নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিঃসঙ্গ পথচারী

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ

তারপরও মুষ্ঠিবদ্ধ হাতে ঘুরে দাড়াব.....।

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেনাবাহিনীর কুকীর্তির লিষ্ট : ভবঘুরের গোল্ডফিশ মেমরিকে আমার পক্ষ হতে খানিকটা ঘষা মাজা

০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:২০

আপনার এই লেখাটা পড়ে বুঝলাম কেন আর্মিরা আপনাদের ব্লাডি সিভিলিয়ান বলে গালি দেয়। ৭৫ এর আগে রক্ষীবাহিনীর হাতে সাধারন মানুষ মড়লে আর সিরাজ শিকদার পুলিশ হেফাজতে প্রান হারালে আপনাদের গায়ে লাগে না। গাজী গোলাম মোস্তফার ছেলেদের মেজর ডালিমের বউয়ের সাথে অশ্লীল আচরন, তারপর জাতির পিতার কাছে মেজর ডালিমের বিচার চাইতে গিয়ে উল্টো চাকরী খোয়ানো। এসব তো আপনার মনে থাকে না কারন জাতির পিতার আমল তো।



৭৫ আর ৮১ সালে যে অসংখ্য জীবন অকালে ঝরে গিয়েছিলো তার ৮০% ই আর্মি সদস্য যারা কিনা আপনাদের ব্লাডি সিভিলিয়ান বলে গালি দেয়। তাদের জন্য আপনার মায়া কান্নার হেতু কি, বোঝা গেলো না।



খন্দকার মোশতাকের নির্দেশে আর্মিরা হত্যা করলো চার নেতাকে আর আপনি বেমালুম চেপে গেলেন খন্দকার মোশতাকের ভূমিকা। জিয়া ক্ষমতা দখল করলে সেটা অবৈধ হয় আর খ. মো. দখল করলে সেটা ভুলে যান, ঐ রাজাকারটা আপনার কি লাগে?



আর্মিরা দূর্নীতি তো একা করে নাই। রাজনীতিবিদ আর বেসামরিক আমলাদের (মানে সচিব প্রজাতির মানুষরা আরকি) নিয়েই করেছে। আর বলির পাঠা বানালেন আর্মিদের..। ব্লাডি সিভিলিয়ানরা ধোয়া তুলসি পাতা আরকি....



আনসারদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর জন্য অসংখ্যবার ফাইল পাঠানো হয়েছিলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে কিন্তু আমাদের সচিবরা সেটা কোনভাবেই accept করলেন না বিদ্রোহের ঘটনা ঘটা পর্যন্ত। সেই একই ঘটনার পুনরাব্‌ত্তি হলো বি. ডি. আর এর বিদ্রোহের বেলায়ও। ব্লাডিটা আসলে কে? আর্মি নাকি সিভিলিয়ান?



ড ও এইচ সের জমি তো সস্তা হবেই কারন সরকারি জমি দাম মাত্রই নামমাত্র মূল্যের।



মইন ইউ আহমেদের ক্ষমতা দখল করেননি, আপনারা ব্লাডি সিভিলিয়ানরাই ওনাকে আমন্ত্রনা করে এনেছেন আপনাদের ব্যর্থতা সামলানোর জন্য। আর এখন বলছেন উনি অবৈধভাবে....। নেমক হারামি আর কাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি? মইন ইউ আহমেদ ক্ষমতার দায়ভার না নিলে জল আরো ঘোলা হতো। তাতে কি আপনি আরো বেশি লাভবান হতেন? ঐ রকম অরাজক পরিস্থিতিতে একজন দেশপ্রেমিক নাগরিক যা করতেন মইন ইউ আহমেদ তাই করেছেন।





সিডরের মতো প্রাকৃতিক দূর্যোগ সামলানোর মতো ক্ষমতা কি বেসামরিক প্রশাসন প্রমান করতে পেরেছে, আজ পর্যন্ত? যে গরুর দুধ খান আবার সে গরুকে লাথিও মারেন।



মিলিটারিতে সরকারের খরচা ৫৮৫৮ কোটি টাকা , যা হলো আমাদের জি ডি পি র ১.১% মাত্র এবং আমাদের সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে (নেপাল, ভুটান আর মালদ্বীপ ছাড়া) সবচেয়ে কম। আপনি দয়া করে বাংলাদেশে এমন একটা খাত বলেন যেখানে অন্তত বরাদ্দের ৭০% সঠিকভাবে ব্যয় করা হয়।



এরকম আরো অনেক কিছুই বলা যায়। বললাম না কারন আপনার মেমরি গোল্ডফিশের চাইতেও খারাপ, আপনার সুবিধা মতো আপনি কিছু মনে রাখবেন তো কিছু মনে রাখবেন না।



আমাদের আর্মি অফিসাররা এদেশেরই মানুষ, বাঙ্গালী। ব্লাডি সিভিলিয়ানদের মধ্য থেকেই উঠে আসা মানুষ। এরা কোন না কোন ব্লাডি সিভিলিয়ানদের বাবা, কিংবা ভাই অথবা বোন। তো এদের গালি দেয়া মানে শূন্যে থুতু দেয়া, আর শূন্যে থুতু দিলে তা কোথায় পড়ে তা নিশ্চয় আপনাকে ভেঙ্গে বলতে হবে না, আশা করি।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +১১/-১৮

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:০৮

রুহু্ননবী বলেছেন: ভালই.......... কথা গুলা ঠিক...
যদিও আর্মি পছন্দ করি না +++

২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:১৭

জর্জিস বলেছেন: ++++++

৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:১৮

রাসেল ( ........) বলেছেন: সামরিক ব্যয়ের কোনো পরিসংখ্যান নেই, বাজেটের স্পষ্ট বলাও থাকে না। সামরিক যন্ত্রাংশ ক্রয় বাবদ একটা আজগুবি অঙ্ক তুলে দেওয়া হয়, তবে সেটাতে বিশ্বাস স্থাপনের কোনো কারণ নেই।

সামরিক বাহিনীর ব্যয় বরাদ্দের একটা অংশ আছে উদ্ধৃত বাজেট থেকে,

এই বিষয়ে আবেগী হওয়ার কিছু নেই আসলে।

যে সামরিক অফিসারগুলো ক্যুতে এবং ষড়যন্ত্রে নিহত হয়েছে তারা সাধারণ মানুষের কোন অধিকার অর্জনের জন্য নিহত হয়েছে? ৭৭ এ বিমান বন্দরে হাইজ্যাকের ঘটনা এবং অতঃপর যা ঘটেছে সেটাতে সাধারণ মানুষের কোনো অংশগ্রহন কি ছিলো?
৮১তে জিয়া মারা যাওয়ার পর যে পাইকারী হত্যা হয়েছে, সেখানেও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহন কিংবা সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষিত হয়েছে এমনও না- বরং ৭৫ পরবর্তী সময়ে সামরিক বাহিনীতে যা ঘটেছে সেসবের কোনোটাই সাধারণের প্রয়োজনে ঘটে নি , বরং নিজেদের কান্ধের তারা এবং পদবীজনিত হানাহানিতে ঘটেছে।

দুর্নীতি ছিলো হয়তো প্রথম থেকেই কিন্তু অবঃ এবং কর্মরত সামরিক সদস্যদের বিশেষ আদরে সোহাগে সাধারণ প্রশাসনে বসানোর কাজগুলো কিন্তু ব্যপক ভাবে হয়েছে ৭৫ থেকে পরবর্তী সময় পর্যন্ত।

হাঁটুলের বিষয়ে একটাই কথা বলা যায়,

এই স্টুপিডগুলারে তার উর্ধতন কর্মকর্তা প্রতিদিন এক ঘন্টা কইরা প্রাকটিস করায় যেন তারা সোজা হইয়া লাইন ধইরা হাঁটতে পারে।

যারা সোজা হইয়া হাঁটতে পারে না, তাগোরে নিয়া বিশেষ কিছু কওন ঠিক না।

৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৫৩

কুচ্ছিত হাঁসের ছানা বলেছেন: রাসেল ( ........),
ISSB থিকা স্ক্রিন্ড আউট হইছিলেন নিশ্চয়ই? নাকি বিএমএ থিকা াছায় লাত্থি দিয়া বাইর কইরা দিছে?
জ্বলে? আঙ্গুর ফল টক, সেইটা জানেন তো?

৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:৪২

অলস ছেলে বলেছেন: +

৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:৫৬

আকাশ_পাগলা বলেছেন: (গাজী গোলাম মোস্তফার ছেলেদের মেজর ডালিমের বউয়ের সাথে অশ্লীল আচরন, তারপর জাতির পিতার কাছে মেজর ডালিমের বিচার চাইতে গিয়ে উল্টো চাকরী খোয়ানো।)

(মিলিটারিতে সরকারের খরচা ৫৮৫৮ কোটি টাকা , যা হলো আমাদের জি ডি পি র ১.১% মাত্র এবং আমাদের সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে (নেপাল, ভুটান আর মালদ্বীপ ছাড়া) সবচেয়ে কম। আপনি দয়া করে বাংলাদেশে )




আপনি কতদূর কী জানেন, মানুষের বুঝা শেষ। আন্দাজে কথা বলার সীমার রাখা উচিত তাই না??



আমাকে গালি দিলে আপনি সাধুপুরুষ হবেন না, তাই না? আপনি ভাল থাকলেই আপনি সাধুপুরুষ। বেশিরভাগ আর্মির মেন্টালিটি থাকে থাকে আপনার মত, নিজের দোষ ঢাকতে মানুষকে গালি দেয়।



১০০ টা সিভিলিয়ানের মধ্যে ৬ টার নাম নিছেন। ২০ টা আর্মির মধ্যে আমি ৫ টার নাম নিব। তখন যদি বলেন, সিভিলিয়ানদের কাহিনী বেশি, তাইলে আপনার কথায় যুক্তি কতটুকু ???


ক্যান্টনমেন্টে গেছেন??? আদৌ??? দুর্নীতি সবখানেই হয়, সেইটা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু, অকারণে কাউকে সুযোগ সুবিধা দিয়ে ভাসিয়ে দেয়াটা কখনই সমর্থনযোগ্য না।

চলেন না একটু বনানীতে যেয়ে দেখে আসি যে, কয়টা বাড়ির মালিক আর্মি ??? ওই যে বললাম, ১৪ কোটি সিচিলিয়ানের মাঝে বনানীতে বাড়ি করে ১০০ সিভিলিয়ান, আর ১০ লাখ আর্মির মাঝে বনানীতে বাড়ি করে ৯৮ আর্মি। এইটার উত্তর কী আপনার???


