবে? বর্তমানে যেই বাবা- মায়ের মেয়েকে ধর্ষন করে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়, এই বাবা-মায়ের বেদনা ও ১৯৭০ সালের ধর্ষন হওয়া মেয়ের বাবা - মায়ের বেদনা এক নয় কি? পাকিস্তান আমলের আম গাছ ও বর্তমান আমলের আম গাছের মধ্যে ফারাক কোথায়? তেমনি তখনকার ও এখনকার আমলের খারাপ লোকদের মধ্যে কোন তফাত নেই। শাসক পরিবর্তন মানে তো সাধীনতা নয়, ঐ আমলে তারা যাকিছু করেছিলো সকল কিছুর পরিবর্তন হওয়া মানেই সাধীনতা,যেমন - খুন, ধর্ষন, গুম, হত্যা, বিনা বিচারে, বিনা অপরাধে নির্যাতন, নিরাপত্তাহীনতা, দখল, লুট, বাড়ি বাড়ি তল্লাশী, এগুলা তখনো ছিলো এখনো আছে। সবচেয়ে মজার বিষয় কি জানেন, বাংলাদেশীরা তখন ছিলো কেবলমাত্র এক বাহিনীর নজরধারীতে, আর এখন ১২ বাহিনীর নজরধারীতে। পৃৃৃথিবীতে কেবল ২ প্রকার মানুষ আছে, ভালো/ খারাপ। তেমনি
আইয়ুব, ভুট্টু, ইয়াহইয়া ও ছিলো
মানুষ, এরপরে তারা খারাপ, এরপরে তারা পাকিস্তানি, এরপর তারা শাসক। দেহ না থাকলে কি উপাধী দেওয়া যায়! যায়না। আগে মোবাইল পরে সিম, এরপরে কেমেরা, পরে টাচ, এরপরে এনড্রোয়েড, এফবি,গুগল,ইউটিউব, ইমো, ভাইবার, লাইভ, ওয়াই ফাই। ফোনটাই যদি আবিষ্কার না হতো! তবে এগুলার নাম ই জানা হতোনা আমাদের । ফোন কে কেন্দ্র করেই সব নাম এসেছে। মানব দেহ না থাকলে কোন উপাধী লাগাতো আরেক মানব দেহ।

[ আমি মনে করি - আমি এই ব দীপের একজন মানুষ, আমার বয়স ১০০, ১৯৪৪ সালে আমার হাতে হাতে আঘাত লেগেছিলো, ৪৭ এ আরেক পায়ে আঘাত লেগেছিলো, ৫২ তে বুকে গুলি, ৭১ সালে গলায় কাটা ঢুকেছিলো ৯ মাস, ৯০ এ আবার বুকে গুলি লেগেছিলো, সব বাধা পেরিয়ে এখন পায়ে আবার অনেকগুলা কাটা ঢুকেছে, বাহির করতে পারছিনা আবার না হেটেওনা, তাই খুরিয়ে খুরিয়ে চলছি বর্তমানে। এভাবে আর কতদিন? ]

( কাটাগুলা হলো সব অবর্তমানের সমস্যাগুলা)

( কারো খারাপ লেগে থাকলে মাফ দিও তোমরা)

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৩০

ঋতো আহমেদ বলেছেন: তনুর ভাই জন লেনন কেমন আছেন আপনি। এতো বড় লিখা সেল ফোন স্ক্রিনে পড়তে কষ্ট হচ্ছে। ডেক্সটপ এ পরে পুরো টা পড়বো।

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:১৯

আমি তনুর ভাই বলেছেন: আমার লেখাটা ছোটই, তবে ভাষন টা সহকারে হওয়ায় হয়তো বড় লাগছে।

৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


উনার ভাষণ'এর সাথে উনার ভাবনার মিল ছিলো না।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৫৪

আমি তনুর ভাই বলেছেন: হয়তো, আর ভাই - আমার ভাবনা কি ঠিক আছে লেখাতে?

৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২৭

আমি তনুর ভাই বলেছেন: Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.