নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বৃহত্তম বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একজন মানব সম্পদ উন্নয়ন প্রশিক্ষক আমি। একজন শৌখিন লেখকও বটে। শখের বশে কবিতাও লিখেছি এক সময়। বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় ও বিভাগীয় পত্রিকায় এবং ব্লগে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অনিয়মিতভাবে বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করি।

মোহাম্মদ রাহীম উদ্দিন

মানুষের মাঝে প্রকৃতিকে খুঁজে বেড়নো আমার শখ। মানবতা আমার ধর্ম। কোন অভৌত সম্পর্কে আমি অনুগামী ভক্ত নই। আমার ভালো লাগা রক্ত-মাংসের মানুষের সম্পর্কায়নে। আমি সার্বজনীনতায় বিশ্বাসী।

মোহাম্মদ রাহীম উদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মে দিবস পরবর্তী প্রশ্ন সমাচার

০২ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৭

যদ্দুর মনে পড়ে গত ছয় বছর ধরে আমি মহান মে দিবসে আমার অর্জিত ছুটি থেকে ইচ্ছাকৃত ছুটি উপভোগ করি। অনেক প্রতিষ্ঠানের মতো আমার বর্তমানে কর্মরত প্রতিষ্ঠানটি (আপনি / আমরা কি শ্রমিক? ) এই প্রশ্নের বেড়াজালে মে দিবসের ছুটি থেকে বিরত থাকে।

আমি কি শ্রমিক বা আমি কেন ইচ্ছাকৃত ছুটি কাটাই এই রকম প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে আমার জবাব-
আমি কর্মচারি, কর্মকর্তা বা শ্রমিক কিনা তার সঠিক উত্তর নিয়ে অামার তর্ক নেই। আমি বিশ্বাস করি আমি একজন কর্মজীবি। কর্ম করে খাই অর্থ্যাৎ অন্যের গোলামি করে চলতে হয়।

যারা প্রশ্ন করেন তাদের কাছে আমার বক্তব্য হলো এইঃ-
একজন কর্মজীবি হিসেবে সবসময়, প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ যে মনস্তাত্তিক দাসত্বের মধ্যে দিয়ে দিনাতিপাৎ করি তা অত্যন্ত কষ্টকর। এই যে, প্রতিদিন সকালে অফিসে যেতে ইচ্ছে না করলেও বিরুদ্ধাচরণ করে অফিসে যাওয়া। এই যে, কোন কারণে কিংবা কোন প্রয়োজনে অফিস চলাকালিন যে কোন সময় বের হতে চেয়েও না পারার বেদনাহত হতাশা। এই যে, ঘৃণিত অফিস রাজনীতি আর তৈল-চর্ব অনুশীলন। এই যে, স্বাদ এবং সাধ্যের অসামঞ্জস্যতা। এই যে, ক্যারিয়ার নামক মানসিক অতৃপ্তি , নোংরামী আর হতাশা। দৈনিক ১০ ঘন্টা চাকুরির পরও অফিস ত্যাগের জন্য বসের অনুমতি প্রার্থণা। এই যে, পরিবার, সমাজ ও সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করতে না পারার জন্য অপর্যাপ্ত সময়। এই সব কিছু থেকে মুক্তির যে মহান মে দিবস তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটু মানসিক তৃপ্তির জন্য প্রতিবাদ স্বরূপ এই ছুটি উপভোগ করা। সঠিকভাবে বললে, ছুটি প্রার্থণা করা। যে মহান মে দিবসের রক্তার্জিত কর্ম ঘন্টা বা সাপ্তাহিক ছুটি। যার জন্য আজ চাইলেও মালিক নামক বুর্জুয়া সমাজ আমাদের ১০/১২ ঘন্টার বেশী কাজ করাতে পারে না এবং সাপ্তাহে অন্তত ১ দিন কর্মবিরতি দিতে বাধ্য। সে স্মৃতিগর্ভ স্মরণীয় অর্জনের জন্য শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে বাৎসরিক প্রাপ্ত ছুটি থেকে প্রতি বছর আমার ছুটি উপভোগ করা। এমন যদি হয় যে, আমার ছুটি অননুমোদিত বা অবৈতনিক, তারপরও আমি সচেষ্ট থাকবো।

‘‘দুনিয়ার মজদুর, এক হও!”


লেখকঃ মোহাম্মদ রাহীম উদ্দিন

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬

কল্লোল পথিক বলেছেন: ‘‘দুনিয়ার মজদুর, এক হও!”

০২ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩

মোহাম্মদ রাহীম উদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ কল্লোল পথিক ভাই সমবেদনা প্রকাশের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.