মানুষের পোস্টের কাউন্টার পোস্ট দেয়ার আগে দশবার ভাববেন। আপনি নাম নিছেন শুধু রাজনীতিবিদ দের। আপনার মনে হয় এদের কেউ সমর্থন করে?? এদের পচিয়ে আর্মি উপরে উঠে?? বরং , আপনি দুই দলকেই সমান পর্যায়ে দাড়া করাইছেন। আর, জাতি সবসময়েই সুবিধাভোগীদের নিচু চোখে দেখে।

৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:৫৩

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: ভাইজান মাথাটা ঠান্ডা করেন, মনে হ্য় আউলা ঝাউলা হইয়া গেছে.... রাগের চোটে স্বজাতির নামটাও লিখলেন ভুল (১৪ কোটি সিচিলিয়ানের মাঝে .....)

সিভিলিয়ানদের কাহিনী বেশি হবেই, আর্মিরা শাসন করেছে ১৫ বছর (১৯৭৫-১৯৯০) আর সিভিলিয়ানরা ২৩ বছর (১৯৭১-১৯৭৫, ১৯৯০-২০০৯)। প্রথম ৪বছর বাদ দিলে বাকি ১৯টা বছর গনতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার কি ঘোড়ার ডিমটা করলো? দূর্নীতিতে সিভিলিয়ানরা বাংলাদেশকে বানালো ১ নম্বর। সিভিলিয়ানরা যদি অতই সোজা মেরুদন্ডের হতো তো গত ১৯ বছরে আর্মির কাছে জবাবদিহি চাইতে পারতো। আর চাইবেই বা কি? নিজেরাই বেদিশা হয়ে লুটপাটে মত্ত। ফলাফলঃ বর্তমানে আমাদের জি ডি পি র ৩% ই দূর্নীতিতে হাওয়া হয়ে যায়, প্রতি বছর। এর মানে যে ১.১% আর্মির পিছনে খরচ হ্য় তার প্রায় ৩ গুন দূর্নীতি হয় এদেশে। আবার এটা বলেন না যে, ঐ ৩ গুন দূর্নীতি শুধু আর্মিই করে।

আর্মিদের ১৫ বছর = শাক
সিভিলিয়ানদের ১৯ বছর = মাছ,

এখন আপনিই বলেন, শাক দিয়ে কি মাছ ঢাকা যায়? সেই ১৯৯০ সালে সামরিক শাসনের ইতি ঘটলেও এখনও আপনারা লেগে আছেন আর্মির পিছনে... কিন্তু তাতে কি সিভিলিয়ানদের দ্বারা গত ১৯ বছরে ঘটা অপকর্ম কি জায়েজ হয়ে যাবে? কোনদিনও না।

আর্মি যদি দূর্নীতির চারা রোপন করে থাকে (অবশ্য চারা বঙ্গবন্ধুর আমলেই রোপিত হয়েছিলো, ওনার উক্তিঃ দেশের জন্য ভিক্ষা করে আনি আর চাটার দল তা চেটে খায়/ আমার কম্বল কই? আমরা কিন্তু ভুলিনি), তবে সিভিলিয়ানরা তাতে পানি ঢেলে পরিপুষ্ট করে তুলেছে। একই মুদ্রার এ পিঠ ও পিঠ।

সিভিলিয়ানদের ৬ টা নাম কেন, আরো নাম নিতে পারি. ..

বনের রাজা - ওসমান গনি

জাল সনদধারী বিচারক - ফয়েজী

ঘুষ খেকো বিচারপতি - ফজলুল হক (যিনি কিনা ১০.৬১ কোটি টাকা হজম করেছেন তত্তাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা থাকা কালিন সময়ে। শুধু তাই নয় ওনার পুত্র ও জামাতার বিরূদ্ধেও দুদকের মামলা আছে। family project আরকি।)

সালমান এফ রহমান - ১ নম্বর ঋন খেলাপি

জাহাঙ্গীর নগর ইউনিভার্সিটির সেঞুরিয়ান ধর্ষক - মানিক

আরো জানতে চান? আগে আপনি ৫ জন আর্মি অফিসারের নাম দেন, তারপর বলবো।

আপনার পরিসংখানেও সমস্যা আছে। তা হলো ১৪ কোটি মানুষের সবাই কি বনানীতে বাড়ি বানানোর সামর্থ্য রাখে? যারা সামর্থ্য রাখে না তাদের হিসাবে আনলে তো সিভিলিয়ানদের % আর্মিদের তুলনায় কম হবেই। ১৪ বছর বেইলী রোডের মন্ত্রী পাড়ায় ছিলাম। আপনাদের সুশীল সমাজের সুবোধ বালকেরা (বেসামরিক আমালারা - সচিব, পুলিশ, কাস্টমস অফিসার, ইত্যাদি, ইত্যাদি ,ইত্যাদি) একেকজন বনানীতে কটা বাড়ির মালিক, সে সবের idea আমি ভালোই জানি। বিত্ত বৈভবের তুলনা করলে পুলিশের ওসি র কাছে একজন আর্মি জেনারেল তো দুগ্ধপোষ্য শিশু ছাড়া আর কিছু না।


মানুষের পোস্টের কাউন্টার পোস্ট দেয়ার আগে যদি একবারও না ভাবি, তো আপনার কি? বরং আপনি point by point আমার বক্তব্যের explanation দিয়ে প্রমান করেন যে আমি যা বলেছি তা নির্জলা মিথ্যা ছাড়া আর কিছুই না।


ধন্যবাদ।



৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৩

জর্জিস বলেছেন: মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ এর সাথে কঠিনভাবে সহমত।

৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫০

অতন্দ্র তওসিফ বলেছেন: জনাব মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ, আপনি অত্যন্ত চমৎকার লিখেছেন। আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর নৈতিকতার বর্ণনা পড়ে চোখে পানি এসে যাচ্ছিল। খালি আর কয়েকটি ব্যাপার বিরক্ত করছে, একটু পরিষ্কার করলেই আমি তওবা পড়ে মিলিটারির উপর ঈমান এনে ফেলব--

১। একজন আর্মি অফিসার মাসে কত টাকা বেতন পান? বনানীতে জমি সহ বাড়ি বানানোর খরচ কত পড়ে?

২। কুর্মিটোলা, সাভার, কুমিল্লা, রাজেন্দ্রপুর, চট্টগ্রাম প্রভৃতি ক্যান্টনমেন্টের সাথে মিলিটারি পরিচালিত যে গল্ফ ক্লাবগুলো আছে, সেগুলো কাদের অর্থে নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়? এ গল্ফক্লাব গুলো দেশের কী কাজে আসে?

১০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:২৩

আকাশ_পাগলা বলেছেন: সিলি টাইপিং মিসটেক নিয়ে এভাবে বলার কী আছে?

আমার স্বজাতি মানে কী? আপনি বা আপনার পরিবারের কেউ কি কোন আমলে সিভিলিয়ান ছিল না???


আপনার কথা রাইট।

মন্ত্রীগুলারে অতদিন যেই ভাষায় গালি দিতাম, আপনি কী চান আর্মিদেরও গণহারে দেশের মানুষ সেই গালি দেউক ???

আপনার ইচ্ছা ভাই। আপনার কথা শুনে চক্ষে পানি আইয়া পড়ল।

দুর্নীতি সবখানে হইব, সেটা নিয়ে বলার কিছু নাই। কিন্তু আর্মিদের দুর্নীতি শুধু টাকা খাওয়ার পর্যায়ে থাকে না, গুন্ডামীর পর্যায়ে চলে যায় অনেক সময়।

এইটা লীগের আর দলের পোলাপানও করে।

কিন্তু কথা হইল, ওদের ত আমরা গুণ্ডাই ডাকি, আর্মি ত আমাদের পক্ষের লোক হয়ে কাজ করার কথা। ওরা একই কাজ করে, এত বেতন আর সুবিধা নিলে গায়ে ত লাগবেই।

আশা করি আমার পয়েন্টটা বুঝতে পেরেছেন। দুর্নীতি কে কতটুকু করল, সেটা ফ্যাক্ট না। ফ্যাক্ট হল, কে করল !!! মানে, এক অপরিচিত আমাকে অপমান করল, সেটা এক হিসাব। আর আমার পক্ষে থাকার জন্য যাকে বেতন দেয়া হয়(আর্মি) সে বেইমানী করে ওই ব্যাটার মত আচরণ করলে গায়ে ত লাগবেই।

এই হিসেবে পুলিশের নামও কিন্তু আসে। তবে কী না, ওরা ক্ষমতা দখল করে নাই। তবে, ওদেরও গালি দিলে আরাম লাগে অনেক সময়।

১১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:২৬

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: তওসিফ ভাই মিলিটারির উপর ঈমান না আনলে কি যায় আসে, ঈমান না আনলে আপনি তো আর দোজখে যাচ্ছেন না। আমি কিন্তু এটা প্রমান করতে চাইনি যে, "সেনাবাহিনীর চরিত্র ফুলের মতো পবিত্র"। শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর দূর্নীতির কারনেই দেশের বেহাল দশা - এ ধরনের একটা ধারনা কেউ কেউ আম জনতার মাঝে ছড়িয়ে দেবার চেষ্টা করেন এটা মেনে নিতে আমার আপত্তি আছে।

সেনাবাহিনী নেই এরকম দেশের সংখ্যা মোটে ২৬ টি। তাও সেসব দেশ প্রতক্ষ্য বা পরোক্ষ ভাবে কোন না কোন সামরিক জোটের সাথে জড়িত। সুতরাং সেনাবাহিনী থাকা কিন্তু বিলাসিতা নয়, বাস্তবতা। যদিও সেনাবাহিনী বাংলাদেশে বরাবরই অপ্রিয় ইস্যু। আমাদের সেনাবাহিনীর ব্যবহার যদি আমরা effectively এবং effciently না করতে পারি, তাহলে তা হবে আমাদের সবারই ব্যর্থতা।

