নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বৃহত্তম বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একজন মানব সম্পদ উন্নয়ন প্রশিক্ষক আমি। একজন শৌখিন লেখকও বটে। শখের বশে কবিতাও লিখেছি এক সময়। বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় ও বিভাগীয় পত্রিকায় এবং ব্লগে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অনিয়মিতভাবে বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করি।

মোহাম্মদ রাহীম উদ্দিন

মানুষের মাঝে প্রকৃতিকে খুঁজে বেড়নো আমার শখ। মানবতা আমার ধর্ম। কোন অভৌত সম্পর্কে আমি অনুগামী ভক্ত নই। আমার ভালো লাগা রক্ত-মাংসের মানুষের সম্পর্কায়নে। আমি সার্বজনীনতায় বিশ্বাসী।

মোহাম্মদ রাহীম উদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শ্রম অধকিার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশে মে দিবসের ব্যার্থ তাৎপর্য

০১ লা মে, ২০১৮ সকাল ৮:২৬


(সুত্রঃ সম্পাদকীয়, দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ, ১ মে ২০১৮, মঙ্গলবার, চট্টগ্রাম।)

প্রতিবারের মতো এবারো যথাযথ মর্যাদা ও ভাব-গাম্বীর্যের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বের ন্যায় ১লা মে ২০১৮ বাংলাদেশেও পালিত হয়েছে মহান ‘মে দিবস’। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের বয়স যত বাড়ছে, ধনিকশ্রেণীর ক্ষমতাও তত বাড়ছে। আর শ্রমিকশ্রেণীর অধিকার সে মাত্রায় কমছে। ১৩৩ বছর আগে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে ঘটে যাওয়া হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে অর্জনের স্মরণে সারা বিশ্বে আনন্দ উৎসবে মে দিবস পালিত হলেও শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা আজও হয়নি। আজও শ্রমিকদের অমানুষিক পরিশ্রম করিয়ে মালিকগণ হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক। বিলাসবহুল তাদের জীবন ব্যবস্থা। তাদের কর্মচারীদের (খেটে খাওয়া মানুষগুলোর) নুন আনতে পানতা ফুরায় অবস্থা। করুণ তাদের জীবন ইতিহাস। অধিক সময় ধরে কাজ করানো, কাজের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, শ্রমিক-মালিক তিক্ত সম্পর্ক আর শ্রম চুরি করে বিত্ত বৈভব তৈরীর প্রচেষ্টা আজও অব্যহত। পুঁজিবাদ শ্রমিককে শুধুমাত্র পণ্যে রুপান্তর মাধ্যম হিসাবে দেখে এবং হরণ করে তার মানবিক অধিকার। যার ধারাবাহিকতায় আমরা দেখি মালিকদের অতি মুনাফালোভী আচরণ। যেনতেনভাবে মুনাফা অর্জনের জন্য অনিয়ম ও দূর্ণীতির মাধ্যমে করা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিভ্ন্নি সময়ে ঘটে দূর্ঘটনা ও ভয়াবহ অগ্নিকান্ড। অসংখ্য শ্রমিক হতাহত হয় ও মৃত্যুবরণ করে। ফিনিক্স, স্পেকট্রাম, তাজরীন, রানা প্লাজার মত বাংলাদেশের এই পোশাক তৈরীর কারখানাগুলো অনেক শ্রমিকের মৃত্যুর সাক্ষ্য বহন করছে। কিন্তু তাদের মৃত্যুর জন্য দায়ী কোন ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আজ পর্যন্ত