![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষের মাঝে প্রকৃতিকে খুঁজে বেড়নো আমার শখ। মানবতা আমার ধর্ম। কোন অভৌত সম্পর্কে আমি অনুগামী ভক্ত নই। আমার ভালো লাগা রক্ত-মাংসের মানুষের সম্পর্কায়নে। আমি সার্বজনীনতায় বিশ্বাসী।
সুত্রঃ
সম্পাদকীয়। দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম। শনিবার। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
না, কিচ্ছু বলার নেই। বলেও কোন লাভ নেই। কারণ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের দৃষ্টান্তমূলক প্রচেষ্টার কোন উদাহরণ পাওয়া দুষ্কর। কিইবা করার আছে আমাদের। এতো আমাদের উত্তোরাধিকারসূত্রে পাওয়া। শতো চেষ্টার পর এবারও দুগন্ধ মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে এলো। ফাঁস হলো বর্তমানে চলমান ২০১৮ এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। আমরা গর্বিত কারণ পরপর বেশ কয়েক বছরের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ইতিহাসের সফল পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পেরেছি আমরা। এক পরীক্ষার্থীকে দাবি আদায়ের সুরে বলতে শুনলাম- ‘‘দরকার হলে দশ মিনিট পরে হলে ঢুকবো, তবুও ফাঁস হওয়া প্রশ্ন দেখেই ঢুকবো”।
এক অস্থির পরীক্ষা পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা। মধ্যবিত্ত পরিবারের কাঠ-খড় পেরিয়ে জীবন যুদ্ধের নানা পর্যায় উত্তরণের পর আজ যেখানে এসে দাঁড়িয়েছি মনে হচ্ছে আরেকটা যুদ্ধের সম্মূখীন হলাম। এবারও তাই দ্বিতীয়বারের মতো মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করানো থেকে সরে দাঁড়াতে হলো। কোনক্রমেই বুঝতে পারছিলাম না কোন মাধ্যমের কোন স্কুলে বাচ্চাকে ভর্তি করাবো। ভেবেছিলাম যুগের চাহিদা মেটাতে প্রতিযোগিতামূলক চাকরীর বাজারে শক্ত কাঠামো গড়তে বাচ্চাকে ইংরেজী মাধ্যমের স্কুলে পড়াশুনা করাবো। কিন্তু স্বাদ ও সাধ্যের সমন্বয়হীন সংসারে ইংরেজী মাধ্যমের স্কুলে পড়ানোর অসামর্থতা আর বাংলা শিক্ষা কম প্রাধান্য পাওয়ার বিবেচনায় বাংলা মাধ্যমের স্কুলে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্তে মনোস্থ হলাম। (একটু খেয়াল করলেই বুঝা যায় মূলত আর্থিক দিক থেকেই বাংলাদেশে এতগুলো শিক্ষা মাধ্যম। একটি শিশুকে তার অভিভাবক পাঠদানের জন্য কোন ধারায় নিয়ে যাবেন তা সবসময় ঐ অভিভাবকের আর্থিক অবস্থার উপর নির্ভর করে। অপেক্ষাকৃত বেশী বেতনের স্কুলগুলোতে ভালো মানের শিক্ষা কিনতে পাওয়া যায়। পিতা যদি সামর্থ্যবান না হন সেক্ষেত্রে সন্তানের জন্য কম বেতনের স্কুল থেকে সস্তায় নিম্নমানের শিক্ষা ক্রয় করেন)। কিন্তু স্কুলগুলোর ভর্তি বাণিজ্যে পেরে উঠতে পারলাম না। তাছাড়া গত কয়েক বছর ধরে তৃতীয় শ্রেণীর আগে ভালো স্কুলগুলোতে ভর্তি না করার প্রক্রিয়ার নতুন অত্যাচারে অসহায় বোধ করছিলাম। আর বাড়তি ভর্তি ফি এবং ভর্তির সাথে ডোনেশনের নামে চাঁদা আদায়ের অপসংস্কৃতিতে অস্থির আমরা অভিভাবকরা। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য যে, ৭ জানুয়ারী ২০১৮ কক্সবাজারের সদর উপজেলার খরুলিয়া কেজি অ্যান্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলে প্রতি বিষয়ে ৯৫ নম্বরের বেশি পাওয়ার পরও সন্তানের পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হওয়া, পূর্ব ঘোষণা ছাড়া ভর্তি ফি ও মাসিক বেতন বৃদ্ধির প্রতিবাদ করায় হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন অভিভাবক আয়াত উল্লাহ। যাইহোক, ভাবছিলাম বাচ্চাকে এমন একটা স্কুলে বা মাধ্যমে ভর্তি করাবো যেখানে সারাদিন স্কুলে থাকার পর বাসায় এসে তাকে আর পড়াশুনা করতে না হয়। কিন্তু বিধি বাম। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার এমন দশা যে সারাদিন স্কুলে থাকার পরও শিক্ষার্থীকে বাসায় এসে টিউশন পড়তে হয়। তার উপরতো কোচিং অত্যাচার রয়েছেই। অধিকন্তু বই, খাতা, কলম, ইউনিফর্ম স্কুল থেকে কেনার জন্য কর্তৃপক্ষের চাপ এখন সবার জানা। সব মিলিয়ে মধ্যবিত্ত পরিবারের নাকানি-চুবানি অবস্থা আরকি। স্বাধীনতাপূর্ব তৎকালীন পাকিস্তানের শিক্ষামন্ত্রী মোনায়েম খান একবার তার কোন এক বক্তব্যে বলেছিলেন-‘‘Education is not for all”। কি উদ্দেশ্যে তিনি কথাটা বলেছিলেন তা আমার জানা নেই। তবে তাঁর কথাটার সত্যতা এখন আমি ঠিক বুঝতে পারি। আসলেই আমাদের মধ্যবিত্তের সন্তানের জন্য শিক্ষা নয়। শিক্ষা এখন উচ্চবিত্তের কেনা দামী পোশাকের মতো। উচ্চবিত্তরা তাদের সন্তানদের বিদেশে পাঠিয়ে কিংবা ইংরেজী মাধ্যমের দামী স্কুলে পড়িয়ে তাদের নিশ্চিত ভবিষ্যৎ কিনে নিচ্ছেন। কিন্তু আমাদের সন্তানদের কি হবে, তাদের ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা কে দিবে! বর্তমান শিক্ষকদের পেশাদারিত্ব নিয়ে সংশয় এখন সবার মনে। তাদের নীতি-নৈতিকা, ধ্যান-ধারণা আর আর্দশ কেন জানি আর ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে আবেগ সৃষ্টি করে না। শিক্ষকদের পড়ানোর মান হয়ে গেছে বাণিজ্যিক ধরনের, যেন টাকার বিনিময়ে পাঠদান। স্কুলে পড়ানোর চেয়ে তারা এখন প্রাইভেট পড়ানোতে অধিক মনোযোগী। বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণিত ‘‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা ২০১২’’ বন্ধ করতে পারেনি কোচিং বাণিজ্য। আমিনুল ইসলাম নামের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এক ব্যক্তি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োগ পাওয়ার পর বেতন কাঠামো, গ্রামে পোষ্টিং, বিদ্যালয়ের পরিবেশ আর ছাত্র-ছাত্রীদের ধরণ দেখে আমার কাছে হতাশা ব্যক্ত করে বললেন ‘‘কোথায় যে কিসের মধ্যে এসে পড়লাম বুঝতে পারছি না, মনে হচ্ছে আগের চাকরী ছেড়ে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছি”। ভবিষ্যতের জাতি গঠনের এমন সুমহান পেশার মতো শিক্ষকতা পেশায় সুযোগ পাওয়ার পর যদি একজন শিক্ষকের এই রকম অভিব্যক্তি হয় তাহলে সে জাতির ভবিষ্যৎ কি হবে তা ভেবে আমি ভীত হই। প্রচুর উচ্চশিক্ষিত ছেলেমেয়ে এখন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হচ্ছেন