আপনার ১# প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। আশা করি আমার যে বন্ধুরা আর্মিতে এবং রাজউকে কর্মরত আছে, তাদের কাছ থেকে জেনে নিয়ে জানাব।

আপনার ২# প্রশ্নের উত্তর আমি আপনাকে specifically বলতে পারবো না। But what I know you know that too, in fact everybody knows that about Golf clubs. তা হলো,

গল্ফ ক্লাবসমুহ সরকারী অর্থেই নির্মান ও রক্ষনাবেক্ষন করা হয়।

সাধারনভাবে, এ গল্ফ ক্লাবগুলো বিনোদনের জন্যই এবং কি আর্মি কি সিভিলিয়ান সবার জন্যই উন্মুক্ত। যদিও নিশ্চিত নই, তবে আমার ধারনা এখানে আর্মিরা ডিসকাউন্ট পায় (বিমানের চাকুরী করলে যেমন বছরে বিদেশ ভ্রমনের free ticket পাওয়া যায়, কিছুটা সেরকম)। আর সিভিলিয়ানদের মধ্যে যারা গল্ফ খেলার সামর্থ্য রাখেন ও প্রভাবশালী তারা হবেন, বিত্তশালী ও পেশাদার রাজনীতিক, করপোরেট elits. হয়তো তারা বিনোদনের পাশাপাশি বিভিন্ন business dealings, network building অথবা শুধুমাত্র নিজের social status level টা বজায় রাখার জন্যও আসতে পারেন।

ধন্যবাদ।

১২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:০৪

অগ্নিশিখা বলেছেন: আমরা আসলে ১৯০ বছর ব্রিটিশদের অধীনে ছিলাম তো , পরাধীনতা অনেকের রক্তের সাথে চলে এসেছে। এইটা তাদের দোষ না , দোষ তাদের রক্তের।

রেটিং এক্সেস নেই বলে মাইনাস দিতে পারলাম না।

১৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:১১

রাতমজুর বলেছেন: স্যরি ম্যান ভুলে মাইনাস পড়ছে :(

১৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৩০

অতন্দ্র তওসিফ বলেছেন: সশস্ত্র বাহিণী যে কোন দেশের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠান। আমার দুঃখ এখানেই যে বাংলাদেশে প্রকৃতপক্ষে কোন সেনাবাহিণী নেই। যা আছে তা হচ্ছে জাতিসংঘ নামক যুক্তরাষ্ট্রের পোষা কুকুরের ভাড়াটে যোদ্ধা। তারা জাতিসংঘের নির্দেশে দেশের শাসন ক্ষমতা দখল করতে পারে (রেফারেন্সঃ জেনারেল মইন উ আহমেদের আত্মজীবনী)।

সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন দূর্নীতি করে বলে সেনাবাহিণীরটা জাস্টিফাইড হয়ে যায়, এটা মনে করাটা বোকামি।

আর সবচেয়ে মূল যে পয়েন্টটা, মনে করেন আপনি আপনার বাসা পাহারা দেওয়ার জন্য একজন দারোয়ান রাখলেন। তাকে অস্ত্র কিনে দিলেন। বেতনের পাশাপাশি ঠিক করলেন সে আপনাদের সাথেই খাবে, এবং আপনার বাড়িতে তাকে বিনা ঘরভাড়ায় একটা রুম দিলেন থাকার জন্য। সে দারোয়ান যদি কোনদিন তার অস্ত্রবলে (সেটা কিন্তু আপনার টাকাতেই কেনা) আপনার স্ত্রীকে অপমান করে, কেমন লাগবে রশীদ সাহেব? আমাদের সেনাবাহিণী কিন্তু সে কাজটাই করছে।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৭:১৪

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: তওসিফ ভাই তাহলে দয়া করে বলবেন সেনাবাহিনীর সংগাটা কি? তাহলে বুঝতে পারতাম বাংলাদেশের সেনাবাহিনী কেন সেনাবাহিনী না।

আর জাতিসংঘের Peace Keeping Mission এ অংশ গ্রহন করা যদি সেনাবাহিনীর status থেকে খারিজ হওয়ার একমাত্র কারন হয়ে থাকে, তাহলে পাকিস্তান আর ইন্ডিয়ার সেনাবাহিনীও তো সেনাবাহিনী না যেহেতু তারাও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ কথা এ জন্য বললাম, কারন troops contribution এর নিরিখে পাকিস্তান ১ম, বাংলাদেশ ২য় আর ইন্ডিয়া ৩য়। এখন কেউ যদি আম জনতাকে বুঝাতে চান যে পাকিস্তান আর ইন্ডিয়ার সেনাবাহিনী আসলে সেনাবাহিনী না, তাহলে জনতা হ্য়তো এটা ভেবে বসতে পারে যে, "মানুষটা মনে হয় recently পাবনা মেন্টাল থেকে ছাড়া পাইছে"।

ভাড়াটে যোদ্ধাকে ইংলিশে বলা হ্য় Mercenary. Wikipedia র সংগা অনুযায়ীঃ A mercenary is a professional soldier hired by a foreign army, as opposed to a soldier enlisted in the armed forces of a sovereign state. বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে hire করছে জাতিসংঘ, কোন বিদেশী সেনাবাহিনী নয়। তাহলে বাংলাদেশের সেনা সদস্যরা ভাড়াটে যোদ্ধা হয় কিসের ভিত্তিতে? আশা করি এর উত্তরটা আমি আপনার কাছ থেকে পাব?

ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, প্রতিষ্ঠান হিসাবে জাতিসংঘ কত দূর্বল। এহেন দূর্বল প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কি অন্য কোন দেশ দখলের নির্দেশ দেয়া কি সন্ভব? সদস্য রাষ্ট্রের চাদায় চলা জাতিসংঘ যদি কোন দেশ দখলের নির্দেশ দেয় তবে জাতিসংঘের অবস্থা তো আমার বাড়ির কাল্পনিক দারোয়ানের মতই হলো, তাই না? "জাতিসংঘের নির্দেশে দেশের শাসন ক্ষমতা দখল করতে পারে" এই উক্তিতেই বোঝা যায়, এটা একটা সম্ভাবনা মাত্র, তবে এই সম্ভাবনার ভিত্তি কি? সেটাও পরিষ্কার করে বলেন।

মনে করেন আপনি একটা বেসরকারী অফিসে চাকরী করেন, তারা আপনাকে মোটা অংকের বেতন দেয়, বোনাস, ইনক্রিমেন্ট আর প্রমোশনের কথা বাদই দিলাম। এসবই আপনার মালিক আপনার জন্য করছে আপনার শ্রম কেনার জন্য। কিন্তু এই মালিকই যদি একদিন আপনার স্ত্রীকে চড় মেরে বসে, কেমন লাগবে তওসিফ সাহেব? পয়সা দিয়ে তো মানুষের মৌলিক অধিকার কেনা যায় না। আমাদের সিভিলিয়ানরা কিন্তু সেনাবাহিনীর প্রতি সে কাজটাই করছে।

১৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৩৩

অতন্দ্র তওসিফ বলেছেন: আবার মনে করেন আপনার দারোয়ান এলাকার নাইটগার্ডের দায়িত্ব-ও পালন করে মাঝেমধ্যে, যেহেতু সে খুব চৌকস। এখন আপনার এবং আপনার স্ত্রী-র মাঝে মনোমালিন্য হলে, পাড়ার 'মুরুব্বি'-দের পরামর্শে দারোয়ান যদি আপনাদের মধ্যে শালিস করতে যায়, মেনে নিবেন তো?

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:২৭

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: মুরুব্বি যদি আমার দারোয়ানকে reccomend করে বসে তাহলে আমি এটা একেবারেই নিশ্চিত যে পাড়ার ঐ শালা মুরুব্বিরা আসলে আমার দারোয়নেরও অধম। আমি নির্দ্বিধায় ঐ সকল তথাকথিত মুরুব্বিদের আমার ( - ) ফর্মূলা অনুযায়ী মাইনাস করবো। এতে করে অন্ততঃ আমার সংসারটাতো একেবারে ভেঙ্গে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে।

কি বোঝা গেলো ব্যপারটা?

১৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৩২

অতন্দ্র তওসিফ বলেছেন: আবার মনে করেন আপনার সন্তান মাঠে খেলছে, দারোয়ান বিকেলে সময় কাটাতে মাঠে গেল। সেখানে আপনার সন্তান ও দারোয়ানের মধ্যে কোন সমস্যা হল। তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম দোষ আপনার সন্তানেরই। এখন আপনি কী আশা করেন দারোয়ানের কাছে? তার কি উচিৎ আপনার কাছে এসে ব্যাপারটা জানানো, নাকি আপনাকে ঘরে তালা মেরে আটকিয়ে রেখে আপনার সন্তানকে পেটানো?

১৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৩৮

অতন্দ্র তওসিফ বলেছেন: আবার ধরুন, আপনার বাগান বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব কোণটি মূল বাড়ি থেকে একটু দূরে। সেখানে ছোট ঘর তুলে আপনার একটি দরিদ্র আত্মীয় পরিবারকে বসবাস করতে দিয়েছেন। ওদিককার পাঁচিল টপকিয়ে পার্শ্ববর্তী বস্তির কিছু সন্ত্রাসী প্রায়ই সীমানার ভেতর ঢুকে পরে। তাদের ঠেকানোর জন্য আপনি দারোয়ানকে সেখানে পাঠালেন। যেহেতু মূল বাড়ি থেকে আপনি এতদূরে দেখতে পান না বা কোনও আওয়াজও আসে না, সে সুযোগে দারোয়ান যদি আপনার আত্মীয় পরিবারের কিশোরী কন্যাটিকে ফুসলিয়ে বা বলপূর্বক ধর্ষণ করে, কী করবেন?