হয়নি। পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থায় এসব মালিকরা পার পেয়ে গেছে আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে। দূর্বিষহ জীবনের কালো ছায়া ছেয়ে গেছে হতাহতদের ও মৃত্যুবরণকারীদের পরিবারের উপর। শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা পুঁজিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থায় সম্ভব নয় কারণ এর কলকব্জা থাকে গুটি কয়েক পুঁজিপতিদের হাতে। যেমনটি আমরা দেখতে পাই শতবছর পর আজও বাংলাদেশে শ্রমিক বিক্ষোভ হয় ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য। গার্মেন্টস শ্রমিকদের তীব্র আন্দোলনের পর মজুরী বোর্ড ২০১৩ সালে পোশাক শিল্পে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরী ৫৩০০ টাকা ঘোষণা করে যেখানে দাবী ছিল ন্যূনতম মজুরী ৮০০০ টাকার। শ্রমিকদের বাড়ি ভাড়া, যাতায়ত ভাড়া, চিকিৎসা ব্যায় বৃদ্ধি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ জীবন যাত্রার মান ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে এখন অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে গেছে । সর্বশেষ ২০১৩ সালে যে ন্যূনতম মজুরী ঘোষণা হয়েছিল ৫৩০০ টাকা যাতে খাদ্য ভাতা হচ্ছে ৬৫০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ১২০০ টাকা, যাতায়ত ভাড়া ২৫০ টাকা, মেডিকেল ২০০ টাকা, বেসিক ৩০০০ টাকা। দেশে এইখাতের শ্রমিকদের জন্য ১৯৮৪ সালে প্রথম মজুরী ঘোষণা করা হয়। ওই সময় শ্রমিকদের ন্যূনতম মোট মজুরী ছিল ৬৩০ টাকা। পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালে ৯৩০ টাকা, ২০০৬ সালে ১ হাজার ৬৬২ টাকা, ২০১০ সালে ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। সম্প্রতি ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরী মোট ১৬,০০০ টাকা ধার্য করা সহ আগামী ৬ মাসের মধ্যে মজুরী ঘোষণা ও বাস্তবায়ন এবং সেক্টরের শ্রমিক প্রতিনিধিকে মজুরী বোর্ডের সদস্য করার দাবি জানানো হয় শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে। পোশাক শিল্পে কর্মরত প্রায় ৪৫ লক্ষ শ্রমিক অত্যন্ত পরিশ্রম করে দেশ এবং শিল্পের উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করে আসছে এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও শিল্প উন্নতির লক্ষ্যে ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত কাজ করে চলছে। যার বেশীরভাগ ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী কর্মঘন্টা, কর্ম বিরতি, কর্ম পরিবেশ, নিয়োগপত্র প্রাপ্তি, মাতৃত্বকালীন ছুটি ও ভাতা, দূর্ঘটনাকালীন মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ সহ নানাবিধ সুবিধাদির অনিয়মতান্ত্রিক অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে শ্রমিকগণ কাজ করে যাচ্ছেন। এই চিত্র শুধু পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের বেলায় নয়, দেশের বেশিরভাগ বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কোন না কোনভাবে তা সামঞ্জস্যপূর্ণ।

