নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বৃহত্তম বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একজন মানব সম্পদ উন্নয়ন প্রশিক্ষক আমি। একজন শৌখিন লেখকও বটে। শখের বশে কবিতাও লিখেছি এক সময়। বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় ও বিভাগীয় পত্রিকায় এবং ব্লগে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অনিয়মিতভাবে বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করি।

মোহাম্মদ রাহীম উদ্দিন

মানুষের মাঝে প্রকৃতিকে খুঁজে বেড়নো আমার শখ। মানবতা আমার ধর্ম। কোন অভৌত সম্পর্কে আমি অনুগামী ভক্ত নই। আমার ভালো লাগা রক্ত-মাংসের মানুষের সম্পর্কায়নে। আমি সার্বজনীনতায় বিশ্বাসী।

মোহাম্মদ রাহীম উদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিধাতার উপহাস

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০০

রইসুদ্দিনের বস্তির পাশের আবাসিক এলাকার মসজিদটিকে সুসজ্জিত করা হয়েছে ছয়টি এয়ার-কন্ডিশনার এবং প্রতি তিন জনের জন্য একটা করে সিলিং ফ্যান ও দামি ঝাড়বাতি দিয়ে। মেঝে থেকে শুরু করে পিলার, দেয়াল ও ছাদ সবই দামি টাইলস্ দিয়ে বাঁধানো। এরপরও গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের আগে রইসুদ্দিনের সামনে মসজিদের আরো উন্নয়নের জন্য যখন দান বাক্সটি এল- তখন রইসুদ্দিনের মনে পড়ে যায় গেল বছর শীতে করিমের ছোট্ট মেয়েটি মারা গেছে গরম কাপড়ের অভাবে। ঠান্ডায় একেবারে বরফ হয়ে গিয়েছিল মেয়েটি। পুরো মুখ লাল হয়ে গিয়েছিল মেয়েটির। এইতো এই বছর চালের কেজি ৫০ টাকা, আলুর কেজি ৩৫ টাকা হওয়ায় ভাল করে দু’বেলা ভাত খেতে না পেরে পরলোক গমণ করলেন জসিমের বুড়ো মা। অন্যের কথাই বা কেন? স্বয়ং রইসুদ্দিনের ঘরের চালাইটা গত তিন বছর ধরে নুঁয়ে আছে ঝুঁকি নিয়ে সংস্কারের আশায়। রইসুদ্দিন ভাবছে বিধাতার একি উপহাস!

দিন মজুর সৈকতদের পাড়ার দূর্গা মন্দিরেও মা দূর্গতিনাশিনী সৈকতদের দূর্গতির জন্য দামি শাড়ি, সোনার অলংকার, মোট-মোটা বালা পরে ডজনখানেক মোমবাতি জালিয়ে নিজের অন্ধকার দুর করেন, আর বসে বসে উপহাসের দৃষ্টিতে পাথরের মতো তাকিয়ে থাকেন পাড়াবাসির দুর্গতির দিকে।

গির্জার ক্ষেত্রে এই উপহাসের দৃষ্টান্ত আরও তীব্র। মায়ের কোলে প্রভু যীশু পরম আনন্দে, পরম মমতায় ঠিকই শুয়ে থাকে । কিন্তু আমেনার পাঁচ বছরের ছেলেটি ইট ভাঙ্গে সিকান্দারের ইট ভাটায়।

"আমি মানুষের পায়ের কাছে কুকুর হয়ে বসে থাকি
তার ভিতরের কুকুরটাকে দেখবো বলে...।"

কল্পনা করা যাক একটি ঘটনা:
দিনের পর দিন মানুষের পিছনের দিকে লেজ গজাচ্ছে দেখে কুকুরগুলো আতঙ্কিত হয়ে পড়ল। তারা ভয় পাচ্ছিল তারাও কি তাহলে বিপরীত পক্রিয়ায় দিনদিন মানুষ বনে যাবে কি না। ছিঃ কি লজ্জা! ভয়ে, লজ্জায় তারা সবাই গেল ভাগ্য বিধাতার কাছে। সভা হল, হল অনেক চেঁচামেচি। প্রতিবাদ করা হল এবং সমাধান চাওয়া হল এইরূপ বিরুপ প্রতিক্রিয়ার। কিন্তু হতাশ ও নিরাশ বিধাতার একটাই উত্তরঃ ‘‘আমিও ভাবছি মানুষগুলোর লেজ গজালো কোথা থেকে! ’’


লেখকঃ মোহাম্মদ রাহীম উদ্দিন

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৮

আজমান আন্দালিব বলেছেন: বাস্তব চিত্র।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫১

মোহাম্মদ রাহীম উদ্দিন বলেছেন: স্বাগত আপনাকে প্রথম মন্তব্যের জন্য।

২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৪

ফ্রিটক বলেছেন: বাস্তব চিত্র।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫১

মোহাম্মদ রাহীম উদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধর্মলয়ের জন্য যত অর্থ ব্যয় হয়। তার অর্ধেক যদি মানুষের জন্য ব্যয় হতো!!

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১১

মোহাম্মদ রাহীম উদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ ম্যাডাম অাপনাকে আপনার বিজ্ঞ মন্তব্যের জন্য।

৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৩

উচ্ছল বলেছেন: বাস্তব চিত্র।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১২

মোহাম্মদ রাহীম উদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৯

আহলান বলেছেন: খুবই যুগোপযোগী কথা ... আমরা চাই এবাদত এবং মোয়ামালাত দুটোরই ব্যপক উন্নতি সাধন হোক ....
সবাই যদি সঠিক ভাবে হিসাব করে যাকাত আদায় করে, তাহলে তো রইসদ্দিনেরা রইসই আদমীই হয়ে যেতো .... কিন্তু আমরাই তো আমাদের দায়িত্ব সাঠিক ভাবে পালন করি না ... আল্লাহ বা বিধাতার (বা যে নামেই ডাকি না কেন) দোষ দিয়ে কি লাভ ...?

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫

মোহাম্মদ রাহীম উদ্দিন বলেছেন: ".....কিন্তু আমরাই তো আমাদের দায়িত্ব সাঠিক ভাবে পালন করি না....."

যথার্থ বলেছেন। ধন্যবাদ।

৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৭

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: কি আর বলার আছে বললে তো বলবে শালা নাস্তিক । সত্য কথা কেউ শুনতে রাজি নয় । কি আর করবে ধর্ম যদি মানুষ বাস্তব শিখাতে বাঁধা দেয় সে ধর্ম মানুষের কি কল্যাণে আসবে সেটাই দেখার

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫

মোহাম্মদ রাহীম উদ্দিন বলেছেন: সেই একটি কথা। বিশদ লিখতে গেলে না জানি আবার বির্তকের বিষয় হয়। তাই আর কিছু না বলা বা লিখা।
আর্শিবাদ করবেন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: সবাই যার যার দায়িত্ত ঠিকমত পালন করেনা বলেই এই অবস্থা।

মসজিদে মন্দিরে দান করার সাথে সাথে অভাবী মানুষদের দিকে তাকালে আর কারোরই অভাব থাকতো না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.