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৬:০৮

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: আপনি আমাকে, আমার স্ত্রীকে এমনকি আমার দারোয়ানকে নিয়ে চিন্তা করছেন (যদিও hypothetical) এটা ভাবতেই আমার ভালো লাগছে। তবে দুটি কাল্পনিক ঘটনাই যেহেতু একই format এর, আমি জবাবটা একসাথেই দেই। মানে আপনি আমার দিকে ফায়ার করলেন ২য় বিশ্ব যুদ্ধের ৩০৩ রাইফেল দিয়ে, দুইবার ট্রিগারে চাপ দিয়ে আর আমি আপনার দিকে ফায়ার করলাম AK-47 এর সাহায্যে burst mode এ, যাতে করে ট্রিগারের এক চাপে সবগুলো গুলিই বের হয়ে যায়।

আল্লাহ্‌ না করুক দারোয়ান যদি বেঈমানী করে, তবে আমি কিন্তু সিভিলিয়ানদের মত চুপচাপ বসে থাকবো না। ব্যপারটা এভাবে বললাম কারন আমাদের সংবিধান কিন্তু সামরিক সরকার কর্তৃক উপর্যুপুরি বেশ কয়েকবার ধর্ষণের স্বীকার হয়েছে, কতো নিরীহ সিভিলিয়ানের হাড়গোড় ভেঙ্গেছে....আরো কত অপকর্ম... তা আমরা সবাই জানি। অবশ্য এতো কিছু জেনেও, এতো suffer করার পরও সিভিল সমাজের প্রতিক্রিয়া ছিলো প্রতিবন্ধী (একই সাথে অন্ধ ও বধির) মানুষের মতোই।

আমার খুব দুশ্চিন্তা হচ্ছে আপনাকে নিয়ে। কেন জানি মনে হচ্ছে আপনারও দারোয়ান যদি আমারটার মতো অপকর্ম করে, আপনার ভূমিকা হয়তো আমাদের সিভিল সমাজের মতোই হবে.....

১৮| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৬:৪১

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: ৫৫৫৮ টাকা জিডিপির ১.১১ পার্সেন্ট এই তথ্য কোথা থেকে পাওয়া??
দেশের মোট জিডিপি কত?

আর্মিরা দূর্নীতি তো একা করে নাই। রাজনীতিবিদ আর বেসামরিক আমলাদের (মানে সচিব প্রজাতির মানুষরা আরকি) নিয়েই করেছে

বাহ বাহ..আর্মিরা দোকলা দুর্নিতী করেছে, তাই তাদের কিছু বলা যাবে না?

পাবলিক দুর্নিতী করলে মাইর খায়। পলিটিশিয়ান দুর্ণীতি করলে জেলে যায়, হাড় ভাঙে এমন রেকর্ড আছে। আর্মির কি এ ধরনের রেকর্ড আছে? আর্মির দুর্নিতীর বিরুদ্ধে কথা বলার কোন বিধানই নেই।

বাংলাদেশ আর্মি দেশের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নাম। সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্রধারী রাজনৈতিক দল। সবচেয়ে বড় গ্যঙষ্টার। সবচেয়ে ভয়ংকর খুনীর বাহিনী। দেশের ইতিহাস তাই বলে।

আমার এই ধারনা আর্মির কর্মকান্ড থেকেই এসেছে এবং এই ধারনা আমার মত আরও অণেকের। সেটা আমরা ইচ্ছে করে করি নি, আমরা জানি আর্মি আমাদেরই ভাই, চাচা, আমাদেরই আত্মীয়। কিন্তু তবু তাদের ঘৃনা করি। আর্মিদের মধ্যে কি ভাল মানুষ নেই? অবশ্যই আছেন, সিংহভাগই ভাল । কেন তারা্ আমাদের এ ধারনা ভাঙতে সাহায্য করেন না? কেন তারা তাদের কলিগদের ক্ষমতা লোভ, দুর্নিতী কমান না? কেন তাদের কলিগদের দ্বারা আমাদের প্রেসিডেন্ট এর মৃত্যু হয়? কেন সাধারন পাবলিকের কাছে তাদের জবাবদিহীতা নেই?

আর্মির ক্ষমতা কমার আগে বাংলাদেশের মুক্তি নেই। যদ্দিন আর্মির এই নিরন্কুশ ক্ষমতা থাকবে ততদিন দেশের গনতন্ত্র সুসংহত নয়। যেকোন সময় যেকেউ চাইলেই আর্মিকে লোভ দেখীয়ে ক্ষমতার হাতবদল করে ফেলবে। যা স্বাধীণতার পর থেকে অবিরত ঘটে চলেছে।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৭:৪৯

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: আমি কি আমার কোন লেখায় বলেছি যে আর্মিদের কিছু বলা যাবে না?

পাবলিক দূর্নীতি করে মার খায়...এটা আজ পর্যন্ত শুনি নাই। অন্ততঃ রাজনৈতিক সরকারের আমলে মার খাওয়া তো দূরের কথা, দূর্নীতিবাজেরা জামাই আদর পেয়েছে। হালে মউন ইউ আহমেদের কল্যানে কিছু হাই প্রোফাইল দূর্নীতিবাজ মার খেয়েছে।

পলিটিশিয়ান জেলে যায়, কিন্তু থাকে কয়দিন? ওটাকে জেলে থাকা বলে না। এক এরশাদই জেলে ছিলো।

আপনি বলছেন সিংহভাগ আর্মি অফিসার ভালো আবার বলছেন পুরো প্রতিষ্ঠানই একটা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। বক্তব্যটা স্ববিরোধী হয়ে গেল না?

আপনার কথামতো কিছু আর্মি অফিসারের জন্য প্রতিষ্ঠান সন্ত্রাসী হয় তাহলে,

বাংলাদেশ পুলিশঃ একটা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী।
বাংলাদেশ সচিবালয়ঃ IMF আর World Bank এর দালালদের আখড়া
বাংলাদেশের বিচার প্রতিষ্ঠানঃ জাল সনদধারী বিচারক - ফয়েজী ও ঘুষ খোর বিচারপতি - ফজলুল হক মতো আইনজীবিদের অভয়ারন্য

পাবলিকের কাছে তাদের জবাবদিহীতা নেই কেন জানেন? কারন এই পাবলিকের জবাবদিহীতা চাওয়ার মত নৈতিক সাহসই নেই। বহুত আগেই তা নিলাম হয়ে গেছে।

১৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৯

অতন্দ্র তওসিফ বলেছেন: মইন উ আহমেদ রাষ্ট্রীয় শাসনক্ষমতা দখল করেছিলেন (আপনার ভাষ্যমতে) দেশপ্রেমের বশবর্তী হয়ে নয়। বরং জাতিসংঘ থেকে যখন হুমকি দেওয়া হয় যে, সেনাবাহিণী দেশের শাসনক্ষমতা দখল না করলে তারা শান্তিরক্ষী বাহিণীতে বাংলাদেশ থেকে নিয়োগ বন্ধ করে দিবে, তখন মইন দেশে নীরব ক্যু ঘটান। যে সেনাবাহিণী দেশের নিয়মনীতি, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা কেন কিছুর তোয়াক্কা না করে বাহিরের একটি প্রতিষ্ঠান (যা যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ কাজগুলোকে বৈধতা দেওয়ার একটি রাবার স্ট্যাম্প ছাড়া আর কিছু না) -এর নির্দেশে কাজ করে, তাকে মার্সেনারি ছাড়া আর কী-ই বা বলা যায়? আমার বিবৃতির সপক্ষে প্রমাণ মইন উ আহমেদের আত্মজীবনীতে হুবহু আছে। আপনি একটু কষ্ট করে বইটা যোগাড় করে পড়ে নিবেন। আমি নেট সংস্করণ খুঁজেছিলাম, পাইনি।

আপনি যে উদাহরণ দিয়েছেন (আমার বেসরকারি অফিসে চাকরি করা...) সেটা শেষ করেছেন এ বাক্যদ্বয় দিয়ে, "পয়সা দিয়ে তো মানুষের মৌলিক অধিকার কেনা যায় না। আমাদের সিভিলিয়ানরা কিন্তু সেনাবাহিনীর প্রতি সে কাজটাই করছে।" আপনি নিজেই চিন্তা করে দেখুন, বাংলাদেশে সিভিলিয়ানরা সেনাবাহিণী সদস্যদের মৌলিক অধিকার হরণ করছে, এর চেয়ে রিডিকিউলাস কথা আপনি আপনার জীবনে আগে শুনেছেন? বরং ২ বছর তো সেনাবাহিণী-ই আমজনতার কথা বলার অধিকারটুকু পর্যন্ত দাবিয়ে রাখল। সাংবাদিক তাসনীম খলিলের ওপর নির্যতনের বিবরণ পড়ুন। এরকম আরও শতশত প্রকাশিত-অপ্রকাশিত ঘটনা আছে সেনাবাহিণী কর্তৃক সাধারণ নাগরিকদের অধিকার হরণের। আমার নিজ চোখে দেখা একটা শেয়ার করি। একটা কাজে গিয়েছিলাম বলিশাল। বিএম কলেজের সামনে আর্মি ক্যাম্প। ৩ জন ছাত্রী আসলেন। তারা হালফ্যাশান অনুযায়ী ওড়না গলায় জড়িয়েছে। ক্যাম্প থেকে একজন (দূর থেকে তার ইনসিগনিয়া দেখতে পারিনি বলে র্যাঙ্ক বলতে পারছি না) এসে ছাত্রীদের থামিয়ে বলল, "এভাবে ওড়না পড়েছেন কেন? ঠিকভাবে ওড়না পড়তে না পারলে পড়বেন না। কানে ধরে দাঁড়ান।" ছাত্রী ৩জনকে রোদে জনসমক্ষে কানে ধরে ৫ মিনিট দাঁড় করিয়ে রাখা হল। কী বলবেন?

আর ১৬ নং কমেন্টটার জবাব আশা করছি।

১৭ এর জবাবে একস্থলে বলেচেন, "আল্লাহ্‌ না করুক দারোয়ান যদি বেঈমানী করে, তবে আমি কিন্তু সিভিলিয়ানদের মত চুপচাপ বসে থাকবো না।" ঐ ২ বছর আপনি কই ছিলেন ভাই? আপনি-ই তো হতে পারতেন আমাদের পরিত্রাতা! আমাদের মসীহ!!! ঐ ২ বছর চুপচাপ ছিলেন কেন অন্য ব্লাডি সিভিলিয়ানদের মত?