চীনের দুঃখ যেমন হোয়াংহো নদী, বাংলাদেশের দুঃখ তেমন প্রচলিত শ্রম আইন। ‘শ্রম আইন ২০০৬’ কে শুরু থেকেই দেশের ক্রিয়াশীল সকল শ্রমিক সংগঠন ‘অগণতান্ত্রিক শ্রম আইন’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছে। পরবর্তীতে ২২শে জুলাই ২০১৩ সালে বাংলাদেশ ‘শ্রম আইন ২০০৬’ এর সংশোধনী আনা হয়। ২১ টি অনুচ্ছেদ ও ৩৫৪ টি ধারা সম্বলিত শ্রম আইনের অনেকগুলো বিষয় শ্রমিক স্বার্থ এবং শ্রমিক সংগঠনের জন্য ক্ষতিকর বলে এখনও বিতর্কিত। শ্রম আইন কার্যত মালিক শ্রেণীর স্বার্থে প্রণীত শ্রম আইন হিসেবেই বিবেচিত। এ আইনে শ্রমিকের গণতান্ত্রিক অধিকার, সংগঠন করার অধিকার, চাকরির নিশ্চয়তা, নিরাপত্তা, আবাসনের অধিকার এমনকি মুনাফায় অংশগ্রহণের অধিকারকে ছোট করে দেখা হয়েছে। শ্রম আইনের অস্পষ্ট ব্যাখ্যায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারী ও মালিকদের মধ্যে এখনও কে মালিক আর কে শ্রমিক এই নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। মালিকপক্ষ মনে করে শ্রমিক বলতে শুধু দিন মজুরদের বুঝায়। আর প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কেতাদুরস্ত কর্মজীবীদের বুঝায় না। ফলে কর্পোরেটগুলো মে দিবসের সরকারি ছুটি নিয়ে কানামাছি খেলে। ইচ্ছে হলে কর্মবিরতি রাখে অথবা কার্যক্রম চলমান রাখে। আরো উল্লখ্যে যে, বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও শ্রম আদালত ও মন্ত্রণালয়ের তাদারকির অভাবে শ্রম আইন বাস্তবায়ন অধিকন্তু শ্রমিকদের অবশ্যই প্রাপ্য ভবিষৎ তহবিল (প্রভিডেন্ড ফান্ড), চাকুরী অবসরকালীন মহার্ঘ্য ভাতা (গ্রাচুইটি), প্রফিট শেয়ার (লভ্যাংশ) কার্যকর করছে না। চাকুরী থেকে অবসান বা অপসারণের যে শর্ত তাও মানছে না ব্যক্তমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো। সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে শ্রম আইনের ফাঁক-ফোকরে কোনরকম ব্যাখ্যা ও পাওনাদি ছাড়াই কর্মীকে চাকুরী থেকে অপসারণ করছে, যা আইন পরিপন্থী। শ্রম আইন বিশেষজ্ঞ ও ‘বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫’এর ড্রাফটিং কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফের মতে সর্বশেষ ২০১৭ সালেও আইএলও বাংলাদেশের ‘শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধনী ২০১৩)’ কে আন্তর্জাতিক মানের নয় বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং অতি সত্তর পুনরায় সংশোধনীর জন্য সংশ্লীষ্ট মন্ত্রণালয়কে তাগিদ দিয়েছে। ‘ট্রেডিং ইকোনমিক্স’এর ২০১৮ সালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী মার্কিন ডলারে বাংলাদেশের শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন দেখানো হয়েছে ৬৩.২৬ ডলার। যেখানে কানাডার ২৬১৭ ডলার, ফ্রান্সের ১৮৩০ ডলার, জার্মানীর ২৫৯১ ডলার, যুক্তরাজ্যের ২৬১৯ ডলার, যুক্তরাষ্ট্রের ১৭৪০ ডলার এবং জাপানের ১৮৭০ ডলার। (এই প্রতিবেদনে কানাডা, জার্মানী, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র সহ অনেক দেশের ন্যূনতম মজুরী ঘন্টায় দেখানো হয়েছে। আবার কিছু কিছু দেশের বেলায় দেখানো হয়েছে সাপ্তাহিক, মাস ও বাৎসরিক সূচকে। যদিও বাংলাদেশে কর্মঘন্টার মানসম্পন্ন কোন উদাহরণ নেই, তাই প্রতিবেদনে ন্যূনতম মজুরী দেখানো হয়েছে মাস এর সূচকে। ) শ্রম আইন অনুযায়ী দৈনিক ৮ ঘন্টায় ন্যূনতম মজুরীর শতভাগ বাস্তবায়ন বাংলাদেশে এখনও দুঃস্বপ্ন। ইপিজেডগুলোর বাহিরের প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই চিত্র অত্যন্ত হতাশাজনক। আইএলও ১০০ ডলারের নিচে বেতন যেই যেই দেশের তার একটি তথ্য দিয়েছে যার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সবার নিচে। রানা প্লাজা দূর্ঘটনার পর সি.এন.এন. একটা তথ্য প্রতিবেদন দেখিয়েছিল। সেখানে দেখানো হয়েছিল আমেরিকাতে তৈরী একটা ডেনিম শার্টের মজুরী পড়ে ৭.৪৭ ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬০০ টাকা। অন্যদিকে বাংলাদেশে তৈরী শার্টটির মজুরী পড়ে দশমিক ২২ ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৮ টাকা। মজুরীর এই তুলনামূলক চিত্র দেখলেই বুঝা যায় আমরা উন্নত বিশ্বের মুনাফা সন্ত্রাসের স্বীকার। অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বাংলাদেশের মজুরী কাঠামোকে অস্বাভাবিক উল্লেখ করে ২০০৬ সালে দেখিয়েছিলেন বাংলাদেশে উৎপাদিত একটি গার্মেন্টস পণ্য ইউরোপে বা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ১০০ ডলার বিক্রি হলে কারখানার মালিক পান ১৫ – ২০ ডলার, উৎপাদিত রাষ্ট্র ২৫ – ৩০ ডলার এবং বিদেশি প্রতিষ্ঠান ৫০ – ৬০ ডলার পেয়ে থাকে। উৎপাদনকারী শ্রমিকের ভাগে পড়ে মাত্র ১ ডলার। অর্থ্যাৎ পণ্য রপ্তানি বাড়লে লাভাবান হয় মালিকরা, শ্রমিকদের অবস্থার পরিবর্তন হয় না।

