![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মশার জাত মানুষের রক্ত খাইয়া বাচে।ভালো কথা রক্তের তো আর অভাব নাই।প্রতিদিন যত ইচ্ছে সুস্থ সবল মানুষগুলারে কামড়াইয়া রক্ত খাবে।এইটা লইয়া কেউ মাথা ঘামায় না।আমার বন্ধুও এত দিন মাথা ঘামায় নাই।এইটা যে মশার অধিকার সেটা সবাই জানে।কিন্তু মশাদের সব কিছু উলট পালট হইয়া গেল ওই বেকুব মশাটার কারণে।ঘটনা হইলো
আমার বন্ধু রাশেদ।থাকে যাত্রাবাড়ী।প্রাণীদের প্রতি একটু দয়ালূ প্রকৃতির।তাই প্রাণী হিসেবে মশাদের বাসার ভিতরে অবস্থান নিয়ে আগে আমার বন্ধুর কোন আফসোস ছিলো না।মশাধিকারের প্রতি আমার বন্ধু ছিলো সম্পূর্ণ সচেতন।মশার প্রতি এমন আন্তরিক বাসা খুব কমই আছে।
এখন বন্ধু নয়া বিয়ে করছে।ঘরে নতুন বৌ এলো।নতুন মানুষের আগমণে মশা জাতি আরো খুশি হইলো।খুশি মনে প্রতিদিন তাদের ঘরে মশার দল বিনা দাওয়াতে চলে আস্তো।রাতভর কামড় দিতো।সকালে পরিতৃপ্ত সহকারে ঢেকুর তুলতে তুলতে চলে যেতো।এভাবেই চলছিলো।এক স্ময় সেই ঘরে ফুট ফুটে একটা কন্যা সন্তান হইলো।বন্ধু দম্পতির আনন্দ আর ধরে না।মশারাও নতুন অতিথি দেখে খুশী।যাক ভবিষ্যতের জন্য একটা ভালো খাবার পাওয়া গেলো।খুশীতে মশারা মাঝে মাঝে আদর করতে চাইলেও বন্ধু দম্পতির সেটা হইতে দিতো না।মানুষ জাতির শিশুর অধিকার তাদের জানা ছিলো না।তাই শিশুর নাগাল পাওয়াটা তাদের জন্য একটু কষ্টের।বেকুব মশাটার বাসায় আগমনের পূর্ব পর্যন্ত এত দিন পর্যন্ত এই ভাবেই চলে আসছিলো।
এইতো সেদিনের ঘটনা।শিশুর বয়স মাত্র ৬ মাস।একটা মশা সেদিন রাতে শোয়ার আগে বন্ধু পত্নীর অসচেতন মার খেয়ে একটা ডানা হারিয়ে বিছানায় লুটিয়ে পড়ে খুব সম্ভব জ্ঞান হারায়।ফলে সেটি আর নড়াচড়া না করায় কারো চোখে পড়ে নাই।মাশারী দেয়ার পরে রাতের বেলায় খুব সম্ভব বেকুব মশাটার জ্ঞান ফিরে।তখন তার সামনে তুলতুলে শিশুটি পড়ে আছে।সেও আল্লাহর নেয়ামত ভেবে ক্ষুধা পিপাসা সহ্য করতে না পেরে শিশুর রক্ত খেতে শুরু করে।এক সময় তার পেট এমন ফুলে যায় যে মশা আর নড়া চড়া করতে পারছিলো না।এমন সময় রুমে বন্ধুর আগমন।সে মশারীর ভিতরে ঢুকেই তার কলিজার টুকরার উপরে মশার এমন কামড় দেখে সহ্য করতে পারলো না।মশাটিকে একটু নাড়া দিয়ে দেখে যে মশাটির পেট এমনই ভরা যে সে উড়তেও পারছে না।আরো ভালো করে খেয়াল করে দেখে বেকুবটার একটা ডানাই নাই।
মেজাজ টা এমনই খারাপ হলো যে তখনই বৌকে ঘুম থেকে ঊঠানো হলো।তাতক্ষনীক সংক্ষিপ্ত বিচারসভা বসানো হলো।এইভাবে তো চলতে দেয়া যাবে না।বিচারে রায় হলো আগামী দিন বাসার সব জানালায় এবং বাহিরের দরজায় নেট লাগানো হবে।আর যাতে কোন মশা কোন ভাবেই বাসায় ঢুকতে না পারে।যদি মশা কোনভাবে প্রবেশ করেও সাথে সাথে যাতে মৃত্যদন্ড দেয়া যায় সেজন্য মশা মারার ব্যাট কেনা হবে।এরপ্র মশাটিকে তাতক্ষনীক সংক্ষিপ্ত বিচারের মাধ্যমে থাবা মেরে মৃত্যদণ্ড দেয়া হলো।
পরের দিনই রায় বাস্তবায়ন করা হলো।সব জানালায় নেট।বাসায় ঢোকার দরজায়ও নেট।কেনা হলো মশা মারার ব্যাট।কোন মশার আর ঘরে প্রবেশ করা হয়নি।এক বেকুব মশার কারণে সব মশার আনন্দ সেদিনই শেষ হয়ে গেলো।এখনো মশারা কোন ভাবেই বিষয়টা মেনে নিতে পারছে না।তারা আগের মতো আন্তরিক বাসার জন্য প্রতিদিনই আন্দোলন করে যাচ্ছে।যদি বন্ধুর দয়া হয়!!!একটা মশার বেকুবির জন্য সবগুলারে শাস্তি দেয়াটা কি ঠিক?
১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮
রবিউল ৮১ বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন:
১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৫
রবিউল ৮১ বলেছেন:
৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪
আল-রোমান বলেছেন: মশার জীবন সার্থক!!! আমারে নিয়া লেহেন একটু!
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪
রবিউল ৮১ বলেছেন: আফনে আমার কেডা লাগেন যে আফনেরে লইয়া লেখুম !!!!
৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৮
শায়মা বলেছেন: হা হা মজার লেখা!
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৩
রবিউল ৮১ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: হালকা রস, মজা লাগল।