"...আমাদের সংবিধান কিন্তু সামরিক সরকার কর্তৃক উপর্যুপুরি বেশ কয়েকবার ধর্ষণের স্বীকার হয়েছে, কতো নিরীহ সিভিলিয়ানের হাড়গোড় ভেঙ্গেছে....আরো কত অপকর্ম... তা আমরা সবাই জানি।" আপনার এ উক্তিটুকুর জন্য আমার অবশ্য আপনাকে বুকে জড়িয়ে অভিনন্দন জানাতে ইচ্ছে করছে।

"অবশ্য এতো কিছু জেনেও, এতো suffer করার পরও সিভিল সমাজের প্রতিক্রিয়া ছিলো প্রতিবন্ধী (একই সাথে অন্ধ ও বধির) মানুষের মতোই।"-- এটা মনে হয় ঠিক না। তাসনীম খলিল সহ আরও অনেক ব্যক্তি সেনাশাসনের বিরুদ্ধে সরাসরি মিডিয়াতে কথা বলেছেন। তবে অস্ত্রের ঝনঝনানিতে আমজনতার কণ্ঠস্বর অনেক সময় চাপা পড়ে যায়।

০৬ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:২৯

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: মইন উ আহমেদ রাষ্ট্রীয় শাসনক্ষমতা দখল করেছিলেন (আপনার ভাষ্যমতে) দেশপ্রেমের বশবর্তী হয়ে নয়। বরং জাতিসংঘ থেকে যখন হুমকি দেওয়া হয় যে, সেনাবাহিণী দেশের শাসনক্ষমতা দখল না করলে তারা শান্তিরক্ষী বাহিণীতে বাংলাদেশ থেকে নিয়োগ বন্ধ করে দিবে, তখন মইন দেশে নীরব ক্যু ঘটান। যে সেনাবাহিণী দেশের নিয়মনীতি, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা কেন কিছুর তোয়াক্কা না করে বাহিরের একটি প্রতিষ্ঠান (যা যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ কাজগুলোকে বৈধতা দেওয়ার একটি রাবার স্ট্যাম্প ছাড়া আর কিছু না) -এর নির্দেশে কাজ করে, তাকে মার্সেনারি ছাড়া আর কী-ই বা বলা যায়?

তওসিফ ভাই, এই প্রথম প্যারাটার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ কারন অনেকদিন পর কল্পনার রাজ্যে আবার ভাসব; আপনার সৌজন্যে। এই প্যারায় আপনার বক্তব্য থেকে বোঝা যায় যে মইন ইউ আহমেদ আপনার ভাষ্যমতে নীরব ক্যুর মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছিল আপনার মতো সিভিলিয়ানদের কাছে একেবারেই unacceptable. Acceptable হত যদি তারা ক্ষমতা দখল না করত।

একটু কল্পনা করি

যদি,
সেনাবাহিনী সেনানিবাস ছেড়ে বেড়িয়ে না আসত তাহলে,

১. সেনাবাহিনী শান্তি রক্ষা মিশনগুলো বাতিল হয়ে যেত।

২. স্বাভাবিকভাবে যে বৈদেশিক মূদ্রা তারা আয় করত, তা বন্ধ হয়ে যেত ।

৩. বাংলাদেশের মানুষ বিভিন্ন দলে উপদলে বিভক্ত হয়ে নিজেদের মধ্যে হানাহানিতে লিপ্ত থাকত। কেউ লগি-বৈঠা, কেউ সেনাবাহিনীর চাইতেও উন্নত আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর হিংস্র হায়েনার মত ঝাপিয়ে পড়ত। গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যেত বাংলাদেশ। ১/১১ পর্যন্ত পরিস্থিতি বিবেচনা করলে সিভিল প্রশাসন যন্ত্র দর্শকের চাইতে খুব বেশি কোন ভূমিকা পালন করত না।

৪. ইলেকশন কমিশন ও তৎকালিন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ন্যাক্কারজনক ভূমিকার কারনে আমরা নিরপেক্ষ ভোটার লিস্ট (১ কোটি অতিরিক্ত ভোটার) পেতাম না। আর জাতীয় পরিচয়পত্রের কথা না হয় বাদই দিলাম।

৫. ৩ নং পয়েন্টে বর্নিত ঘটনা প্রবাহ চলতেই থাকবে যতক্ষন না বাংলাদেশ সোমালিয়া অথবা আফগানিস্তানের মত অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিনত হয়।

৬. এবার বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক বিষয়সমূহের প্রতি আলোকপাত করা যাক।

বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মায়ানমারের সশস্ত্র স্বাধীনতাকামীরা খুব সক্রিয়। যা বাংলাদেশের জন্য বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি করে কেননা উভয় প্রতিবেশী দেশই বাংলাদেশকে ঐ সকল সশস্ত্র স্বাধীনতাকামীদের মদদ দেয়ার অভিযোগ করে থাকে।

দিন দিন বিভিন্ন উগ্রবাদী ধর্মীয় সংগঠনগুলোর কার্যক্রম বেড়ে চলেছে।

বাংলাদেশে মাদকদ্রব্য, শ্রমিক-নারী-শিশু ও অবৈধ অস্ত্র পাচারের রুটসমূহ বিদ্যমান যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।

৭. বিবদমান পক্ষগুলোকে সমঝোতার টেবিলে আনার জন্য বাংলাদেশে বৈদেশিক হস্তক্ষেপ হত। এবং অবশ্যই হত, এর ভূ-রাজনৈতিক কারনসমূহের জন্যও। অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিনত হওয়ায় বাংলাদেশে একটা power vaccum তৈরি হতো। বাংলাদেশ হত ভারত ও মায়ানমারের armed insurgent group, উগ্রবাদী ধর্মীয় সংগঠন, মাদক, নারী-শিশু ও অস্ত্র পাচারকারীদের অভয়ারন্য।

Ultimately,
ভারত ও মায়ানমার বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ করত বাংলাদেশ থেকে operate করা বিভিন্ন insurgent group গুলোকে দমনের অজুহাতে। আর উগ্রবাদী ধর্মীয় সংগঠনগুলোকে শায়েস্তা করার নামে বাংলাদেশে আমেরিকার হস্তক্ষেপের সম্ভবনাও বাড়ত বৈ কমত না।

তবে নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাস হত এটাই যখন জাতিসংঘের সফল মধ্যস্ততার পর বাংলাদেশে আমরা ভিনদেশী শান্তিরক্ষী বাহিনীর দেখা পেতাম। যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষা মিশনসমূহ সফলতার সাথে সম্পন্ন করত, সেই দেশ শান্তির জন্য ধর্না দেয় জাতিসংঘের কাছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে হেনরী কিসিন্জারের বাংলাদেশকে নিয়ে "তলাবিহীন ঝুড়ি" বিষয়ক কৌতুকের পর নিশ্চয় এটাই হত Next Best Joke.

End of part 1

১৩ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:১৭

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: Start of Part 2

আপনার মতে জেনারেল মইন ক্যু করে দেশের ক্ষমতা দখল করেছেন। আর যেহেতু উনি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী সে হিসাবে ওনার গত ২ বছরের যেকোন কার্যক্রমও অবৈধ।তাহলে তো উনি আসলেও খুব খারাপ কাজ করেছেন, সংবিধান বিরোধি কাজ করেছেন। এহেন সংবিধান লংঘনকারীর বক্তব্যের বিশ্বাসযোগ্যতা আছে কি? ওনার ২ বছরের কোন কার্যক্রম আপনি সমর্থন করেন না, অথচ ওনার জাতিসংঘ (যুক্তরাষ্ট্রের পোষা কুকুর) ও তার শান্তিরক্ষী বাহিনী (জাতিসংঘের ভাড়াটে যোদ্ধা) বিষয়ক বক্তব্য দিব্বি বেদ বাক্যের মত মানছেন!! ঘটনাটা আসলে কি?

৯/১১ নিছক একটা তারিখ বা কিছু সংখ্যার সমষ্টি নয়। আমরা সিভিল সমাজের মানুষেরা যারা নিজেদেরকে গনতন্ত্রের ধারক, বাহক ও রক্ষক বলে দাবি করি তাদের ধারাবাহিকভাবে চরম ব্যর্থতার নিদর্শন এই ৯/১১। গনতন্ত্রের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত অসামরিক সংগঠন নির্বাচন কমিশন একটা গ্রহনযোগ্য ভোটার লিস্ট তৈরিতে ১০০% ব্যর্থ হয়েছিল আর রাজনৈতিক দলগুলো ব্যর্থ হয়েছিল ভোটার আই ডি কার্ড তৈরি করতে। একের পর এক বিতর্কিত কার্যক্রমের কারনে, জনগনের কাছে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা ছিল শুন্যের কোঠায়। একের পর এক এ সকল প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ব্যথর্তার কারনে দেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচনের কোন পরিবেশ ছিল না।

১. এ রকম অরাজক পরিবেশে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা (আপনার কথায় জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে.....) কি ছিল যেখানে রাজনৈতিক দলসহ প্রতিটি অসমারিক প্রতিষ্ঠান ব্যর্থ?

২. সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ ছাড়া আর অন্য বিকল্প কোন উপায় ছিল যা বাংলাদেশবাসীকে ঐ সময়কার ঐ পরিস্থিতি থেকে মুক্ত করে আনতে পারত?

শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে, অনেক সেনা কর্মকর্তাকে চাকরি হতে বরখাস্ত করা হয়েছে। একজন সেনা কর্মকর্তা যখন কোন কারনে তার চাকরি হারান, তখন বিদ্যমান সেনা আইনে সেই কর্মকর্তা আপিল করার কোন সুযোগ পান না। যেখানে আমাদের সংবিধানে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের ন্যায় বিচার পাওয়ার কথা বলা হয়েছে সেখানে সেনা আইনে সেই অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে।

সংবিধান কার্যকর থাকা অবস্থায় সংবিধানের বিপরীতধর্মী আইন কি বিদ্যমান থাকতে পারে?

বর্তমান সেনা আইনের নিরিখে সেনা সদস্যের নাগরিক status টা কি? তারা কি ২য় শ্রেনীর নাগরিক? নাকি তারা আদৌ বাংলাদেশের নাগরিক নন?

সংবিধানের সাথে বিরোধপূর্ন নয় এমন সেনা আইন কে অনুমোদন করবে? সিভিলিয়ানরাই তো? কিন্তু তারা তা করছে না। করলে প্রতিহিংসাপরায়ন রাজনীতিবিদেরা বিনা বাধায় সেনা সদস্যের চাকরী খাবেন কি করে?

আমার বক্তব্য কি এখন খুব রিডিকিউলাস মনে হয় হচ্ছে?