প্রসঙ্গত উল্লখ্যে যে, ১৮৮৬ সালের ১লা মে আমেরিকার মেহনতী শ্রমিকশ্রেণী দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজের দাবীসহ আরো কয়েকটি ন্যায্য দাবী ও অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ‘আমেরিকান ফেডারেশন অব লেবার’-এর ১৮৮৫ সালের সম্মেলনের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে আমেরিকা ও কানাডার প্রায় তিন লক্ষাধিক শ্রমিক শিকাগোর ‘হে মার্কেটে’ এক বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে সর্বপ্রথম সর্বাত্মক শ্রমিক ধর্মঘট পালন করে। মালিকরা তাদের ইচ্ছামত শ্রমিকদের কাজ করতে বাধ্য করত। এমনকি দৈনিক ১৮-২০ ঘন্টা পর্যন্ত। এ অন্যায়, বঞ্চনা ও জুলুমের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিকরা পর্যায়ক্রমে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। এতে ১১ জন শ্রমিক নেতা ও কর্মী নিহত হয় এবং আহত ও বন্দী হয় অসংখ্য শ্রমিক নেতা ও কর্মী। শ্রমিক নেতা ও কর্মী হত্যার এ দিবসটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই প্যারিসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে প্রতিবছর ১লা মে ‘শ্রমকি হত্যা দিবস’ও ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস’হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
মে দিবসে শ্রমিক হত্যাযজ্ঞের পিছনে দায়ী ছিল পুঁজিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থা। রাষ্ট্র শ্রমিদের ন্যায্য দাবী উপেক্ষা করে অবস্থান নিয়েছিল পুঁজিপতিদের পক্ষে। কারণ পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় যেই ক্ষমতায় থাকুকনা কেন ব্যবস্থার নাটাই থাকে পুঁজিপতিদের হাতে। আজকালতো মে দিবসের উৎসব উদযাপিত হচ্ছে কর্পোরেট মোড়কে। শ্রমিকদের মে দিবস ও বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ বিষয়ভিত্তিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন বা মিছিলে ধরিয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন কর্পোরেটের নাম সম্বলতি টি-শার্ট, ব্যানার, পেস্টুন ও প্লাকার্ড যা কর্পোরেট পুঁজিবাদী আগ্রাসনের নতুন বহিঃ প্রকাশ। রাষ্ট্র যদি হয় ধণিকশ্রেণীর তার আইন-কানুনও তাই ধণিকশ্রেণীর স্বার্থ রক্ষার্থেই প্রণীত হবে। ফলে শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠায় শ্রম আইন সংশোধন ও বাস্তবায়নের আন্দোলনকে তাই পরিচালিত করতে হবে শোষণ মুক্তির দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে যা আজ খুবই জুরুরী। তবেই না মে দিবসের উদ্দেশ্য ও আত্মত্যাগ বাংলাদেশে সমার্থক ও সফল হবে।


লেখকঃ কলামিষ্ট [email protected]

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মে, ২০১৮ সকাল ৮:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


শ্রমিকদের আর্থিক অবস্হা ভালো করার কোন পন্হা আছে?

০১ লা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৫

মোহাম্মদ রাহীম উদ্দিন বলেছেন: নূ্যনতম মজুরীর দাবি বাস্তবায়ন। ধন্যবাদ।

২| ০১ লা মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।

০১ লা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫২

মোহাম্মদ রাহীম উদ্দিন বলেছেন: পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।

৩| ০১ লা মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
"শ্রমিক মালিক ভাই ভাই সোনার বাংলা গড়তে চাই"

০১ লা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩

মোহাম্মদ রাহীম উদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.