কিন্তু নৈতিকতার প্রশ্নে শিক্ষার মান একটুও বাড়ছে না। বছর দশেক আগেও দেখা যেতো একদম প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুল কলেজ থেকেও কোন না কোন শিক্ষার্থী জাতীয় পর্যায়ের মেধাতালিকায় স্থান পাচ্ছে। এখন সে সংখ্যা কমতে কমতে একেবারে শূন্যের কোঠায় এসে পৌঁছেছে। এটা অবশ্য অনস্বীকার্য যে, আমাদের দেশে শিক্ষদের সম্মানী পর্যাপ্ত নয় যেখানে জাপানে একজন শিক্ষক হলেন সবদিক থেকে সর্বোচ্চ সাম্মানিত নাগরিক।
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার যে হাল হয়েছে তাতে আমাদের সন্তানরা সৃজনশীল নামের নোটবই আর মুখস্থ বিদ্যার পিশনে মেরুদন্ডহীন হয়ে বড় হচ্ছে। আমাদের পরীক্ষা পদ্ধতির কারণে মুখস্থ করতে যারা পারদর্শী তারাই বেশিরভাগ সময় ভাল ফলাফল করছে। তার উপরতো আছে জেএসসি ও পিএসসি নামক পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীতে পরীক্ষা নামক অহেতুক অত্যাচার। আমি বুঝিনা পঞ্চম শ্রেণীতে এতো ছোট বাচ্চাদের কিসের জন্য পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মতো বাহুল্যতার দরকার। ডঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল একটা অনলাইন ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমে বলেছিলেন-‘‘এ দেশে এখন যে শিক্ষা নীতিটি রয়েছে তার প্রণয়ন কমিটির সদস্য হিসেবে আমি বলেছিলাম স্কুলের বাচ্চাদের প্রথম তিন বছর কোনো পরীক্ষাই থাকবে না’’। সূত্রমতে, বেলজিয়ামে দশ বছর পর্যন্ত শিশুদের কোন হোমওয়ার্ক দেয়া হয় না। জাপান, ফ্রান্স ও ম্যাক্সিকোতে শিশুরা যাতে বাবা-মা’র সঙ্গ ও বাবা-মার সাথে দুপুরের খাবারের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয় সেজন্য সেভাবে স্কুলের সময় নির্ধারণ করা হয়। পরীক্ষাভীতি শিশুদের শেখার আগ্রহ নষ্ট করে। তাই বিশ্বের এক নম্বর সেরা শিক্ষা ব্যবস্থার দেশ ফিনল্যান্ডে স্কুলে যাওয়ার পর প্রথম ছয় বছর কোন পরীক্ষা হয় না। ১০ বছর পর শিশুরা প্রথম বড় ধরণের কোন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। কিন্তু আমরা বেশ অবাক হয়েই আবিস্কার করেছি শুধু ক্লাস ওয়ান নয় প্রি-স্কুলে পর্যন্ত আমাদের দেশে বাচ্চাদের পরীক্ষা নেওয়া হয় এবং সেই পরীক্ষা নিয়ে বাবা-মাদের ঘুম নষ্ট হয়ে যায়। সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থায় নোটবই আর কোচিংয়ের উপর নির্ভরশীলতা কমানোর কথা বলা হলেও এর উপর নির্ভরশীলতা বেড়েছে ব্যাপক হারে। শিক্ষা বণিকদের লভ্যাংশ বেড়ে হয়েছে কয়েকগুণ। পিএসসি-জেএসসি এ দুটো পাবলিক পরীক্ষা প্রবর্তনের ফলে এ দুটো পরীক্ষার ফলাফলের গুরুত্ব শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে বেড়ে যাওয়ার কারণে ভাল ফলাফলের আশায় বাধ্য হয়ে অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের প্রাইভেট পড়াচ্ছেন। অথচ বাংলাদেশের ১৯৬০ সালের চাকরীবিধি অনুযায়ী স্কুল শিক্ষকরা প্রাইভেট পড়াতে পারবেননা এবং অন্য চাকরীও করতে পারবেন না। শুধু পরীক্ষা পাসের দৌড়েঝাপে