আচ্ছা আর্মি ক্যাম্পের সেনা সদস্য যদি ঐ ছাত্রীদেরকে কানে ধরে রোদের মধ্যে দাড় না করিয়ে শুধু "এভাবে ওড়না পড়েছেন কেন? ঠিকভাবে ওড়না পড়তে না পারলে পড়বেন না" এই মন্তব্য করত, সে ক্ষেত্রে আপনি বিষয়টিকে কিভাবে নিতেন?

অথবা যদি কোন বয়জেষ্ঠ্য ব্যক্তি ঐ একই মন্তব্য ছাত্রীদেরকে করত তখন কি হত? আপনি কি বলেন?

"ঐ রকম অরাজক পরিস্থিতিতে একজন দেশপ্রেমিক নাগরিক যা করতেন মইন ইউ আহমেদ তাই করেছেন।" আমার কথাই আমি আবার উল্লেখ করলাম তওসিফ সাহেব কেননা আপনি খেই হারিয়ে ফেলেছেন। এখন আপনিই বলেন আমি পরিত্রাতা হতে যাবো কোন দুঃখে?


End of Part 2

২০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৪৬

অতন্দ্র তওসিফ বলেছেন: আপনি কী সেনাবাহিণীর ১/১১-এর ক্ষমতা দখলকে সমর্থন করছেন? তাহলে আমার আর আপনাকে কিছু বলার নেই। এটা ঠিক যে সে সময় দেশের সাধারণ জনগণ, ক্ষমাশীল জনগণ (যারা এরশাদের অভ্যুথ্থানকে ক্ষমা করে দিয়ে একজন স্বৈরশাসককে নির্বাচিত করে বিশ্বে নজির সৃষ্টি করেছে) আশা করেছিল যে সেনাবাহিণী বোধহয় দেশটাকে একদম ঠিক করে দিয়ে যাবে। তারা ভুলে গিয়েছিল যে দেশে দূর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ সম্পন্ন হয় এরশাদের আমলেই। এবং এবারও তাদের আশাভঙ্গ করে সেনাশাসন দেশের শুধু ক্ষতি-ই করেছে। আর ১/১১ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণ করেছে যে, "সবচেয়ে নিকৃষ্ট গণতাণ্ত্রিক সরকারও সর্বোৎকৃষ্ট সেনাশাসকের চেয়ে ভাল"। তবে আপনি যদি সত্যিই মনে করেন যে ১/১১ একটি ইতিবাচক ঘটনা ছিল, তাহলে আমি দুঃখিত, আপনার সাথে এ সুন্দর বিতর্কটি চালিয়ে যাওয়ার সকল উৎসাহ আমি হারিয়ে ফেলব। কারণ জেগে থেকে ঘুমের ভান করা ব্যক্তিকে জাগানো যায় না, কখনওই। তবু সেক্ষেত্রে আমি ১৬ নং মন্তব্যের জবাব আশা করব, শুধুমাত্র এটা জানার আশায় যে ঐ ন্যক্কারজনক ঘটনাটিকে আপনি কীভাবে justify করেন।

পরবর্তী পার্টের অপেক্ষা এবং বিতর্কটি চালিয়ে যাওয়ার আশায় থাকলাম...

০৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৩৩

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: তওসিফ ভাই, ১৬নং মন্তব্যটা পেষ্ট করে দিয়েন, খুজে পাচ্ছি না। প্লিজ উৎসাহ হারাবেন না, হতাশ হবেন না। কারনঃ

" (তোমরা) হতাশ হয়ো না! দুঃখ করো না! তোমরাই জয়ী হবে যদি বিশ্বাসী হও! ------ সুরা আল-ইমরানঃ ১৩৯

১৬ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:১৫

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: সেনাবাহিনীর ১/১১ এর সিদ্ধান্ত আমি অকুন্ঠচিত্তে সমর্থন করি কারন সে সময়ের মত নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি বাংলাদেশীদের জীবনে আর কখনো আসেনি এবং ঐ সময়ে ঐ রকম সিদ্ধান্ত নিতে যে মেরুদন্ড লাগে তা অন্য আর কার ছিলো? কারোরই ছিল না। অবশ্য পরবর্তিতে সেনাবাহিনীর সমর্থনে ঘটা কিছু কার্যক্রমের (যেমনঃ মাইনাস টু)ব্যাপারে আমিও একমত নই।

আপনার বক্তব্য অনুযায়ী "ক্ষমাশীল জনগণ (যারা এরশাদের অভ্যুথ্থানকে ক্ষমা করে দিয়ে একজন স্বৈরশাসককে নির্বাচিত করে বিশ্বে নজির সৃষ্টি করেছে) আশা করেছিল যে সেনাবাহিণী বোধহয় দেশটাকে একদম ঠিক করে দিয়ে যাবে। " তওসিফ সাহেব এখন আপনিই জবাব দেন,

৯০" পরবর্তি গনতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত এতগুলো সরকার আসার পরও কেন বাংলাদেশের মানুষ আশা করে যে সেনাবাহিনীই দেশটাকে একদম ঠিক করে দিয়ে যাবে?

সামরিক শাসনের অবসানের পর দেশ ঠিক হয়ে যাবে এটাই তো দেশবাসীর আশা ছিল। কিন্তু ঠিক তো হলই না উল্টো বেঠিক হতে হতে এমন পর্যায়ে চলে গেল যে, "জনগন আশা করে যে সেনাবাহিণী বোধহয় দেশটাকে একদম ঠিক করে দিয়ে যাবে।" বাংলাদেশকে এই পরিস্থিতিতে আনার দায়ভারটা কার? নাকি এখন আপনি বলবেন যে আসলে সেনাবাহিনীই গনতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের ছ্দ্দাবরনে দেশ শাসন করেছে ৯০ থেকে...!!! সুতরাং দায়ভারটা সেনাবাহিনীর!!!!

আমি মনে করি বাংলাদেশবাসী সেনাবাহিনীর কাছে থেকে এতটা আশা করেনি যে তারা দেশটা ঠিক করে দিয়ে যাবে। এই অভাগা দেশবাসীর চাহিদা খুবই সামান্য। প্রজন্মের পর প্রজন্ম আশাভঙ্গের বেদনা বইতে বইতে এ জাতির আশার প্রজাপতি আর আকাশ ছোয় না বড় জোর ঘরের ছাদটা ছুতে পারে। সেনাবাহিনীই সবসময়ই MEANS OF LAST RESORT. যখন একের পর এক সব অসমারিক প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিকে সামাল দিতে ব্যর্থ হয়, তখনই মানুষ সেনাবাহিনীর কাছে আশা করে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঐ নুন্যতম আশাই পূরন করেছিল ১/১১ এর সিদ্ধান্ত নিয়ে।

আমি দুঃখিত যে আপনার, "সবচেয়ে নিকৃষ্ট গণতাণ্ত্রিক সরকারও সর্বোৎকৃষ্ট সেনাশাসকের চেয়ে ভাল" এই বক্তব্যের সাথেও একমত হতে পারলাম না। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যতগুলো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এসেছে তাদেরকে বড়জোর গনতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার বলা যায়। কারন কোন দলেই গনতন্ত্রের চর্চা নেই। আছে স্বৈরতন্ত্র। আবার গনতান্ত্রিক নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়েও বিতর্ক আছে। কেননা নির্বাচনের আয়োজন করে একটা অগনতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার (তত্ত্বাবধায়ক সরকার)। সুতরাং গণতাণ্ত্রিক সরকার উৎকৃষ্ট নাকি নিকৃষ্ট সেটা নির্ধারন করার মত সময় এ জাতির কাছে এখনও আসেনি। সেনাশাসন কখনই গনতন্ত্রের বিকল্প নয় কাম্যতো নয়ই। তবে সেনাশাসন বড়জোড় মন্দের ভাল হতে পারে।

রোম নগরী যখন পুড়ছিল, সম্রাট নিরো তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলেন। আর বাংলাদেশের মানুষ যখন একে অপরকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে মারছিল, আইন শৃংখলা ব্যবস্থা যেখানে সম্পূর্নরূপে ভেঙ্গে পড়েছিল, সে পরিস্থিতিতেও কি আপনি আপনার গনতন্ত্রের বাঁশি বাজিয়ে যেতেন? আপনার কথা মানতে হলে আমরা এই উপসংহারে আসতে পারি তা হলো,

"গনতন্ত্রের জন্য মানুষ, মানুষের জন্য গনতন্ত্র না।"

"এবারও তাদের আশাভঙ্গ করে সেনাশাসন দেশের শুধু ক্ষতি-ই করেছে।" তাহলে ওদের তত্ত্বাবধানে হওয়া ভোটার লিস্টটাও ওদের খারাপ কাজের দলিল। যদি গত নির্বাচনে আপনি ভোট দিয়ে থাকেন, তাহলে দিলেন কেন? আর যদি জাতীয় পরিচয় পত্র বহন করে থাকেন ওটা আপনি কিভাবে বহন করছেন সেটাই আমার প্রশ্ন । কারন এই জাতীয় পরিচয় পত্রের কাজ করেও সেনাবাহিনী খুব খারাপ কাজ করে ফেলেছিল (যদি আপনার কথা মানি)।

কে সত্যই ঘুমিয়ে আছে, আর কে ঘুমানোর ভান করছে, তা আমাদের এই বক্তব্য পাল্টা বক্তব্য দেখে যে কেউ বুঝতে পারবে। তাই সে বিচারটা মনে হয় অন্য ব্লগাররা করলেই ভাল হয়।

ধন্যবাদ।

২১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৩

অতন্দ্র তওসিফ বলেছেন: ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৩২
অতন্দ্র তওসিফ বলেছেন: আবার মনে করেন আপনার সন্তান মাঠে খেলছে, দারোয়ান বিকেলে সময় কাটাতে মাঠে গেল। সেখানে আপনার সন্তান ও দারোয়ানের মধ্যে কোন সমস্যা হল। তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম দোষ আপনার সন্তানেরই। এখন আপনি কী আশা করেন দারোয়ানের কাছে? তার কি উচিৎ আপনার কাছে এসে ব্যাপারটা জানানো, নাকি আপনাকে ঘরে তালা মেরে আটকিয়ে রেখে আপনার সন্তানকে পেটানো?

১০ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:০৯

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: পুরো বিষয়টা আসলে নির্ভর করছে, দারোয়ানের সাথে আমার সম্পর্ক কেমন তার উপর। তার সাথে আমার সম্পর্ক ভালো থাকলে আমি ভালো কিছু আশা করব। কিন্তু এর পরও যদি সে খারাপ কিছু করে বসে তাহলে আমি বুঝে নেব সে ঐ শ্রেনীর মানুষ যাদের পেটে ঘি হজম হয় না। আর আমি নিশ্চয় দারোয়ানের সাথে আমার সম্পর্ক এমন পর্যায়ে নামিয়ে আনবো না, যার ফলশ্রুতিতে সে তার মালিককে ঘরে তালা মেরে আটকিয়ে রেখে তার সন্তানকে পেটানোর মত স্পর্ধা দেখায়। তাই না?

২২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:৪১

মাহবুব সুমন বলেছেন: এটা কি ক্যাডেট কলেজ ব্লগেও প্রকাশিত হয়েছে ?

১০ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৩২

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: না এটা ক্যাডেট কলেজ ব্লগে প্রকাশিত হয়নি। আচ্ছা আপনি কি একজন এক্স ক্যাডেট? হলে কোন কলেজের?

২৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৩২

অতন্দ্র তওসিফ বলেছেন: জনাব মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ, আপনি কি এক্স-ক্যাডেট?

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:২৮

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: Proud to be an Ex-Cadet.

২৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:৪৭

ত্রিমাত্রিক বলেছেন: আর্মিরা দেশ খুউব ভালা চালায় যেমনঃ উত্তর কোরিয়া, মায়ানমার..................

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৩৫

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: আর্মিরা মোটেও দেশ ভাল চালায় না যেমনঃ উত্তর কোরিয়া (উত্তর কোরিয়ার কিছুদিন আগের দূর্ভিক্ষের কথা মনে আছে?), মায়ানমার (কিভাবে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের বিক্ষোভ দমন করল সামরিক সরকার মনে আছে?)..................

২৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:২৮

রাজর্ষী বলেছেন: আর্মির খা. পো. দের কাজ কি দেশ চালানো আর দুর্নিতী দমন করা? যতদিন আর্মি পাকিস্তানী আর্মির আসর থেকে বের হয়ে না আসবে ততদিন আমাদের দেশের কিছু হবেনা আর ততদিনই আর্মিদের খাপো মনে হবে। বন্দুক থাকলেই যে ক্ষমতা দখল করা করা যায় না এটা এই অসভ্য বলদদের বোঝা উচিৎ।

২৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১২

মোসতফা মনির সৌরভ বলেছেন: "মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: ভাইজান মাথাটা ঠান্ডা করেন, মনে হ্য় আউলা ঝাউলা হইয়া গেছে.... রাগের চোটে স্বজাতির নামটাও লিখলেন ভুল (১৪ কোটি সিচিলিয়ানের মাঝে .....)
"


এতদিনে জানলাম সিভিলিয়ান একটা জাতি, আর আপনি সেই জাতি'র অন্তর্ভুক্ত নন- যেহেতু আরেকজনকে বলছেন স্বজাতি'র নাম লিখতে ভুল করেছে।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:১৭

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: আপনি ভুল বুঝলেন...। শুরুতে এবং শেষেও...। স্বজাতি শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে নিছক একটা group বুঝাতে। আসলে সবকিছুর আক্ষরিক অর্থ হয় না। ভাবার্থ বুঝে নিতে হয়।

আমি নিতান্তই একজন বেসামরিক ব্যক্তি। কিন্তু তাই বলে কি আমি অন্য আরেক বেসামরিক ব্যক্তির ভুল ধরিয়ে দিতে পারি না?

২৭| ১৬ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ২:১৫

তাহ্‌লীল আহেমদ চৌধুরী বলেছেন: লেখক আপনার মন্তব্যগুলো দারুন হয়েছে।

২৮| ১৬ ই মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:১৯

স্বপ্নরাজ বলেছেন: প্রথমেই বলে নেই.. আমি মনে করি যদি তিন পৃথিবী সত্যিকারের সভ্য না হচ্ছে ততদিন সেনাবাহিনী একটা দেশের গুরুত্বপূর্ন স্বাধীনতার প্রতীক।

তবে
বাংলাদেশের সেনাবাহিনী নিয়ে কথা থেকেই যায়। আপনি টু দি পয়েন্ট আমার কিছু প্রশ্নের উত্তর দেবেন?
১। সেনাবাহিনীর দায়িত্ব কি বারবার ক্ষমতায় নাক গলানো? সিভিলিয়ানরা দাওয়াত করে নিয়ে আসে এই ধরনের ফাউল উত্তর দেয়ার আগে দয়া করে ভাববেন যে আমরা পাখি পড়া করে কোনকিছু শিখিনি বা পাখি পড়ার ট্রেনিং নেইনি।
বিশ্বের দিকে তাকিয়ে দেখুন যে সকল দেশে সেনাবাহিনী ক্ষমতায় নাক গলায়ছে সে সব দেশের অবস্থাই খারাপ। উপমহাদেশে পাকিস্তান আর বাংলাদেশে বারবার সেনাবাহিনী নাক গলিয়েছে বলে এই দুইটা দেশের রাজনৈতিক অবস্ত্থা সবচেয়ে খারাপ। শ্রীলংকার সেনাবাহিনীর অবদান দেশের জন্য অনেক বেশী তাদের সেনাপ্রধানের নাম কয়জন জানে, ভারতের?
সভ্য দেশগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখুন সেনাবাহিনীর ভূমিকা কি শিখতে পারবেন আশাকরি।

২। তাওসিফের কিছু যুক্তি জবাব আপনি দিচ্ছেন হাস্যকর। মউন ইউ আহমেদ যে জাতিসংঘের মিশন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয়েই ক্ষমতা দখল করেছিল সেটা সে তার বইয়েই উল্লেখ করেছে। আপনি যে জবাব দিয়েছেন তা কৌতুককর।
সেনাবাহিনী সেনানিবাস ছেড়ে বেড়িয়ে না আসত তাহলে,

১. সেনাবাহিনী শান্তি রক্ষা মিশনগুলো বাতিল হয়ে যেত।

২. স্বাভাবিকভাবে যে বৈদেশিক মূদ্রা তারা আয় করত, তা বন্ধ হয়ে যেত

(তাইলে বৈদেশিক মুদ্রা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয়েই ১/১১ হইছে কি বলেন?)
হাসি আসে যখন শুনি শান্তি রক্ষাবাহিনী দেশের সুনামের জন্যই মূলত: বিদেশে যায়। আমার ইউনির এক টিচার বলেছিলেন, যদি বিদেশে যেয়ে ৩০ পার্সেন্ট সেনাসদস্য মারা যেত আর যদি অল্প দিনেই লাখ লাখ টাকা অর্জনের সুযোগ না থাকতো তাহলে এই বিদেশে দেশের সুনাম বাড়ানোর জন্য এই রকম লাইন পড়ত না, বিদেশে যাওয়া এড়ানোর জন্য উল্টো তদবিরের লাইন পড়ত।

৩। অন্ধ সমর্থন না করে একটু যদি পড়াশুনা করেন দেখবেন সেনাবাহিনীর চরিত্রটাই আলাদা.. সমগ্র বিশ্বে সেটা একই রকম, এবং এটাই স্বাভাবিক। ট্রেনিংটাই মূলত শত্রুর সাথে যুদ্ধের। একটা মানুষকে কিশোর বয়স থেকেই একটা টাইপ করে তৈরী করা হয়, তাদের কাজই হচ্ছে শক্তি প্রয়োগ করে এবং শত্রুকে নিস্পেষিত করা। এটাই স্বাভাবিক। বিশ্বের সভ্য দেশ গুলো তাই তাদের সেনাবাহিনীকে ব্যস্ত রেখেছে তাদের স্বার্থ উদ্ধারে যেখানে শক্তি প্রয়োগ করা দরকার সেখানে।
আমাদের মত দেশগুলোতে সেনাবাহিনী যে নিজের দেশের মানুষের বিরুদ্ধেই মাঝে মাঝে নেমে যায়... মানুষ আর্ত চীৎকার করে বলে এরাই কি আমাদের ট্যক্সের টাকায় চালিত আমাদের সেনাবাহিনী... সেটা শুধু আমাদের অশিক্ষিত মানুষের দেশ বলেই সম্ভব।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:১৩

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: ২৮. নম্বর মন্তব্যের প্রথম প্যারাটা ঠিক বুঝলাম না। কথাটা এরকম, "স্বপ্নরাজ বলেছেন: প্রথমেই বলে নেই.. আমি মনে করি যদি তিন পৃথিবী সত্যিকারের সভ্য না হচ্ছে ততদিন সেনাবাহিনী একটা দেশের গুরুত্বপূর্ন স্বাধীনতার প্রতীক। " এখানে স্বপ্নরাজ তিন পৃথিবী বলতে কি বুঝিয়েছেন? যাই হোক এর মর্মার্থ হলো যে সেনাবাহিনী একটি দেশের স্বাধীনতার প্রতীক হতে পারে না যদি তা হয় তাহলে এই পৃথিবীটাই আসলে সভ্য না। আমার মতে একটা দেশের স্বাধীনতার প্রতীক অনেক কিছুই হতে পারে, সেটা সেনাবাহিনীকেই হতে হবে এমন কোন কথা নেই।

আমার প্রশ্ন অন্যখানে যেখানে আপনি পৃথিবীর সভ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। আচ্ছা তাহলে এই পৃথিবীতে তো অনেক সভ্যতা এসেছে, সে সব সভ্যতার উন্মেষ ঘটেছে আবার সেসব বিলুপ্তও হয়ে গেছে কালের বিবর্তনে। যেমন: গ্রীক সভ্যতা, মিসরীয় সভ্যতা, সবচেয়ে কাছের মুসলিম সভ্যতা অথবা দক্ষিন আমেরিকার মায়ান/ইনকা সভ্যতা। এখন এমন একটা সভ্যতার কথা
আমাকে বলেন যে, যে সভ্যতার ইতিহাসে কোন সেনাবাহিনী ছিল না। সভ্যতার ইতিহাস শান্তি আর অশান্তির দুই পিঠ নিয়ে গড়া। অশান্তির কারনে যুদ্ধ হয়েছ। আবার যুদ্ধ করেছে মানুষ শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই। যুদ্ধের হাত ধরেই সেনাবাহিনী এসেছে। সুতারাং আপনি যতই সেনাবাহিনী অপছন্দ করেন না কেন বা একে সভ্যতা বিরোধী উপাদান বলে মনে করেন না কেন, মানব ইতিহাসে অশান্তি থাকবে, যুদ্ধ থাকবে আর সেনাবাহিনীও থাকবে যেমনটা অতিতে ছিল। আরেকটা কথা তা হলো সেনাবাহিনী কিন্তু মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা: ) এর সময়ও ছিল এবং উনি অনেক যুদ্ধও পরিচালনা করেছিলেন। রোমান আর পার্সিয়ান
সম্রাটদের মুসলমানরা তাদের সেনাবাহিনীর মাধ্যমে পরাজিত করেছিল। এতে করে মানুষ কি সভ্যতার দিকে না অসভ্যতার দিকে এগিয়েছিল সে জবাবটা দিবেন আশা করি।