প্রকৃত শিক্ষা পাচ্ছেনা শিক্ষার্থীরা ফলে হয়ে পড়ছে মেধা শূন্য। পিএসসি-তে জিপিএ-৫ পাওয়া শোভা নামের এক মেয়ে শিক্ষার্থীকে কিছুদিন পড়াতে গিয়ে তার মেধার মান দেখে আমি রীতিমতো হতোবাক হই। Vowel ও Consonant এর মতো সাধারণ বিষয়টি সে বলতে পারলো না। আরো গভীর আলোচনার পর জানতে পারলাম তার এক বান্ধবী নাকি গাইড বই থেকে অংক মুখস্থ করে পরীক্ষা দিয়েছে। তারপর লক্ষ্য করলাম তাকে পড়ানোর জন্য ঔ শিক্ষার্থী কতোগুলো গাইড বই বের করে দিলো আমাকে বললো,‘‘স্কুলে আমাদেরকে এই গাইড বইগুলো থেকে পড়ানো হয়”। শুনে আমার আক্কেল গুড়ুম। বুঝতে পারলাম কেন গাইড বই প্রকাশ, বেচা-কেনা বা এর ব্যবহার বাংলাদেশে বন্ধ হচ্ছে না। আমাদের সকলের জানা যে, নোটবই বা গাইড বই প্রকাশনা কর্তৃপক্ষ থেকে স্কুলের শিক্ষক বা কর্তৃপক্ষের একটা কমিশন প্রাপ্তি থাকে । প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য যে, ঢাকায় অবস্থানরত সবার কাছে খুব পরিচিত গাইড বই প্রকাশকারি এক প্রতিষ্ঠান আজ মোটামুটি বড় প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। এই গাইড বই বিক্রি করে আজ তারা ব্যবসার প্রসার ঘটিয়ে বিভিন্ন পোল্ট্রি ফীড কারখানা ও গ্রীন ব্রিক্স উৎপাদনের মতো প্রতিষ্ঠান দাঁড় করিয়েছে।
যেভাবে পাসের সংস্কৃতি বাংলাদেশে শুরু হয়েছে তাতে করে দিনের পর দিন পাস করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে। এই বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থান করা সরকারের পক্ষে দায় হয়ে দাঁড়াবে। এমনিতে বর্তমানে দেশে বেকার জনসংখ্যা প্রায় ৬ কোটি। বলা হয়ে থাকে তন্মধ্যে উচ্চ শিক্ষিত বেকার সংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ। চীনের প্রথম প্রিমিয়ার (রাষ্ট্র প্রধান) চৌ য়েনলাই তার শাসনামলে (১৯৪৯ – ১৯৭৬) আনুমানিক ১৯৬৩ থেকে ১৯৭৬ সালের দিকে প্রায় ১২ বছর সেদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেছিলেন। কারণ গণচীনে তখনকার সময়ে এতো বেশী সংখ্যক উচ্চশিক্ষিত গ্রাজুয়েট বেড়ে গিয়েছিল যাদের জন্য কর্মসংস্থান করা সরকারের পক্ষে ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ঐ সময়কালীন সরকার দেশে নানাবিধ কারিগরি শিক্ষা কোর্স চালু করে জনগণকে স্বল্পকালীন কর্মমূখী উন্নত শিক্ষায় শিক্ষিত করে প্রত্যেকের ঘরকে এক একটা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করে দেশের বেকারত্ব দূরীকরণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় চীনা অর্থনীতি ও চীনা পণ্য আজ বিশ্বদরবারে কোন অবস্থানে আছে তা এখন সবার কাছেই অনুমেয়। পৃথিবীর এমন কোন দেশ নেই, এমন কোন বাজার নেই, এমন কোন পণ্য বাকি নেই যা চীনারা আজ উৎপাদন করছে না। তাদের মেধা আর সৃষ্টিশীলতার কারণে বিশ্বের অনেক নামীদামি ব্র্যান্ডের প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য চীনাদের দিয়ে বানিয়ে নিচ্ছেন। ২০১৪ সালের ৪ঠা নভেম্বর বাংলাদেশের বেসরকারী চ্যানেল একাত্তরের সাথে এক সাক্ষাৎকারে প্রয়াত ভারতীয় রাষ্ট্রপতি মহান ব্যক্তিত্ব ডঃ আবদুল কালাম আজাদ বলেছিলেন-‘‘অবস্থাটা এমন দাঁড়িয়েছে আমরা সবাই পড়াশুনা করি চাকরী পাবার জন্য, চাকুরী দেওয়ার জন্য নয়”। কথাটার সত্যতাটা আজ আমরা অনুধাবন করতে পারি অক্ষরে অক্ষরে। ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক শিক্ষিকা, কর্মচারী ও জনসাধারণের মনে চিন্তার উদ্রেক ঘটানোর জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশদ্বারে সুস্পষ্ট ভাষায় লিখা রয়েছে- ‘‘কোন জাতিকে ধ্বংস করার জন্য পারমানবিক বোমা অথবা দূরপাল্লার মিসাইল ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা নেই, শুধুমাত্র দরকার এর শিক্ষার মান নিম্নতর করা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের দ্বারা পরীক্ষায় প্রতারণা করা মেনে নেওয়া’’। প্রায় এক দশক আগে ‘ভিশন ২০৩০’ এর আওতায় কাতার সরকার অনুধাবন করলো শুধু তেল বিক্রি করে ভবিষ্যৎ উন্নয়ন তথা অর্থনৈতিক কাঠামোকে বহাল তবীয়তে রাখা সম্ভবপর হবে না। তাই বিকল্প পন্থা অবলম্বনে ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন ওয়ার্ল্ড র্যা ঙ্কিং স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সরকার সকল ধরণের সুযোগ সুবিধা দিয়ে আমন্ত্রণ জানালেন সেদেশের শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করার এবং প্রয়োজনে স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শাখা ক্যাম্পাস কাতারে খোলার জন্য। প্রতিটি পর্যায়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে বিপুল বিনিয়োগ করেছে দেশটি। ‘গ্লোবাল কম্পিটিটিভনেস রির্পোট ২০১৭’ এর বিশ্বের সেরা ১১টি শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে কাতারের অবস্থান এখন ষষ্ঠ।
শিক্ষা বলতে ‘‘মানুষের অভ্যন্তরের মানুষটিকে পরিচর্যা করে খাঁটি মানুষ বানানোর প্রচেষ্টাই শিক্ষা’’ বলেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাই ‘শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড’ এই সনাতনী প্রবাদবাণীটিকে অগ্রাহ্য করার মতো সত্যিকারের সময় এসে গেছে এই উপলদ্ধিতা নিশ্চয় এখন আমাদের সবার। প্রকৃত অর্থে আমাদের এখন সুশিক্ষার দিকে নজর দিতে হবে। তা না হলে মেধাহীন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিয়ে অনেক বেগ পেতে হবে আমাদের।
২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
অনেক কিছুই লিখেছেন, বলেছন; সাধারণ কিছু, না বললেও চলতো, তেমন দরকারী কিছু না, খুচরা আলাপ ধরণের
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৯
মোহাম্মদ রাহীম উদ্দিন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: অনেক দীর্ঘ লেখা। পরবর্তিতে পড়ে নেব। প্রিয়তে রাখলাম।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:০১
মোহাম্মদ রাহীম উদ্দিন বলেছেন: কৃতজ্ঞতা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
অনেক কিছুই লিখেছেন, বলেন; সাধারণ কিছু, না বললেও চলতো, তেমন দরকারী কিছু না, খুচরা আলাপ