আপনার ১ নম্বর প্রশ্নের উত্তরে আমি আমার এই পোস্টেই করা একটা মন্তব্যের উত্তর কপি করে দিলাম।

ত্রিমাত্রিক বলেছেন: আর্মিরা দেশ খুউব ভালা চালায় যেমনঃ উত্তর কোরিয়া, মায়ানমার.................. জবাব দিন|মুছে ফেলুন

| ব্লক করুন

আপনার জবাবটি লিখুন

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৩৫
লেখক বলেছেন: আর্মিরা মোটেও দেশ ভাল চালায় না যেমনঃ উত্তর কোরিয়া (উত্তর কোরিয়ার কিছুদিন আগের দূর্ভিক্ষের কথা

মনে আছে?), মায়ানমার (কিভাবে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের বিক্ষোভ দমন করল সামরিক সরকার মনে আছে?)..................

তার মানে এই যে সেনাবাহিনী দিয়ে দেশ চালানটা আমিও সমর্থন করি না। সেনাবাহিনীর কাজ হলো যুদ্ধ করা আর বেসামরিক সরকারের দায়িত্ব হলো সেনাবাহিনীকে যুদ্ধপযোগী রাখা।

আপনার ১ নম্বর আর শেষের ৩ নম্বর বক্তব্য পড়ে আমিও না হেসে পারলাম না। আপনি ১ নম্বরের শেষ লাইনে লিখলেন "সভ্য দেশগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখুন সেনাবাহিনীর ভূমিকা কি শিখতে পারবেন আশাকরি।" আবার ৩ নম্বরে লিখলেন, "বিশ্বের সভ্য দেশ গুলো তাই তাদের সেনাবাহিনীকে ব্যস্ত রেখেছে তাদের স্বার্থ উদ্ধারে যেখানে শক্তি প্রয়োগ করা দরকার সেখানে।" আপনার কথাতেই বোঝা যায় যে সব সভ্য দেশ আসলে সভ্য না। আবার আপনার ১ নম্বরের শেষ লাইনে অনুসারে আমরা ভারতীয় সেনাবাহিনী থেকে শিক্ষা নিতে পারি, কারন তারা কখনো ক্ষমতা দখল করেনি আবার ভারতীয় গনতন্ত্রেরও একটা ঐতিহ্য আছে যে কারনে আমরা ধরে নিতে পারি ভারত একটা সভ্য দেশ। কিন্তু এই সভ্য দেশ ভারতও আপনার ৩ নম্বর বক্তব্যে ধরা খেয়ে যাচ্ছে কারন শান্তি রক্ষার নাম করে ভারত শ্রীলংকায় সেনাবাহিনী পাঠিয়েছিল (অনেকটা সভ্যতার পতাকাধারী আমেরিকার ও তাদের পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর মতো) এবং ব্যর্থ হয়েছিল।

এখন বলেন সভ্য দেশগুলো কি সেনাবাহিনী চালায় নাকি গনতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা চালায়? আর ঐ সকল প্রতিনিধিরা যদি তাদের সেনাবাহিনীকে অশান্তি তৈরির কাজে ব্যবহার করে তাহলে এর দায়ভারটা কার? আপনি ফল কাটার ছুরিটাকে কারো পেটের মধ্যে ঢুকিয়ে দিলে দোষটা নিশ্চয় ছুরির হবে না।

আপনি আপনার ২ নম্বর বক্তব্য অনুযায়ী "মইন ইউ আহমেদ যে জাতিসংঘের মিশন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয়েই ক্ষমতা দখল করেছিল সেটা সে তার বইয়েই উল্লেখ করেছে।" এ বিষয়টা আমি জানি না কারন মইন ইউ আহমেদের বইটা আমার পড়া হয়নি তবে ওনার ১/১১ এর পদক্ষেপ যদি শুধুমাত্র এ কারনেই হয়ে থাকে, আমি স্বস্তি বোধ করছি। বরং উনি যদি ক্ষমতা দখলের কারনেই ১/১১ এর ঘটনা ঘটিয়ে থাকতেন তাহলে সেটাই ছিল ভয়ের কারন। আর উনি ক্ষমতালোভী হয়ে থাকলে কোন একটা পর্যায়ে ফখরূদ্দিনকে হটিয়ে উনিই সরকার প্রধান হয়ে যেতেন আর সর্বশেষ নির্বাচনটা তো হতোই না। ২ নম্বর
বক্তব্যে আপনি আমার ১ ও ২ নম্বর বক্তব্য উল্লেখ করেছেন কিন্তু ৩ আর ৪ নম্বর এড়িয়ে গেছেন উল্লেখ করেননি। কেন? কারন ৩ আর ৪ নম্বরের কঠিন সত্য স্বীকার করে নেয়ার মতো সাহস আপনার নেই। আমি আবার আমার ৩ ও ৪ নম্বর বক্তব্য নিচে কপি করে দিলাম।

যদি,
সেনাবাহিনী সেনানিবাস ছেড়ে বেড়িয়ে না আসত তাহলে,

৩. বাংলাদেশের মানুষ বিভিন্ন দলে উপদলে বিভক্ত হয়ে নিজেদের মধ্যে হানাহানিতে লিপ্ত থাকত। কেউ লগি-বৈঠা, কেউ

সেনাবাহিনীর চাইতেও উন্নত আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর হিংস্র হায়েনার মত ঝাপিয়ে পড়ত। গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যেত

বাংলাদেশ। ১/১১ পর্যন্ত পরিস্থিতি বিবেচনা করলে সিভিল প্রশাসন যন্ত্র দর্শকের চাইতে খুব বেশি কোন ভূমিকা পালন করত

না।

৪. ইলেকশন কমিশন ও তৎকালিন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ন্যাক্কারজনক ভূমিকার কারনে আমরা নিরপেক্ষ ভোটার লিস্ট (১

কোটি অতিরিক্ত ভোটার) পেতাম না। আর জাতীয় পরিচয়পত্রের কথা না হয় বাদই দিলাম।

আপনারা যারাই সেনাবাহিনীর অন্ধ বিরোধীতা করেছেন তারা সবাই কিছু বিষয় সুকৌশলে এড়িয়ে গেছেন এবং এ ব্যাপারে আপনাদের মধ্যে দারুন মিল খুজে পেলাম। নিচে তা উল্লেখ করলাম।

১. সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ ছাড়া আর অন্য বিকল্প কোন উপায় ছিল যা বাংলাদেশবাসীকে ১/১১ এর ঐ অরাজক পরিস্থিতি থেকে মুক্ত করে আনতে পারত?

২. ১/১১ এর ঐ রকম অরাজক পরিবেশে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা কি ছিল?

৩. পৃথিবীতে কয়টা গনতান্ত্রিক দেশ আছে যারা তত্ত্বাবধায়কের মত অগনতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করে? আমাদের তত্ত্ববধায়ক সরকারের concept প্রকারান্তরে আমাদের গনতন্ত্রের দূর্বলতাই প্রকাশ করে। গনতন্ত্রের পথে ২০টা বছর পার করেও এক দল অন্য দলে বিশ্বাস করে না। দলের মধ্যে গনতন্ত্রের চর্চা নেই।

২৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:০৮

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: ভাল প্রয়াস, +

সেনাবাহিনী ধোয়া তুলসিপাতা না. তবে সেনাবাহিনী শব্দটাই যাদের এলার্জি, তারা যুক্তির উর্ধে, তাদের জন্য আপনার ‘ঘষা মাজা’ তেমন কাজে দেবে না.

কিন্তু যারা অপপ্রচার আর মিথে বিভ্রান্ত, তাদের জন্য আত্মপক্ষ সমর্থনে আমার কিছু ধারাবাহিক প্রতিবাদ পোস্ট করেছিলাম, দেখার অনুরোধ রইল.

১. বিডিআর ঘটনায় রাগইমনের বক্তব্যে একজন ক্ষতিগ্রস্থের প্রতিবাদ
Click This Link

২. সেনাবিদ্বেষ : আত্মপক্ষ সমর্থন-১
Click This Link

৩. সেনাবিদ্বেষ : আত্মপক্ষ সমর্থন-২
Click This Link

৪. সেনাবিদ্বেষ :আত্মপক্ষ সমর্থন-৩
Click This Link

৫. সেনাবিদ্বেষ :আত্মপক্ষ সমর্থন-৪
Click This Link

৬. সেনাবিদ্বেষ :আত্মপক্ষ সমর্থন-৫
Click This Link

৭. সেনাবিদ্বেষ :আত্মপক্ষ সমর্থন-৬
Click This Link

৮. সেনাবিদ্বেষ :আত্মপক্ষ সমর্থন-৭
Click This Link

৯. সেনাবিদ্বেষ :আত্মপক্ষ সমর্থন-৮
Click This Link

১০. সেনাবিদ্বেষ :আত্মপক্ষ সমর্থন-৯
Click This Link

১১. সেনাবিদ্বেষ :আত্মপক্ষ সমর্থন-১০
Click This Link

১২. সেনাবিদ্বেষ :আত্মপক্ষ সমর্থন-১১
Click This Link

১৩. সেনাবিদ্বেষ :আত্মপক্ষ সমর্থন-১২
Click This Link

ধন্যবাদ.

২৮ শে মে, ২০১০ বিকাল ৫:২২

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আপনার পোষ্টগুলো অনেক আগেই আমি প্রিয়তে রেখেছি।

হাল না ছেড়ে এগিয়ে চলুন। আপনি একা নন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.